<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জাতীয় বাজেট ঘোষণার দিন ক্রমেই ঘনিয়ে আসছে। আর মাস দুয়েক পরেই মহান জাতীয় সংসদে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাজেট পেশ করা হবে। সেই বিবেচনায় বাজেট প্রণয়নের কাজ বেশ জোরেশোরেই এগিয়ে চলছে বলে প্রতীয়মান হয়। এরই মধ্যে প্রাক-বাজেট আলোচনাও প্রায় শেষ হয়ে গেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় দেশের প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ, মুদ্রাবাজার বিশেষজ্ঞ, পেশাজীবী এবং থিংকট্যাংকের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছে। এর বাইরে বিভিন্ন পেশাজীবী ফোরাম, থিংকট্যাংক এবং আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরাও নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন আলোচনা সভা ও গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছিল। এসব আলোচনা ও বৈঠকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও সুপারিশ উঠে এসেছে। বাজেট প্রণয়নে এসব সুপারিশ ও মতামতের কতটুকু সরকার গ্রহণ করবে, সেটিই দেখার বিষয়।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এবারের বাজেটের কিছু বিশেষত্ব আছে, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">১. সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলেও এই মেয়াদের জন্য এটি হবে সরকারের প্রথম বাজেট; ২. বর্তমান অর্থমন্ত্রীর জন্য এটি হবে প্রথম বাজেট; ৩. বর্তমান সরকারের ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারের কিছু বিষয় বাজেটে প্রতিফলিত হবে; ৪. চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে; ৫. রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে; ৬. উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির সময় যাতে বাজেট-পরবর্তী দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি না হয়, সেদিকটি বিবেচনায় নিতে হবে; ৭. বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত বিশ্বে উচ্চ সুদের হার এবং হার্ড কারেন্সি হিসেবে ডলারের বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে এবং ৮. অতি সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে যে নতুন অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, সেটিও বিবেচনায় নিতে হবে। এতগুলো দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রণয়নের কাজটি মোটেই সহজ নয়। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><img alt="বাজেটে বাড়তি কিছু সতর্কতা প্রয়োজন" height="362" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/04.April/23-04-2024/Untitled-1.jpg" style="float:left" width="400" />এখন পর্যন্ত যতটুকু জানা গেছে, তাতে সরকার প্রায় আট লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রণয়ন করতে চলেছে, যেখানে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হবে প্রায় পাঁচ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। সুতরাং এবারও বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা অর্থাৎ ঘাটতি মোট বাজেটের প্রায় ৪৫ শতাংশ। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ঘাটতি বাজেট মোটেই কোনো সমস্যা নয়। প্রায় সব দেশই ঘাটতি বাজেট অনুসরণ করে। উন্নতি করতে হলে ঘাটতি বাজেটে যেতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কথাটি উন্নয়নশীল বিশ্বের ক্ষেত্রে আরো বিশেষভাবে প্রযোজ্য। কেননা এসব দেশে পর্যাপ্ত উন্নয়ন সম্ভাবনা থাকলেও বিনিয়োগের সক্ষমতা নেই। আর নিজস্ব আয় বা সঞ্চয় দিয়ে সেই মাপের বিনিয়োগ যে সম্ভব হয় না, তা তো বিগত কয়েক দশকে প্রমাণিত হয়ে গেছে। এ কারণেই ঘাটতি বাজেট অনুসরণ করেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। অর্থনীতির এই সূত্রটি উন্নত বিশ্ব খুব ভালোভাবেই অনুধাবন করেছে এবং সফলতার সঙ্গে প্রয়োগ করে কাঙ্ক্ষিত উন্নতিও করেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলো এদিক থেকে যথেষ্ট পিছিয়ে আছে। অনেক দেরিতে হলেও কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশ বিষয়টি খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে এবং বাস্তবে প্রয়োগ করে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করতেও সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আর এ কারণেই বাংলাদেশকে এখন উন্নয়নের রোল মডেল বা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঘাটতি বাজেট সমস্যা না হলেও ঘাটতির পরিমাণ এবং ঘাটতি মেটানোর বিষয়টি যে সমস্যা, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ঘাটতির পরিমাণ যদি খুব বেশি হয় এবং ঘাটতির অর্থ সংগ্রহের যদি সহায়ক খাত না থাকে, তখন সেই ঘাটতি বাজেট সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে, যেটি বাংলাদেশে বাজেটের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে দেশের ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে সরকার ক্রমাগত বৃহৎ আকৃতির ঘাটতি বাজেটের পথে হাঁটলেও বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ৪৫ শতাংশ, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই হার এত দিনে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশে নেমে আসা উচিত ছিল। এত বিশাল বাজেট ঘাটতির একমাত্র কারণ হচ্ছে আমাদের দেশে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা খুবই কম। ১৭ কোটি জনসংখ্যার দেশে মাত্র ৩০ লাখ লোক আয়কর রিটার্ন জমা দিলেও প্রকৃত করদাতার সংখ্যা অনেক কম, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যেখানে দেশের মাথাপিছু গড় আয় প্রায় তিন হাজার ডলার, সেখানে কমপক্ষে দুই থেকে তিন কোটি লোকের আয়কর প্রদান করার কথা। বাজেটে গতানুগতিক কিছু ফিসক্যাল পলিসি বা আর্থিক নীতি গ্রহণের মাধ্যমে দেশের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। আয়কর ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তর করে আয়কর রিটার্ন দাখিল পদ্ধতিকে সম্পূর্ণ জনবান্ধব করে তিন থেকে পাঁচ বছরের একটি বিশেষ কর্মসূচি নিতে হবে। প্রথমে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তারপর করদাতার সংখ্যা এমনভাবে বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ কোনো রকম ভোগান্তির শিকার না হয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই কর প্রদান করে। কাজটি কঠিন মনে হলেও মোটেই অসম্ভব নয়। বাজেট ঘাটতি কমাতে সরকার তথা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এই কাজটি করতেই হবে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ কথা অনস্বীকার্য যে দেশের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির প্রচেষ্টা একটি দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ। তাই সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে আমাদের ঘাটতি বাজেট প্রণয়নের কাজটিও চালিয়ে যেতে হবে। তবে ঘাটতি মেটানোর জন্য অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হতে হবে। বিশেষ করে বর্তমান প্রেক্ষাপটে ডলারে তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বের মুদ্রাবাজারের যেভাবে ইতিবাচক ধারায় ফেরার কথা ছিল, সেভাবে ফেরেনি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডলার আরো বেশ কিছুদিন হার্ড কারেন্সি হিসেবেই থাকবে। অর্থাৎ ডলারের ব্যাপক চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ অনেক কম থাকবে। তা ছাড়া উন্নত বিশ্বের নীতি সুদ হার বা বেঞ্চমার্ক রেট হ্রাস করার ব্যাপারে জোরালো আলোচনা থাকলেও সেসব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এখন পর্যন্ত সুদহার হ্রাসের কোনো রকম পদক্ষেপ নেয়নি। উন্নত বিশ্বের অন্যান্য দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের দিকে তাকিয়ে আছে। এ ছাড়া উপায়ও নেই। কেননা বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বের অবস্থানে জেঁকে বসে আছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যে সিদ্ধান্ত নেয়, অন্যরা সেটি অনুসরণ করে মাত্র। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ এই বছর বেঞ্চমার্ক রেট কমপক্ষে চারবার কমাবে বলে মার্কেটে জোর গুঞ্জন ছিল এবং এর শুরুটা হওয়ার কথা ছিল এই এপ্রিল মাসের রেট-কাটের মধ্য দিয়ে, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বাজারে মুদ্রাস্ফীতিসহ সব তথ্য পক্ষে থাকলেও ফেডারেল রিজার্ভ আশ্বস্ত হতে পারছে না। ফলে তারা সুদহার হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিতে সাহস করেনি। তবে তারা এটি নিশ্চিত করেছে যে সুদহার হ্রাস করার সময় এসেছে। কেননা সুদহার বৃদ্ধির সময় অর্থনীতি উতরে গেছে। ফেডারেল রিজার্ভের এমন অবস্থানের কারণে অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা এ বছর তিনবার সুদহার হ্রাসের প্রত্যাশা করছেন। সেটিও হবে কি না তার পুরোটিই নির্ভর করছে ফেডারেল রিজার্ভ কিভাবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে, তার ওপর। একই রকম মতামত পোষণ করেছে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, ব্যাংক অব কানাডাসহ অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">উন্নত দেশগুলো সুদহার হ্রাস শুরু না করলেও এটি যে আপাতত আর বাড়ছে না, তা মোটামুটি নিশ্চিত। সেই সঙ্গে এটিও আঁচ করা যায় যে এ বছর সুদহারের বড় ধরনের হ্রাস না হলেও শুরুটা হয়তো হবে এবং আগামী বছর থেকে নিয়মিত বিরতি দিয়ে সুদহার হ্রাস পাবে। আর এই বিষয়টিই এবারের বাজেট প্রণয়নের সময় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নিতে হবে। যেহেতু এই বছরের শেষ এবং আগামী বছর থেকে ডলারে গৃহীত ঋণের ওপর সুদ নিম্নগামী হবে, তাই বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিবর্তে স্বল্পমেয়াদি ঋণে যেতে হবে, যেখানে ঋণ নবায়ন এবং রি-স্ট্র্যাকচারিং সুবিধা থাকে। এ কথা ঠিক যে সরকারি ঋণের বেশির ভাগই প্রাতিষ্ঠানিক সংস্থা; যথা</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা হয়। এসব প্রাতিষ্ঠানিক ঋণে সর্বনিম্ন সুদহার বিরাজ করে। তার পরও ডলারে গৃহীত ঋণের ওপর সুদহার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক বা নীতি সুদ হার দ্বারা প্রভাবিত হয়। এ কারণেই বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য যে পরিমাণ অর্থ ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রায় গ্রহণ করা হবে তার ধরন এমন হতে হবে, যাতে হ্রাসকৃত সুদহারের সুবিধা পাওয়া যায়। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt">প্রতিবছর বাজেটে ফিসক্যাল পলিসির সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট না হলেও কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যেমন</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt">—</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:.1pt">সরকারি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমাদানের শর্ত জুড়ে দেওয়া বা বাধ্যতামূলক ন্যূনতম কিছু কর প্রদান প্রভৃতি। এসব সিদ্ধান্ত রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি বা বাজেট বাস্তবায়নে কতটা ভূমিকা রাখে, তা নিশ্চিত করে বলতে না পারলেও এগুলো যে অহেতুক জনভোগান্তি বাড়ায়, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই এবারের বাজেটে জনভোগান্তি সৃষ্টি করে সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত যেন না থাকে, সেই প্রচেষ্টা শুরু থেকেই থাকা প্রয়োজন। একবার একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনার মুখে প্রত্যাহার করা মোটেই ভালো লক্ষণ নয়। যে সিদ্ধান্ত পরবর্তী সময়ে প্রত্যাহার করতে হবে, তা না নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। এর সঙ্গে অতি সম্প্রতি যোগ হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব যে থাকবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বাজেট প্রণয়নে এই বিষয়টিও সক্রিয় বিবেচনায় নিতে হবে। মোটকথা, সার্বিক পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তা বিবেচনায় নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করতে হলে এবারের বাজেটে কিছু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতেই হবে। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><b><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">লেখক : </span></span></span></b><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সার্টিফায়েড অ্যান্টি মানি লন্ডারিং স্পেশালিস্ট ও ব্যাংকার, টরন্টো, কানাডা</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">nironjankumar_roy@yahoo.com</span></span></span></span></span></span></span></span></p>