<p style="text-align: justify;">যশোরের অভয়নগরে স্বামী-সন্তানহারা অসহায় বৃদ্ধা ছবিরা বেগম (৭৫)। উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের সিদ্ধিপাশা গ্রামে পৈতৃকসূত্রে পাওয়া এক খণ্ড জমিতে পলিথিন দিয়ে তৈরি ঝুপড়ি বানিয়ে বসবাস করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যসহ নানা রোগে ভুগছেন ছবিরা বেগম।</p> <p style="text-align: justify;">স্বামী সগির সরদারের মৃত্যুর পর ছোট ছেলে মারা যান। একমাত্র বড় ছেলে দিনমজুরের কাজ করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অন্যত্র বসবাস করেন। একাকী পলিথিনের ঝুপড়িতে অমানবিক জীবন যাপন করে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন ছবিরা বেগম।</p> <p style="text-align: justify;">তাঁর এই অমানবিক জীবনযাপনের চিত্র নিজের ফেসবুক ওয়ালে তুলে ধরেন সুনীল দাস নামের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। সেই পোস্টটি নজরে আসে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদের। গতকাল রবিবার বন্ধের দিন কিছু খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ছবিরা বেগমকে দেখতে যান ইউএনও। </p> <p style="text-align: justify;">অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুনীল দাস বলেন, ‘সিদ্ধিপাশা গ্রামে গিয়ে বৃদ্ধা ছবিরা বেগমের অমানবিক জীবনযাপন দেখে খুবই কষ্ট পেয়েছি। তাঁর স্বামী ও ছোট ছেলের মৃত্যুর পর একমাত্র বড় ছেলে তাঁকে ফেলে অন্যত্র চলে গেছে। এলাকাবাসী খাবার দিলে খেতে পান, অন্যথায় না খেয়ে দিন কাটাতে হয় তাঁর।’ </p> <p style="text-align: justify;">তিনি আরো বলেন, ‘বৃদ্ধা ছবিরা বেগমের অমানবিক জীবনযাপনের চিত্র তুলে ধরে ফেসবুকে একটি পোস্ট করি। এরপর ইউএনও সাহেব আমার সঙ্গে কথা বলে বৃদ্ধার ঠিকানা নেন।’</p> <p style="text-align: justify;">এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম আবু নওশাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ফেসবুকে পোস্ট দেখে বৃদ্ধা ছবিরা বেগমের কাছে যাই। তাঁর সঙ্গে কথা বলে সাহস জুগিয়ে কিছু খাদ্যসামগ্রী, চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যবস্থা করি। তার পৈতৃকসূত্রে পাওয়া জমিতে থাকা পলিথিনের ঝুপড়ি ভেঙে নতুন ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করি। আশা করি ঈদের আগেই ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া ছবিরা বেগমের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’</p>