<p>কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ফাহাদ আল ফারাবী (১৬) নামের এক মেধাবী কিশোর টেলিস্কোপ বানিয়ে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। এটি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছে তিন লাখ কিলোমিটার দূরের দৃশ্য। ওই শিক্ষার্থী টেলিস্কোপটির নাম দিয়েছে নিকো-কে-১।</p> <p>ফাহাদ আল ফারাবী রাজারহাট উপজেলার মেকুটারী গ্রামের জয়নুল আবেদীন-পারভীন খন্দকার দম্পতির ছেলে। সে রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।</p> <p>জানা গেছে, ফাহাদ আল ফারাবী ছোটবেলা থেকে মহাকাশ সম্পর্কে জানতে খুবই আগ্রহী। বইয়ের পাতায় গ্রহ, নক্ষত্র ও উপগ্রহের বিষয়গুলো পড়ে টেলিস্কোপে দেখার খুব ইচ্ছা হয় তার। খোঁজ নিয়ে জানতে পারে টেলিস্কোপের দাম অনেক টাকা। শিক্ষার্থী হয়ে এত টাকা সংগ্রহ করতে পারবে না দেখে ২০২৩ সালে নিজেই টেলিস্কোপ বানাতে শুরু করে সে। তার কাজে সহযোগিতা করে বড় ভাই ফাহমিদ আল জাবের। তিন মাসের মধ্যে টেলিস্কোপ বানাতে পেরে খুশি ফাহাদ আল ফারাবী।</p> <p>ফাহাদ আল ফারাবী বলে, ‘ছোটবেলা থেকে আমার ইচ্ছা ছিল মহাকাশ নিয়ে কাজ করার। অ্যাস্ট্রনমি ইনস্ট্রুমেন্ট না থাকায় কাজ করতে পারিনি। ২০২৩ সালে ঢাকার এক অ্যাস্ট্রনমি হাউস থেকে যন্ত্রপাতিগুলো সংগ্রহ করে টেলিস্কোপটি বানাতে সক্ষম হই।’</p> <p>ওই শিক্ষার্থী আরো জানায়, টেলিস্কোপটি তৈরি করতে মূলত পিভিসি পাইপ, লেন্স, মাউন্ট, ফোকাল, অ্যাপারচার, মিরর, ফোকাসার, মেটাল থ্রিডি স্পাইডার ও কাঠের  প্রয়োজন হয়েছে। টেলিস্কোপটির ওজন ১২ কেজি। এটির মাধ্যমে প্রায় তিন লাখ কিলোমিটার দূরের দৃশ্য ধারণ করা যায়। ভবিষ্যতে আরো উন্নত টেলিস্কোপ ও মাইক্রো টেলিস্কোপ বানানোর ইচ্ছা আছে তার।</p> <p>ফারাবীর বাবা জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘ফারাবী জেলা পর্যায়ে ও রাজধানীতে দাবা খেলে নগদ অর্থ পুরস্কার পায়। সেই অর্থ দিয়ে টেলিস্কোপ বানানো শুরু করলে আমি তাকে বাড়তি কিছু টাকা দিয়ে সহযোগিতা করি। টেলিস্কোপটি বানাতে খরচ হয়েছে ১৭ হাজার টাকা।’</p> <p>এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রব বলেন, ‘এটা খুবই খুশির খবর। তাকে পৃষ্ঠপোষকতা করলে আরো ভালো কিছু করতে পারবে বলে মনে করি।’</p>