<article> <p style="text-align: justify;">নেত্রকোনা শহরের মগড়া নদীর ওপর মোক্তারপাড়ার মূল সেতু নির্মাণের সময় সাময়িকভাবে চলাচলের জন্য নদীর তলদেশে বড় আকারের ইটের চারটি পিলারের ওপর দুটি অস্থায়ী বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল প্রায় আট বছর আগে। কিন্তু ব্রিজ চালু হওয়ার পর দীর্ঘ ছয় বছরেও সরানো হয়নি এই পিলার। দখল-দূষণে সংকুচিত মগড়া নদীর এই পিলারই এখন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর গাফিলতির কারণে দীর্ঘ ছয় বছরেও এই পিলার সরানো হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">এরই মধ্যে পিলার অপসারণের দাবিতে স্থানীয় পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা শহরে মানববন্ধন কর্মসূচি ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিলেও কোনো কাজ হয়নি।</p> <p style="text-align: justify;">সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে মগড়া নদীর ওপর মোক্তারপাড়ার পুরনো সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের সময় চলাচলের বিকল্প হিসেবে অস্থায়ী বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। নতুন সেতুটি নির্মাণের পর ২০১৮ সালে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ সময় মূল সেতুর দুই পাশে অস্থায়ী দুটি বেইলি ব্রিজের ওপরের স্টিলের পাঠাতন সরিয়ে নেওয়া হয়।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">কিন্তু ইটের তৈরি প্রশস্ত চারটি বড় পিলার থেকে যায়। </p> <p style="text-align: justify;">স্থানীয়রা জানায়, নদীর ভেতরে পিলার থাকার কারণে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ময়লা, পলিমাটি আটকে ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদীর তলদেশ। মোক্তারপাড়া এলাকায় নদীর পানি সরছে না।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">কচুরিপানা আটকে নদী উঁচু ও সংকুচিত হচ্ছে। এতে মোক্তারপাড়া এলাকায় নদীটি দিন দিন আরো সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।  </p> <p style="text-align: justify;">নেত্রকোনা জেলা পরিবেশ উন্নয়ন কমিটির গবেষণা সম্পাদক অহিদুর রহমান বলেন, ‘মগড়া নদীটি আমাদের শহরের প্রাণবৈচিত্র্যের আধার। এটা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। নদীর ভেতরের পিলার সরানোর জন্য কর্মসূচি পালন করেও কাজ হচ্ছে না।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ একেবারেই উদাসীন। এই পিলারের কারণে মোক্তারপাড়া এলাকায় নদীটি ভবিষ্যতে আরো সংকুচিত হয়ে পানিপ্রবাহে মারাত্মক বাধা তৈরি হবে।’</p> <p style="text-align: justify;">বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনউদ্যোগের নেত্রকোনার সদস্যসচিব শ্যামলেন্দু পাল বলেন, ‘পিলারগুলো সরানোর জন্য আমরা মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছি। তবু এগুলো সরানোর কোনো উদ্যোগ নেই। বর্ষাকালে ছোট নৌকা চলাচলে পিলারে লেগে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’</p> <p style="text-align: justify;">বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) নেত্রকোনা পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সারওয়ার জাহান বলেন, ‘পিলারগুলো সরানোর জন্য বছরখানেক আগে নেত্রকোনা সড়ক বিভাগকে চিঠি দিয়েছিলাম, কিন্তু এখনো তা সরানো হয়নি।’ </p> <p style="text-align: justify;">এ বিষয়ে নেত্রকোনা সড়ক বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আলনূর সালেহীন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পিলার ভেঙে সরানোর জন্য ব্রিজ নির্মাণকারী তৎকালীন ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যে নদীর ভেতরের পিলার অপসারণ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p> </article>