<p>তাই তো হৃদ্যন্ত্রকে সঠিকভাবে সচল রাখতে কত না চেষ্টা আমাদের। তবে দৈনিক মাত্র ১২ মিনিটের এক ব্যায়ামে এটিকে আমরা সঠিকভাবে সচল রাখতে পারি। এ জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন শুধু একটি উপকরণ—কেটলবেল। এ কেটলবেল ব্যবহার করে প্রতিদিন মাত্র ১২ মিনিটের ব্যায়ামই যথেষ্ট। এ ব্যায়াম শুধু হার্টকে নয়, নতুন গবেষণা অনুযায়ী ধৈর্যশক্তি বাড়াতেও সহায়ক।<br /> এ ব্যায়াম শরীরের বেশির ভাগ অংশেরই মুভমেন্ট (পুশ, পুল, স্কোয়াট, রোটেশন) নিশ্চিত করে। এটা আসলে পুরো শরীরের জন্য দারুণ এক ব্যায়াম। ধীরে ধীরে অবশ্য ব্যায়ামের গতি বাড়াতে হবে। প্রথম সপ্তাহের তুলনায় দ্বিতীয় সপ্তাহে পুনরাবৃত্তির সংখ্যাটা ১০ থেকে ২০ শতাংশ বাড়াতে হবে।</p> <p><strong>কিভাবে এটা কাজ করে?</strong></p> <p>হালকা অনুশীলনের পর চারটি ব্যায়াম করতে হবে। প্রতিটি অনুশীলন যতটা বেশি করতে হবে, এর জন্য সময় বরাদ্দ ৪৫ সেকেন্ড। এরপর ১৫ সেকেন্ডের বিশ্রাম। ২ ও ৪ নম্বর ব্যায়াম এক হাতে শেষ করার পর অন্য হাতেও পুরো অনুশীলন করতে হবে। পুরো অনুশীলনটি শেষ হতে সর্বোচ্চ ছয় মিনিট প্রয়োজন হবে। এখন আবার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো অনুশীলনটি করতে হবে।</p> <p><strong>১. হ্যান্ড টু হ্যান্ড সুইং</strong></p> <p>কিভাবে করতে হবে : এক হাতে বেল নিয়ে দুই পা একটু ফাঁক করে দাঁড়াতে হবে। এবার কোমর একটু বাঁকিয়ে যে হাতে বেল ধরা, সেই হাতকে দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে পেছনের দিকে ঠেলে যতটা সম্ভব ওপরে নেওয়ার পর কোমর সোজা করার পাশাপাশি পেছনে ঠেলে দেওয়া হাতকে সামনে আনতে হবে। বেলসহ হাত যখন গলা বা মাথার সোজাসুজি আসবে, তখন বেলটি হাত বদল করতে হবে। এভাবে পুনরাবৃত্তি করতে হবে।</p> <p>এই অনুশীলন মানসিক সুস্থতা এবং ভারসাম্যের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে হাত ও চোখের সমম্বয়টাও গুরুত্বপূর্ণ। (চলবে)</p>