<p style="margin-bottom:13px">সুস্থ থাকতে নিয়মিত ব্যায়ামের বিকল্প নেই। ব্যায়াম উপকারী হলেও তা বুঝেশুনে করা উত্তম। বিশেষ করে বয়স, পরিবেশ ও প্রয়োজন বুঝে ব্যায়ামের রুটিন ঠিক করা জরুরি। গরম বাড়তে শুরু করেছে। অনেকেরই বাইরের উন্মুক্ত পরিবেশে ব্যায়াম করা বেশি পছন্দ। তাদের জন্য রোদ ও গরমে সতর্কতা মেনে চলতে হবে। রোদে বাইরে ব্যায়াম না করাই ভালো। যারা বাইরে ব্যায়াম করতে পছন্দ করেন তাঁরা ভোরে ও বিকেলে রোদ কমে গেলে বা সন্ধ্যাবেলা বেছে নিন ব্যায়াম করার জন্য। ধীরে ধীরে ব্যায়াম শুরু করা উচিত। পরিবেশের সঙ্গে শরীরকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য শুরুতে কিছুটা সময় দিন। </p> <p style="text-align:center"><img alt="গরমে ব্যায়ামের আগে পরে" height="483" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/print/Magazine 2023/22-04-2024/kalerkantho09.jpg" width="800" /></p> <p>ব্যায়ামের কারণে ঘাম হয়। শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি বেরিয়ে যায়। গরমের কারণে এই পানির পরিমাণ আরো বাড়ে। এ জন্য পানিশূন্যতা পূরণে ব্যায়ামের কিছুক্ষণ আগে খানিকটা পানি পান করুন। ব্যায়ামের সময় সঙ্গে পানির বোতল নিন। ব্যায়ামের বিরতিতে এবং ব্যায়াম শেষে পানি পান করুন। দুপুরের রোদে বা বেশি গরম আবহাওয়ায় ব্যায়াম করবেন না।</p> <p>ভারী, আঁঁটসাঁট পোশাক বা কালো রঙের পোশাক পরে ব্যায়াম করবেন না। এতে গরম বেশি লাগবে এবং অস্বস্তি হবে। ব্যায়ামের সময় আরামদায়ক ও হালকা রঙের পোশাক পরিধান করতে হবে। এখন ব্যায়ামের জন্য কাস্টমাইজড পোশাক পাওয়া যায়। সম্ভব হলে এ ধরনের পোশাক পরতে পারেন। এগুলোয় ঘাম কম হয়। দ্রুত ঘাম শুকিয়ে যায়। আবার পেশি সংকোচন ও প্রসারণেও সুবিধা পাওয়া যায়। ব্যায়ামের পর তাজা ফলমূল খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তাই ব্যায়াম শেষে মৌসুমি ও পানিযুক্ত ফলমূল খেতে পারেন।</p> <p style="text-align:center"><img alt="গরমে ব্যায়ামের আগে পরে" height="483" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/print/Magazine 2023/22-04-2024/kalerkantho010.jpg" width="800" /></p> <p>গ্রীষ্মে ব্যায়ামে গরম থেকে বাঁচতে সাঁতার কাটতে পারেন। এতে ব্যায়ামও হবে আবার শরীরও বেশি গরম হবে না। বাড়ির কাছের পুকুর, লেক অথবা সুইমিংপুল কাজে লাগাতে পারেন। ব্যায়াম করতে ছায়াযুক্ত স্থান ব্যবহারের চেষ্টা করুন। সবুজ গাছপালাবষ্টিত পার্ক, মাঠ, বাড়ির আঙিনা ব্যবহার করতে পারেন। বাইরে ব্যায়াম করতে যাওয়ার মিনিট ১৫ আগে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নেবেন। এ সময় ঘরে ফ্যান বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র চালিয়ে শরীরচর্চা করা ভালো। বারান্দা বা করিডরেও ব্যায়াম করতে পারেন। ব্যায়ামাগারগুলো সাধারণত এয়ারকন্ডিশন হয়ে থাকে। চাইলে ব্যায়ামাগারে যেতে পারেন। এতে আর বাইরের গরমের বাড়তি ধকলটা সামলাতে হবে না। ব্যায়ামের আগে ও পরে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করুন। প্রশান্তি মিলবে। ব্যায়ামের পর তোয়ালের মধ্যে বরফ জড়িয়ে নিয়ে ঘাড়ের অংশে ধরে রাখতে পারেন কিছুক্ষণ।</p> <p>শরীর ঠাণ্ডা হবে।বাইরে ব্যায়াম করে ফিরেই খুব ঠাণ্ডা পানি পান করবেন না অথবা ঘর খুব শীতল করে ফেলবেন না। প্রথমে খোলা ঘরে ফ্যানের হাওয়ায় খানিকক্ষণ শরীর জুড়িয়ে নিন; স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করুন কিংবা পানির সঙ্গে সামান্য ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে নিন।</p> <p> </p> <p><strong>খেয়াল রাখুন</strong></p> <p>গরমে ব্যায়ামের সময় শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে বা পানিশূন্যতা তৈরি হলে হিটস্ট্রোকের মতো কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন—মাথা ঘোরানো বা মাথা হালকা অনুভব করা, মাথা ব্যথা, বমিভাব, অতিরিক্ত ক্লান্তি, দুর্বলতা, শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা, মাংসপেশিতে ব্যথা, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া বা একদমই ঘাম না হওয়া, শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি বেড়ে যাওয়া। এমন হলে ব্যায়াম থামিয়ে দিন। প্রচুর পানি পান করুন। মুখে ও মাথায় পানির ঝাপটা দিন। ঘাড়ে ও বগলে পানি বা বরফ দিতে চেষ্টা করুন। সারা শরীরে ঠাণ্ডা পানি ঢালুন।</p> <p>ব্যায়াম শুরু করার পর খেয়াল করুন, পরিবেশের তাপমাত্রার সঙ্গে শরীর মানিয়ে নিতে পারছে কি না। ধীরে ধীরে ব্যায়ামের গতি বাড়ান।</p> <p>ব্যায়াম করার সময় দুর্বল লাগলে, মাথা ঘুরলে, বুক ধড়ফড় করলে, হাঁপ ধরে গেলে, মাংসপেশিতে ব্যথা এবং বমি বা বমি ভাব হলে ব্যায়াম থামিয়ে বিশ্রাম নিন।</p> <p> </p> <p> </p>