<p>কনে দেখা গোধূলির আলো গায়ে মেখে একটা লোকাল ট্রেনে উঠেছি। গন্তব্য কাছাকাছিই। কয়েকটা স্টেশন পরেই নেমে যাব। নির্দিষ্ট স্টেশনের কাছাকাছি উঠে পড়ে ট্রেনের গেটের দিকে যাচ্ছি। ভাস্কর লবণ বিক্রি করছেন একজন বয়স্ক মানুষ। লোকাল ট্রেনে এ ধরনের খাবার, যেমন<span lang="DA" style="font-size:12.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">―</span></span>ভাস্কর লবণ, হজমি, আমলকী শুকনো ইত্যাদি যাঁরা বিক্রি করেন, তাঁদের দস্তুর হলো বসে বা দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজনের হাতে একটু করে স্যাম্পল দেওয়া।</p> <p>সেদিনও সেই ভদ্রলোক স্যাম্পল দিচ্ছিলেন। পাকা চুল। বয়স হলেও বেশ স্মার্ট চেহারা। গরমের হাতছানিকে উপেক্ষা করে মুখের হাসি উপচে পড়ছে। কিনলাম তাঁর কাছ থেকে এক বোতল ভাস্কর লবণ। এসব জিনিস কিনতে গেলে আমার খুব বাবার কথা মনে পড়ে যায়। বাবা বড় ভালোবাসতেন এ ধরনের খাবারগুলোকে। অনেক দিন দেখেছি, রাতে খাওয়ার পর বাবা জলে গুলে খেতেন ভাস্কর লবণ। তখন শিশির গায়ে লেখা থাকত, ‘জারিত ভাস্কর লবণ’। ওষুধের দোকানগুলোতে সেই ভাস্কর লবণ পাওয়া যেত। তখন স্টেশনারি  দোকানের এত চল ছিল না। মুদিখানার দোকানেই সহজে মিলত বিস্কুট থেকে কাপড় কাচার বার সাবান। সাবান গুঁড়ো, যার পোশাকি নাম ‘ডিটারজেন্ট পাউডার’, তার চল সদরে থাকলেও মফস্বলে তখন সোডার বদলে বার সাবান বাজার দখল করেছে। ইতিহাসের বিয়োগান্তক অধ্যায়, বঙ্গবন্ধুকে টুঙ্গিপাড়াতে সমাধিস্থ করার আগে তাঁকে শেষ গোসল করানো হয়েছিল অমনই এক বার সাবান দিয়ে। যদিও স্নানের জন্য ব্যবহার্য সাবান সেই ৭৫ সালেই দুই বাংলারই গ্রামেগঞ্জে পাওয়া যেত।</p> <p>ট্রেনের সেই হকারদাদা, যিনি ভাস্কর লবণ বিক্রি করছিলেন, তাঁকে দেখে মনে পড়ে গেল ব্যানার্জীদার কথা। ব্যানার্জীদাও এ রকমই একজন স্মার্ট প্রৌঢ় হকার ছিলেন। সকলের হাতে স্যাম্পল দিতেন হাসিমুখে। কেউ যদি স্যাম্পল নিতে অরাজি হতো, খুব রেগে যেতেন ব্যানার্জীদা। তাঁর সেই রাগ দেখে কখনো কিন্তু মনে হয়নি, এই রেগে যাওয়াটা তাঁর কোনো ক্যানভাসিং ট্যাকটিস ছিল। নিজে প্রডাক্টটি বিক্রি করছেন, সেটির সঙ্গে কেবল রুটি-রুজি নয়, একটা নিবিড় ভালোবাসার বন্ধন ছিল বলেই হয়তো কেউ নমুনা চেখে দেখতে না চাইলে কষ্ট পেতেন ব্যানার্জীদা। আর কষ্টটা একটা কপট রাগের মধ্য দিয়ে তিনি প্রকাশ করে ফেলতেন।</p> <p>ট্রেনের হকার, তাঁর আবার কষ্ট! নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে ক্যাজুয়াল যাত্রী<span lang="DA" style="font-size:12.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">―</span></span>কার এত সময় আছে একজন হকারের মনের তল খুঁজতে যাওয়ার? আমিই কি কোনো দিন সে তল খুঁজতে এতটুকু চেষ্টা করেছি? আমি নিজেই তো কখনো ব্যানার্জীদার প্রডাক্ট চেখে দেখতে হাত বাড়াইনি। উনি হাত বাড়ালেও আমি নিজের হাতটা সরিয়ে নিয়েছি। এই হাত সরিয়ে নেওয়ার পেছনে আমার যুক্তি ছিল, যে জিনিসটা আমি কিনব না, কেন অহেতুক তার স্যাম্পল নিতে যাব? যদি আমি আগ্রহ ভরে স্যাম্পল নিতে যাই, তাহলে তো বিক্রেতার আমাকে ঘিরে ন্যূনতম একটা প্রত্যাশা তৈরি হবে। সে একটু হলেও ভাববে, এই লোকটা হয়তো কিনলেও কিনতে পারে আমার প্রডাক্ট। লোকটা যদি প্রডাক্টটা কেনে, তবে সামান্য হলেও তো আমার একটু লাভ থাকবে।</p> <p>আসলে ব্যানার্জীদার মতো মানুষদের দিকে তাকাবার সময় আমাদের কোথায় ছিল? এই যে সেদিন মন্থর গতির গহিনে নিজেকে ডুবিয়ে, ওই কনে দেখা গোধূলিতে ট্রেনে চেপেছিলাম, তেমন অবসরে শেষ কবে ট্রেনে চড়েছিলাম, তা সত্যিই তো মনে করতে পারছি না। জীবনের লড়াইয়ের চাক্কিপিসিংয়ের ভেতর দিয়েই তো এতকাল ট্রেনের সওয়ারি হতাম। অবসরে, আরামে-আয়েশে সওয়ারি হওয়ার সুযোগ আর জীবনে এলো কোথায়? জীবনে কী এলো আর কী এলো না<span lang="DA" style="font-size:12.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">―</span></span>সেসবের হিসাব-নিকাশ না করেই সেদিন বিকেলের ওই ট্রেনে ভাস্কর লবণ বিক্রেতা পাকা চুলের প্রৌঢ়ের কাছে প্রথমে জানতে চেয়েছিলাম ব্যানার্জীদার কথা। উত্তর পেয়েছিলাম<span lang="DA" style="font-size:12.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">―</span></span>করোনা। আর কিছু শুধোইনি। যা বোঝার সহজেই বুঝেছিলাম। সেই বোঝা থেকে কেবল মনে এই আত্মতৃপ্তি জাগল যে, যাক, আর যা-ই হোক আমি বেঁচে গেছি। শুধু বেঁচে গেছিই নয়, এখনো বেঁচে আছি। কেবল বেঁচে থাকাই নয়, বেশ বহাল তবিয়তেই বেঁচে আছি। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠছি। প্রাতঃকৃত্য করে বাজারে যাচ্ছি। কোনো দিন বা আড়াই শ গ্রাম কাটা পোনা কিনছি। বেছে বেছে পেটির মাছই কিনছি। আবার মাসের শেষের দিকে পকেটের সত্য প্রকাশ না করে পেটের দোহাই দিয়ে চারা পোনা কিনছি। কিন্তু বেঁচে আছি। জোর গলাতে, শম্ভু মিত্তিরের মতো গলা খেলিয়ে বলছি, ‘মন্বন্তরে মরিনি আমরা, মাড়ি নিয়ে ঘর করি।’</p> <p>সীতারামকে এখনকার  নিত্যযাত্রীরা কেউ চিনবেন না। সেকালের নিত্যযাত্রীদের এখন বায়োলজিক্যাল কারণেই বেঁচে থাকার কথা নয়। তাহলে পাঠকের মনে হতেই পারে, এই কলমচির বয়স কত? মান্ধতার কততম প্রপিতামহের আমলের লোক তিনি? আসলে ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে যখন দিদিমার বাড়ি থেকে মা-বাবার বাড়ি ফিরতাম, তা আজ থেকে প্রায় পঞ্চান্ন-ষাট বছর আগে, তখন প্রথম দেখেছিলাম সীতারাম চানাচুরওয়ালাকে। সে সময়ের ট্রেনের কামরা<span lang="DA" style="font-size:12.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">―</span></span>আজকের প্রজন্ম চিন্তাও করতে পারবে না। লাল বাল্ব জ্বলত কামরাতে। তাও আবার গোটা কামরাতে জ্বলত না। ইতিউতি দুটো-চারটে বাল্ব নিভে থাকাটাই ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার। যদি কোনো ট্রেনের কম্পার্টমেন্টের সবকটা আলো জ্বলছে দেখতে পাওয়া যেত, তবে যাত্রীদের কাছে এই সবকটা আলো জ্বলার ব্যাপারটা কেমন যেন অস্বাভাবিকই ঠেকত। কাঠের কামরা তখন উঠব উঠব করছে। একটু দূরপাল্লার ট্রেন, মানে যেগুলো লালগোলা, গেদে<span lang="DA" style="font-size:12.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">―</span></span>এসব জায়গাতে যাবে, সেগুলোর ছিল কাঠের বগি। সীতারাম তেমন ট্রেনে বড় একটা উঠত না চানাচুর বেঁচতে। কারণ, সে ট্রেনগুলো তো সব স্টেশনে দাঁড়াত না। আজকের ট্রেন চলতি মানুষের লব্জে তাদের গালোপিং অবশ্য বলা হতো না। বলা হতো থ্রু ট্রেন। সময় বদলেছে। ট্রেনের চলতি লব্জও বদলাচ্ছে একটু একটু করে। বদলাচ্ছে এ প্রজন্মের সীতারামদের প্রডাক্ট বেচার ধরন-ধারণও।</p> <p>সীতারামের হাতে থাকত ঘুঙুর। ঠিক যেমন ঘটিগরমওয়ালারা ঘুঙুরের আওয়াজ করে জানান দেয় পাড়ায় পাড়ায় তাদের আগমনের, ব্যাপারটা অনেকটা তেমনই। পায়ে বাঁধা ঘুঙুরের আওয়াজে অদ্ভুত শরীরের অঙ্গভঙ্গি করে সুরেলা গলায় চানাচুরের গুণপনা গাইত সীতারাম। সীতারামকে দেখে, ‘হরিদাসের বুলবুলভাজা’ গানের অভিনয় আয়ত্ত করেছিলেন রবি ঘোষ, না রবি ঘোষকে দেখে তাঁর স্টাইলটা নিয়েছিল সীতারাম<span lang="DA" style="font-size:12.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">―</span></span>সেটা অবশ্য আমার জানা নেই। তবে সীতারামের চানাচুর বিক্রির সময়ের কথাবার্তায় আমি একজনের আদল বড় খুঁজে পেতাম। শিবনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। উত্তর কলকাতার টালায় বনমালী সরকার লেনে থাকতেন শিবনারায়ণ। তাঁর ঠিক পাশের বাড়িতেই থাকতেন তবলার কিংবদন্তি হীরুবাবু। হীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। কয়েকটা বাড়ি পরে থাকতেন ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়। শিবনারায়ণ ছিলেন গত শতকের শেষ ভাগে উত্তর কলকাতার নিজস্ব চরিত্রের এক অসাধারণ উদাহরণ। কলকাতা করপোরশনে চাকরি করতেন। চাকরি থেকে অবসরের মাস তিনেক আগে বিয়ে করলেন এক সরকারি অফিসারকে। সেকালের রাইটার্সে শিবনারায়ণের সঙ্গে পশু পালন ও পশু চিকিৎসা দপ্তরের (তখনো দপ্তরটার ‘প্রাণিসম্পদ বিকাশ’ নাম হয়নি) উষারাণীর বিয়ে ঘিরে মার মার কাট কাট পড়ে গিয়েছিল। লোকজন বলে, স্বয়ং জ্যোতি বসু পর্যন্ত নাকি সে বিয়ে ঘিরে মিষ্টি খেতে চেয়েছিলেন! </p> <p>শিবনারায়ণের বিয়ে, সে একটা অন্য রকমসকম। লিখতে গেলে আরো একটা মহাভারত হয়ে যেতে পারে। সে নয় আর কখনো লেখা যেতে পারে। আমাদের ট্রেনের চানাচুরওয়ালা সীতারামের সঙ্গে বড্ড মিল খুঁজে পেতাম টালার শিবনারায়ণের। পেটে হাসি ঠিকরে বেরোতে চাইত। কিন্তু হাসতে পারতাম না। কারণ, শিবনারায়ণপত্নী উষারাণী যে মায়ের সহকর্মী। তাঁকে নিয়ে রঙ্গরসিকতা করলে যে রেগে যেতে পারেন মা। তাই কম্পেয়ারটা কেবল করতাম দিদির হঙ্গে। ছোট মাসির কাছেও কখনোসখনো বলতাম না যে তা নয়।</p> <p>যারা আজকাল কোনো না কোনো প্রডাক্ট বেঁচার কাজে থাকে, তার কম্পানি নিজেদের গরজেই শিখিয়ে দেয় বেঁচার কৌশল। সেই কৌশল তৈরি করতে আবার বড় বড় কম্পানিগুলো রীতিমতো মোটা মাইনে দিয়ে লোক রাখে। সেই সব লোকেরা মার্কেট সার্ভে করে তৈরি করে প্রডাক্ট বেঁচার কৌশল। এক স্ট্র্যাটেজি তারা বেশি দিন চলায় না। এক স্ট্র্যাটেজি কিছুদিন চলার পর হয় প্রডাক্টের প্যাকেজিংয়ে আনে কিছু না কিছু অদলবদল, তা নয়তো পরিবর্তন আনে প্রচার কৌশলে। কিন্তু সে যুগের সীতারামরা হকারি শুরুর প্রথম দিনেও যে স্ট্র্যাটেজি নিজেই তৈরি করে নিয়েছিল, বয়স বা অন্য কোনো কারণে যখন হকারি ছেড়ে দেবে, সেই শেষ দিনটিতেও সেই একই কৌশলে নিজের প্রডাক্ট বেচে গেছে। আজকের সেলসের লোকেদের মতো সীতারামের কোনো টার্গেট ছিল না। কোনো ওপরওয়ালা তাকে বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেয়নি। লক্ষ্যমাত্রা সীতারামদের কাছে ছিল দু’বেলা পেটপুরে খেতে পাওয়া, ব্যস এটুকুই। এর থেকে এতটুকু বেশি ভাবার মতো কল্পনাশক্তি সীতারামের ছিল না। সীতারামদের ছিল না।</p> <p>ট্রেনের হকারদের যে একটা নিজস্ব স্টাইল ছিল, আছে, আগামীতেও থাকবে<span lang="DA" style="font-size:12.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">―</span></span>নিত্যযাত্রীরা সেটা অন্তর থেকে অনুভব করেন। রেল নিয়ে লিখতে গিয়ে ভাষাচার্য সুকুমার সেন তাঁর অনবদ্য কলমে লিখেছিলেন, রেল হকারদের কথা। রেলের সওদা আর সাধারণ সওদার চরিত্রগত ফারাকের এক অসামান্য রেখাচিত্র এঁকেছিলেন আচার্য সেন। হরেক কিসিমের জিনিস কিনতে মানুষ বাজারে যায়। নিজের নিজের প্রয়োজনমতো সওদা করে। কিন্তু রেলগাড়িতে জিনিসপত্রেরা হরেক বেশে, নিজেরাই এসে হাজির হয় ক্রেতাদের কাছে। সাধারণ বাজার আর রেলের হকারি<span lang="DA" style="font-size:12.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">―</span></span>এ দুইয়ের মধ্যে ফারাকের যে অসামান্য ছবিটা এঁকেছিলেন সুকুমার সেন। সম্ভবত রেল হকার আর আমাদের চানাচুরওয়ালা সীতারামদের জীবনসংগ্রামের চিত্রাঙ্কনে এর থেকে ভালো বর্ণনা আর কিছু হয় না।</p> <p>কিভাবে কাটে রেল হকারদের জীবন? তাঁদের নিয়ে খুব যে একটা লেখালেখি হয়েছে, তেমনটা চোখে পড়ে না। কলকাতার শহরতলির একটু আনাচকানাচে চোখ ফেরালেই আমরা দেখতে পাব, রেলগাড়িতে বেঁচার জন্য, এই রেল হকারদের উপকরণ সংগ্রহের রকমসকমটা। নৈহাটি, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর<span lang="DA" style="font-size:12.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">―</span></span>শহরতলির এ রকম বড় বড় স্টেশনের গা-লাগোয়া একটু সস্তাগন্ডার দোকান থাকে। সেসব দোকান থেকে জিনিসপত্র জোগাড় করে সীতারাম, ব্যানার্জীদারা। নিজেরাই পাইকারি দরে কেনা বাদাম, শুকনো ঝাল, মটরশুঁটি, চিঁড়ে ভাজা, চাল ভাজার বড় প্যাকেট কেনে। বাজারের মধ্যেই একটু নিরিবিলিতে বসে ছোট ছোট প্যাকেটে সেসব খাবার ভরে। সীতারামের আমলে অবশ্য প্রথম দিকে এমনতর প্যাকেটে ভরা খাবার মিলত না রেলগাড়ির কামরাতে। তবে ইউনিক কাগজের ঠোঙায় ঘটিগরম বেচত সীতারাম। সঙ্গে তার অসাধারণ সেল টেকনিক। সুর করে গান, একটুখানি নাচ।</p> <p>এখনো আমার মতো একটু সেকেলেরা ট্রেনে উঠে নতুন হকারদের মধ্যে খুঁজে পেতে চায় সীতারাম, ব্যানার্জীদাদের। আর নতুন প্রজন্মের নিত্যযাত্রীরা আমাদের কালের মতো আড্ডার বদলে, যে যার মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তারা বড় একটা মন দিতে চায় না রেল হকারদের নিত্যকালের চিত্তকথায়। সময় নেই যে তাদের! সেই যে কোনকালে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন না, ‘সময় কারো যে নাই, ওরা চলে দলে দলে। গান হায়, ডুবে যায় কোন কোলাহলে।’</p>