মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কোরে চিকিৎসক নেবে সেনাবাহিনী

  • ৮৫তম বিএমএ স্পেশাল (এএমসি) ও ৭০তম বিএমএ স্পেশাল (এডিসি) কোর্সে পুরুষ ও মহিলা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটের (http://join.army.mil.bd) মাধ্যমে আবেদন করতে হবে ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখের মধ্যে। নির্বাচনী পরীক্ষার ধাপ, পরীক্ষাপদ্ধতিসহ দরকারি তথ্য জানাচ্ছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কোরে চিকিৎসক নেবে সেনাবাহিনী
সেনাবাহিনীর চিকিৎসকরা জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবার দায়িত্বও পালন করেন। ছবি : সংগৃহীত

প্রার্থী নির্বাচনী পরীক্ষার ধাপ

চূড়ান্তভাবে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করা হবে বেশ কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে। শুরুতেই নেওয়া হবে লিখিত পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর শারীরিক যোগ্যতা যাচাই, শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাইসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যোগ্যতা নিশ্চিত করা হবে।

এসব ধাপের পর প্রার্থীদের আইএসএসবি পরীক্ষা শেষে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হবে।

 

বাছাই পদ্ধতি, স্থান ও সময়সূচি

নির্বাচিত প্রার্থীদের ঢাকা সেনানিবাসে শহীদ বীরবিক্রম রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সকাল ৯টায় পেশাগত বিষয়ে ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইট ও মোবাইল এসএসএস/ফোনে লিখিত পরীক্ষার ফল জানানো হবে মার্চ ২০২৫-এর দ্বিতীয় সপ্তাহে। ডিজিএমএস অফিস, ঢাকা সেনানিবাসে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও প্রাথমিক মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে ১৬ থেকে ২৪ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত।

মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রয়োজনীয় সব সনদ ও অন্যান্য দরকারি কাগজপত্রের মূলকপি সঙ্গে রাখতে হবে। লিখিত, প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আইএসএসবি দপ্তরে (ঢাকা সেনানিবাস) মোট চার দিনের পরীক্ষা/সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। সব শেষে চূড়ান্ত ফল সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের যোগদান সম্পর্কিত নিদের্শনাও দেওয়া হবে এই সাইটে।

 

প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা

আইএসএসবি ও ডাক্তারি পরীক্ষায় যোগ্য ও সেনা সদর কর্তৃক চূড়ান্ত নির্বাচিতদের বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) ২৪ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। প্রশিক্ষণ শেষে সফল ট্রেইনি অফিসারদের এএমসির ক্ষেত্রে ক্যাপ্টেন এবং এডিসির ক্ষেত্রে লেফটেন্যান্ট পদে কমিশন দেওয়া হবে। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য সুবিধাসহ সশস্ত্র বাহিনীর বেতনক্রম অনুযায়ী অফিসার ক্যাডেট হিসেবে বেতন ও ভাতা পাবেন তাঁরা। এ ছাড়া রয়েছে উচ্চশিক্ষা, বিদেশে প্রশিক্ষণ, বাসস্থান, পারিবারিক চিকিৎসা, সন্তানদের সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ানোসহ বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা।

 

আবেদনের শিক্ষাগত যোগ্যতা

আর্মি মেডিক্যাল কোর (এএমসি) প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্বীকৃত মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি এবং ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন হতে হবে।

আর্মি ডেন্টাল কোর (এডিসি) প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্বীকৃত ডেন্টাল কলেজ থেকে বিডিএস ডিগ্রি এবং ইন্টার্নশিপ থাকতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৯ হতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৫-এর কম থাকা যাবে না। ১ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রার্থীর বয়স হতে হবে অনূর্ধ্ব ২৮ বছর। পুরুষ প্রার্থীদের অবিবাহিত হতে হবে। মহিলা বিবাহিত বা অবিবাহিতউভয় প্রার্থীরাই আবেদনের সুযোগ পাবেন। তবে ১ জুলাই ২০২৫ তারিখে যাঁদের বয়স ২৬ বছরের বেশি, সেসব পুরুষ প্রার্থীরাও আবেদনের সুযোগ পাবেন।

 

প্রার্থীর শারীরিক যোগ্যতা

পুরুষ প্রার্থীদের বেলায় ন্যূনতম শারীরিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। ওজন ৫৭ কেজি এবং বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি, প্রসারণে ৩২ ইঞ্চি। মহিলা প্রার্থীদের বেলায় উচ্চতা ৫ ফুট। ওজন ৪৮ কেজি এবং বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ২৮ ইঞ্চি, প্রসারণে ৩০ ইঞ্চি।

 

যাঁরা আবেদনের অযোগ্য

সেনা/নৌ/বিমানবাহিনী বা যেকোনো সরকারি চাকরি থেকে অপসারিত বা বরখাস্ত হওয়া প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। আইএসএসবি পরীক্ষায় দুইবার স্ক্রিড আউট/প্রত্যাখ্যাত হলে, প্রতিটি চোখের দৃষ্টিক্ষীণতা ও দূরদৃষ্টি ২.৫ ডাইঅপ্টারের বেশি এবং বিষমদৃষ্টি ১.০-এর বেশি হলেও অযোগ্য হবেন। সেনা/নৌ/বিমানবাহিনীর আপিল মেডিক্যাল বোর্ড কর্তৃক অযোগ্য ঘোষিত এবং মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের সব পেশাগত পরীক্ষায় দুইবারের অধিক রেফার্ড হলেও আবেদনের অযোগ্য। দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে এমন অথবা বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি রয়েছে এমন প্রার্থীরাও আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

যেভাবে চাকরি পেলাম

বিসিএসের প্রস্তুতি নিয়েছি অনার্সে

    ৪৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছেন এ টি এম রুহুল আমিন। তিনি এখন ভোলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত। তাঁর চাকরির প্রস্তুতি ও অভিজ্ঞতার কথা শুনেছেন আব্দুন নুর নাহিদ
শেয়ার
বিসিএসের প্রস্তুতি নিয়েছি অনার্সে
এ টি এম রুহুল আমিন

অনার্স করেছি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজিতে। মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালে প্রথম চাকরিতে যোগ দেওয়ায় কোর্সটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আমি অষ্টম শ্রেণির (জেএসসি) মূল্যায়ন পরীক্ষায় নেত্রকোনা জেলায় প্রথম এবং ট্যালেন্টপুলে জেলায় দ্বিতীয় হই। এসএসসি (২০১২) পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তিতে (ট্যালেন্টপুল) জেলায় প্রথম হই।

এসএসসির পর ভর্তি হই নটর ডেম কলেজে।

বিসিএসের মূল প্রস্তুতি শুরু করি অনার্স তৃতীয় বর্ষের একদম শেষ দিকে। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে এসেই বুঝতে পারি, আমার বিষয়ে ক্যারিয়ার উন্নয়নের সুযোগ দেশে সীমিত। তা ছাড়া বিদেশে ক্যারিয়ার গড়ার ব্যাপারেও আগ্রহী ছিলাম না।

তাই সব দিক ভেবেচিন্তে বিসিএস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ৪১তম বিসিএসে অ্যাপিয়ার্ড প্রার্থী ছিলাম এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সহকারী পরিচালক (নন-ক্যাডার) পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হই। ৪৩তম বিসিএস ছিল আমার জীবনের দ্বিতীয় বিসিএস। এই বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হই, মেধাতালিকায় ছিলাম ৫৬তম।

 

প্রিলিমিনারি

অনার্সের তৃতীয় বর্ষে বিসিএস সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় জানার চেষ্টা করি। এ বিষয়ে যত ভিডিও ইউটিউবে পেয়েছি, সব দেখার চেষ্টা করেছি। বিসিএসের প্রস্তুতির বিভিন্ন লেখা অনলাইনে পড়েছি। বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলোও বিশ্লেষণ করে দেখেছি। নিয়মিত টিউশন করানোর কারণে বিসিএসের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আমার চর্চা ছিল, যা প্রস্তুতিতে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে।

এ ছাড়া নিয়মিত পত্রিকা পড়ার অভ্যাস ছিল। বুকলিস্ট তৈরি করে বিভিন্ন বিষয়ের বোর্ড বই সংগ্রহ করি। প্রথম ছয় মাস আমার প্রস্তুতির পুরোটাই ছিল বোর্ড বইকেন্দ্রিক। একই সঙ্গে বিগত বিসিএসের প্রিলিমিনারির প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যাসহ বিশ্লেষণ করেছি। পরে সহায়ক বই ও বোর্ড বইয়ের সমন্বয়ে প্রস্তুত করা হ্যান্ড নোট বারবার রিভিশন দিয়েছি।

কোচিং করার প্রয়োজনীয়তা কখনো অনুভব করিনি। তবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিতাম, যা আমার প্রস্তুতিতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। নতুন প্রার্থীদের জন্য আমার পরামর্শ, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষ থেকেই পত্রিকা পড়াকে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। যেকোনো উপায়ে ইংরেজির প্রতি ভীতি কাটাতে হবে। এ ছাড়া গণিতেও জোর দিতে হবে দুর্বলতা কাটাতে।

 

লিখিত

বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির ধারণামূলক অংশ, বাংলার সাহিত্য অংশ, বিজ্ঞানের আইসিটি অংশের দুর্বলতা কাটাতে আলাদা করে সময় দিতে হয়েছে। বাকি বিষয়গুলোতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। বিশেষ করে গণিত, মানসিক দক্ষতা ও ইংরেজি নিয়ে আমি বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। প্রার্থীদের বলব, লিখিত পরীক্ষায় বেশির ভাগ বিষয়ই প্রিলিমিনারির সঙ্গে সমন্বয় করে পড়া সম্ভব। তাই প্রিলিমিনারির প্রস্তুতির সময় পরিকল্পনা সাজিয়ে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলে পরে আর বেগ পেতে হবে না।

 

ভাইভা

নিয়মিত পত্রিকা পড়তাম। ঘুমানোর আগে ইউটিউবে নমুনা ভাইভাগুলো দেখার চেষ্টা করতাম। শিডিউল ঘোষণার পর স্ত্রীর কাছে নমুনা ভাইভা দেওয়ার চেষ্টা করতাম। লিখিত প্রস্তুতি ভালোভাবে নিয়েছিলাম, যা ভাইভার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে কমবেশি জানাশোনা ছিল। ৪৩তম বিসিএসে আমার প্রথম পছন্দ প্রশাসন ক্যাডার ছিল। তাই চ্যালেঞ্জিং প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

জনসেবা করতে রাজনীতিতে না গিয়ে প্রশাসনে কেন আসতে চান? আপনি রাজনীতিবিদের একাডেমিক্যালি সাউন্ড না বলতে চাচ্ছেন? আপনি কি নিজেকে ডেসকোর কর্মকর্তাদের থেকে বেশি যোগ্য মনে করেন? বাজে জায়গায় পোস্টিং দিলে তো জনসেবার কথা ভুলে যাবেন! এসব প্রশ্নও করা হয়েছে।

মন্তব্য

বিমানবাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হওয়ার সুযোগ

    বিভিন্ন শাখায় স্বল্পমেয়াদি (ডিই-২০২৫বি) ও বিশেষ স্বল্পমেয়াদি (এপিএসএসসি-২০২৫বি) কোর্সে অফিসার ক্যাডেট নেবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। আবেদন করতে হবে অনলাইনে ৯ মার্চ ২০২৫ তারিখের মধ্যে। নির্বাচনী পরীক্ষার ধাপ, পরীক্ষা পদ্ধতিসহ দরকারি তথ্য জানাচ্ছেন মো. সাজিদ
শেয়ার
বিমানবাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হওয়ার সুযোগ
ছবি : সংগৃহীত

প্রার্থী নির্বাচন পদ্ধতি

ইঞ্জিনিয়ারিং, এটিসি, এডিডব্লিউসি, ফিন্যান্স ও মিটিওরোলজি শাখায় স্বল্পমেয়াদি (ডিই-২০২৫বি) এবং শিক্ষা (পদার্থ, গণিত ও সাইকোলজি) শাখায় বিশেষ স্বল্পমেয়াদি কমিশন (এপিএসএসসি-২০২৫বি) কোর্সে অফিসার ক্যাডেট নিয়োগ দেওয়া হবে। বাছাই কার্যক্রমে প্রথম ধাপেই নেওয়া হবে প্রাথমিক লিখিত পরীক্ষা। প্রাথমিক লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দ্বিতীয় ধাপে নেওয়া হবে প্রাথমিক ডাক্তারি পরীক্ষা। এরপর হবে প্রাথমিক মৌখিক, আন্তঃবাহিনী নির্বাচন পর্ষদ (আইএসএসবি বা এসএসবি), কেন্দ্রীয় চিকিৎসা পর্ষদ (সিএমবি) কর্তৃক চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ক্যাডেট চূড়ান্ত নির্বাচন পর্ষদ (সিএসএসবি) পরীক্ষা।

 

পরীক্ষার ধরন, বিষয় ও প্রস্তুতি

ইঞ্জিনিয়ারিং, এটিসি, এডিডব্লিউসি, ফিন্যান্স ও মিটিওরোলজি শাখার প্রার্থীদের আইকিউ, ইংরেজি, গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। শিক্ষা শাখার প্রার্থীদের আইকিউ, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে এবং ফিন্যান্স শাখার প্রার্থীদের আইকিউ, ইংরেজি ও বিজনেস স্টাডিজ বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।

 

নির্বাচনী পরীক্ষার স্থান ও সময়সূচি

সব জেলার প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী তথ্য ও নির্বাচনী কেন্দ্রে (পুরনো বিমানবন্দর, তেজগাঁও, ঢাকা)। বাছাই পরীক্ষা চলমান থাকবে ২, ৫, ৯ ও ১২ মার্চ ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত।

 

প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা

বাংলাদেশ বিমানবাহিনী একাডেমিতে ছয় মাস প্রশিক্ষণ শেষে স্বল্পমেয়াদি কমিশনে সরাসরি ফ্লাইং অফিসার এবং বিশেষ স্বল্পমেয়াদি কমিশনে সরাসরি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে কমিশন দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণকালে অফিসার ক্যাডেটরা ১০ হাজার ৫০০ টাকা মাসিক ভাতা পাবেন। কমিশনপ্রাপ্তির পর ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার ক্ষেত্রে এককালীন ৫৯ হাজার ১৫০ টাকা এবং বিশেষ স্বল্পমেয়াদি কমিশন কোর্সের ক্ষেত্রে এককালীন ৪২ হাজার ২৫০ টাকা বিশেষ ভাতা দেওয়া হবে। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য সুবিধাসহ সশস্ত্র বাহিনীর বেতনক্রম অনুযায়ী অফিসার ক্যাডেটরা বেতন-ভাতা পাবেন।

এ ছাড়া রয়েছে বিদেশে প্রশিক্ষণ, উচ্চশিক্ষা সুবিধা, জাতিসংঘ মিশন ও বাংলাদেশ দূতাবাসে কাজের সুযোগ, বাসস্থান ও রেশন, সন্তানদের পড়াশোনা, চিকিৎসা, গাড়িঋণ ও ডিওএইচএসে প্লটসহ অন্যান্য সরকারি সুবিধা।

 

প্রার্থীর যোগ্যতা

ডিই-২০২৫বি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ২০ থেকে ৩০ বছর। এপিএসএসসি-২০২৫বি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স ২১ বছর থেকে ৩৫ বছর। বয়স নির্ধারণ করা হবে ২৩ জুন ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী। পুরুষ প্রার্থীদের বেলায় উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি।

বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি, প্রসারণে ৩২ ইঞ্চি। মহিলা প্রার্থীদের বেলায় উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ২৮ ইঞ্চি, প্রসারণে ৩০ ইঞ্চি। ওজন বয়স ও উচ্চতা অনুসারে। দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি এটিসি/এডিডব্লিউসি শাখার জন্য ৬/১২ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং, শিক্ষা, ফিন্যান্স ও মিটিওরোলজি শাখার জন্য ৬/৩৬ পর্যন্ত। অবিবাহিত বা বিবাহিত পুরুষ-মহিলা প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ পাবেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বিস্তারিত তথ্যের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেখুন বিমানবাহিনীর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে (http://joinairforce.baf.mil.bd)

 

যাঁরা আবেদনের অযোগ্য

সেনা/নৌ/বিমানবাহিনী বা যেকোনো সরকারি চাকরি থেকে অপসারিত বা বরখাস্ত বা স্বেচ্ছায় অবসরগ্রহণ করেছেন, এমন প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে আইএসএসবি পরীক্ষায় দুইবার প্রত্যাখ্যাত প্রার্থীরাও আবেদনের অযোগ্য। কোনো ফৌজদারি অপরাধে আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত, সিএমবি আপিল মেডিক্যাল বোর্ড কর্তৃক অযোগ্য ঘোষিত এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে অথবা বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশের স্থায়ী বসবাসের অনুমতি রয়েছেএমন প্রার্থীরাও আবেদনের অযোগ্য।

মন্তব্য
কাজের সুযোগ দেশে-বিদেশে

পর্যটন বিষয়ে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ

    কর্মসংস্থান ও দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতে ২০২৮ সালের মধ্যে সাত হাজার প্রার্থীকে প্রশিক্ষণ দেবে পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট ৯টি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ট্যুরিজম ও হসপিটালিটির ওপর প্রশিক্ষণ শেষে দেওয়া হবে ভাতা ও সনদ। চাকরি পেতে সহায়তা করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। লিখেছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
পর্যটন বিষয়ে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ
ছবি : সংগৃহীত

কাজের সুযোগ দেশে

ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল জানান, প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর দক্ষ কর্মীরা দেশের হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস, পর্যটনশিল্প ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে খুব সহজেই কাজের সুযোগ পাবেন। তিন থেকে পাঁচতারা হোটেল, এমনকি সাধারণ মানের হোটেল, মোটেল ও কটেজগুলোতেও হাউসকিপিং ও ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সংশ্লিষ্ট কাজের চাহিদা রয়েছে। প্রতিষ্ঠান ও কাজভেদে বিভিন্ন পদ রয়েছে। চাকরির বাজারে পর্যটন খাতে পেশাগত দক্ষ কর্মী একদম কম।

ফলে কোর্স শেষে বেকার থাকার সুযোগ নেই। কোর্স শেষ করে অনেকে আবার উদ্যোক্তা হিসেবেও আয়-রোজগার করছে। পর্যটন খাত সম্প্রসারিত হওয়ায় কাজের সুযোগ ও চাহিদা দিন দিন বাড়ছেই।

 

সুযোগ বিদেশেও

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতিবছর অসংখ্য কর্মী বিদেশে যাচ্ছে।

বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ, আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজের সুযোগ সবচেয়ে বেশি। বিদেশে কাজের ক্ষেত্রে হাউসকিপিং ও ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সার্ভিস বিষয়ে দক্ষ কর্মীদের ব্যাপক চাহিদা ও সুযোগ রয়েছে।

 

আয়-রোজগার কেমন

ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি খাতে দক্ষ-অভিজ্ঞ কর্মীর চাহিদা যেমন বেশি, তেমনি আয়-রোজগারও বেশি। দেশের প্রেক্ষাপটে একজন দক্ষ কর্মীর প্রতিষ্ঠানভেদে মাসিক আয় হতে পারে কয়েক লাখ টাকা।

শুরুতে যেহেতু দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কম থাকে, তাই প্রাথমিকভাবে বেতন-ভাতাও কম ধরা হয়। এন্ট্রি লেভেল বা প্রাথমিক পর্যায়ে একজন কর্মী শুরুতে বেতন পান প্রতিষ্ঠানভেদে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। মাঝারি পর্যায়ের দক্ষ কর্মীর বেতন হতে পারে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। দক্ষ-অভিজ্ঞ কর্মীর বেতন দেশেই লক্ষাধিক টাকা হতে পারে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজের সুযোগ পেলে পদভেদে কয়েক লাখ টাকা হতে পারে।
যাঁরা নিজেরাই উদ্যোক্তা হিসেবে ক্যারিয়ার গড়বেন, তাঁদের আয়ও বেশ ভালো।

 

বিষয় ও ভর্তির যোগ্যতা

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্কিল ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পিটেটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায় ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করা হবে।

হাউসকিপিং ও ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সার্ভিস বিষয়ে চার মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণে ভর্তি হতে প্রার্থীকে এসএসসি বা সমমান পাস হতে হবে। ভর্তির সুযোগ পাবে ১৮-৪৫ বছরের যে কেউ। কর্মহীন, নারী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতরা ভর্তির সময় অগ্রাধিকার পাবেন। ক্লাস হবে সপ্তাহে পাঁচ দিন, রবি থেকে বৃহস্পতিবার। প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত বছরে তিনবার ভর্তির সুযোগ দেয়। ১২ মার্চ ২০২৫ থেকে শুরু হবে নতুন ব্যাচ। প্রতি ব্যাচে নেওয়া হতে পারে ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী।

 

ভাতা, সনদ ও কর্মসংস্থান

চার মাসের প্রশিক্ষণে দুই মাস থিওরেটিক্যাল ক্লাস ও দুই মাস সংশ্লিষ্ট ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাবহারিক ক্লাস করানো হবে। উভয় ক্লাসে ৮০ শতাংশ উপস্থিতির ভিত্তিতে যাতায়াত ও আপ্যায়ন ভাতা বাবদ ১২ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকা দেওয়া হবে। সফলতার সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণের সনদ। এ ছাড়া প্রশিক্ষণ প্রার্থীদের চাকরি পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান সহায়তা করবে।

মন্তব্য

দক্ষিণাঞ্চলে ৫০৪ কর্মী নেবে ডাক বিভাগ

    ২৫ ধরনের পদে মোট ৫০৪ জন কর্মী নিয়োগ দেবে ডাক বিভাগ দক্ষিণাঞ্চল (খুলনা)। সবচেয়ে বেশি কর্মী নিয়োগ পাবে পোস্টাল অপারেটর (১০৪), মেইল ক্যারিয়ার (১২৬), রানার (৮৬) ও মেইল অপারেটর (৫৩) পদে। অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়া যাবে ২০ মার্চ ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত। নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতি, পরীক্ষার প্রস্তুতি ও পদভিত্তিক যোগ্যতা নিয়ে লিখেছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
দক্ষিণাঞ্চলে ৫০৪ কর্মী নেবে ডাক বিভাগ
ছবি : এআই দিয়ে তৈরি

নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতি

লিখিত, মৌখিক ও ব্যাবহারিক (প্রযোজ্য হলে) পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে। প্রার্থীদের প্রথমেই লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই পদভিত্তিক ব্যাবহারিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। ব্যাবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জানানো হবে মৌখিক পরীক্ষার তারিখ।

ব্যাবহারিক পরীক্ষা ছাড়া অন্যান্য পদের ক্ষেত্রে লিখিত ও মৌখিকএ দুই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে। ডাক বিভাগের বিগত কয়েক বছরের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, লিখিত পরীক্ষায় এমসিকিউ পদ্ধতিতে প্রশ্ন করা হয়েছে। তবে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ এবারের প্রশ্ন এমসিকিউ নাকি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন আকারে করবে, এটি পরীক্ষার আগে নির্ধারণ করবে।

 

কেমন ছিল বিগত পরীক্ষা

২০১৯ সালের পোস্টাল অপারেটর ও মেইল অপারেটর পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে দেখা গেছে, ৪৫ মিনিট সময়ে ৭০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

২০১৯ সালের ডাক বিভাগের মেট্রোপলিটন সার্কেলের পোস্টাল অপারেটর পদের পরীক্ষা হয়েছে একই পদ্ধতিতে এক ঘণ্টায় ৭০ নম্বরে। তবে ডাক বিভাগ পূর্বাঞ্চল ২০২৩ সালের পরীক্ষায় ৭০ নম্বর (এমসিকিউ) থাকলেও সময় ছিল দেড় ঘণ্টা। পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ডাক বিভাগের সব সার্কেলের নিয়োগ পরীক্ষাই নেওয়া হয় এমসিকিউ পদ্ধতিতে। তাই বিগত পরীক্ষাগুলোর আলোকে এবারের পরীক্ষার জন্য এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের প্রস্তুতি নিতে পারেন।

বিগত পরীক্ষার আলোকে প্রস্তুতি

বিগত কয়েক বছরের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের আলোকে এবারের পরীক্ষার বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়েই প্রস্তুতি নিতে হবে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত সব পদই তৃতীয় ও চর্তুথ শ্রেণির। তাই বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতিতে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবই অনুসরণ করতে হবে।

বাংলা বিষয়ের প্রস্তুতিতে ব্যাকরণ অংশের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যেমনবাক্য রচনা, সমাস, কারক, ভাষা, সন্ধিবিচ্ছেদ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, প্রবাদ-প্রবচনে বেশি জোর দিতে হবে। প্রত্যেক প্রার্থীকেই ব্যাকরণে ভালো ধারণা রাখতে হবে।

ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্ন করা হয় গ্রামার অংশ থেকে। গ্রামার অংশের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হচ্ছে Transformation of verbs, Phrases & idioms, Translation, Fill in the blank, Sentance making, Correction, Narration, Voice, Prats of speech। গণিত বিষয়ের পাটিগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতি থকে প্রশ্ন আসে। পাটিগণিতে জোর দিতে হবে ল.সা.গু., গ.সা.গু., শতাংশ, গড় নির্ণয়, শতকরা, সুদ কষা, অনুপাত ও সমানুপাত অধ্যায়ে। বীজগণিতে উৎপাদক, মান নির্ণয় অধ্যায়ে জোর দিতে হবে। জ্যামিতিতে কোণ, ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি অধ্যায়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে দেশ-বিদেশের আলোচিত বিষয়সহ সমসাময়িক বিষয়, বিজ্ঞান, কম্পিউটার, ইতিহাস, সংস্কৃতি, বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ও বিশ্বএসব বিষয়ের ওপর প্রস্তুতি নিতে হবে। পাশাপাশি ডাক বিভাগ সম্পর্কে বেসিক ধারণা থাকাও জরুরি।

ভালো প্রস্তুতির জন্য পদভিত্তিক বিগত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখলে প্রশ্নের মান সম্পর্কে সার্বিক ধারণা পাবেন। এ ছাড়া বাজারে বিভিন্ন প্রকাশনীর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সহায়ক বই পাওয়া যায়। এ ছাড়া ফেসবুক, ইউটিউব ও চাকরিবিষয়ক বিভিন্ন সাইটে খোঁজ করলে ডাক বিভাগের বিগত প্রশ্নপত্র ও সমাধান পাবেন।

 

পদের তালিকা ও যোগ্যতা

সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর (স্টেনোটাইপিস্ট) পদ ৩টি, যোগ্যতাদ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমান এবং নির্ধারিত কম্পিউটার টাইপিং গতি। উচ্চমান সহকারী ৫টি; দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমান পাস এবং নির্ধারিত কম্পিউটার টাইপিং গতি। টেকনিশিয়ান ১টি; এইচএসসি বা সমমান পাস এবং সংশ্লিষ্ট ট্রেড কোর্স সনদপ্রাপ্ত। কম্পাউন্ডার/ফার্মাসিস্ট ১টি; এসএসসি বা সমমান পাস এবং ফার্মাসিস্ট কোর্স সনদপ্রাপ্ত। ড্রাফটসম্যান ২টি; ড্রাফটসম্যানশিপে সনদধারী। পোস্টাল অপারেটর ১০৪টি; দ্বিতীয় বিভাগে এইচএসসি বা সমমান পাস। মেইল অপারেটর ৫৩টি; এইচএসসি বা সমমান পাস। ড্রাইভার (হালকা) ৪টি; এসএসসি বা সমমান পাস এবং হালকা গাড়ি চালনায় দুই বছরের অভিজ্ঞতা। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (টাইপিস্ট) ৩টি; দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএ পেয়ে এইচএসসি বা সমমান পাস এবং নির্ধারিত কম্পিউটার টাইপিং গতি। অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ৩টি; দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএ পেয়ে এইচএসসি বা সমমান পাস এবং নির্ধারিত কম্পিউটার টাইপিং গতি। কার্পেন্টার ১টি; এসএসসি বা সমমান পাসসহ ট্রেড কোর্সধারী ও তিন বছরের অভিজ্ঞতা। মিডওয়াইফ ১টি; এসএসসি বা সমমান পাসসহ এক বছরের ট্রেড কোর্সধারী। পোস্টম্যান ১২টি; দ্বিতীয় বিভাগে এইচএসসি বা সমমান পাস। মেইল গার্ড ৫টি; দ্বিতীয় বিভাগে এসএসসি বা সমমান পাস। স্ট্যাম্প ভেন্ডার ২টি; এসএসসি পাস এবং তিন বছরের অভিজ্ঞতা। আর্মড গার্ড ১টি; এসএসসি পাস এবং অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। প্যাকার ২৬টি; এসএসসি বা সমমান পাস। মেইল ক্যারিয়ার ১২৬টি; এসএসসি বা সমমান পাস। প্যাকার-কাম-মেইল ক্যারিয়ার ৩০টি; এসএসসি বা সমমান পাস। অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) ১৬টি; এসএসসি বা সমমান পাস। বাবুর্চি/অ্যাটেনডেন্ট ১টি; অষ্টম শ্রেণি বা সমমান পাস। গার্ডেনার ১টি; অষ্টম শ্রেণি বা সমমান পাস এবং বাগান পরিচর্যায় অভিজ্ঞ। পরিচ্ছন্নতাকর্মী (সুইপার) ১০টি; অষ্টম শ্রেণি বা সমমান পাস। রানার ৮৬টি; এসএসসি বা সমমান পাস। নিরাপত্তা প্রহরী ৭টি; এসএসসি বা সমমান পাস। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩২ বছর। কোন কোন পদে কোন কোন বিভাগ ও জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন, জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখুন।

 

বেতন-ভাতা

সব পদই রাজস্ব খাতভুক্ত। তাই নিয়োগপ্রাপ্তরা জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী নির্ধারিত গ্রেডে বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

 

আবেদনের লিংক ও বিজ্ঞপ্তি

http://pmgsc.teletalk.com.bd

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ