তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক

  • টেলিভিশন ও ইউটিউব চ্যানেল মিলিয়ে এরই মধ্যে প্রচারিত হয়েছে কয়েক শ ঈদের নাটক-টেলিছবি। কেমন হয়েছে সেগুলো? এ সময়ের পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা বলেছেন তাঁদের ভালো লাগা তিনটি নাটকের কথা—দুটি সহকর্মীর, আরেকটি নিজের। শুনেছেন হৃদয় সাহা
শেয়ার
তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক
মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘তোমাদের গল্প’তে শিল্পী সরকার অপু, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, নাদের চৌধুরী, তানজিম সাইয়ারা তটিনী, দিলারা জামান, আয়াত ও রাজু। ছবি : সৌজন্য

সংখ্যাতত্ত্ব

ভালো লেগেছে এমন দুটি নাটকের নাম বলেছেন সাতজন। এর মধ্যে চারবার এসেছে দুটি নাটকের কথা—মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘তোমাদের গল্প’ এবং হাসিব হোসাইন রাখির ‘মন দিওয়ানা’। মজার বিষয় হলো, ইউটিউব ভিউয়ের দিক থেকেও এগিয়ে এ দুটি নাটক। সাধারণত এমনটা হয় না।

 

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে জাকারিয়া সৌখিনের ‘মেঘবালিকা’, আশিকুর রহমানের ‘মানুষ কী বলবে?’ এবং প্রবীর রায় চৌধুরীর ‘বেস্ট ফ্রেন্ড ২.০’। দুটি করে ভোট পেয়েছে নাটক তিনটি।

 

একটি করে ভোট পেয়েছে ‘হোসেনের গল্প’, ‘স্বপ্নের শেষ ঠিকানা’, ‘খালিদ’, ‘কাছে আসার মানুষ’, ‘বাজি’, ‘একান্নবর্তী’ ও ‘কানামাছি’।

 

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক

পারিবারিক অনুষ্ঠানের কারণে নাটক কম দেখা হয়েছে এবার।

যা দেখেছি তার মধ্যে ‘খালিদ’-এর কথা বলব আগে। এর পাণ্ডুলিপি আমি পড়েছিলাম। তানিম রহমান অংশু ভাই খুব সুন্দরভাবে গল্পটাকে পর্দায় এনেছেন। পলাশ ভাই ভিন্ন অবতারে পর্দায় এসেছেন।
রোমান্টিক নাটকে বরাবরই আমার আগ্রহ। ভালো লেগেছে মেহজাবীন আপু ও জোভান ভাইয়ার ‘বেস্ট ফ্রেন্ড ২.০’। প্রবীর দার এই নাটকের শেষের দিকে যখন অনেক বছর পর দুজনের দেখা হয়, সেখানকার একটা দৃশ্য মনে গেঁথে আছে।

নিজের অভিনীত নাটকগুলো নিয়ে খুব সাড়া পাচ্ছি, এর মধ্যে ‘তোমাদের গল্প’ নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে। নিজেও এ কাজটা করে তৃপ্ত ছিলাম।

এতজন গুণী শিল্পীর মধ্যেও দর্শক আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলছে, এটা আমার জন্য বড় পাওয়া।

 

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক

এবার বেশ কিছু নাটক দেখা হয়েছে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে ‘মন দিওয়ানা’। রাখি ভাই সিনেমাটিকভাবে নাটকটি বানিয়েছেন। যার জন্য বড় ক্যানভাসের মনে হয়েছে, তিনি সফলও। তৌসিফ ভাইয়া নিজেকে শতভাগ উজাড় করে দিয়েছেন।

দ্বিতীয় পছন্দের নাটক ‘তোমাদের গল্প’। ঈদে এমন পারিবারিক গল্প খুব টানে, গল্পের বিষয়বস্তুও ঈদ। তারকাবহুল এ নাটকে আলাদা করে বলব তটিনীর অভিনয়ের কথা, খুবই ভালো করেছে সে।

এখন পর্যন্ত আমার সাত-আটটি নাটক প্রচারে এসেছে। এর মধ্যে ‘কাছে আসার মানুষ’-এ অভিনয় করে বেশি ভালো লেগেছে। রাফাত মজুমদার রিংকু ভাইয়ের নাটকটির শুটিং হয়েছে শ্রীমঙ্গলে। একটা ট্যুরের আমেজ ছিল, আনন্দ নিয়ে কাজ করেছি। গল্পটাও ভীষণ ভালো।

 

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক

মোস্তফা কামাল রাজ ভাইয়ের ‘তোমাদের গল্প’ ভালো লেগেছে। পারিবারিক বন্ধনের যে ব্যাপারটা দেখানো হয়েছে এটা বেশ পছন্দ হয়েছে আমার। গল্পটাও সুন্দর। জোভান, তটিনীসহ সবাই খুব ভালো অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে বলব মনিরা মিঠু আপার কথা, তাঁর অভিনয় বেশি ভালো লেগেছে। জিয়াউল হক পলাশের ‘খালিদ’ আলোচনায় থাকলেও ব্যক্তিগতভাবে আমার বেশি ভালো লেগেছে ‘হোসেনের গল্প’। ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল ভাই পরিচিত গল্পেই সুন্দর চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন। পলাশ ও পাভেল দুজনই অনবদ্য অভিনয় করেছেন। 

এই ঈদে আমার ছয়টি নাটক এসেছে। একজন পরিচালকের কাছে তার সব নির্মাণই সমান। তবু বলব ‘স্বপ্নের শেষ ঠিকানা’র কথা। নাটকে জোভান ও তানজিন তিশা চাকরিজীবী দম্পতি। তাদের সন্তান না হওয়ার জটিলতা নিয়ে গল্প। প্রচারের পর থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি।

 

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক

প্রথমেই বলব ‘মানুষ কী বলবে?’-র কথা। আশিকুর রহমান ভাইয়ের এ নাটকের প্রাথমিক পাণ্ডুলিপি পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। তখনই এ নাটক নিয়ে আগ্রহী হয়েছিলাম। প্রচারের পর দেখে মনে হয়েছে, বৃথা আশা করিনি। গল্পটা সব সময়ের জন্য সত্য। সমাজের ক্ষতি না করে যদি উপার্জন করা যায়, সেটা যেভাবেই হোক তাতে কোনো দ্বিধা থাকা উচিত নয়। তারিক আনাম খান, কেয়া পায়েল, খায়রুল বাসার—সবাই খুব ভালো করেছেন।

দ্বিতীয় পছন্দের নাটক জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ভাই ও নাজনীন নীহা অভিনীত ‘মেঘবালিকা’। দুজনই খুব ভালো করেছেন। জাকারিয়া সৌখিন ভাই সহজ-সুন্দর চিত্রনাট্যে মন জিতে নিয়েছেন।

আমার অভিনীত নাটকগুলোর মধ্য থেকে বলব হাসিব হোসাইন রাখির ‘মন দিওয়ানা’র কথা। তার কারণ এই নাটকের নেপথ্যে আমিও জড়িত ছিলাম। প্রডাকশন ডিজাইন থেকে গল্প ও চিত্রনাট্য—সবখানেই অনেক সময় নিয়ে কাজ করা হয়েছে। দর্শকও দারুণভাবে গ্রহণ করেছে।

 

 

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক

পারিবারিক গল্প আমাকে খুব টানে, মুস্তফা কামাল রাজ ভাইয়ার ‘তোমাদের গল্প’ও পারিবারিক গল্পের। ঈদের প্রথম কাজ হিসেবে এটাই দেখেছিলাম। এখানে অনেক গুণী শিল্পী অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে তটিনীর অভিনয় খুব ভালো লেগেছে। তার চঞ্চলতা আমাকে আকৃষ্ট করেছে। দ্বিতীয়টি আমার বন্ধু হাসিব হোসাইন রাখির ‘মন দিওয়ানা’। নাটকটির নির্মাণ আমাকে মুগ্ধ করেছে। তৌসিফ মাহবুবকেও একটু আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

আমার চারটি নাটক এসেছে ঈদে। আমি বলব ‘একান্নবর্তী’র কথা। নাটকটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জের ছিল। নিলয় আলমগীর, হিমি তো আছেনই; দিলারা জামান, তারিক আনাম খান, মনিরা মিঠু, সাবেরী আলম, চিত্রলেখা গুহর মতো গুণী শিল্পীকে নির্দেশনা দেওয়াটা খুবই কঠিন কাজ। উনারা আমাকে খুবই সহযোগিতা করেছেন।

 

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক

প্রবীর রায় চৌধুরী দাদার নাটক আমার বরাবরই পছন্দের। তাঁর ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ সিরিজটা খুব জনপ্রিয়। যখনই শুনেছি নতুন গল্পে এটা আবার পর্দায় আসবে, তখন থেকেই মুখিয়ে ছিলাম। তা ছাড়া আমি মেহজাবীন আপুর গুণমুগ্ধ ভক্ত, জোভান ভাইয়াও খুব ভালো করেছেন।

তৌসিফ মাহবুব ভাইয়া ও তটিনী আপু অভিনীত ‘মন দিওয়ানা’ নাটকটাও ভালো লেগেছে। হাসিব হোসাইন রাখি ভাইয়ের এ নাটকের গল্প, নির্মাণ, অভিনয় আমাকে আকৃষ্ট করেছে।

আমার অভিনীত নাটকের মধ্যে ‘মেঘবালিকা’ নিয়ে বেশি সাড়া পেয়েছি। নাটকের চরিত্রটা আমার খুব প্রিয়, বাস্তবেও আমি এমনই। আমাকে এমন চরিত্র দেওয়ার জন্য জাকারিয়া সৌখিন ভাইকে ধন্যবাদ। আর অপূর্ব ভাই বরাবরই একজন ভালো সহশিল্পী।

 

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক

‘মানুষ কী বলবে?’ ভালো লেগেছে সমসাময়িক প্লটের জন্য। এ যুগে অনেক মানুষই প্রচলিত ধ্যান-ধারণা ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করছে, কোনোটাকেই হেয় করে দেখার কিছু নেই। আশিকুর রহমান ভাই একটি বাস্তবসম্মত গল্প বেছে নিয়েছেন।

দ্বিতীয় পছন্দের নাটক তৌফিকুল ইসলামের ‘বাজি’। মুশফিক আর ফারহানের বাজি ধরার নেশা তাকে ভীষণ সাহসী করে তোলে, ব্যতিক্রমী গল্পের জন্যই ভালো লেগেছে নাটকটা। 

নিজের বানানো নাটকের মধ্যে ‘কানামাছি’ ও ‘দহন’ আমার পছন্দের। একটা বেছে নিতে হলে বলব ‘কানামাছি’র কথা। সাধারণত যে ধরনের নাটক বানিয়ে থাকি, তার চেয়ে এটা বেশ আলাদা। মুশফিক ফারহান-সাফা কবির দুজনই আমার ওপর আস্থা রেখেছিলেন।

 

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক

হাসিব হোসাইন রাখির ‘মন দিওয়ানা’য় তৌসিফ মাহবুব ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী

 

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক

তৌফিকুল ইসলামের ‘বাজি’তে মুশফিক ফারহান ও কেয়া পায়েল

 

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক

জাকারিয়া সৌখিনের ‘মেঘবালিকা’য় অপূর্ব ও নীহা

 

গতকাল পর্যন্ত ভিউয়ে এগিয়ে যে ১০ নাটক

তোমাদের গল্প [৯ দিনে ভিউ ৯৬ লাখ ৭ হাজার]

অভিনয়ে—জোভান, তটিনী, দিলারা জামান

পরিচালক—মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ

 

মন দিওয়ানা [৭ দিনে ৭৮ লাখ ৬২ হাজার]

অভিনয়ে—তৌসিফ মাহবুব, তানজিম তটিনী

পরিচালক— হাসিব হোসাইন রাখি

 

যত গুড় তত মিষ্টি [১০ দিনে ৬২ লাখ]

অভিনয়ে—নিলয় আলমগীর, জান্নাতুল হিমি

পরিচালক—মিতুল খান

 

মেঘবালিকা [৪ দিনে ৬০ লাখ ২১ হাজার]

অভিনয়ে—জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, নাজনীন নীহা

পরিচালক—জাকারিয়া সৌখিন

 

হৃদয়ের এক কোণে [৪ দিনে ৫৫ লাখ]

অভিনয়ে—জোভান, তটিনী

পরিচালক—মহিদুল মহিম

প্রেম ভাই [৯ দিনে ভিউ ৪৯ লাখ ৩৬ হাজার]

অভিনয়ে—তৌসিফ, তটিনী, শামীমা নাজনীন

পরিচালক—ইমরাউল রাফাত

 

একান্নবর্তী [৪ দিনে ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার]

অভিনয়ে—নিলয়, হিমি, দিলারা জামান

পরিচালক—মহিন খান

 

বাজি [৫ দিনে ৪৪ লাখ]

অভিনয়ে—মুশফিক ফারহান, কেয়া পায়েল

পরিচালক—তৌফিকুল ইসলাম

 

শেষটা তুমি [৮ দিনে ৩৯ লাখ ৯০ হাজার]

অভিনয়ে—মুশফিক ফারহান, স্পর্শিয়া, মীর রাব্বি

পরিচালক—মাহমুদ মাহিন

 

তোমার মায়ায় [১২ দিনে ৩৭ লাখ ৬১ হাজার]

অভিনয়ে—মুশফিক ফারহান, আইশা খান

পরিচালক—রুবেল আনুস

 

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক

প্রবীর রায় চৌধুরীর ‘বেস্ট ফ্রেন্ড ২.০’তে ফারহান আহমেদ জোভান ও মেহজাবীন চৌধুরী

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শুভ জন্মদিন

শেয়ার
শুভ জন্মদিন
মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া

সপ্তাহে যাঁদের জন্মদিন

[২৪৩০ এপ্রিল]

মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, প্রীতম আহমেদ [২৪ এপ্রিল]

তানিয়া হেসেইন, রোজ ইমরোজ

[২৬ এপ্রিল]

 প্রসূন আজাদ [২৭ এপ্রিল]

 আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল, এস আই টুটুল [২৮ এপ্রিল]

নাহিদা আশরাফ আন্না [২৯ এপ্রিল]

সুমাইয়া শিমু, ওয়াকার চৌধুরী

[৩০ এপ্রিল]

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বরবাদে জ্বলে ওঠা তারা

    মেহেদী হাসান হৃদয়ের ঈদের ছবি ‘বরবাদ’কে ঘিরে উন্মাদনা যেন থামছেই না। পর্দায় শাকিব খান-ইধিকা পাল-মিশা সওদাগররা যেমন নতুনরূপে দেখিয়েছেন। তেমনি গানে ইমরান-প্রীতম-কোনালদের সঙ্গে আলোচনায় এসেছেন সংগীতশিল্পী দোলা রহমান ও জি এম আশরাফ। তাঁদের নিয়ে এবং তাঁদের গান ‘চাঁদ মামা’ ও ‘নিঃশ্বাস’ নিয়ে লিখেছেন কামরুল ইসলাম
শেয়ার
বরবাদে জ্বলে ওঠা তারা

আর কিছু চায় না মনে গান ছাড়া

অন্তর্জালে বেশ কয়েকটি হিট গান রয়েছে জি এম আশরাফের। এবার নিঃশ্বাস দিয়ে সব ছাড়িয়ে গেলেন, পেলেন দেশজোড়া খ্যাতি। অথচ বছর দশেক আগেও তিনি ভাবেননি, সংগীতশিল্পী হবেন! আশরাফ জানালেন, তাঁর সংগীত জীবনের সূচনা ২০১৬-তে। ছোটবেলা থেকে গানের প্রতি ভালোলাগা ছিল বটে; কিন্তু পরিবারের অনাগ্রহে শেখার সুযোগ হয়নি।

পড়াশোনার জন্য পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়। ২০১৬-তে ফেরেন দেশে। তখন পরিচয় হয় মিউজিশিয়ান বন্ধু নাফিসের সঙ্গে। তার স্টুডিওতেই প্রথমবার জানলেন কিভাবে গান তৈরি হয়, কিভাবে মিউজিক, মিক্স-মাস্টারিং হয়।
মজার ব্যাপার হলো, সে বছরের পহেলা বৈশাখেই একটি ওভিসির জন্য প্রথমবার গান করার সুযোগ পান আশরাফ। এরপর ২০১৭-তে নাটকে প্রথম গান লাকি ভাই। পরে ধীরে ধীরে গান আসতে থাকে। ২০১৯-এর দিকে মাফ কইরা দেন ভাই শিরোনামে একটি গান আসে; যেটা তখন বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।
পরের বছর আসে টাকলা, যেটার ভিউ ৫ কোটির বেশি!

বরবাদ-এর ক্লাইম্যাক্সে ব্যবহৃত হয়েছে নিঃশ্বাস। অ্যাকশন দৃশ্যের সঙ্গে এ গানের সমন্বয় দারুণ উপভোগ করছে দর্শক। আশরাফ বলেন, ছবিতে গানটির প্লেসমেন্ট, দৃশ্য এবং ভাইবসব মিলেমিশে একাকার। মানুষের ভালো লাগছে, পছন্দ করছে। এটা অনেক বড় পাওয়া।

যদিও আমার আগের একাধিক গান, যেমন টাকলা, বোঝে না বউ গানগুলো অনেক ভিউ পেয়েছে। তবে নিঃশ্বাস-এ মেগাস্টার শাকিব খান থাকার কারণে এর প্রভাব এবং রিচ অনেক বেশি। মানুষের এত সাড়া দেখে আমিও অনুপ্রাণিত।

এ গানের বিষয়ে এখনো শাকিব খানের [বরবাদ নায়ক] সঙ্গে আলাপ হয়নি আশরাফের। তবে নির্মাতা সূত্রে জেনেছেন, অভিনেতা গানটি ভীষণ পছন্দ করেছেন। বরবাদ-এ যুক্ত হওয়ার ঘটনা জানিয়ে আশরাফ বলেন, ২০২৩-এর প্রথম দিকে হৃদয় ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয়। তাঁর নাটকেও গান করেছি। হৃদয় ভাইয়ের একটা বিষয় আমার প্রথম দিকেই ভালো লাগে, তিনি আর্টিস্টের কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন না। তিনি শুধু নিজের প্রত্যাশার বিষয়টা বুঝিয়ে দেন, এরপর পুরোটাই শিল্পীর ওপর ছেড়ে দেন। নিঃশ্বাস-এর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আমি আমার মতো করে গানটি করেছি এবং প্রথমবার শুনেই তিনি বলেছিলেন, এ গানটা অন্য রকম হিস্ট্রি ক্রিয়েট করবে। তাঁর বিশ্বাস ছিল, এখন সেটার বাস্তবায়ন দেখছি। বরবাদ-এর পুরো গল্পটা পড়ে, আরিয়ান মির্জার চরিত্রটা অনুধাবন করে গানটি লিখেছি ও সুর করেছি। 

আশরাফ এখন ফুলটাইম মিউজিশিয়ান। অতীতে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত হয়েছিলেন বটে। কিন্তু মন টেকাতে পারেননি। বলেন, মিউজিক ছাড়া কিছুতে মন বসে না। এটাই আমার শান্তির জায়গা। এখন ফুলটাইম মিউজিকই করছি। যেহেতু নিঃশ্বাস মানুষ অনেক পছন্দ করেছে, এখন আরো বেছে গান করব।

 

মিউজিক মানেই তো দোলা

ঈদের আগেই প্রকাশিত হয়েছিল চাঁদ মামা। অল্প সময়ের মধ্যেই উঠে আসে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে। প্রীতম হাসানের কথা, সুর ও সংগীতে তাঁর সঙ্গে এটি গেয়েছেন দোলা। অসামান্য সাড়া পেয়ে অভিভূত গায়িকা। অনুভূতি প্রকাশ করলেন এভাবে, এটা খুব সারিয়াল [পরাবাস্তব] একটা ফিলিং। স্বপ্নের মতো। শুধু ট্রেন্ডিংয়ের ব্যাপার না, গানটির সাফল্য আরো বড়। ঈদের আগে থেকে শুরু হয়েছে, এখনো শুনছে, নানি-নাতনি মিলে রিল হচ্ছে, বিয়েতে গানটি বাজছে, অসাধারণ সব ড্যান্স কাভার হচ্ছে। তারকা থেকে সাধারণ মানুষড্যান্স কাভার করছেন। পুরো বাংলাদেশ মনে হয় চাঁদ মামায় মজে আছে। যেখানেই যাচ্ছি, ভালোবাসা পাচ্ছি। আমি একজন আইনজীবী। আদালতে এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে চাঁদ মামা নিয়ে কথা হয়নি। আমার পরিবার, বন্ধু-স্বজন সবাই সাধুবাদ দিচ্ছে। 

প্রথমবার প্রীতমের সঙ্গে কাজ করলেন দোলা। যদিও দুজনের পরিচয় অনেক আগে থেকে। গানটির পেছনের গল্প জানিয়ে দোলা বলেন, গত বছরের শেষদিকে একটা অনুষ্ঠানে ওর সঙ্গে দেখা। ও আমাকে বলে, চাঁদ মামা শিরোনামে একটি গান আছে। নারীকণ্ঠ হিসেবে আমাকে চায়। পরে কিছু আলোচনা শেষে এ বছরের শুরুর দিকে ওর স্টুডিওতে যাই এবং রেকর্ডিংয়ে অংশ নিই। শাকিব খান, নুসরাত জাহান এ গানে পারফরম করবেন, এটা জানতাম এবং এটা মাথায় রেখেই গানটি তৈরি করা হয়েছে। 

ছোটবেলা থেকেই গানের মানুষ দোলা। প্লেব্যাকও করেছেন বেশ কয়েকটি। তাঁর একাধিক গান শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। তবে দোলা থেকেছেন একটু আড়ালে। দোলার ভাষ্য, বছর দশেক আগে শাকিব ভাইয়ের রাজত্ব ছবিতে তুমি ছাড়া গেয়েছি; গানটি প্রচুর মানুষ শুনেছে। মন দরিয়া কিংবা ক্লোজআপ কাছে আসার গল্পের থিম সং জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। আসলে গান মানুষ চিনত, আমি হয়তো একটু আড়ালে ছিলাম। এবারের ব্যাপারটা আরো ম্যাসিভ। এবার গান যেমন মানুষ শুনছে, সেই সঙ্গে আমার কথাও অনেকে জেনেছেন। দিস ইজ বিগ।

চাঁদ মামার পর আইনজীবী দোলার গানের ব্যস্ততা বেড়েছে। বলেন, ছবির গান আমাকে বরাবরই টানে। এটাই মূল জায়গা, যেখানে গান করে স্বতন্ত্র কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া যায়। কোরবানির ঈদেও একটি গান আসবে। আরো কিছু কোলাবরেশন হচ্ছে, আমার ইউটিউব চ্যানেল নিয়েও এগোচ্ছি। 

সংগীত পরিবারেরই মানুষ। বাবা গাইতেন, বড় ভাই অদিত রহমানও সংগীতশিল্পী। বাবা-ভাইয়ের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় গানে এসেছেন। নিয়েছেন সেমি-ক্লাসিক্যাল সংগীতের দীক্ষা। প্রায় দেড় দশক আগে প্লেব্যাকে অভিষেক দেহরক্ষীতে [২০১১]। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের গানও করেছেন। আগামীর ভাবনা জানিয়ে দোলা বলেন, সংগীতটাকে আমি কখনো আলাদা কিছু মনে করি না। দোলা মানেই তো মিউজিক। সব সময় এটা আমার সঙ্গে আছে, থাকবে। বরং ওকালতি নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হয় [হা হা হা]। এই পেশার কারণে হয়তো সংগীতাঙ্গনের সবার সঙ্গে ওঠাবসা, দেখা-সাক্ষাৎ সেভাবে হয় না। তবে দুটি জায়গায়ই মনোযোগ দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি, এর মধ্যে মিউজিক ইজ মাই প্রায়োরিটি।

 

 

মন্তব্য

স্টার অব দ্য উইক : শাকিব খান

শেয়ার
স্টার অব দ্য উইক : শাকিব খান

ঈদের ছবি বরবাদ দেখতে সিনেমা হলে দর্শকের উপচেপড়া ভিড়। অথচ কোথাও নেই শাকিব খান। অবশেষে শীতনিদ্রা ভেঙে ছবি মুক্তির ২২তম দিনে বরবাদ দেখলেন অভিনেতা। বিশেষ এই প্রিমিয়ার শোতে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের গণ্যমান্যরা।

গণমাধ্যমের ক্যামেরা রীতিমতো হামলে পড়েছিল সেদিন। শাকিব দেখালেন তাঁর স্টারডম।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
কাঞ্চনের প্রিয় পাঁচ ছবি

ভেজা চোখের নীতিবান সিপাহী

    আগামীকাল নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দেবেন ঢালিউডের অন্যতম সেরা সুপারস্টারইলিয়াস কাঞ্চন। একুশে পদকজয়ী পর্দার এই নায়ক ক্রমেই বাস্তবের এক প্রতিবাদী নায়কে পরিণত হয়েছেন। পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন আড়াই শরও বেশি চলচ্চিত্রে। সেখান থেকে নিজের প্রিয় পাঁচ ছবির গল্প বলেছেন অভিনেতা। শুনেছেন হৃদয় সাহা
শেয়ার
ভেজা চোখের নীতিবান সিপাহী
গত শতাব্দীর আশির দশকের ইলিয়াস কাঞ্চন। ‘আদিল’ [১৯৮৮] ছবির দৃশ্য

বসুন্ধরা [১৯৭৭]

পরিচালনা : সুভাষ দত্ত

অভিনয়ে : ইলিয়াস কাঞ্চন, ববিতা, নূতন প্রমুখ

মুক্তি : ১১ নভেম্বর, ১৯৭৭

 

ভেজা চোখের নীতিবান সিপাহীআমার অভিনীত প্রথম ছবি। আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, নিয়মিত নাটক করতাম। তেমনই এক নাটকের প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি হয়েছিলেন সুভাষ দত্ত দাদা। নাটকের শো শেষে আমার সঙ্গে দেখা করে জানতে চাইলেন, সিনেমায় আসার আগ্রহ আছে কি না।

পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানাতে বললেন। আমি অতি আনন্দে সেদিনই উনাকে হ্যাঁ বলে দিয়েছিলাম। তার কিছুদিন পর আমাকে বললেন, ড. আলাউদ্দিন আল আজাদের উপন্যাস তেইশ নম্বর তৈলচিত্র পড়তে, এটা থেকেই তিনি সিনেমা বানাবেন। নাম দেওয়া হল বসুন্ধরা
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের প্রযোজনায় সিনেমা নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর ঘটা করে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো সাংবাদিকদের সঙ্গে। দত্ত দাদার সঙ্গে তখন যেকোনো একটা কারণে ববিতা ম্যাডামের মনোমালিন্য চলছিল। সুচন্দা ম্যাডাম মধ্যস্থতা করে দুজনকে মিলিয়ে দেন। সিনেমার শুটিং শুরু হলো, আমি নতুন নায়ক, কিছুতেই সংকোচবোধ কাটছিল না।
ববিতা ম্যাডাম আমাকে অনেক সহজ করে নিয়েছিলেন।

১৯৭৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর ছবিটি মুক্তি দেওয়া হলো। মুক্তির পর সিনেমাটি ভূয়সী প্রশংসা পেল, সেরা চলচ্চিত্রসহ বেশ কয়েকটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিল। নায়ক হিসেবে আমারও ক্যারিয়ার শুরু হলো। আমি খুবই ভাগ্যবান নিজের প্রথম ছবিতেই একটি সুন্দর চরিত্র পেয়েছি।

 

আঁখি মিলন [১৯৮৩]

পরিচালনা : মোস্তফা আনোয়ার

অভিনয়ে : ইলিয়াস কাঞ্চন, সুচরিতা, নূতন, প্রবীর মিত্র প্রমুখ

মুক্তি : ২৮ অক্টোবর, ১৯৮৩

 

এটি আমার ক্যারিয়ারের বিশেষ একটি ছবি। মোস্তফা আনোয়ার সাহেবের এই ছবি আমাকে একক নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে খুব সাহায্য করেছিল। ছবিতে আমার নায়িকা সুচরিতা ম্যাডাম। ক্যারিয়ারের দিক থেকে তিনি আমার সিনিয়র হলেও তখন আমরা জুটিবেঁধে বেশ কয়েকটা ছবি করেছিলাম। আঁখি মিলন তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। মনে আছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হলে ছবিটি টানা অনেক সপ্তাহ চলেছিল। এই সাফল্যের পর আমার কাছে অনেক ছবির অফার আসতে থাকে। এ ছবির অন্যতম সম্পদ গান। আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে গানটা তো তখনকার চেয়ে এখন আরো জনপ্রিয়।

 

ভেজা চোখ [১৯৮৮]

পরিচালনা : শিবলী সাদিক

অভিনয়ে : ইলিয়াস কাঞ্চন, চম্পা, নীপা মোনালিসা, মিঠুন প্রমুখ

মুক্তি : ২৫ মার্চ, ১৯৮৮

 

আমার ক্যারিয়ারের শ্রেষ্ঠ ছবি। নিজের অভিনীত বলেই নয়, এটি বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাসেরও একটি মাইলস্টোন ছবি। ছবিটি করতে গিয়ে ভারতের দিল্লি, মুম্বাই, আগ্রা ঘুরেছি। গল্পে আমার নাম জীবন। প্রাণোচ্ছল ছেলেটি নিজের মরণঘাতী রোগের কথা জেনেও বাকি জীবন উপভোগ করতে চায়। শিবলী সাদিক ভাই ভিন্নধর্মী গল্পে জীবন চরিত্রটি খুব সুন্দরভাবে সাজিয়েছিলেন। আগ্রার তাজমহলের সামনে জীবনের মৃত্যুদৃশ্যটি আমার সবচেয়ে প্রিয়। চম্পার সঙ্গে তখন পরপর বেশ কয়েকটি ছবি হিট করেছিল, তবে এটিই সবচেয়ে জনপ্রিয়। এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প গানটা শুনে তখনকার দর্শক আবেগাক্রান্ত হয়েছিলেন। এন্ড্রু কিশোর আজ বেঁচে নেই, শিবলী সাদিক বেঁচে নেই, আমার বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করা মিঠুনও নেই। আফসোস লাগে, দর্শকের প্রিয় ছবিটির প্রিন্ট হারিয়ে গেছে। যে কারণে এ প্রজন্ম ছবিটি দেখতে পারছে না।

 

বেদের মেয়ে জোস্না [১৯৮৯]

পরিচালনা : তোজাম্মেল হক বকুল

অভিনয়ে : ইলিয়াস কাঞ্চন, অঞ্জু ঘোষ, শওকত আকবর, প্রবীর মিত্র, সাইফুদ্দিন প্রমুখ

মুক্তি : ৯ জুন, ১৯৮৯

 

তখন আমার ছবিগুলো হিট হচ্ছিল, তবু কেন জানি হল মালিকরা প্রথমে ছবিটি নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছিল না। অবাক করা বিষয়, সে ছবিটিই পরে ভাবনাতীত সাফল্য পায়। এতটাই, আজ পর্যন্ত এই ছবির সাফল্যকে কেউ অতিক্রম করতে পারেনি। ইদানীং প্রায়ই শোনা যায়, অমুক-তমুক ছবি অত কোটি ব্যবসা করেছেএগুলোর পুরোটাই আন্দাজ করে বলা। আমার ধারণা, প্রযোজনা সংস্থা আনন্দমেলা চলচ্চিত্রের কাছেও এই ছবির সঠিক আয়ের তথ্য নেই। অডিও কপিরাইট যিনি কিনেছিলেন, তার লভ্যাংশ দিয়ে তিনি কোটি টাকা দিয়ে সে সময়ে বাড়ি কিনেছিলেন। বেশ কয়েকটি ছবির সহকারী পরিচালক তোজাম্মেল হক বকুল সাহেব এই ছবির মাধ্যমে অভিষিক্ত হন। অঞ্জু ঘোষ ফোক ফ্যান্টাসির ছবির জন্য পরিচিতি পেলেও এর আগে আমার সঙ্গে তাঁর সব ছবিই ছিল সামাজিক বক্তব্যধর্মী। এই ছবিতে অঞ্জুও মন-প্রাণ দিয়ে অভিনয় করেছিল। তবে ছবিটি আমার করারই কথা ছিল না। নায়ক সাত্তারকে ঠিক করে ফেলেছিলেন প্রযোজক আব্বাস উল্ল্যাহ সাহেব। কিন্তু বকুল সাহেব আমাকে নিয়েই ছবিটি করবেন। পরে দারাশিকো সাহেবের মধ্যস্থতায় তাঁর একটি ছবির শুটিং পিছিয়ে এ ছবির শুটিং করি। এখানে মুক্তির দুই বছর পর পশ্চিমবঙ্গে ছবিটির রিমেক হয়, সেখানেও বাম্পারহিট। এর পরই আমাদের ছবিগুলো একে একে রিমেক হতে থাকে সেখানে।

 

সিপাহী [১৯৯৪]

পরিচালনা : কাজী হায়াৎ

অভিনয়ে : ইলিয়াস কাঞ্চন, চম্পা, মান্না প্রমুখ

মুক্তি : ১৪ জানুয়ারি, ১৯৯৪

 

কাজী হায়াৎ সাহেব রাজনৈতিক বক্তব্যধর্মী ছবির জন্য পরিচিত। এটিও তেমন ছবি। মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী সময়ের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে গল্প। তখনকার করা আমার অন্যান্য ছবির চেয়ে এ ছবিতে অভিনয় করে আলাদা তৃপ্তি পেয়েছিলাম। ছবিতে আমি মুক্তিযোদ্ধা, পরবর্তী সময়ে পুলিশ অফিসার হই। তৎকালীন দেশের সামগ্রিক দুঃশাসনের প্রতিবাদ করি। এখানেও আমার নায়িকা চম্পা। মান্নাও আছেন বিশেষ একটি চরিত্রে। সেন্সরে জমা দেওয়ার পর জুরি বোর্ড ছবিটি আটকে দেয়। তবে কাজী হায়াৎ সাহেব অনড় ছিলেন। পরে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সেন্সর বোর্ড ছবি মুক্তির অনুমতি দেয়। মুক্তির পর দর্শক দারুণভাবে গ্রহণ করেছিল। শুরু থেকেই আমার প্রত্যাশা ছিল জাতীয় পুরস্কার পাব, সবার প্রশংসা পেয়ে সেই প্রত্যাশা আরো বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমাকে দেওয়া হয়নি।

 

আরো পাঁচ

প্রায় পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে যিনি আড়াই শরও বেশি ছবি করেছেন, প্রিয় পাঁচ ছবিতে তাঁকে বাঁধা কঠিনই। ইলিয়াস কাঞ্চন তাই যোগ করলেন আরো পাঁচটি ছবির নাম। বলেন, প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পাই আলমগীর কবিরের পরিণীতায় [১৯৮৬], এটিও আমার অন্যতম প্রিয় ছবি। তালিকায় আরো আছে আজহারুল ইসলাম খানের সহযাত্রী [১৯৮৭], শিবলী সাদিকের নীতিবান [১৯৮৮], দারাশিকোর বাদশা ভাই [১৯৯১] ও শহীদুল ইসলাম খোকনের কমান্ডার [১৯৯৪]।

ভেজা চোখের নীতিবান সিপাহী

ভেজা চোখের নীতিবান সিপাহী

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ