ঈদের যে নাটকগুলো তাদের চোখেও সেরা

হৃদয় সাহা
হৃদয় সাহা
শেয়ার
ঈদের যে নাটকগুলো তাদের চোখেও সেরা

টেলিভিশন ও ইউটিউব চ্যানেল মিলিয়ে এরই মধ্যে প্রচারিত হয়েছে কয়েক শ ঈদের নাটক-টেলিছবি। কেমন হয়েছে সেগুলো? এ সময়ের পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা বলেছেন তাঁদের ভালো লাগা তিনটি নাটকের কথা—দুটি সহকর্মীর, আরেকটি নিজের। এর মধ্যে চারবার এসেছে দুটি নাটকের কথা—মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘তোমাদের গল্প’ এবং হাসিব হোসাইন রাখির ‘মন দিওয়ানা’। মজার বিষয় হলো, ইউটিউব ভিউয়ের দিক থেকেও এগিয়ে এ দুটি নাটক।

সাধারণত এমনটা হয় না।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে জাকারিয়া সৌখিনের ‘মেঘবালিকা’, আশিকুর রহমানের ‘মানুষ কী বলবে?’ এবং প্রবীর রায় চৌধুরীর ‘বেস্ট ফ্রেন্ড ২.০’। দুটি করে ভোট পেয়েছে নাটক তিনটি। একটি করে ভোট পেয়েছে ‘হোসেনের গল্প’, ‘স্বপ্নের শেষ ঠিকানা’, ‘খালিদ’, ‘কাছে আসার মানুষ’, ‘বাজি’, ‘একান্নবর্তী’ ও ‘কানামাছি’।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন তারকার পছন্দের ঈদ নাটক কোনগুলো -

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক

পারিবারিক অনুষ্ঠানের কারণে নাটক কম দেখা হয়েছে এবার। যা দেখেছি তার মধ্যে ‘খালিদ’-এর কথা বলব আগে। এর পাণ্ডুলিপি আমি পড়েছিলাম। তানিম রহমান অংশু ভাই খুব সুন্দরভাবে গল্পটাকে পর্দায় এনেছেন।

পলাশ ভাই ভিন্ন অবতারে পর্দায় এসেছেন। রোমান্টিক নাটকে বরাবরই আমার আগ্রহ।

আরো পড়ুন
অসুস্থতার মাঝেও শামিল হয়েছিলাম দর্শকের কাতারে

অসুস্থতার মাঝেও শামিল হয়েছিলাম দর্শকের কাতারে

 

ভালো লেগেছে মেহজাবীন আপু ও জোভান ভাইয়ার ‘বেস্ট ফ্রেন্ড ২.০’। প্রবীর দার এই নাটকের শেষের দিকে যখন অনেক বছর পর দুজনের দেখা হয়, সেখানকার একটা দৃশ্য মনে গেঁথে আছে।

নিজের অভিনীত নাটকগুলো নিয়ে খুব সাড়া পাচ্ছি, এর মধ্যে ‘তোমাদের গল্প’ নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে।

নিজেও এ কাজটা করে তৃপ্ত ছিলাম। এতজন গুণী শিল্পীর মধ্যেও দর্শক আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলছে, এটা আমার জন্য বড় পাওয়া।

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক

এবার বেশ কিছু নাটক দেখা হয়েছে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে ‘মন দিওয়ানা’। রাখি ভাই সিনেমাটিকভাবে নাটকটি বানিয়েছেন। যার জন্য বড় ক্যানভাসের মনে হয়েছে, তিনি সফলও। তৌসিফ ভাইয়া নিজেকে শতভাগ উজাড় করে দিয়েছেন।

দ্বিতীয় পছন্দের নাটক ‘তোমাদের গল্প’। ঈদে এমন পারিবারিক গল্প খুব টানে, গল্পের বিষয়বস্তুও ঈদ। তারকাবহুল এ নাটকে আলাদা করে বলব তটিনীর অভিনয়ের কথা, খুবই ভালো করেছে সে।

আরো পড়ুন
নাইটক্লাবের ছাদ ধসে গায়ক রুবি পেরেজসহ নিহত ১৮৪

নাইটক্লাবের ছাদ ধসে গায়ক রুবি পেরেজসহ নিহত ১৮৪

 

এখন পর্যন্ত আমার সাত-আটটি নাটক প্রচারে এসেছে। এর মধ্যে ‘কাছে আসার মানুষ’-এ অভিনয় করে বেশি ভালো লেগেছে। রাফাত মজুমদার রিংকু ভাইয়ের নাটকটির শুটিং হয়েছে শ্রীমঙ্গলে। একটা ট্যুরের আমেজ ছিল, আনন্দ নিয়ে কাজ করেছি। গল্পটাও ভীষণ ভালো।

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক

মোস্তফা কামাল রাজ ভাইয়ের ‘তোমাদের গল্প’ ভালো লেগেছে। পারিবারিক বন্ধনের যে ব্যাপারটা দেখানো হয়েছে এটা বেশ পছন্দ হয়েছে আমার। গল্পটাও সুন্দর। জোভান, তটিনীসহ সবাই খুব ভালো অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে বলব মনিরা মিঠু আপার কথা, তাঁর অভিনয় বেশি ভালো লেগেছে।

জিয়াউল হক পলাশের ‘খালিদ’ আলোচনায় থাকলেও ব্যক্তিগতভাবে আমার বেশি ভালো লেগেছে ‘হোসেনের গল্প’। ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল ভাই পরিচিত গল্পেই সুন্দর চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন। পলাশ ও পাভেল দুজনই অনবদ্য অভিনয় করেছেন। 

এই ঈদে আমার ছয়টি নাটক এসেছে। একজন পরিচালকের কাছে তার সব নির্মাণই সমান। তবু বলব ‘স্বপ্নের শেষ ঠিকানা’র কথা। নাটকে জোভান ও তানজিন তিশা চাকরিজীবী দম্পতি। তাদের সন্তান না হওয়ার জটিলতা নিয়ে গল্প। প্রচারের পর থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি।

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক

প্রথমেই বলব ‘মানুষ কী বলবে?’-র কথা। আশিকুর রহমান ভাইয়ের এ নাটকের প্রাথমিক পাণ্ডুলিপি পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। তখনই এ নাটক নিয়ে আগ্রহী হয়েছিলাম। প্রচারের পর দেখে মনে হয়েছে, বৃথা আশা করিনি। গল্পটা সব সময়ের জন্য সত্য। সমাজের ক্ষতি না করে যদি উপার্জন করা যায়, সেটা যেভাবেই হোক তাতে কোনো দ্বিধা থাকা উচিত নয়। তারিক আনাম খান, কেয়া পায়েল, খায়রুল বাসার—সবাই খুব ভালো করেছেন।

দ্বিতীয় পছন্দের নাটক জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ভাই ও নাজনীন নীহা অভিনীত ‘মেঘবালিকা’। দুজনই খুব ভালো করেছেন। জাকারিয়া সৌখিন ভাই সহজ-সুন্দর চিত্রনাট্যে মন জিতে নিয়েছেন।

আমার অভিনীত নাটকগুলোর মধ্য থেকে বলব হাসিব হোসাইন রাখির ‘মন দিওয়ানা’র কথা। তার কারণ এই নাটকের নেপথ্যে আমিও জড়িত ছিলাম। প্রডাকশন ডিজাইন থেকে গল্প ও চিত্রনাট্য—সবখানেই অনেক সময় নিয়ে কাজ করা হয়েছে। দর্শকও দারুণভাবে গ্রহণ করেছে।

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক

পারিবারিক গল্প আমাকে খুব টানে, মুস্তফা কামাল রাজ ভাইয়ার ‘তোমাদের গল্প’ও পারিবারিক গল্পের। ঈদের প্রথম কাজ হিসেবে এটাই দেখেছিলাম। এখানে অনেক গুণী শিল্পী অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে তটিনীর অভিনয় খুব ভালো লেগেছে। তার চঞ্চলতা আমাকে আকৃষ্ট করেছে।

দ্বিতীয়টি আমার বন্ধু হাসিব হোসাইন রাখির ‘মন দিওয়ানা’। নাটকটির নির্মাণ আমাকে মুগ্ধ করেছে। তৌসিফ মাহবুবকেও একটু আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

আমার চারটি নাটক এসেছে ঈদে। আমি বলব ‘একান্নবর্তী’র কথা। নাটকটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জের ছিল। নিলয় আলমগীর, হিমি তো আছেনই; দিলারা জামান, তারিক আনাম খান, মনিরা মিঠু, সাবেরী আলম, চিত্রলেখা গুহর মতো গুণী শিল্পীকে নির্দেশনা দেওয়াটা খুবই কঠিন কাজ। উনারা আমাকে খুবই সহযোগিতা করেছেন।

 

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক

প্রবীর রায় চৌধুরী দাদার নাটক আমার বরাবরই পছন্দের। তাঁর ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ সিরিজটা খুব জনপ্রিয়। যখনই শুনেছি নতুন গল্পে এটা আবার পর্দায় আসবে, তখন থেকেই মুখিয়ে ছিলাম। তা ছাড়া আমি মেহজাবীন আপুর গুণমুগ্ধ ভক্ত, জোভান ভাইয়াও খুব ভালো করেছেন।

তৌসিফ মাহবুব ভাইয়া ও তটিনী আপু অভিনীত ‘মন দিওয়ানা’ নাটকটাও ভালো লেগেছে। হাসিব হোসাইন রাখি ভাইয়ের এ নাটকের গল্প, নির্মাণ, অভিনয় আমাকে আকৃষ্ট করেছে।

আমার অভিনীত নাটকের মধ্যে ‘মেঘবালিকা’ নিয়ে বেশি সাড়া পেয়েছি। নাটকের চরিত্রটা আমার খুব প্রিয়, বাস্তবেও আমি এমনই। আমাকে এমন চরিত্র দেওয়ার জন্য জাকারিয়া সৌখিন ভাইকে ধন্যবাদ। আর অপূর্ব ভাই বরাবরই একজন ভালো সহশিল্পী।

 

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক

‘মানুষ কী বলবে?’ ভালো লেগেছে সমসাময়িক প্লটের জন্য। এ যুগে অনেক মানুষই প্রচলিত ধ্যান-ধারণা ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করছে, কোনোটাকেই হেয় করে দেখার কিছু নেই। আশিকুর রহমান ভাই একটি বাস্তবসম্মত গল্প বেছে নিয়েছেন।

দ্বিতীয় পছন্দের নাটক তৌফিকুল ইসলামের ‘বাজি’। মুশফিক আর ফারহানের বাজি ধরার নেশা তাকে ভীষণ সাহসী করে তোলে, ব্যতিক্রমী গল্পের জন্যই ভালো লেগেছে নাটকটা। 

নিজের বানানো নাটকের মধ্যে ‘কানামাছি’ ও ‘দহন’ আমার পছন্দের। একটা বেছে নিতে হলে বলব ‘কানামাছি’র কথা। সাধারণত যে ধরনের নাটক বানিয়ে থাকি, তার চেয়ে এটা বেশ আলাদা। মুশফিক ফারহান-সাফা কবির দুজনই আমার ওপর আস্থা রেখেছিলেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রণবীরের সঙ্গে কেন প্রেম করেননি, জবাব দিলেন আনুশকা

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
রণবীরের সঙ্গে কেন প্রেম করেননি, জবাব দিলেন আনুশকা
সংগৃহীত ছবি

১৫ বছর আগে ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক ঘটেছিল রণবীর সিং। সেই ছবিতে তার সঙ্গে জুটি ছিল আনুশকা শর্মা। প্রথম ছবিতেই জুটিটি দর্শক মনে দারুণ সাড়া ফেলে। সেই সময় থেকেই তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে বলিপাড়ায় শুরু হয় নানা জল্পনা।

কিন্তু ২০১১ সালের এক সাক্ষাৎকারে আনুশকা একেবারে সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিয়েছিলেন—‘রণবীর আমার প্রেমিক হতে পারবে না!’

সেই সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘রণবীর খুবই পরিশ্রমী, দারুণ ছেলে। কিন্তু ও নিজের জগতে একেবারে মগ্ন। সারাক্ষণ স্রেফ নিজেকে নিয়েই থাকে। আর সেটাই হওয়া উচিত, কারণ ও ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন এসেছে।

কিন্তু প্রেমিক হিসেবে আমি এমন কাউকে চাই, যে দেখা করার পর প্রথম থেকে শুধু নিজের গল্পই বলে যাবে না, আমার দিনটা কেমন গেল সেটাও জানতে চাইবে—আর রণবীর সেটা করে না। তাই ওকে ডেট করা সম্ভব নয়।’

For Ladies vs Ricky Bahl, Ranveer-Anushka in sync | Bollywood - Hindustan  Times

রণবীর নিজেও মজা করে বলেছিলেন, আনুশকা নাকি নিজের প্রেমিককে ‘খুন’ করে দেবে! উত্তরে অভিনেত্রী হেসে বলেছিলেন, ‘হয়তো ঠিকই বলেছে!’ 

‘ব্যান্ড বাজা বারাত’-এর পর রণবীর-আনুশকা জুটিকে ফের দেখা যায় ‘লেডিজ ভার্সেস রিকি বহেল’ ছবিতে। তার পরেই তাদের দুজনের কথাবার্তা বন্ধ হয়ে যায়।

এর বেশ কয়েক বছর পর ‘দিল ধাড়কানে দো’ ছবিতে আবার একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল আনুশকা ও রণবীরকে।

বর্তমানে দুজনেই নিজেদের জীবনে সুখী। আনুশকা বিয়ে করেছেন ক্রিকেটার বিরাট কোহলিকে, তাদের দুটি সন্তান—ভামিকা ও আকায়। অন্যদিকে রণবীর ঘর বাঁধেন দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে। ২০২৪ সালে তাদের কন্যাসন্তান ‘দুয়া’র জন্ম হয়েছে।

‘জিরো’ ছবির পর থেকে বড় পর্দায় নেই আনুশকা, নিচ্ছেন বিরতি। অন্যদিকে রণবীর ব্যস্ত ‘ধুরন্ধর’ ছবির কাজ নিয়ে। যে ছবিতে তার সঙ্গে রয়েছেন আর মাধবন, সঞ্জয় দত্ত ও অক্ষয় খান্নার মতো তারকারা। সে ছবির পর রণবীরের হাতে রয়েছে ফারহান আখতারের ‘ডন থ্রি’।

মন্তব্য

নেহা কক্করের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না তার বোন, কী বললেন গায়িকা?

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
নেহা কক্করের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না তার বোন, কী বললেন গায়িকা?
সংগৃহীত ছবি

দুই ভাই-বোনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন নেহা কক্করের বোন সোনু কক্কর। হঠাৎ সোনুর এক পোস্ট নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এরপর যেন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন নেহা।

সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সোনু লেখেন, ‘নেহা আর টোনির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলাম।

আমি আর ওদের বোন নই।’ এমন পোস্ট দেখে স্তব্ধ তাদের অনুরাগীরা। 

এরপর ভাই টোনি ও স্বামী রোহনপ্রীত সিংয়ের সঙ্গে চার্টাড বিমানে করে ঘুরতে যাচ্ছেন তেমনই এক ভিডিও পোস্ট করেন নেহা। সেখানে তিনি লেখেন, ‘উড়ে যাচ্ছি আমার প্রিয় মানুষদের সঙ্গে।

’ ছবির ক্যাপশনে লেখেন, ‘ফ্যামিলি’। 

বোন সোনু নেই বলেই কি নেহা লিখলেন কারা তার প্রিয় মানুষ! তাহলে বোনের উদ্দেশে কোনো বার্তা দিতে চাইলেন তিনি?

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘মহামায়া’য় বুঁদ দর্শক, উচ্ছ্বসিত গীতিকার সোমেশ্বর অলি

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
‘মহামায়া’য় বুঁদ দর্শক, উচ্ছ্বসিত গীতিকার সোমেশ্বর অলি
সংগৃহীত ছবি

এ কার জীবন আমার কাঁধে, আমি বইতে পারছি না/ বেকার এ মন আবেগে বাঁধে, আমি সইতে পারছি না—এমন কথায় দর্শকের বুকে রীতিমতো হাহাকার বইয়ে দিয়েছেন গীতিকার সোমেশ্বর অলি। ‘মহামায়া’ শীর্ষক এই গানটি এবার ঈদের আলোচিত সিনেমা ‘বরবাদ’-এর। সিনেমায় গানের দৃশ্যে বুঁদ হয়ে থাকছেন তারা, এমনটাই দেখা গেছে সরেজমিনে। 

খায়রুল ওয়াসীর সুরে গানটির সংগীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন।

গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মাইনুল আহসান নোবেল। অন্তর্জালে আসার পর ইতিমধ্যে দর্শকপ্রিয় হয়ে উঠছে গানটি। তারও আগে অফিশিয়াল গান আনুষ্ঠানিক মুক্তির আগে এর অডিও ভার্সন ইউটিউবে ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসে। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত এর গীতিকার।
 

‘মহামায়া’ দারুণ টিমওয়ার্ক জানিয়ে সোমেশ্বর অলি বলেন, ‘গানটি লেখার ব্রিফ ছিল অল্প, যেমন- একটি বিরহের গান, যেখানে নায়ককে বিধ্বস্ত ও বিধ্বংসী আচরণ করতে দেখা যাবে। এটুকু ব্রিফে লিখতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি আমাকে। লেখার পর মনে হলো, এই কথাগুলো আমি আগেও বলতে চেয়েছি, কিন্তু এমন কিছু লেখার প্রস্তাব আসেনি বা এমনিতে লিখলেও সেটি উপস্থাপনের সুযোগ বা মাধ্যম ছিল না। এই সিনেমাতে সেটি ঘটতে যাচ্ছে, বিশেষ পাওনা শাকিব খান।

May be an image of 2 people and people smiling

এরপর তিনি আরো বলেন, ‘এই গান গাওয়ার জন্য টিমের কাছে নোবেলই প্রথম পছন্দ ছিলেন। তিনি দুর্দান্ত গেয়েছেন। খায়রুল ওয়াসী নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে সুর করেছেন আর আমজাদ হোসেন রক ব্যালাড বা এ জাতীয় গানের সংগীতায়োজনে সিদ্ধহস্ত, আবারও প্রমাণ পাওয়া গেল।’

এটি ছাড়াও ‘বরবাদ’ সিনেমায় সোমেশ্বর অলির আরো একটি গান রয়েছে, ‘জিন্দা’ শিরোনামে। গানটি প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘জিন্দা গানের প্রস্তাব পাই একবারে শেষ মুহূর্তে, সুরও করা ছিল।

খায়রুল ওয়াসীর সুর করা; সিচুয়েশন জানার পর আমি লিখি। এক লেখাতেই পরিচালকের সেটা পছন্দ হয়। গানটা এখনো মুক্তি না পেলেও যারা সিনেমা দেখছেন তাদের গানটা পছন্দ হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, এর আগে শাকিব খানের জন্য ‘ঈশ্বর’, ‘এক প্রেম’ শিরোনামে দুটি গান লিখেছিলেন সোমেশ্বর অলি; যার মধ্যে ‘ঈশ্বর’ তুমুল সাড়া ফেলেছিল। 

উল্লেখ্য, মেহেদী হাসান হৃদয়ের পরিচালিত ‘বরবাদ’-এ শাকিব খান ছাড়া আরো অভিনয় করেছেন ইধিকা পাল, মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, যীশু সেনগুপ্ত প্রমুখ।

মন্তব্য

ঈদুল আজহা মাতাবে যেসব সিনেমা

ইমরুল নূর

ইমরুল নূর

ইমরুল নূর

ইমরুল নূর

শেয়ার
ঈদুল আজহা মাতাবে যেসব সিনেমা
সংগৃহীত ছবি

সিনেমা পাড়ায় এবারের ঈদ ছিল বেশ জমজমাট। ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো ঈদের সিনেমা দেখা নিয়ে চলছে উন্মাদনা, হলে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন দর্শকরা। সারা বছর ধুঁকে ধুঁকে চলা সিনেমাহলগুলোও যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে, যার দরুণ হল মালিকেরাও দারুণ খুশি।

তার রেশ ধরে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে আসন্ন ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ঘিরে।

অনেকেরই মত, ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায়ও এই দর্শক উন্মাদনা বিরাজ করবে। জেনে নেওয়া যাক, এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ঢালিউড সিনেমাগুলো সম্পর্কে। ঈদুল আজহায় মুক্তির তালিকায় রয়েছে তাণ্ডব, নীলচক্র, ইনসাফ, টগর, পিনিক, এশা মার্ডার : কর্মফল ইত্যাদি।  

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আসন্ন ঈদকে ঘিরেই বড় আয়োজনে নির্মিত হচ্ছে ‘তাণ্ডব’।

এখন পুরোদমে চলছে সিনেমাটির শুটিং। এর মধ্য দিয়ে ‘তুফান’ সাফল্যের পর আবারও পর্দায় জুটি হয়ে আসছেন রায়হান রাফী ও শাকিব খান। স্বভাবতই এই সিনেমা নিয়ে দর্শক আগ্রহ থাকবে তুঙ্গে। সিনেমাটিতে শাকিব খান ছাড়াও একটি বিশেষ চরিত্রে (সাংবাদিক) থাকছেন জয়া আহসান।
নায়কের বিপরীতে কে থাকছেন, তা এখনো প্রকাশ্যে আনেননি নির্মাতা।

এর নির্মাতা রায়হান রাফী কালের কণ্ঠকে বলেন, “কোরবানি ঈদ আমার জন্য খুব লাকি। সেই ধারাবাহিকতায় ‘তাণ্ডব’ কোরবানি ঈদেই আসছে। এখন পুরোদমে চলছে শুটিং। ‘তুফান’-এর পর দর্শক এখানে অন্য রকম এক শাকিব খানকে দেখতে পাবে, যেমনটা আগে কখনো দেখেনি।

এবার ঈদুল আজহায় দেখা যেতে পারে আরিফিন শুভকেও। দীর্ঘ অনেক বছর ঈদে তার দেখা মেলেনি, তবে এবার স্বরূপে হাজির হবেন তিনি। তার অভিনীত ‘নীলচক্র’ সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। মিঠু খান পরিচালিত এ সিনেমায় আরিফিন শুভর সঙ্গে দেখা যাবে মন্দিরা চক্রবর্তীকে। 

কোরবানি ঈদকে ঘিরে নির্মিত হচ্ছে আরেক সিনেমা ‘ইনসাফ’। ঈদুল ফিতরে মুক্তির লক্ষ্যে নির্মাণ শুরু করলেও এখন এটি ঈদুল আজহাকে টার্গেট করেই এগোচ্ছে। ইতিমধ্যে সিনেমাটির ৯৫ ভাগ শুটিং শেষ বলে জানা গেছে। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে অনেক দিন পর পর্দায় ফিরছেন শরিফুল রাজ। তার সঙ্গে পর্দায় হাজির হবেন মোশাররফ করিমও। সঞ্জয় সমদ্দার পরিচালিত এই সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ।

সঞ্জয় সমদ্দার কালের কণ্ঠকে বলেন, “সিনেমার শুটিং একদম শেষের দিকে। ৯৫ ভাগ অংশের কাজ শেষ বলা যায়। দুই-তিন দিন শুটিং করলে ‘ইনসাফ’ এর ক্যামেরা ক্লোজ হবে। এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা রয়েছে সিনেমাটি ঈদুল আজহাতে মুক্তি দেওয়ার।”

‘টগর’ নিয়ে আসন্ন ঈদে হাজির হবেন আদর আজাদ ও পূজা চেরী জুটি। ইতিমধ্যেই সিনেমাটির মুক্তি ঘিরে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন তারা। এটি পরিচালনা করেছেন আলোক হাসান।

ঈদুল আজহায় মুক্তির তালিকায় রয়েছে ‘এশা মার্ডার : কর্মফল’ সিনেমাটিও। আসন্ন ঈদে মুক্তির লক্ষ্যে পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এর নির্মাতা সানী সানোয়ার। মার্ডার মিস্ট্রি গল্পে এই সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন, পূজা ক্রুজ প্রমুখ। 

সানী সানোয়ার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা পুরোদমে চেষ্টা করছি আসন্ন ঈদে মুক্তি দেওয়ার। এখনো দুই দিনের শুটিং বাকি রয়েছে। এ ছাড়া বাকি অংশটুকুর পোস্ট প্রডাকশনের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা গুছিয়ে নিয়ে আসতে পারি তাহলে অবশ্যই ঈদে দেখা হবে।’

ঈদুল আজহায় মুক্তি পেতে পারে আদর আজাদ অভিনীত ‘পিনিক’। জাহিদ জুয়েল পরিচালিত এ সিনেমায় আদরের বিপরীতে দেখা যাবে শবনম বুবলীকে। অন্যদিকে জিয়াউল রোশান অভিনীত দুই সিনেমা ‘পুলসিরাত’ ও ‘জামদানি’র কথাও শোনা গেছে। তবে এই সিনেমাগুলো নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি নির্মাতারা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ