ঢাকা, শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫
১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫
১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ভোলায় নিখোঁজের ৪ দিন পর তেঁতুলিয়া থেকে হাত-পা বাঁধা যুবক উদ্ধার

ভোলা প্রতিনিধি
ভোলা প্রতিনিধি
শেয়ার
ভোলায় নিখোঁজের ৪ দিন পর তেঁতুলিয়া থেকে হাত-পা বাঁধা যুবক উদ্ধার

ভোলার লালমোহন উপজেলায় নিখোঁজের চার দিন পর তেঁতুলিয়া নদীর চর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মো. শাহিন (৩০) নামের এক যুবককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শাহিন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকার ব্যবসায়ী।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বদরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর এলাকার তেঁতুলিয়া নদীর চর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে স্থানীয় এক বৃদ্ধ কৃষক চরে গেলে অজ্ঞাত অবস্থায় ওই যুবককে পড়ে থাকতে দেখেন।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ট্রলারে করে তাকে উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তার পরিচয় জানা যায়।

শাহিনের ফুফু শ্বাশুড়ি সাদিয়া বেগম জানান, শাহিন গত ৪ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। গত চার দিন আগে প্রতিদিনের ন্যায় বাড়ি থেকে আনন্দ বাজারে নিজের দোকানে যায়।

ওইদিন কে বা কারা তাকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে শাহিনের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতেও অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার নাজিরপুরের চর থেকে তাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে আনা হয়েছে শুনে তারা হাসপাতালে আসেন।

শাহিনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠান।

লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, শাহিন নামের এক যুবককে নাজিরপুরের চর থেকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

একে একে হাতছাড়া হচ্ছে বাহারের ‘বাহারি রাজত্ব’

শাহীন আলম, কুমিল্লা (উত্তর)
শাহীন আলম, কুমিল্লা (উত্তর)
শেয়ার
একে একে হাতছাড়া হচ্ছে বাহারের ‘বাহারি রাজত্ব’
কুমিল্লা-৬ আসনের আ. ক. ম বাহাউদ্দিন বাহারের বাড়ি ও অফিসে এখন সুনসান নিরবতা। ছবি : কালের কণ্ঠ

আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময়ে তিন মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন কুমিল্লা-৬ আসনের আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার। এখন একে একে সবকিছুই হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে তার। আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হচ্ছে নিয়ম বহির্ভূতভাবে আয় করা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও ব্যাংক হিসাব।

আরো পড়ুন
আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন

আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন

 

   
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই এমপি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে ছিলেন।

এই সুবাধে তিনি ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন পুরো কুমিল্লায়। কুমিল্লার অন্যান্য আসনের এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার নির্বাচনে জয়ী হওয়ার বিষয়ে অপতৎপরতা চালাতেন। তার ক্যাডার বাহিনী পাঠাতেন কালো রঙের বিশেষ মাইক্রোবাসে। তারা এলাকায় প্রভাবশালীদের হুমকি-ধমকি দিতেন এবং শহরে আসলে দেখে নেবেন বলে হুমকি দিতেন।
ভাড়ায় ক্যাডার বাহিনী নিতে এ কারণেও কেউ কেউ তার কাছে আসতেন। আর সেসব প্রার্থীদের অস্ত্র ও ক্যাডার বাহিনী দিয়ে সহযোগিতার নামে হাতিয়ে নিতেন কোটি কোটি টাকা। তবে সরকার পতনের সাথে সাথে শেষ হয়ে গেছে দানব খ্যাত বাহারের সব রাজত্ব। এমনি কি তার মেয়ে সাবেক সিটি মেয়র তাহসিন বাহার সুচনার ব্যাংক হিসাব ও সম্পত্তির জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
 

ইতিমধ্যে তার গাড়ি চালককে দেওয়া অশ্লীল গালাগালের এক অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। নগরীর মুন্সেফবাড়ি এলাকায় ছিল তার দু’তলা বাড়ি। বাড়ির সামনের অংশে ছিল তার ব্যক্তিগত অফিস। ওই অফিসে বসেই বাহার তার এ রাজত্ব নিয়ন্ত্রণ করতেন। এখানে বসেই সিদ্ধান্ত হতো কুমিল্লার ১১টি আসনের নির্বাচনে কে এমপি হবে।

টাকার ব্রিফকেস যার যত ওজন তার ভাগ্য লেখা হতো এ বাড়িতেই বসে। নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা এই বাড়িতে এসে বাহারের পা ছুঁয়ে সালাম নিতে আসতেন। তিনি যার দিতে তাকাতেন, ক্যাডার বাহিনীর কল্যাণে তিনিই এমপি হতেন।

আরো পড়ুন
আ. লীগের কাউকে বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করালে কঠোর ব্যবস্থা : টুকু

আ. লীগের কাউকে বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করালে কঠোর ব্যবস্থা : টুকু

 

ঢাকায় তার একাধিক বাড়ি ফ্ল্যাট থাকলেও বাহার অধিকাংশ সময় থাকতেন কুমিল্লা নগরীর এ বাসায়। এখানে বসেই কুমিল্লা নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। তার বাড়ি ও অফিসে ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সরগরম থাকত। বাড়ির সামনে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকত বিলাসবহুল গাড়ি। অফিস ও বাড়ির সামনে সব সময় থাকতো নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণির পেশার লোকজনের উপস্থিতিতে সরব থাকত। বাড়িটি হয়ে উঠেছিল তার ক্ষমতার কেন্দ্র। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাড়ি ও অফিসে হামলা, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে এই বাড়িটিতে সুনসান নিরবতা। 

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে তার মুন্সেফ বাড়ি এলাকায় বাড়ি ও অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, অফিস ও বাড়ি তালাবদ্ধ দেখা যায়। মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি গঠন থেকে শুরু করে যতসব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলতো যেখানে সেখানে এখন মানুষ নেই। কেউ আসছে না কোন বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে, দেখা মিলেছে না কুমিল্লার প্রভাবশালী নেতাদেরও। বাড়ির সামনে ছোট ছোট ছেলেরা ক্রিকেট খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাড়ির পাশে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে আসেন এলাকার মুসুল্লিরা। তারাও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছে না। 

স্থানীয় বাসিন্দা নির্মাণ শ্রমিক মো.আবুল কাশেম বলেন, এখন এই বাড়িটি দেখাশুনার জন্যও কেউ নেই। ভয়ে কেউ নিরাপত্তার দেয়ার কাজে আসছে না। তিনি আরো বলেন, গত ৫ আগস্টের পর হাজী বাহার কিংবা স্ত্রী ও কন্যারা কোথায় আছেন তা জানি না। বাড়িটি এভাবেই পোড়া অবস্থায় পড়ে আছে। বাড়ি অফিসের চারদিকে ঘুরে দেখা গেছে, বাড়ি সামনে ও পিছনে ৫ আগস্ট ও এর পরবর্তী সময়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার পোড়ার ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। দেয়ালে দেয়ালে আগুনে পোড়া কালো রঙ।

তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, সরকার পতনের পর হাজী বাহার ও তার বড় মেয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের অপসারিত মেয়র ডা. হসিন বাহার সূচনা সীমান্তে পথে ভারতে পালিয়ে যান। সাথে বাহারের স্ত্রীও রয়েছেন।

বাহারের বাড়ির সামনে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানান, এভাবে বাহার সম্রাজ্যের পতন হবে, দেশ ছেড়ে তিনি পালিয়ে যাবেন, বাড়িতে হামলা হবে, লুটপাট হবে, আগুন দেওয়া হবে, আমরা এমনটি কখনো ভাবিনি। সরকার পতনের ৮ মাস পরও ওই বাড়ি দেখতে দিনের বেলায় অনেক লোক ভীড় করে। বাহারের বাসার অদূরে মনোহরপুর এলাকায় সোনালী স্কোয়ার মার্কেট। এই মার্কেটে এখনো বাহারের মালিকানাধীন শতাধিক দোকান রয়েছে। কিছু দোকানের পজিশন বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু বাকি দোকানের ভাড়া বাহারে কোন একাউন্টে যায় তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এরমধ্যে বাহার ও তার স্ত্রী কন্যার নামে থাকা সকল ব্যাংক হিসাব জব্দ করায় কার হিসাবে টাকা জমা হয়, কিংবা নগদ হুন্ডির মাধ্যমে টাকা ভারতে পাচার করেন কিনা তাও প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে মার্কেটের কোন ব্যবসায়ী কথা বলতে চাননি গণমাধ্যমে। 
 
অপরদিকে, নগরী রামঘাটলা এলাকায় বাহারের নিয়ন্ত্রণে থাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বহুতল ভবনটিতেও অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট করার পর এখন স্থাপনা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নাই। মহানগর আওয়ামী লীগ অফিসের পাশে রামঘাট এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী জানান,  ৫ আগস্ট এবং পরে একাধিকবার ওই ভবন থেকে মালামাল লুটপাট করা হয়। এখন সেখানে ইট পাথর দেয়াল ছাড়া আর কিছুই নেই।
 
এদিকে বাহারের নিয়ন্ত্রণে থাকা কুমিল্লা টাউন হল সুপার মার্কেটও এখন তার হাতছাড়া। এক সময় এই মার্কেট থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন ওই  মার্কেটের টাকা জমা হচ্ছে টাউনহল মিলনায়তনের ব্যাংক হিসাব নম্বরে। সেই সাথে তার সোনালী আবাসিক হোটেলও ছাড়তে হচ্ছে। গত ৩১ মার্চ হোটেল ছাড়ার কথা থাকলেও ফার্নিচার সরিয়ে নেওয়ার জন্য সময় প্রয়োজন অজুহাতে কয়েকদিন অবস্থান করছেন। এমপি বাহার ভারতে অবস্থান করায় হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করো তার বক্তব্য জানা যায়নি।

আরো পড়ুন
পাঁচ বছর পর ফিরল অপহৃত স্কুলছাত্র

পাঁচ বছর পর ফিরল অপহৃত স্কুলছাত্র

 

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মহানগর শাখার আহবায়ক আবু রায়হান বলেন, সাবেক এমপি বাহারের বাড়ি একটি অভিশপ্ত বাড়ি।  এই বাড়ি থেকেই অবৈধ কর্মকাণ্ডের নির্দেশ আসতো। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে বাহার ও তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের অপসারিত মেয়র ডা. তাহসিন বাহার সূচনাসহ দলীয় অন্যান্য নেতাকর্মীদের নির্দেশে ছাত্র জনতার উপর হামলা করা হয়। তাই বাহার তার মেয়ে সূচনাসহ দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে আমাদের নিকট প্রমাণাদি আছে। আইনের মাধ্যমে তাদের সর্বোচ্চ সাজা আমরা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার জানান, অবৈধভাবে সাবেক এমপি বাহার টাউন হলের জায়গায় মার্কেট নির্মাণ করে দোকান ভাড়ার টাকা নামমাত্র টাউন হলকে দিয়ে বিপুল টাকা নিজের ব্যাংক হিসাবে নিচ্ছিলেন। এখন ভাড়ার টাকা টাউন হলের ব্যাংক হিসেবে জমা নেওয়া হচ্ছে। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন
সংগৃহীত ছবি

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ চার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের মামলার প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁও জেলায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ১১টায় আমার দেশ পাঠকমেলার উদ্যোগে জেলার চৌরাস্তায় সমবায় মার্কেট চত্বর এলাকায় এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পাঠকমেলা জেলা সভাপতি ওবায়দুল্লা মাসুদ, ইমাম সমিতির প্রতিনিধি হাফেজ আব্দুর রশিদ, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের জেলা সমন্বয়ক নুর আফতাব রুপম, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমা বেগম, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এনটিভির জেলা প্রতিনিধি লুৎফর রহমান মিঠু, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এটিএন বাংলার ও দেশ রূপান্তরের জেলা প্রতিনিধি ফিরোজ আমিন সরকার, সময়ের আলো পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম, পীরগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও আমার দেশের উপজেলা প্রতিনিধি জয়নাল আবেদিন বাবুল, বালিয়াডাঙ্গী প্রেসক্লাবের সভাপতি, আমার দেশ-এর উপজেলা প্রতিনিধি রমজান আলী, রানীশংকৈল উপজেলা প্রতিনিধি মোবারক হোসেন, এসএ টিভির জেলা প্রতিনিধি জাকির মোস্তাফিজ মিরু, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবু হানিফ মুক্তা, পাঠকমেলার সদস্য সমাজকর্মী আদিউল ইসলাম ও নয়া দিগন্ত পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি রাফিক সরকার ও আমার দেশ-এর জেলা প্রতিনিধি ফজলে ইমাম বুলবুল প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে এসব ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

মন্তব্য

আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে জামালপুরে মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে জামালপুরে মানববন্ধন
সংগৃহীত ছবি

আমার দেশ সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুর রহমানসহ ৫ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের দায়ের করা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জামালপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে জামালপুর জেলা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে আমার দেশ পাঠকমেলা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে আমার দেশ পাঠকমেলা জামালপুর জেলার সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জাকিউল ইসলাম খান টিপুর সভাপতিত্বে জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বাংলাদেশ বেতার ও এসএ টিভির ফজলে এলাহী মাকাম, জামালপুর আইন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল আলম, সচেতন নাগরিক কমিটি-সনাক জামালপুরের সাবেক সভাপতি অজয় কুমার পাল, আমার দেশের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ইউসুফ আলী, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও ডিবিসি নিউজের শুভ্র মেহেদী, জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. মিরাজুল ইসলাম, ইত্তেফাক ও নিউ নেশনের শাহ জামাল, ঢাকা ট্রিবিউনের বিশ্বজিৎ দেব, মোহনা টিভির উসমান হারুনী, মাই টিভির শামীম আলম, দৈনিক জনতার এসকে সোহেল, আরটিভি ও যায়যায়দিনের জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, এখন টিভির জুয়েল রানা, নিউজ টুয়েন্টিফোরের তানভীর আজাদ মামুন, দীপ্ত টিভি ও দেশ রূপান্তরের তানভীর আহমেদ হীরা, এনটিভি ও খবরের কাগজের আসমাউল আসিফ, ঢাকা পোস্টের মুত্তাছিম বিল্লাহ, বাংলা টিভির নূর মো: ফজলুল করিম কাওছার, একুশে টিভির খন্দকার রাজু আহমেদ ফুয়াদ, আমার দেশের সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি সোলায়মান বাবু, মেলান্দহ প্রতিনিধি জিল্লুর রহমান রতন, মাদারগঞ্জ প্রতিনিধি খাদেমুল ইসলাম, বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি রকিবুল হাসান বিদ্রোহী, দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি শামছুল হুদাসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বক্তারা মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও একাত্তর টিভির মালিক মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

মন্তব্য

মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন
সংগৃহীত ছবি

মেঘনা গ্রুপের কব্জায় থাকা সব অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রামের সাংবাদিক ও পেশাজীবী নেতারা। এ সময় পতিত ফ্যাসিবাদ সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে মেঘনা গ্রুপের পাচার করা সব টাকা ফিরিয়ে আনার দাবিও জানানো হয়। একইসঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হলে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন চট্টগ্রামের পেশাজীবী নেতারা। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচির আয়োজন করে দৈনিক আমার দেশ পাঠক মেলা।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলর সদস্য এএসএম বদরুল আনোয়ার বলেন, ‘৫ আগস্টের পর মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হবে এটি কল্পনাতীত। আমরা উদ্বিগ্ন ও লজ্জিত। মাহমুদুর রহমান সংবাদপত্রের স্বাধীনতার একজন মূর্ত প্রতীক। তাঁর বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদ আমলে ৬৪টি জেলা একযোগে মামলা করা হয়েছিল।

উনি সেই সাংবাদিক। মামলার জামিনের জন্য প্রতিটি জেলায় জেলায় ঘুরতেন। সেখানে তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছিল।’

প্রেস ক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি বলেন, ‘মাত্র দুমাসের আন্দোলনে ২৪-এর স্বাধীনতা আসেনি।

২০১৪ সাল থেকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে উৎখাত করার জন্য এই বিপ্লবের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন মাহমুদুর রহমান। শেখ হাসিনা সরকার পতন ও তার পলায়নের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করেছেন মাহমুদুর রহমান একজন সর্বকালের যোদ্ধা। অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাই।’

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মামলা যে কেউ করতে পারে। মামলা করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি নিয়ম রয়েছে।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার করার ক্ষেত্রে একটি প্রসিডিউর মানতে হয়। তাদের একটি সংস্থা রয়েছে। এ ধরনের নিয়ম না মেনে মামলা দায়ের করা আইনগতভাবে এই অচল মামলা। এটি চলতে পারে না। এটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।’

সাংবাদিক শাহনেওয়াজ বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান সারা বাংলাদেশের সাহসী সাংবাদিকের একজন আইকন। তাঁর বিরুদ্ধে কথিত মামলা দায়েরের মাধ্যমে যে নীল নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে সেটি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এনামুল হক চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট জিয়া আহসান হাবীব, কাশেম কামাল, সালেহ নোমান, প্রকৌশলী দুলাল হোসেন প্রমুখ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ