একটি ব্যানারের সামনে চেয়ারে বসা এক ব্যক্তির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ব্যানারে লেখা—প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী খাইরুল দেওয়ান, চেয়ারম্যান, জনকল্যাণ পার্টি। ব্যানারে তিনি জনগণের দোয়া ও সমর্থন চেয়েছেন। এর আগেও তিনি আলোচনায় এসেছিলেন ২০২৩ সালে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে।
রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী খাইরুল এবার প্রধানমন্ত্রী হতে চান
অনলাইন ডেস্ক

এবার পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) উপলক্ষে দেওয়া তার একটি বক্তব্য আবারও ভাইরাল হয়েছে।
সেখানে খাইরুল দেওয়ান বলেন, ‘এক দল যায়, আরেক দল আসে। কিন্তু প্রতিহিংসা যায় না। রাজনীতি মানেই সেবা।
খাইরুল বলেন, ‘আমরা জনগণ আওয়ামী লীগ বুঝি না, বিএনপি বুঝি না, জামায়াত বুঝি না, নাগরিক পার্টি বুঝি না, ছাত্র বুঝি না। আজকের পর থেকে যারা মানুষের গায়ে হাত দিবা, পুলিশের গায়ে হাত দিবা, তাদের হাত-পা ভেঙে দেব।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা গরিব। কেউ যদি অন্যায় করে। ছোট করুক, মাঝারি করুক, বড় করুক।
২০২৩ সালে খাইরুল দেওয়ান রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হয়ে নির্বাচন অফিসের সামনে মানববন্ধন করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তাকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করতে মনোনয়ন ফরম দেওয়া হচ্ছে না।
সে সময় মানববন্ধনে খাইরুল বলেছিলেন, ‘আমি অনেক লাইনে লেখাপড়া করেছি। আমি রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, অ্যাকাউন্টিং, ম্যানেজমেন্ট অনেক সাবজেক্টে লেখাপড়ি করছি। এমনকি ডাক্তারির অ্যানাটমি, ফিজিওলজি এসব বিষয়েও পড়ি। আমাকে ছোট করে দেখার কিছু নেই। রাষ্ট্রপতি পদে লড়তে সুযোগ না দিলে আমরা আইন অনুযায়ী লড়ে যাব।’
সম্পর্কিত খবর

ছাত্র প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়ালের অভিযোগ তুহিন ফারাবীর
অনলাইন ডেস্ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুহাম্মদ তুহিন ফারাবী অভিযোগ করেছেন, একটি সুপরিকল্পিত চক্র ছাত্র উপদেষ্টা ও ছাত্র প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে জনমনে আস্থা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ এবং ‘হিংসাত্মক প্রপাগান্ডা’ চালাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তুহিন ফারাবীর ভাষ্য মতে, ‘জনগণের ওপর থেকে ছাত্র উপদেষ্টা ও ছাত্র প্রতিনিধিদের আস্থা নষ্ট করতেই একটি চক্র সুপরিকল্পিতভাবে আমাদেরকে মিডিয়া ট্রায়াল ও হিংসাত্মক প্রপাগান্ডার সম্মুখীন করছে। ছাত্রদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে নেতৃত্ব দুর্বল করার অপচেষ্টা চলছে।
তিনি আরো বলেন, ‘গত কয়েক মাসে কিছু স্বার্থান্বেষী নেতা আমাদের সামনে অযৌক্তিক শর্ত রেখেছিলেন। আমরা যদি তাদের ইচ্ছানুযায়ী চলতাম, হয়তো দলগতভাবে এই প্রপাগান্ডার মুখোমুখি হতাম না।’
স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘শুরুতে আমাদেরকে জামায়াত-শিবিরপন্থী বলে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, আমরা নাকি তাদের বেশি সুযোগ দিয়েছি।
প্রপাগান্ডার জবাবে তুহিন ফারাবী বলেন, ‘ভালো-মন্দ সব কিছু আল্লাহর ওপর সোপর্দ করলাম। এসব প্রপাগান্ডার সামান্যতম সত্যতা থাকলে, আমি চাই আমাকে বায়তুল মোকাররমের সামনে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হোক।’
তুহিন ফারাবী দেশের সৎ ও তথ্যনির্ভর সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আশা করি, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আমার বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির ভূমিকাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ও সমালোচনা চলছে। বিভিন্ন পক্ষের অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই ছাত্রনেতাদের ভূমিকা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে মুহাম্মদ তুহিন ফারাবীর এই বক্তব্যকে অনেকে ছাত্ররাজনীতির স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার পক্ষে শক্ত বার্তা হিসেবে দেখছেন।

ফেসবুক আইডি ফিরে পেলেন পিনাকী ভট্টাচার্য
অনলাইন ডেস্ক

জনপ্রিয় অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য সম্প্রতি তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজটি পুনরুদ্ধার করেছেন। কয়েক দিন আগে অজ্ঞাত কারণে তার পেজটি ডিজেবল হয়ে যায়, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হয়।
পেজ ফিরে পাওয়ার পর এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন :
‘যতবারই হত্যা করো
আবার জন্মাব
লিখব নতুন ইতিহাস।’
তারপর যোগ করেন, ‘ফিরে এসেছি আবার’ এবং স্লোগান ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’।
পিনাকী ভট্টাচার্য তার বিশ্লেষণধর্মী পোস্ট, সরকার ও সমাজ নিয়ে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সক্রিয় অনলাইন উপস্থিতির জন্য পরিচিত। তার ফেসবুক পেজে লক্ষাধিক অনুসারী রয়েছে, যারা নিয়মিত তার লেখালেখি ও লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে মতামত জানতে উৎসাহী।
পেজ ডিজেবল হওয়ার ঘটনায় অনেক অনুসারী উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তবে এখন তিনি আবার সক্রিয়ভাবে লিখতে শুরু করেছেন, যা তার সমর্থকদের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে।

সন্তোষ শর্মা ইস্যুতে যে ‘নসিহত’ রফিকুল মাদানীর
অনলাইন ডেস্ক

জেলখানায় আলেমদের ব্যাপারে খোঁজখবর এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে বিশেষ অবদান রাখায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রশংসা করেছেন তরুণ আলেম রফিকুল ইসলাম মাদানী। তবে চলমান সন্তোষ শর্মা ইস্যুতে দলটিকে পরামর্শ দিয়ে কিছু কথা বলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রফিকুল ইসলাম মাদানী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে করা এক পোস্টে এসব কথা বলেন। তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
আমি যখন জেলখানায় ছিলাম, সেই সময় যেই দল বা দলের লোকেরা আমার ও আমার পরিবারের সবচেয়ে বেশি খোঁজখবর রেখেছে, সেই দলটির নাম জামায়াতে ইসলামী।
যে যতটুকু করেছে, ততটুকু বলাটা আমার নৈতিক দায়িত্ব; এখানে আমার কোনো দ্বিধা নেই।
যে সন্তোষ শর্মা আমাকে, শায়খ হারুন ইজহার হাফিজাহুল্লাহ এবং আরো অনেক আলেমকে রিমান্ডে নির্যাতন করেছে, সে যে বাংলাদেশের এক চিহ্নিত ‘র’-এর এজেন্ট—এটা কে না জানে! তাকে দাওয়াতি সেমিনারে আমন্ত্রণ জানানো হলে, আমাদের মনে কষ্ট আসাটাই স্বাভাবিক। যারা আমাদের সহযোগিতা করেছে, তাদের আমরা যখন আমাদের নির্যাতনকারীদের সম্মানের সঙ্গে ক্তব্য দিতে দেখি, তখন তা অত্যন্ত কষ্টদায়ক হয়—যা সহজে বোঝানো যায় না।
তাই এই সমালোচনাকে বিনা ব্যাখ্যায় মূল্যায়ন করবেন বলে আশা করি। এটাও মনে রাখবেন—এই ভারতীয় গোষ্ঠী কখনো আপনাদের ক্ষমতায় দেখতে চাইবে না। যতই তাদের সঙ্গে মিল দেওয়ার চেষ্টা করেন, কোনো লাভ হবে না।
তাই নুরুজ্জামান নোমানী ভাইসহ যারা একপাক্ষিকভাবে এ ধরনের কাজকে সমর্থন করছেন এবং সমালোচকদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করছেন—তাদের অনুরোধ করব এসব বন্ধ করুন।
জামায়াত নেতাদের বলছি—সতর্ক থাকুন, এদের থেকে দূরে থাকুন এবং হিতাকাঙ্ক্ষীদের সমালোচনাকে গুরুত্ব দিন।

বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
অনলাইন ডেস্ক

বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে ক্ষমা চান তিনি। এ সময় আসিফ মাহমুদ জানান, তার বাবার নামে করা ঠিকাদারি লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে।
ওই ফেসবুক পোস্টে আসিফ মাহমুদ বলেন, আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
নিজের বাবার পরিচয় দিয়ে উপদেষ্টা আসিফ বলেন, আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রের যেকোন ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেকোন লাইসেন্স করতেই পারে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট।
লাইসেন্স গ্রহণ ও বাতিলের মধ্যবর্তী সময়ে উক্ত লাইসেন্স ব্যবহার করে কোনো কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন আসিফ মাহমুদ।