<p>প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করা হাইকোর্টের রায় স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আগামীকাল বৃহস্পতিবার শুনানি হতে পারে।</p> <p>প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে শুনানির জন্য আবেদনটি বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় ৮ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে।</p> <p>তবে এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রয়াত বিচারপতি ও আইনজীবীদের স্মরণে ‘ফুলকোর্ট রেভারেন্স’ অনুষ্ঠান রয়েছে। আপিল বিভাগের ১ নম্বর বিচার কক্ষে (প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ যে কক্ষে বসে) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের এক বিজ্ঞপ্তিতে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative" data-id="1402904"><strong>আরও পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পিতৃত্বকালীন ছুটির নীতিমালা চেয়ে হাইকোর্টে রিট" class="img-fluid rounded-start m-0 w-100" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/07/03/1720000712-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p class="p-1 m-0 lh-sm">পিতৃত্বকালীন ছুটির নীতিমালা চেয়ে হাইকোর্টে রিট</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Court/2024/07/03/1402904" target="_blank"> </a></div> </div> <p><br />  <br /> এদিন আপিল বিভাগে বিচারকাজ চলবে কিনা জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, “যথারীতি সকাল ৯টায় আপিল বিভাগ বিচারকাজে বসবেন।”</p> <p>কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে পাঁচ বছর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরির নিয়োগে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। এ রায়ের ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফিরে আসে। এ রায় স্থগিত চেয়ে রবিবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু গত ৯ জুন প্রাথমিক শুনানির পর আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) শুনানির জন্য রেখেছিলেন চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative" data-id="1402950"><strong>আরও পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার পরিকল্পনা নেই’" class="img-fluid rounded-start m-0 w-100" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/07/03/1720011989-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p class="p-1 m-0 lh-sm">‘চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার পরিকল্পনা নেই’</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/07/03/1402950" target="_blank"> </a></div> </div> <p><br />   <br /> অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ আবেদনের পক্ষে শুনানি করার কথা রয়েছে। আর রিট আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করার কথা রয়েছে আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজুর।<br />   <br /> ২০১৮ সলে কোটা পদ্ধতি বাতিল করার আগ পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষণ করা হতো। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ছিল ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ কোটা।</p>