<p>রমজান মাসের ২৯তম রাতে পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে পবিত্র কোরআন খতম অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত তারাবি শেষ হওয়ার পর পবিত্র কোরআন খতমের দোয়া করেন শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস। প্রতিবছরের মতো এবারও তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে দীর্ঘ দোয়া পরিচালনা করেন। এ নিয়ে তিনি পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে টানা ৩৪ বছর তারাবির নামাজে কোরআন খতম করলেন। বর্তমানে তিনি মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা পর্ষদের ধর্মবিষয়ক প্রধান হিসেবে রয়েছেন।</p> <p>আর পবিত্র মসজিদে নববীতে তারাবির নামাজের পর কোরআন খতমের দোয়া পরিচালনা করেন শায়খ সালাহ আল-বুদাইর। উভয় মসজিদের দোয়ায় সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য আমল কবুল এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির প্রার্থনা করা হয়। তা ছাড়া মুসলিম বিশ্বের শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি কামনা করে অশ্রুসিক্ত নয়নে এই দোয়ায় অংশ নেয় বিশ্বের লাখ লাখ মুসল্লি।</p> <p>১৪৪৫ হিজরি সনে পবিত্র মসজিদুল হারামে তারাবি ও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়িয়েছেন শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস, শায়খ ড. আবদুল্লাহ আল-জুহানি, শায়খ ড. বান্দার বালিলাহ, শায়খ ড. মাহির আল-মুয়াইকালি, শায়খ ড. আল-ওয়ালিদ বিন খালিদ আল-শিমসান ও শায়খ বদর বিন মুহাম্মদ আল-তুর্কি। এদিকে পবিত্র মসজিদে নববীতে তারাবি ও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়িয়েছেন শায়খ ড. আবদুল্লাহ আল-বুয়াইজান, শায়খ ড. আবদুল মুহসিন আল-কাসিম, শায়খ আহমদ বিন তালিব, শায়খ সালাহ আল-বুদাইর, শায়খ ড. আলী আল-হুজাইফি, শায়খ ড. মুহাম্মদ বারহাজি ও শায়খ ড. আবদুল্লাহ আল-কারাফি।</p> <p>উল্লেখ্য, শায়খ আবদুর রহমান আল-সুদাইস দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে পবিত্র মসজিদুল হারামে ইমাম হিসেবে রয়েছেন। মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯৮৪ সালে ১৪০৪ হিজরিতে এই মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে নিয়োগ পান। এ ছাড়া ২০১২ সাল মোতাবেক ১৪৩৩ হিজরিতে সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা পরিষদের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। গত ৩৪ বছর ধরে তিনি হারাম শরিফের তারাবিতে কোরআন খতম করছেন। কোরআন খতমের পর কান্নাজড়িত কণ্ঠে দোয়া করে পরিচিতি পান তিনি।</p> <p><strong><em>সূত্র : এসপিএ</em></strong></p> <p><strong><em><iframe frameborder="0" height="600" scrolling="yes" src="https://twitframe.com/show?url=https://twitter.com/Emam_moathen/status/1777095459263164705" width="1000"></iframe></em></strong></p>
