বিয়ে করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
জানা যায়, সারজিস আলমের শ্বশুরের নাম লুৎফর রহমান। তিনি একজন আইনজীবী।
বিয়ে করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
জানা যায়, সারজিস আলমের শ্বশুরের নাম লুৎফর রহমান। তিনি একজন আইনজীবী।
সার্জিস আলমের শ্বশুরের পরিবার সূত্র জানায়, গাজিপুরের রাজিন্দ্র রিসোর্টে শুক্রবার আসরের নামাজের পর পারিবারিকভাবে তাদের বিবাহ কার্য সম্পন্ন হয়েছে। এক বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সার্জিস আলমের স্ত্রী সবার বড়।
সারজিস আলমের বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
এদিকে, আজ শনিবার নিজের বিয়ে নিয়ে কথা বলেছেন সারজিস আলম।
এতে সারজিস আলম বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী। গতকাল (শুক্রবার) আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। দুই পরিবারের উপস্থিতিতে মসজিদে বাদ আসর ছোট পরিসরে এই বিবাহ সম্পন্ন হয়।
তিনি বলেন, ‘যারা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, দু’আ করেছেন; আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। পারিবারিকভাবে ছোট পরিসরে হওয়ায় কাছের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীকে বলতে পারিনি। সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে সুবিধাজনক সময়ে কিছুটা বড় পরিসরে একসাথে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা আছে। আমাদের জন্য দু’আ করবেন।’
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণপরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে। তিনি মনে করেন, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণে সহায়তা করবে।
তার এই বক্তব্য নাকচ করে দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের কথা পরিষ্কার, এখানে (একসঙ্গে গণপরিষদ ও সংসদ নির্বাচন) কোনো জাতীয় ঐক্য, এ বিষয়ে হয়তো হবে না, একটি মেজর পলিটিক্যাল পার্টির সদস্য হিসেবে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি।
শনিবার (৮ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টনের একটি হোটেলে খেলাফত মজলিসের ইফতার মাহফিলে শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গতকাল দেখলাম, আমাদের রাজনীতিতে আসা নতুন বন্ধুরা একটা নতুন প্রস্তাব করেছেন। কিন্তু রাজনীতির একটা অভিধান আছে, যেটাকে আমরা পলিটিক্যাল গ্রামার বা ডিকশনারি বলি।
‘গণপরিষদ হচ্ছে শুধু রাষ্ট্রের সংবিধান প্রণয়নের জন্য একটি ফোরাম।
ইফতার মাহফিলে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত আবদুল কাইয়ুম, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জেএসডির মহাসচিব শহীদউদ্দিন মাহমুদ, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মর্তুজা, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির আবু জাফর কাশেমী, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি আবদুর রব ইউসুফী, মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খেলাফত মজলিমের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানান। ইফতারের আগে মোনাজাত পরিচালনা করেন দলের আমির আবদুল বাছিত আজাদ।
রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকায় জাতীয় পার্টির ইফতার অনুষ্ঠান পণ্ড হয়েছে। ওই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
জানা যায়, শনিবার পল্লবীর একটি কমিনিউটি সেন্টারে ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্থানীয় জাতীয় পার্টি। তবে, ইফতারের একঘণ্টা আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সেখানে উপস্থিত হয়ে ওই কমিনিউটি সেন্টারের গেটে তালা লাগিয়ে দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব ইমরান হোসাইন জানান, জাতীয় পার্টি ছিল স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দোসর। ফলে বিচারের আগে তারা কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারে না।
এ সময় তিনি ঘোষণা দেন যে, বিচার হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মিরপুর এলাকায় জাতীয় পার্টিকে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেবে না ছাত্র-জনতা।
তবে, স্থানীয় জাপা নেতারা দাবি করেন, জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের দোসর নয়। কখনো দোসর ছিল না। বরং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তারা ছাত্র-জনতার পক্ষে ছিলেন।
তারা জানান, পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রওয়ানা দিয়েছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, 'আমাদের কথা পরিষ্কার, এখানে (একসঙ্গে গণপরিষদ ও সংসদ নির্বাচন) কোনো জাতীয় ঐক্য, এ বিষয়ে হয়তো হবে না, একটি মেজর পলিটিক্যাল পার্টির সদস্য হিসেবে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনই হবে সবচেয়ে জরুরি এবং আমাদের অগ্রাধিকার।' শনিবার (৮ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টনের একটি হোটেলে খেলাফত মজলিসের ইফতার মাহফিলে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে এক সাক্ষাতকারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, 'গণপরিষদ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে।
তার ওই বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'গতকাল দেখলাম, আমাদের রাজনীতিতে আসা নতুন বন্ধুরা একটা নতুন প্রস্তাব করেছেন। কিন্তু রাজনীতির একটা অভিধান আছে, যেটাকে আমরা পলিটিক্যাল গ্রামার বা ডিকশনারি বলি। সেখানে ওই রকম কোনো শব্দাবলি নেই।
ইফতার মাহফিলে আর উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, খেলাফত মজলিসের আমির আবদুল বাছিত আজাদ, মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত আবদুল কাইয়ুম, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জেএসডির মহাসচিব শহীদউদ্দিন মাহমুদ, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মর্তুজা, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দী, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই বলে জামায়াতে ইসলামী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে জানিয়ে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, এ দেশের প্রতিটি নাগরিক সমান অধিকারভুক্ত।
শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সম্মানে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ যেন আর কখনো পথ হারিয়ে না ফেলে, সে জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে দাবি করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী এ সংস্কার উদ্যোগকে স্বাগত জানায় এবং ইতোমধ্যে বিভিন্ন পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান করেছে।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে বাংলাদেশে প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) ভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালুর পক্ষে আমরা জোরালো মতামত ব্যক্ত করেছি।
জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা মনে করি, একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক ব্যবস্থা টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীকে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার নিজেদের প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। তাদের বিরোধী হওয়ায় আমাদের ওপর সর্বোচ্চ শোষণ ও নির্মমতা নেমে আসে।’