বৈধ পথে কত বৈদেশিক মুদ্রা নেওয়া যাবে

জিয়াদুল ইসলাম
জিয়াদুল ইসলাম
শেয়ার
বৈধ পথে কত বৈদেশিক মুদ্রা নেওয়া যাবে

অর্থপাচার, হুন্ডি প্রতিরোধ ও অনানুষ্ঠানিক পন্থায় বৈদেশিক মুদ্রার বহির্গমন রোধে সম্প্রতি সময়ে বৈদেশিক লেনদেনের বিধিবিধান সহজ ও উদারীকরণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ভ্রমণ, ব্যবসা, আউটসোর্সিং, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কোটায় আগের চেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে নিতে পারছেন বিদেশে গমনেচ্ছুরা। তবে মনে রাখতে হবে, বিদেশে গমনকালে কোটা অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাসপোর্টে এনডোর্স করে নিতে হবে। অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের শাখা ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত মানি চেঞ্জারকে এই বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রি ও এনডোর্সমেন্টের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, আমদানির বিপরীতে অগ্রিম অর্থ প্রেরণ, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে অর্থায়ন, আউটসোর্সিংসহ বিভিন্ন সেবার বিপরীতে বিদেশ থেকে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা এবং প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স গ্রহণ আগের চেয়ে সহজতর হয়েছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বিশ্বের যেকোনো দেশে ভ্রমণের সময় প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি (১২ বছরের বেশি) বছরে ১২ হাজার ডলার পর্যন্ত সঙ্গে নিতে পারবেন। তবে ১২ বছরের নিচের বাচ্চাদের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের অর্ধেক খরচ করা যাবে। তাদের একজনের ক্ষেত্রে তা কোনোভাবেই বছরে পাঁচ হাজার ডলারের বেশি হবে না।

গত বছর ২৮ জুলাই বিদেশ ভ্রমণে সব দেশে ডলার নিতে সমান সুযোগ চালু করতে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে অঞ্চলভেদে বৈদেশিক মুদ্রা নেওয়ার ভিন্ন ভিন্ন সীমা ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দেশভিত্তিক ডলার ব্যবহারের সুযোগের কারণে নানা বিতর্ক ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে দেশ ও অঞ্চলভিত্তিক সীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে প্রাপ্ততা অনুযায়ী প্রতিবারে নগদ নোট আকারে ইউএস ডলার প্রাপ্তির সীমা এখন পাঁচ হাজার ডলার।

ব্যাবসায়িক প্রয়োজনে নতুন রপ্তানিকারক, আমদানিকারক এবং স্থানীয় উৎপাদনকারীর বিদেশ ভ্রমণে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়করণের সীমা প্রতিক্ষেত্রে চার হাজার ডলার। তবে তাঁদের বার্ষিক ভ্রমণ কোটা সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার। জরুরি আমদানির প্রয়োজনে বিদেশে সরবরাহকারীর অনুকূলে অগ্রিম প্রেরণের প্রয়োজন হলে কোনো ব্যাংক গ্যারান্টি ছাড়াই প্রতি ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার ডলার প্রেরণের সুযোগ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে দেশের রপ্তানিকারকরা জরুরি উপকরণাদি আমদানির জন্য তাঁদের নামে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা রিটেনশন কোটা হিসাবের জমা থেকে কোনো ব্যাংক গ্যারান্টি ছাড়াই প্রতি ক্ষেত্রে ১০ হাজার ডলার অগ্রিম পাঠাতে পারেন।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও সেমিনারে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে দৈনিক ভাতা হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা নেওয়ার যে ভিন্ন সীমা ছিল সেটিও সম্প্রতি তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত ৩ অক্টোবর এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সার্কুলার অনুযায়ী বর্তমানে যেকোনো দেশে প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা প্রতিদিন ভাতাবাবদ ৪০০ ডলার সঙ্গে নিতে পারবেন। তবে মিয়ানমার ও সার্কভুক্ত দেশে এর পরিমাণ দৈনিক ৩৫০ ডলারের বেশি হবে না। একই সঙ্গে ট্রানজিট প্রেরণের জন্য অতিরিক্ত এক দিনের ভাতার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও সঙ্গে নিতে পারবেন তাঁরা। আগে সার্কভুক্ত দেশ ও মিয়ানমারের জন্য ৩৫০ ডলার এবং এর বাইরে অন্য সব দেশের জন্য ৪০০ ডলার পর্যন্ত নেওয়ার সুযোগ ছিল।

বৈদেশিক বিনিময় লেনদেন নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী, দেশে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলো চিকিত্সা ও আনুষঙ্গিক ব্যয়বাবদ প্রতি যাত্রায় সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে নিতে পারে। তবে এর বেশি অর্থ ছাড় করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদনের দরকার হয়।

তথ্য ও প্রযুক্তি (আইটি) প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক বৈদেশিক লেনদেনের সীমাও গত সপ্তাহে বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে যেকোনো আইটি বা সফটওয়্যার ফার্ম ব্যাবসায়িক কাজে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি ছাড়াই বছরে ৪০ হাজার ডলারের লেনদেন করতে পারবে। আগে এই সীমা ছিল ৩০ হাজার ডলার। এ ছাড়া কার্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক লেনদেনের সীমাও বাড়ানো হয়েছে। আগে এই সীমা ছিল ছয় হাজার ডলার। এখন তা বাড়িয়ে আট হাজার ডলার করা হয়েছে।

এ ছাড়া বিদেশ থেকে আগত নিবাসী ও অনিবাসী ব্যক্তি যেকোনো পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে আনতে পারেন। তবে এর পরিমাণ পাঁচ হাজার ডলারের বেশি হলে এফএমজি ফরমে শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে তার ঘোষণা দিতে হয়। বাংলাদেশে নিবাসী কোনো ব্যক্তি বিদেশ থেকে সঙ্গে আনা ন্যূনতম পাঁচ হাজার ডলার পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রা নিজের কাছে জমা কিংবা অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে নিবাসী বৈদেশিক অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে পারেন। পরবর্তী সময়ে বিদেশ যাত্রার সময় এই অর্থ সঙ্গে নিয়েও যেতে পারেন। তবে পাঁচ হাজার ডলারের বেশি আনা অর্থ দেশে আসার এক মাসের মধ্যে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে কিংবা লাইসেন্সধারী মানি চেঞ্জারের কাছে বা নিবাসী বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্টে জমা রাখা ওই ব্যক্তির জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

অন্যদিকে বিদেশ থেকে আসা অনিবাসীরা সঙ্গে আনা বৈদেশিক মুদ্রা নিজের কাছে বা অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে অনিবাসী বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে পারেন এবং বাংলাদেশ ত্যাগকালে অব্যবহূত অংশ সঙ্গে নিতে পারেন। তবে পাঁচ হাজার ডলারের বেশি হলে অনিবাসীকেও শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোষণা দিতে হবে। এ ছাড়া ফরম ‘সি’ তে ঘোষণা ছাড়াই বিদেশ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো পাঁচ হাজার ডলার সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা টাকায় গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২১ বিলিয়ন ডলার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২১ বিলিয়ন ডলার

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ১৪০ কোটি ডলার। রবিবার (৯ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি মাস মার্চের ৬ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬.৬০ বিলিয়ন বা দুই হাজার ৬৬০ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বর্তমানে রিজার্ভ হলো ২১.৪০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১৪০ কোটি ডলার।

এর আগে গত মাস ফেব্রুয়ারির ২৭ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬.১৩ বিলিয়ন বা দুই হাজার ৬১৩ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২০.৯০ বিলিয়ন বা দুই হাজার ৯০ কোটি ডলার।

এদিকে দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয় দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসের পুরো সময়ে আড়াই বিলিয়ন (২.৫৩ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩০ হাজার ৮২৯ কোটি টাকার বেশি।

মন্তব্য

রিয়েল এস্টেট খাতে রাজনীতিবিদ ও আমলাদের বিনিয়োগ কমেছে : ইকবাল হোসেন

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন প্রতিবেদক
শেয়ার
রিয়েল এস্টেট খাতে রাজনীতিবিদ ও আমলাদের বিনিয়োগ কমেছে : ইকবাল হোসেন
ছবি: কালের কণ্ঠ

জেসিএক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ‘রিয়েল এস্টেট সেক্টরটি এ মুহূর্তে খুব ভালো নেই। আমরা রিয়েল এস্টেট উদ্যোক্তারা ও যারা ফ্ল্যাট নির্মাণের সঙ্গে জড়িত আমরা খুব কঠিন সময় পার করছি। এর পিছনে বর্তমান রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং নির্মাণসামগ্রীর উর্দ্ধমূল্য কিংবা ব্যাংকের ইন্টারেস্ট রেট সবকিছু মিলে রিয়েল এস্টেট কঠিন মন্দাকালীন সময় পার করছি আমরা।

রিয়েল এস্টেট খাতের অন্যতম বিনোয়গকারী হলেন রাজনীতিবিদ ও আমলারা।

তারাই বিনিয়োগ করে থাকেন। কিন্তু এখন উপদেষ্টা পরিষদ আছেন, তা খুব স্বল্প সংখ্যক। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক নেতা নেই, তাই রিয়েল এস্টেটে তেমন বিনিয়োগ নেই। এর জন্য আমরা বড় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকে দেখছি।
কারণ রাজনৈতিক নেতাদের বড় অংশ রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করতেন। এছাড়াও আমলারাও বিনিয়োগ করতেন, কিন্তু সেটি আমরা এখন পাচ্ছি না। কারণ দেশ একটা সংকটাপূর্ণ অবস্থায় আছে। তাই সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে এই সেক্টরটিকে বাঁচাতে  হবে।

তিনি আরো বলেছেন, যারা আগে বিনিয়োগ করেছেন, তাদের সেই বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত চাচ্ছেন বা বিক্রি করে দিচ্ছেন। আমরা যাদের কাছ থেকে বিনিয়োগ পেয়েছিলাম তারা রাজনৈতিক কারণে এখন দেশে নেই। ফলে তারা ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য নানাভাবে চেষ্টা করছেন। তাই এই সময়ে রিয়েল এস্টেট সেক্টরটি কঠিন ক্রান্তিলঙ্গে আছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নানা সেক্টর নিয়ে কাজ করছেন, কিন্তু রিয়েল এস্টেট নিয়ে তারা কতটুকু মাথা ঘামাচ্ছে? বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেক কাজ।

তারা কঠিন বাস্তবতায় এসেছেন এবং নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন। কিন্তু তারা রিয়েল এস্টেট নিয়ে সেভাবে সময় দিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে না। আমরা সংশোধিত ড্যাব বাস্তবায়নের জন্য তাদের কাছে গেলেও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। 

এই খাত ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর সঙ্গে জড়িত ৩৫ লাখ মানুষের কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আবাসন খাতে ৩৫ লাখ মানুষ জড়িত। এছাড়াও এর সঙ্গে ১৫০টির মতো লিঙ্ককের শিল্প আছে। তাই এই খাত বাঁচাতে আলাদা মন্ত্রণালয় প্রয়োজন। এই শিল্পকে বাঁচাতে সহজ শর্তে ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ চেয়েছিলাম, সেটি দেওয়া হয়নি। এই শিল্পে যেসব কাঁচামাল ব্যবহার হয় সবগুলো আমদানি নির্ভর। সেজন্য ডলার রেটের বৃদ্ধিতে সেটি নির্মাণশিল্পের উপরে এসে পড়েছে। এছাড়াও গ্রাহকরা যে ঋণ নিবেন সেই ঋণের জন্য সুদের হার সর্বোচ্চ। এজন্য যারা ফ্ল্যাট কিনবেন সেটিও গ্রাহকরা বহন করতে পারছেন না। তাই এই সেক্টরকে বাঁচাতে বড় পরিকল্পনা দরকার। 

নির্বাচিত সরকার আসলে এই খাত বাঁচাতে করণীয় জানতে চাইলে বলেন, এই খাতে সরকারের ‍দৃষ্টি দিতে হবে। এই বিষয়ে বিশদ পরিকল্পনা দরকার। এছাড়াও মন্ত্রণালয় দরকার। এছাড়াও এই খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ প্রয়োজন। গ্রাহকদের কম সুদে ঋণ ও রেজিস্ট্রেশন খরচ কমালে এই শিল্পকে বাঁচানো সম্ভব বলে আমার মনে হয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ভরিতে ১০৩৮ টাকা কমল সোনার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভরিতে ১০৩৮ টাকা কমল সোনার দাম
সংগৃহীত ছবি

দেশের বাজারে কিছুটা কমেছে সোনার দাম। নতুন করে প্রতি ভরিতে ভালো মানের সোনা (২২ ক্যারেট) দাম এক হাজার ৩৮ টাকা কমে এক লাখ ৫০ হাজার ৮৬২ টাকা হয়েছে। আগামীকাল রবিবার থেকে সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।

শনিবার (৮ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ মূল্য হ্রাসের তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।

আরো পড়ুন
এক দিন ‘ম্যানেজ’ করলেই ঈদে ছুটি মিলবে ৯ দিন

এক দিন ‘ম্যানেজ’ করলেই ঈদে ছুটি মিলবে ৯ দিন

 

নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে এক লাখ ৪৪ হাজার ৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ২৩ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ১ হাজার ৬৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৫৭৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৪৪৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ১১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পোশাক ও বস্ত্র খাতের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় চান মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পোশাক ও বস্ত্র খাতের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় চান মালিকরা
সংগৃহীত ছবি

টেকসই পোশাক ও বস্ত্র খাতের জন্য একটি আলাদা মন্ত্রণালয় চান শিল্প মালিকরা। তারা বলছেন, একক খাত হিসেবে রপ্তানি আয়ের বড় উৎস পোশাক খাত। তবে বৈশ্বিক ও স্থানীয় নানামুখী নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এসব মোকাবেলা করতে দীর্ঘমেয়াদি নীতি দরকার, এ জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করা জরুরি।

শনিবার (৮ মার্চ) রাজধানীর একটি একটি হোটেলে পোশাক মালিকরা এসব কথা বলেন। বিজিএমইএ নির্বাচনী জোট-ফোরাম সাধারণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনা ও ইফতারের আয়োজন করে।

এ সময় ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, বিগত দিনে বিজিএমইএ দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়, যা দুঃখজনক। হারানো ভাবমূর্তি ফেরাতে হবে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, আগামী দিনে যারা বিজিএমইএর নেতৃত্বে দেবেন, তারা যাতে কেবল কার্ড বহনকারী পরিচালক হিসেবে পরিচিতি না পান। তাদের দৃঢ প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। সরকারের সঙ্গে আঁতাত নয়, দেশের স্বার্থে, পোশাক খাতের জন্য নির্দেশনা দিতে হবে। অন্যথায় শিল্প টিকবে না।

এ সময় ফোরাম প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নীতি সহায়তা দরকার পোশাক খাতের জন্য। এই খাত নিয়ে দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র চলে সব সময়। শ্রমিক অসন্তোষের নামে নৈরাজ্য তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন সময়। এর পেছনে রাজনীতি জড়িত কিনা খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ শ্রমিকরা তাদের রুটি রুজি নষ্ট করতে পারে না।

একই সঙ্গে কাস্টমসের নিরীক্ষা হয়রানি থেকে উদ্যোক্তাদের রেহাই দিতে হবে। আর টেকসই নীতির জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় দরকার।

ফোরাম মহাসচিব রশিদ আহমেদ হোসাইনী বলেন, সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, এরই মধ্যে প্রায় ৭০০ ভুয়া ভোটার শনাক্ত হয়েছে। তাদের ভোটাধিকার বাতিল করা হয়েছে। এটি খুব লজ্জার। আমরা চাইবো, আগামী নির্বাচন, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হবে। মনে রাখতে হবে, এই খাত ছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখা যাবে না। আর বিজিএমইএ কোন দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করা যাবে না।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা বলেন, ব্যবসা সরকার বোঝে না, সরকারকে বোঝানোর দায়িত্ব আমাদের। যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য সংগঠন হিসেবে বিজিএমইএকে ভূমিকা নিতে হবে। আন্তর্জাতিক ব্যবসার জন্য যেসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে, সেগুলো ঠিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে না। মালিকরা খুব হতাশাভাবেই কাজ করছে। সমস্যাটা সবার।

আরেক সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বিজিএমইএ তে দক্ষ নেতৃত্ব দরকার।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি. ড. রুবানা হক বলেন, বহু বছরের জঞ্জাল থেকে মালিকরা রেহাই চান। নানা কারণে বিজিএমইএ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বিগত দিনে। এবার একটি স্বচ্ছ ভোট হতে হবে ভারমূর্তি ফেরাতে। তাছাড়া নিয়ন্ত্রণ বহিভূর্ত কারণে কোন কারখানা রুগ্ন হতে পারে। কিন্তু কোন মালিক বিপদে পড়লে তার এক্সিট নাই। একটি বিশদ এক্সিট পলিসিটি করতে হবে পোশাক খাতের জন্য। বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে ন্যায্য দর নিয়ে দর কষাকষি বাড়াতে হবে মালিকদের।

ফোরাম সভাপতি আব্দুস সালামসহ মালিকরা পোশাক খাতের চিত্র তুলে ধরেন।

এদিকে, আগামী ২৮ মে বিজিএমইএ নির্বাচন। নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড তফসিল ঘোষণা করেছে। ২৪ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। আর সাধারণ সদস্যদের চাঁদা পরিশোধের শেষ দিন ২৯ মার্চ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ