<p>অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশে খাদ্য ও সারের কোনো ঘাটতি নেই। আগামীতে যাতে সংকট না হয়, এ জন্য আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে চাল ও গম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই না কোনোক্রমেই খাদ্য ঘাটতিতে পড়ুক।</p> <p>গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত ও ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।</p> <p>জানিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় চাল ও গম আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য জিটুজি (সরকার টু সরকার) পদ্ধতির মাধ্যমে দুই লাখ টন চাল ও চার লাখ টন গম আমদানি করা হবে।’</p> <p>তিনি জানান, এই চাল ও গম আমদানির সময় ৪২ দিন থেকে কমিয়ে ১৫ দিন করার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।</p> <p>বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে খাদ্য-নিরাপত্তা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে চাল ও গম আমদানির সময়সীমা ১৫ দিন নির্ধারণ করার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আগে এ সময়সীমা ছিল ৪২ দিন। অর্থাৎ দরপত্রের বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের মধ্যে চাল বা গম সরবরাহ করার বাধ্যবাধকতা ছিল। সে সময় কমিয়ে ১৫ দিন করা হলো।</p> <p>খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ ও পিপিআর ২০০৮ অনুযায়ী সরকার টু সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে চাল ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন পর এবার দুই লাখ টন চাল সরকারিভাবে আমদানির প্রস্তাব দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া জিটুজি ভিত্তিতে চাল কেনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক দরপত্রে প্রক্রিয়ার সময় কমানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।</p>