হরমোনের মাত্রা বজায় রাখবে যেসব খাবার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
হরমোনের মাত্রা বজায় রাখবে যেসব খাবার
সংগৃহীত ছবি

আমাদের শরীরের নানা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করে হরমোন। তবে যদি কোনো কারণে হরমোনের মাত্রায় ভারসাম্যহীনতা দেখা যায়। তার সরাসরি প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরে। ধীরে ধীরে তৈরি হয় নানান জটিলতা।

প্রত্যেকের মধ্যেই হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মধ্য দিয়ে যায়। এর অনেক কারণ ও উপসর্গ থাকতে পারে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার অন্যতম বড় কারণ হল— পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব।

আমাদের সুস্থ জীবনের জন্য হরমোন স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এটা অনেকাংশে নির্ভর করে আমাদের লাইফস্টাইলের ওপর। যেমন কিছু মানুষ দুপুরের খাবার এড়িয়ে যাযন, কেউ অতিরিক্ত কাজ করে, কারো গভীর রাতে স্ক্রিন দেখার অভ্যাস আছে, কেউ অতিরিক্ত চিন্তা করে। প্রায় সকলেরই দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক অভ্যাস থাকে, যা আমাদের শরীরের হরমোনকে ভারসাম্যহীন করে।

আরো পড়ুন
হরমোন নিয়ন্ত্রণে সকালের নাশতায় এই খাবারগুলো রাখুন

হরমোন নিয়ন্ত্রণে সকালের নাশতায় এই খাবারগুলো রাখুন

 

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিলে শরীরে কিছু উপসর্গ স্পষ্ট দেখা যায়।

যেমন- ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস হওয়া, ঘুমের সমস্যা, রক্তচাপ ও হার্ট রেট পরিবর্তন, বিরক্তি, বিষণ্নতা, উদ্বেগ, মুড পরিবর্তন, ক্লান্তি, ক্ষুধা পরিবর্তন, পেশি দুর্বলতা, জয়েন্টে ব্যথা, অতিরিক্ত ঘাম, চুল ঝরেপড়া বৃদ্ধি, মুখে বা শরীরে লোমের পরিমাণ বৃদ্ধি ইত্যাদি। 

এই অবস্থায় ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পুষ্টিকর খাদ্য ও কিছু বিশেষ খাবার এই সমস্যা সমাধান করতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী ধরনের খাবার হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।

স্বাস্থ্যকর ফ্যাট

আপনার ডায়েটে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করুন।

যেমন চিয়া সিড, আখরোট, চর্বিযুক্ত মাছ ইত্যাদি। যা হরমোন উৎপাদন প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে তোলে।

আরো পড়ুন
যেসব কারণে প্রতিদিন দুধ খাবেন

যেসব কারণে প্রতিদিন দুধ খাবেন

 

উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার

ফ্লেক্স সিড, ব্রোকলি, স্প্রাউট, বাঁধাকপি, শস্য, ফল-মূলের মতো উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খেলে ইস্ট্রোজেন সহজেই বর্জ্য আকারে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। যার ফলে এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার 

চর্বিহীন মাংস, ডাল, ডিমের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ভারসাম্য বজায় থাকে, যা টেস্টোস্টেরনের মতো হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে।

এছাড়াও এই বিশেষ খাবার দিয়ে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব, যা হল- 

১. শণের বীজ- পুষ্টিতে ভরপুর শণের বীজ ইস্ট্রোজেনের মাত্রা ভারসাম্য রাখে। ২. বাদাম- এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে। 

আরো পড়ুন
যে উপায়ে রান্না করলে কড়াইয়ে আটকাবে না খাবার

যে উপায়ে রান্না করলে কড়াইয়ে আটকাবে না খাবার

 

৩. তিল- এতে ফাইটোয়েস্ট্রোজেন পাওয়া যায়, যা ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। 

৪. কুমড়ার বীজ- এগুলি জিঙ্ক সমৃদ্ধ, যা প্রোজেস্টেরন হরমোন উৎপাদনে সহায়তা করে। 

৫. সূর্যমুখী বীজ- এতে ভিটামিন এবং সেলেনিয়াম রয়েছে, যা প্রোজেস্টেরন এবং থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ত্বকের যত্নে নিম

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ত্বকের যত্নে নিম
সংগৃহীত ছবি

শীত শেষে এখন বসন্তের আগমন প্রকৃতিতে। বাড়ছে গরম। গরমে তাপ ও আর্দ্রতা ত্বকের জন্য বেশ ক্ষতিকর হতে পারে। ত্বকে ব্রণ ও ফুসকুড়ি হওয়া, ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যাওয়া এসব সমস্যা সাধারণত গরমের মৌসুমে হয়ে থাকে।

অনেকেই বাজারের স্কিন কেয়ার পণ্য ব্যবহার করেন, কিন্তু সেগুলোতে রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। এ অবস্থায় প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করা অনেক বেশি উপকারী এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি কম থাকে।

নিমের ব্যবহার
ত্বক রক্ষায় নিমপাতা অত্যন্ত কার্যকর। নিমপাতা অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণে ভরপুর।

যা ত্বক পরিষ্কার করতে এবং ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের ভালো যত্ন নিতে নিমের বিভিন্ন ব্যবহার রয়েছে।

নিমের ফেসপ্যাক
ব্রণের সমস্যা কমাতে নিমপাতা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। নিমপাতা গুঁড়া করে তার সঙ্গে এক চামচ বেসন ও এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন।

মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার এই প্যাকটি ব্যবহারে ব্রণ কমে যাবে এবং ত্বক স্বাস্থ্যকর দেখাবে।

নিম ফেস মিস্ট
যদি ত্বক তৈলাক্ত হয়ে থাকে এবং মুখে ব্রণ হয়, তাহলে নিম ফেস মিস্ট ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। এক গ্লাস পানিতে এক মুঠো নিমপাতা সিদ্ধ করে অর্ধেক হয়ে গেলে সেটি ঠাণ্ডা করে স্প্রে বোতলে ভরে নিন। সকালে ও সন্ধ্যায় মুখে এটি স্প্রে করুন এবং তুলার সাহায্যে পরিষ্কার করুন।

এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল ও ময়লা দূর করে ত্বককে সতেজ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করবে।

রোদে পোড়া ত্বকে লাবণ্য ফিরিয়ে আনা
রোদে পোড়া সাধারণ একটি সমস্যা। এর থেকে মুক্তি পেতে দই ও নিমপাতা দিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। এক চামচ দইয়ের সঙ্গে নিমপাতার পেস্ট মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে ঠাণ্ডা করে ও রোদে পোড়া ভাব দূর করতে সাহায্য করে।

সূত্র : নিউজ ১৮

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বাতের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
বাতের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
সংগৃহীত ছবি

বাতের ব্যথা ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা একটি রোগ। যা শরীরের জয়েন্টে ইউরিক এসিড জমে তৈরি হয়। সময়ের সঙ্গে এটি শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলে এবং তীব্র যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। সঠিক চিকিৎসা ও কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় মেনে চললে বাতের ব্যথা দূর করা সম্ভব।

নিচে বাতের ব্যথা কমানোর কিছু উপায় তুলে ধরা হলো :

আদা চা
আদা চা বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। গরম পানিতে চা-পাতা, চিনির সঙ্গে আদা কুচি দিয়ে চা তৈরি করুন এবং প্রতিদিন দুবার পান করুন। আপনি চাইলে দুধ চায়ের সঙ্গে আদা দিতে পারেন, তবে দুধ চা স্বাস্থ্যের জন্য ততটা উপকারী নয়।

গ্রিন টি
গ্রিন টিতে থাকা পলিফেনল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

প্রতিদিন তিন-চার কাপ গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি ব্যথা কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

গরম ও ঠাণ্ডা পানির চিকিৎসা
বাতের ব্যথা কমানোর জন্য একটি সহজ পদ্ধতি হলো ঠাণ্ডা এবং গরম পানির সেঁক। গরম সেঁক রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, আর ঠাণ্ডা সেঁক প্রদাহ এবং ফুলে যাওয়া কমাতে সহায়ক।

 

খালি পায়ে হাঁটুন
বাতের ব্যথা কমানোর জন্য খালি পায়ে হাঁটা একটি কার্যকর পদ্ধতি। এটি ব্যথা ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মাপের জুতা ব্যবহার করুন।

জাংকফুড থেকে বিরত থাকুন
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খায়, তাদের বাতের ব্যথা হওয়ার প্রবণতা কম থাকে। তাই ভাজাপোড়া, ফাস্ট ফুড, প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।

হলুদের ব্যবহার
কাঁচা হলুদ বাতের ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকর। প্রতিদিনের খাবারে হলুদ ব্যবহার করুন, বিশেষ করে তরকারিতে।

সরিষার তেলের ব্যবহার
সরিষার তেল জয়েন্টে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং জয়েন্টে ব্যথা কমাতে কার্যকর।
১-২ কাপ সরিষার তেল হালকা গরম করে আক্রান্ত জায়গায় মালিশ করতে পারেন। তেলের সঙ্গে রসুনের পেস্ট মিশিয়ে নিতে পারেন।

এই ঘরোয়া উপায়গুলো নিয়মিত মেনে চললে, ওষুধ ছাড়াই বাতের ব্যথা কমানো সম্ভব। তাই আপনি যদি বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চান, তবে উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন।

সূত্র : হেলথ ডি স্পোর্টস ডট কম 

মন্তব্য

সুশৃঙ্খল জীবনের জন্য কার্যকর কয়েকটি টিপস

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
সুশৃঙ্খল জীবনের জন্য কার্যকর কয়েকটি টিপস
সংগৃহীত ছবি

শৃঙ্খলা একটি ধারাবাহিক অভ্যাস। যা জীবনকে সুশৃঙ্খল ও উৎপাদনশীল করতে সাহায্য করে। সুশৃঙ্খল জীবন গড়তে প্রথম প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি। চলুন জেনে নেই কিছু অভ্যাস রয়েছে যা আপনাকে সুশৃঙ্খল জীবন গড়তে সহায়তা করবে।

নির্দিষ্ট রুটিন
জীবনে শৃঙ্খলা আনতে প্রথমে একটি রুটিন তৈরি করুন। কোন কাজ কখন করবেন, তা দিনের শুরুতেই নির্ধারণ করে নিন। যেমন- শরীরচর্চা, পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজ।

পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ
ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং চারপাশের নানা বিপদজনক প্রলোভন আমাদের বিভ্রান্ত করতে পারে।

এই প্রলোভনগুলো কাটিয়ে উঠতে মনোসংযোগ এবং পরিবেশের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। নিজের মনোযোগ বিঘ্নিত হওয়ার আগে সিদ্ধান্ত নিন, কত সময় ফোন বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবেন।

কঠিন কাজ আগে করুন
গবেষণা বলছে, কঠিন কাজগুলো আগে করে ফেললে পরবর্তী কাজগুলো অনেক সহজ হয়ে যায়। যার ফলে উৎপাদনশীলতা বাড়ে।

শৃঙ্খলায় বিশ্বাস
গবেষণায় জানা গেছে, অনুপ্রেরণা বা সিদ্ধান্ত দীর্ঘ সময় টেকে না। তবে সঠিক কাজগুলো নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করলে শৃঙ্খলা সহজেই আসবে এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হবে।

স্পষ্ট লক্ষ্য
একটি স্পষ্ট লক্ষ্য থাকা শৃঙ্খল জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার লক্ষ্যগুলি তালিকাভুক্ত করুন এবং এক এক করে সেগুলি অর্জন করতে শুরু করুন। এতে আগ্রহও বাড়বে এবং ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

বিরতি নিন
একটানা কাজ করার ফলে মন এবং শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে, যা উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেয়। তাই মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া খুবই জরুরি।

সূত্র: এই সময় 

মন্তব্য

কাঁকরোল, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে উপকারী সবজি

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কাঁকরোল, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে উপকারী সবজি
সংগৃহীত ছবি

সবুজ শাক-সবজি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। কাঁকরোল একটি এমন সবজি, যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। 

কাঁকরোলে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়ামসহ নানা পুষ্টির উপাদান, যা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

কাঁকরোল ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভালো।

এতে উদ্ভিদের ইনসুলিন থাকে, যা রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া কাঁকরোল ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং হার্ট ও চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করে। এতে থাকা লুটিন ও অন্যান্য ক্যারোটিনয়েড চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
 

এ ছাড়া কাঁকরোলে থাকে ভিটামিন সি যা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কাঁকরোলের মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন, লুটিন এবং জেক্সানথিন ত্বককে ডিটক্সিফাই করে এবং বয়স বাড়ার প্রক্রিয়া ধীর করে। 

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ