স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এসইউবি) পাবলিক হেলথ বিভাগ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এক বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করে। ‘অদৃশ্য শত্রু: মাইক্রোপ্লাস্টিক-মাতৃত্ব ও নবজাতক স্বাস্থ্যঝুঁকি’ শীর্ষক সেমিনারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে অবস্থিত ডক্টরস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আখতার হোসেন খান। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের তাৎপর্য ও সমসাময়িক স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে গবেষণা ও জনসচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মো. মাহমুদুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক, বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, এসইউবি। তিনি মাইক্রোপ্লাস্টিক দ্বারা পরিবেশ দূষণ এবং এর মাতৃত্ব ও নবজাতক স্বাস্থ্যের উপর ভয়াবহ প্রভাব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও গবেষণালব্ধ ফলাফল তুলে ধরেন।
সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুইজন বিশিষ্ট স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ: প্রফেসর ড. শামসুন নাহার, অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (BUP), ও সাবেক অধ্যাপক, কিং খালেদ ইউনিভার্সিটি, সৌদি আরব ও প্রফেসর ড. হালিদা হানুম, সদস্য, মহিলা বিষয়ক সংস্কার কমিশন, বাংলাদেশ সরকার এবং সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট, জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ, যুক্তরাষ্ট্র। তারা তাদের অভিজ্ঞতা ও গবেষণার আলোকে মাইক্রোপ্লাস্টিকের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে বাস্তবধর্মী ও কার্যকর দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন এবং সংশ্লিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ড. আহমেদ হোসেন, রেজিস্ট্রার, এসইউবি এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. আফজালুর রহমান, প্রিন্সিপাল, স্টেট কলেজ অব হেলথ সায়েন্স, যিনি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারের সমাপনী বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, বিভাগীয় প্রধান, পাবলিক হেলথ বিভাগ, এসইউবি। তিনি মাইক্রোপ্লাস্টিক বিষয়ক আরও গভীর গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও পরিচিতিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন মো. আল্লামা ফয়সাল, প্রভাষক ও কো-অর্ডিনেটর, পাবলিক হেলথ বিভাগ, এসইউবি।
সেমিনারে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও স্টেট কলেজ অব হেলথ সায়েন্সের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন, যা পুরো আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
উক্ত অনুষ্ঠানটি স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের গবেষণানির্ভর ও জনস্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কার্যক্রমের একটি অংশ হিসেবে আয়োজিত হয়, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই স্বাস্থ্যসমাজ গঠনে অবদান রাখবে।