নারী-পুরুষ না, মানুষ হিসেবে বাঁচতে চায় ওরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব‌রিশাল
নিজস্ব প্রতিবেদক, ব‌রিশাল
শেয়ার
নারী-পুরুষ না, মানুষ হিসেবে বাঁচতে চায় ওরা

পুরুষালি শরীরে রঙিন শাড়ি। মুখে সস্তার মেকআপ। তাও ঢে‌কে আছে মা‌স্কে। যাত্রীবা‌হী বাসে অথবা সিগন্যালে তাঁদের প্রায়ই দেখা যায় হাত পাততে।

কখনও আবার তারা বাড়ি বাড়ি উপস্থিত হন সদলব‌লে। টাকার বিনিময়ে আশীর্বাদ করে নবদম্পতি কিংবা নবজাতককে। তাই সমাজের কাছে ওরা অচ্ছুৎ, অপাংক্তেয়। 

ওঁরা তৃতীয় লি‌ঙ্গের মানুষ।

যারা মননে নারী কিংবা পুরুষ, অথচ নারীও নন, পুরুষও নন। সমাজে যা‌দের প‌রিচি‌তি হিজড়া ‌হি‌সে‌বে। সেই তৃতীয় লি‌ঙ্গের মানুষ‌দের মূল স্রো‌তে ফেরা‌নোর উদ্যোগ নেওয়া হ‌য়ে‌ছে। তারই অংশ‌ হি‌সে‌বে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তা‌দের‌ নি‌য়ে ব‌রিশার নগরীরর এক‌টি আবা‌সিক হো‌টে‌লে মত‌বি‌নিময়সভা করা হয়।

আলোচনাসভায় তৃতীয় লি‌ঙ্গের মানুষ‌রা ব‌লে‌ছেন, ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা তা‌দের‌ ম‌নে ক‌রেন। পলাশপুর এলাকার এক কোণে গাদাগাদি করে থাকা হিজড়াদের দরজায় তখন পৌঁছে যান প্রার্থীরা। বলেন, 'ভোট দিন, এটা আপনার অধিকার'। পরিবর্তে প্রার্থীদের থেকে অনেক প্রতিশ্রুতি পান তারা। কিন্তু অধিকার পান না।

 তাই হাত পে‌তেই চ‌লে পেট। তাও ক‌রোনায় বন্ধ র‌য়ে‌ছে।

‌মৌ‌লিক অধিকার প্রস‌ঙ্গে তারা ব‌লেন, যেখানে পেট চালানোই দায়, সেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদন, ভালো চাকরির স্বপ্ন সবই মরীচিকা। হিজড়া‌দের কথায়, 'প্রবাদ রয়েছে, পহেলে দর্শনধারী, ফির গুণবিচারী। আমাদের মুখ দেখলেই তো ঢুকতে দেয় না কত জায়গায়, চাকরি দেবে কী!' 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলোসোফি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী পায়েল বলেন, 'আমরা মানুষ হয়েই সাধারণ সামাজিক, রাষ্ট্রীয় কাজে অংশ নিতে চাই। তবে আজ যদি বাজারে তরকা‌রি বিক্রি করতে বসি, তা হলেও হয়তো কেউ কিনতে আসবে না। ভাববে আমরা হয়তো তরকা‌রি‌তে কিছু মিশিয়ে দিয়েছি। তাই আজও 'ভিখারি' হয়েই রয়ে যে‌তে হ‌চ্ছে।

\"\"

অতিথির আসনে বসা দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান গুরু কবরী বলেন, বরিশালের জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের জন্য নির্ধারিত জায়গায় কোয়ার্টার করে দেওয়ার কথা বলে আসছে দীর্ঘদিন থেকেই। আমরা শুধু আশ্বাস নয়, এর দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। 

'স্টেপস টু এসডিজিস'-এর আয়োজনে এবং 'জার্মান বাংলা ফ্রেন্ডশীপ'-এর সহযোগিতায় বরিশালের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য 'মূল স্রোতে তৃতীয় লিঙ্গ' বিষয়ক আলোচনা ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনের লক্ষ্য সমাজের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসার প্রতিবন্ধকতাগুলো নিয়ে আলোচনা করে তা দূর করার উপায় বের করা এবং তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসতে উদ্বুদ্ধ করা।

এ আয়োজনে আমন্ত্রিত তৃতীয় লিঙ্গের সকলকে ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানায় শিশু আবিদা বিনতে হাফিজ ও হাবিবা বিনতে হাফিজ। তাদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও সফলতার ভিডিওচিত্র দেখানো হয়। উন্মুক্ত আলোচনায় উঠে আসে তাদের নানা প্রতিবন্ধকতা ও তা থেকে উত্তরণের উপায়।

ঈদ উদযাপনের জন্য উপস্থিত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয় এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে একত্রে ইফতার করা হয়।

আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন স্টেপস টু এসডিজিস-এর সমন্বয়ক দিপু হাফিজুর রহমান, সদস্য আজিজুর রহমান, ফায়েদ অর্নব, আকিব জাবেদ, মেহেদী হাসান শুভ এবং শাহিদুজ্জামান শিপলু।

মন্তব্য

নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল কর্মীকে হত্যা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল কর্মীকে হত্যা
ছবি: কালের কণ্ঠ

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকায় তর্কের জের ধরে অপূর্ব (২৫) নামে এক ছাত্রদলের কর্মীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। 

রবিবার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় চাষাঢ়া বালুরমাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় সম্রাট (২৫) নামের একজনকে আটক করে পুলিশে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

নিহত ছাত্রদল কর্মী অপূর্ব শহরের মাসদাইর এলাকার খোকনের ছেলে।

সেই সঙ্গে আটক মো. সম্রাট শহরের গলাচিপা এলাকার মো. হোসেনের ছেলে। 

আটক সম্রাট বলেন, আমি কাজ শেষ করে বাসায় যাওয়ার সময় তারা কয়েকজন আমাকে আটকিয়ে মারধর করে। আমি কিছুই জানি না। একপর্যায়ে আমাকে মেরে নিচে ফেলে দেয়।

এরপর কিভাবে কি হয়, আমি কিছু জানি না। 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজীব বলেন, রাত সাড়ে ৯টায় শহরের মাসদাইরে কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ হতে ধর্ষণবিরোধী মশাল মিছিল বের করি। আমাদের মিছিল শহরের চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। নেতাকর্মীরা যখন বাসায় যাচ্ছিল তখন বালুরমাঠ এলাকাতে অপূর্বকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

 

তিনি আরো বলেন, অপূর্ব আমাদের ছাত্রদল কর্মী ছিল। ওই সময়ে তাকে ছুরি মারা এক যুবককে আটক করে আশেপাশের লোকজন। সবাই তখন তাকে উত্তম মধ্যম দিচ্ছিল। আমরা আইন নিজের হাতে না তুলে ছাড়ানোর চেষ্টা করি। পরে আহত অপূর্বকে খানপুরে ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।

নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, নিহত ব্যক্তি ছাত্রদলের কেউ না। সে এক রেস্তোরাঁয় কাজ করত। মূলত তার সঙ্গে এক গার্মেন্টকর্মীর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন আটক রয়েছে। 

মন্তব্য

মির্জাপুরে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে পৃথক স্থানে বিক্ষোভ মানববন্ধন

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
মির্জাপুরে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে পৃথক স্থানে বিক্ষোভ মানববন্ধন
ছবি: কালের কণ্ঠ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে পৃথক স্থানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে। রবিবার (৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে আজগানা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এবং দুপুরে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ ও মানবন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, আইনজীবী, ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ এলাকার ছাত্র-জনতা ও যুবসমাজ অংশ নেয়।

মানববন্ধন চলাকালে আজগানাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন টাঙ্গাইল জেলার আহবায়ক আল আমিন, যুগ্ম আহবায়ক জুবায়েদ ইসলাম নিঝুম, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রশিবিরের বায়তুলমাল বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আলীম, মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মেরাজ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আরাফাত হোসেন, মির্জাপুর কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম, আজগানা ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

অন্যদিকে পাকুল্যা এলাকায় বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির পর্যবেক্ষণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আকিব আকবর খান চৌধুরী নেতৃত্বে ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়। 

এতে জামুর্কী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি নাফিজ আহমদ তুষার, সাটিয়াচড়া আদর্শ ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক হিমেল সরকার, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের সদস্য মোহাম্মদ শাহীনুর ইসলাম, জামুর্কী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মেরাজ, জামুর্কী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, ছাত্রদল নেতা ইমরান খান রাজা, সম্রাট আহমেদ, অর্ণব ইসলাম অনুজ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।  

বক্তারা বলেন, সারা দেশের মতো মির্জাপুরও নারীদের জন্য অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। শিশু ধর্ষণকারী ফিরোজ মিয়াকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে তাকে ফাঁসিতে ঝুলানোর দাবি জানান তারা।

মানববন্ধন ও সমাবেশের আগে ধর্ষক ফিরোজ মিয়ার ফাঁসির দাবিতে হাটুভাঙ্গা ও পাকুল্যা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় ভূক্তভোগী শিশুর মা বাদী হয়ে ধর্ষক ফিরোজ মিয়াকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ রাতভর ফিরোজ মিয়াকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাহাদ জানান, রবিবার সকালে ধর্ষিতা শিশুটিকে টাঙ্গাইল সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।

ডাক্তারি পরীক্ষার পর শিশুটির জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে আদালতের বিচারক রুমি খাতুন শিশুটির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। 

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, শিশু ধর্ষণকারীকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। অচিরেই তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য

নদীতে জেলেদের হামলায় নৌ-পুলিশসহ আহত ৪, আটক ১৩

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
নদীতে জেলেদের হামলায় নৌ-পুলিশসহ আহত ৪, আটক ১৩

লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ শিকার বন্ধে অভিযানের সময় হামলা চালিয়ে নৌ-পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৪ জনকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পরে নৌ-পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৩ জেলেকে আটক করে। আটক জেলেদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় নৌ-পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করে। 

রবিবার (৯ মার্চ) রাতে মজু চৌধুরীর হাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপ-পরিদর্শক) সোহেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে দুপুরে আটক জেলেদেরকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় সদর মডেল থানা পুলিশ।

আহতরা হলেন- নৌ-পুলিশের ইনচার্জ সোহেল আহমেদ, নায়েক সুকুমার রায়, কনস্টেবল জাহাঙ্গীর হোসেন ও তাদের ট্রলার মাঝি জামাল হোসেন।

নৌ-পুলিশ জানায়, শনিবার (৮ মার্চ) রাতে সদর উপজেলায় মেঘনা নদীর সাহেবের চর এলাকায় মাছ শিকার করছিল জেলেরা। খবর পেয়ে নৌ-পুলিশের একটি দল অভিযানে যায়।

এসময় জেলেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে লাঠিসোটা দিয়ে হামলা করে। জেলেদের হামলায় সোহেলসহ ৩ জন নৌ-পুলিশ সদস্য ও ট্রলার মাঝি আহত হয়। পরে অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জেলেকে আটক করে। এসময় চারটি নৌকা ও ৫৩১ মিটার কারেন্ট জাল ও ১৮ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়।
আহত পুলিশ সদস্যরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

মজু চৌধুরীর হাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপ পরিদর্শক) সোহেল আহমেদ বলেন, আটক জেলেদের নামে সদর থানায় জাটকা ইলিশ সংরক্ষণ আইন, পুলিশের ওপর হামলাসহ পৃথক চারটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করে থানা পুলিশ। আদালত গ্রেপ্তারকৃতদের জেলা কারাগারে পাঠায়।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জাটকা ইলিশ রক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস মেঘনা নদীতে সকল প্রকার মাছ শিকার নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা পালনে নদীতে অভিযান চালাচ্ছে মৎস্য অফিস এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

মন্তব্য

আশুলিয়ায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মৃত্যু

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
শেয়ার
আশুলিয়ায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
ছবি: কালের কণ্ঠ

আশুলিয়ার নয়ারহাট এলাকায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করে স্বর্ণ ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে সে মারা যায়। এর আগে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নয়ারহাট বাজারের নিজ দোকান থেকে বাসায় ফেরার পথে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম দিলীপ কুমার দাস (৪৮)।

সে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের দুলাল দাসের ছেলে এবং নয়ারহাট বাজারের দিলীপ স্বর্ণালয়ের মালিক। 

পুলিশ জানায়, স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার দাস রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তবে ছিনতাইকারীরা কি পরিমাণ স্বর্ণ বা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে সে বিষয়টি এখনো জানা যায়নি।

নিহতের ফুফাতো ভাই খোকন সরকার বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে শাটার নামানোর সময় ৩ জন দুর্বৃত্ত তার হাতে থাকা ব্যাগ ধরে টান দেয়। কিন্তু দিলীপ ব্যাগ না ছাড়ায় চাপাতি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে স্বর্ণ এবং টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। দিলীপের বুকে এবং চাপায় কোপানো হয়েছে। তার ফুসফুস কেটে গেছে এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মারা গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

 

নিহতের স্ত্রী স্বরস্বতি দাশ বলেন, আমার স্বামী প্রতিদিন ৯টার মধ্যে বাসায় আসত। আজকেও বাসায় আসার সময় তাকে কুপিয়ে সঙ্গে থাকা ২০-২৫ ভরি স্বর্ণ এবং নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। 
সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেরাজুর রেহান পাভেল জানান, আহত অবস্থায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বুকে বড় ক্ষত ছিল, গালের ডানে ক্ষত ছিল এবং পিঠেও ক্ষত ছিল। আমরা চিকিৎসা শুরু করেছিলাম, স্যালাইন এবং ওষুধ চলছিল, পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যেই সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

আমরা ধারণা করছি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই সে মারা গেছে।

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করছি। কে বা কারা এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে বিষয়টি চিহ্নিত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারে আমাদের কার্যক্রম চলছে। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ