<p>লক্ষ্মীপুরে পর্নোগ্রাফি ও কপিরাইট আইনে দায়েরকৃত পৃথক দুইটি মামলায় ২৪ জনের সাড়ে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এরমধ্যে পর্নোগ্রাফি আইনে ২৪ জনকেই পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। </p> <p>এ ছাড়া কপিরাইট আইনে ২৪ জনকেই ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। </p> <p>বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। </p> <p>জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পর্নোগ্রাফি ও কপিরাইট আইনে দুটি পৃথক মামলায় আসামিরা অভিযুক্ত হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ২১ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনজন আসামি পলাতক রয়েছে। </p> <p>দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. সেলিম, মোখলেছুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম সুজন, রাম কর্মকার, শাহ আলম, মাহিফ আরাফাত, মো. খোকন, রাহাত খান, মাঈন উদ্দিন, মো. বেলাল, মো. সিরাজ, মামুন হোসেন ও মো. সিরাজ।</p> <p>অন্য মামলায় দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন জাহিদ হোসেন, জহির আলম ভূঁইয়া, মো. ইব্রাহিম, রথিন সুর, মো. মেজবাহ উদ্দিন, রিয়াজ মাহমুদ, মো. নুরুল আমিন, মো. মাসুম, জয়নাল আবেদীন নিশান, সবুজ হোসেন ও মো. মোস্তফা। দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। </p> <p>মামলা সূত্র জানায়, দীর্ঘ দিন থেকে লক্ষ্মীপুর পৌর সুপার মার্কেট ও সদর উপজেলার মজু চৌধুরী হাট এলাকায় কম্পিউটারে পর্নো ছবি, বিভিন্ন শিল্পীদের অশ্লীল ভিডিও গান ও সদ্য মুক্তি পাওয়া বাংলা ছায়াছবির কপি রাইটের কাজ করে ব্যবসা পরিচালনা করছিল একটি চক্র। এমন অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই পৃথক অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় পর্নোগ্রাফিতে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধারসহ আসামিদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করেন। পরে র‌্যাব-১১ এর সদস্য এম আর আলম চৌধুরী বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।</p> <p>তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর এক মামলায় ১১ জন এবং অন্য মামলায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত দুই মামলার রায় প্রদান করেন।</p>