<p>মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান সহায়ক শক্তি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে জিয়াউর রহমান যদি হত্যাকারীদের আশ্রয় না দিত, তাহলে শফিউল্লাহ যতই ভীরু হোক না কেন তিনি প্রতিবাদ করতেন। জিয়াউর রহমানের বাধার কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠ সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেদিন প্রতিবাদ করতে পারেনি।</p> <p>লতিফ সিদ্দিকী আরো বলেন, আমাকে কোরবানি দিয়ে শেখ হাসিনা হেফাজতে ইসলামকে হেফাজত করেছেন। এতে দোষের কিছু দেখি না। আমি মুসলমান আমি আওয়ামী লীগার। সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছি, এখনো বলছি। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারে তাদের সঙ্গে কোনো আপস নয়।</p> <p>বুধবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোকসভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে লতিফ সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। শোকসভাটির আয়োজন করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখা।</p> <p>একই অনুষ্ঠানে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, রক্ত দিয়ে যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি সেই বাংলাদেশকে পাকিস্তান হতে দেওয়া যাবে না। বিএনপির কাছে বাংলাদেশ ভালো নয়, বিএনপির কাছে পাকিস্তানই ভালো। বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে দেব না। এতে যদি শেখ হাসিনার আরো ১০ বছর থাকা লাগে থাকবে। কিন্তু পাকিস্তান চেয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না।</p> <p>বঙ্গবীর বলেন, বাংলাদেশে পাকিস্তানের কোনো অস্তিৃত্ব নেই। বঙ্গবন্ধু যাতে সবার হয় সার্বিক হয়, বঙ্গবন্ধু যাতে বাংলাদেশের হয়। আমাদের এতে ব্যর্থতা আছে। আমরা বঙ্গবন্ধুকে সার্বিক বানাতে পারি নাই। আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা আছে। আওয়ামী লীগও বঙ্গবন্ধুকে দলীয় নেতা বানিয়েছে। বঙ্গবন্ধু কারোর গোষ্ঠীর নয়, দলের নয়, পরিবারের নয়, বঙ্গবন্ধু সমগ্র বাংলাদেশের নির্যাতিত মানবতার নেতা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।</p> <p>কেন্দ্রীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের  সদস্য এ এইচ এম আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীরপ্রতীক, লতিফ সিদ্দিকীর বোন মুক্তিযোদ্ধা রহিমা সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী প্রমুখ।</p> <p>এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম চাকলাদার, মওলানা ভাসানীর নাতি হাসরত ভাসানী ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জেলার সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুজ্জামান মতি।</p> <p>অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু তাদের পক্ষে কেউ অংশগ্রহণ না করায় কাদের সিদ্দিকী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।</p> <p>এদিকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এ সভাকে কেন্দ্র করে পুরো শহরে ছিল আলোচনা। টাঙ্গাইলের প্রভাবশালী সিদ্দিকী পরিবারের তিন ভাই একমঞ্চে দেখতে জনতার কৌতূহল ছিল। অনুষ্ঠানে যোগ দেননি তাদের আরেক ভাই মুরাদ সিদ্দিকী।</p> <p>সভায় সারা জেলা থেকে গামছার কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। নিরাপত্তার জন্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। </p>