<p>ফরিদপুরের সালথায় নিজ কারখানায় ভেজাল সয়াবিন তেল, পোলাওয়ের চাল ও ডিটারজেন্ট পাউডার উৎপাদন করে বিভিন্ন বাজারে পাইকারি বিক্রি করেন জামাল মাতবর (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ী। আর এতে কপাল খুলে যায় তার। ভেজাল পণ্য বাজারজাত করে মাত্র কয়েক বছরে কোটিপতি বনে গেছেন। তবে অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন তিনি। </p> <p>শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল নগরকান্দা) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল ও সালথা থানার ওসি মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ঠেনঠেনিয়া বাজারে জামাল স্টোর নামে একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে। এ সময় জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ ভেজাল তেল, পোলাওয়ের চাল ও ডিটারজেন্ট পাউডারের মোড়ক। আটক জামাল ভাবুকদিয়া গ্রামের মৃত মালেক মাতবরের ছেলে।</p> <p>স্থানীয় ইউপি সদস্য মুরাদ মোল্যা কালের কণ্ঠকে জানান, জামাল ঠেনঠেনিয়া বাজারে একটি কারখানা খুলে ৭ থেকে ৮ বছর ধরে ভেজাল পণ্য তৈরি করে বাজারাজাত করে আসছেন। এতে সে মাত্র কয়েক বছরে কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।</p> <p>শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান শাকিল কালের কণ্ঠকে বলেন, ব্যবসায়ী জামাল দীর্ঘদিন ধরে নিজ কারখানায় নিম্নমানের পাম তেল বোতলজাত করে নামিদামি কম্পানির মোড়ক লাগিয়ে ইচ্ছামতো মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ বসাতেন। পরে সেগুলো পিওর সয়াবিন তেল বলে বিভিন্ন বাজারে পাইকারি বিক্রি করে আসছিলেন। শুধু তাই নয়, নিম্নমানের পোলাওয়ের চাল প্যাকেটজাত করে বিক্রি করতেন। পাশাপাশি ভেজাল ডিটারজেন্ট পাউডারও তৈরি করতেন।</p> <p>সালথা থানার ওসি মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঠেনঠেনিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিক জামাল মাতবরকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তিন ব্রেল নিম্নমানের পাম তেল, বোতলজাত তেল, ভেজাল ডিটারজেন্ট পাউডারের মোড়ক ও নকল পোলাওয়ের চাল জব্দ করা হয়েছে।</p>