<p>ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতাল ও অন্ধ পুনর্বাসন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মিলন হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অনিময় ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।</p> <p>জানা যায়, মিলন হোসেন ১৯৯৯ সালে চক্ষু হাসপাতালে হিসাব রক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। অন্যান্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি না হলেও কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে কয়েক দফায় পদোন্নতি পেয়েছেন। সম্প্রতি তিনি সহকারী পরিচালক পদে পদোন্নতি পান।</p> <p>হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ মিলন হোসেন হাসপাতালের চশমা ক্রয়, সাইনবোর্ড নির্মাণ, মোটরসাইকেলের সেড নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। নির্দিষ্ট সময়ে তিনি অফিসে আসেন না। কর্মচারীদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন সব সময়। হাসপাতালে সরবরাহকৃত ওষুধ, উপকরণ, লেন্স ক্রয় থেকে শুরু করে সকল কেনাকাটায় অনিয়ম করেন তিনি। হিসাবরক্ষক থাকাকালে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের নামে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিতেন ২ হাজার ৫০০ টাকা।</p> <p>হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট সার্জন ডা. মো. আব্দুল হালিম বলেন, মিলন হোসেন ঝিনাইদহের সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগসাজস করে মোটা টাকার বিনিময়ে জনবল নিয়োগ দিয়েছেন। আমাদের কোনো পদোন্নতি না হলেও তিনি একাধিক বার পদোন্নতি পেয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালের কর্মকর্ত-কর্মচারীরা তার বিরুদ্ধে কথা বললে তিনি ছুটির অজুহাতে এখনো পর্যন্ত অফিসে আসেন না। আমরা চাই সমাজসেবা কার্যালয়ে যে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি সুষ্ঠু তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।</p> <p>হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট তরিকুল ইসলাম বলেন, এর আগে মিলনের দুর্নীতির ধরে ফেলায় দুজন কর্মচারীকে বহিষ্কার করা হয়। এতদিন তার বিরুদ্ধে আমরা কথা বলতে পারিনি। আমরা হাসপাতালের ৮০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু অদৃশ্য কারণে আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।</p> <p>এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের জানান, জেলা প্রশাসক ওই হাসপাতালের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি এখান থেকে বদলি হয়ে চলে গেছেন। এ জন্য তদন্ত কমিটি ব্যবস্থা নিতে পারছে না। নতুন জেলা প্রশাসক যোগদান করার পরেই অভিযোগের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।</p>