ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক কলেজছাত্রের মৃত্যুর পর আহত অপরজন বাইক চালক বোরহান উদ্দিনও (৩৫) মারা গেছেন।
হাসপাতালে প্রায় তিন ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে বোরহান অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এর আগে মোটরসাইকেল আরোহী তারই (বোরহান) চাচাতো ভাই, নবীনগর সরকারি কলেজে অধ্যয়নরত অনার্সে পড়ুয়া শিহাব উদ্দিন (২৬) ওই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নিহত শিহাব উদ্দিনের বাবার নাম রফিক উদ্দিন এবং মোটরসাইকেলের চালক বোরহান উদ্দিনের বাবার নাম ফরিদ উদ্দিন।
নিহত দুজনেরই বাড়ি নবীনগর পৌর এলাকার আলীয়াবাদ গ্রামে। সম্পর্কে তারা আপন চাচাতো ভাই।
এদিকে একই পরিবারের দুই যুবককে হারিয়ে নিহতদের পরিবারে এখন শোকের মাতম বইছে।
পুলিশ জানায়, রবিবার সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে জেলার নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের আলীয়াবাদ পুরান গ্যারেজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সকালে ওই সড়ক দুর্ঘটনার পরপরই লোকজন দ্রুত রক্তাক্ত দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিহাবকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বোরহানকে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টার দিকে বোরহান মারা যায়।
নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক কালের কণ্ঠকে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আজ রবিবার সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে দুই চাচাতো ভাই বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেলে করে উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের সলিমগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন।
কিন্তু সামান্য অদূরে যাওয়ার পরই আলীয়াবাদ পুরান গ্যারেজের কাছে একটি গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ধাক্কা খায়।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (সাকমো) রুখসানা খাতুন বলেন, ‘ওই দুর্ঘটনার পরপরই লোকজন আহত মনে করে দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে হাসপাতালে আনার আগে ঘটনাস্থলেই এক যুবক নিহত হন। অপর যুবককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমরা সকালেই ঢাকায় পাঠিয়ে দেই।’