সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগে ওসিসহ ৮ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
শেয়ার
সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগে ওসিসহ ৮ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া। ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজারে পত্রিকা কার্যালয়ে ঢুকে মনছুর আলম মুন্না নামের এক সাংবাদিককে চকরিয়ায় তুলে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন, হত্যাচেষ্টা, চাঁদা দাবি এবং সাজানো মামলা দেওয়ার ঘটনায় ওসিসহ আট পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে (নম্বর ৪-সদর) এ মামলা করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।

আসামিরা হলেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ কর্মকর্তা এবং অজ্ঞাত চার কনস্টেবল।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওসমান গনি বলেন, মঙ্গলবার আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আকতার জাবেদ দায়ের করা নালিশি অভিযোগটি আমলে নেন।

এ সময় শুনানি শেষে অভিযোগের তদন্তপূর্বক ৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার ফৌজদারি দরখাস্তে বাদী উল্লেখ করেন, মনজুর কাদের চকরিয়া থানায় যোগদানের পর থেকে পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে অসদাচরণ, ঘুষ-দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জনসাধারণকে জিম্মি ও ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় ও হয়রানি করেন। এসব ব্যাপারে বিভিন্ন পত্রিকায় তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হলে বাদীর ওপর ক্ষেপে গিয়ে অপহরণ ও হত্যার হুমকি দেন ওসি মনজুর কাদের।

প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার কক্সবাজার স্টাফ রিপোর্টার মনছুর আলম মুন্না বলেন, গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে প্রধান আসামি চকরিয়া থানার ওসির নির্দেশে সুদূর চকরিয়া থেকে কক্সবাজার শহরের কৃষি অফিস সড়কের দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের কক্সবাজার অফিসে এসে তাকে তুলে নিয়ে যায় একদল পুলিশ।

পুলিশ অফিসারদের মধ্যে ছিলেন উপপরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ রাব্বি ঈশান ও সোহরাব সাকিব এবং এএসআই পারভেজ। এ ছাড়া ছিলেন অজ্ঞাত চারজন কনস্টেবল।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, এ সময় দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকা অফিসের দুটি ল্যাপটপ, চারটি পেনড্রাইভ ও অন্যান্য সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর তাকে চকরিয়া থানায় নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অমানুষিক নির্যাতন করেন আসামিরা।

এভাবে একদিন আটকে রেখে মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করেন ওসি মনজুর কাদের। পরে ২১ দিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান মনছুর আলম মুন্না। 

বাদীর আইনজীবী সালাহউদ্দীন আহমদ বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের জেরে তুলে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও সাজানো মামলার বাদী ওসি নিজেই। এমনকি জিআর মামলাটির নথিভুক্ত কর্মকর্তাও তিনি নিজেই। 

কৌঁসুলি সালাহউদ্দীন আহমদ আরো বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া গভীর রাতে নিজের আঞ্চলিক এখতিয়ার বহির্ভূত এলাকায় গিয়ে একজন সাংবাদিককে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা আইন পরিপন্থী ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

 

নিজেসহ একাধিক পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মনজুর কাদের। 

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ বলেন, 'চকরিয়া থানার ওসির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হওয়ার বিষয়ে আমি জেনেছি। বিষয়টি যেহেতু তদন্তাধীন, তাই তদন্তের পরে বিস্তারিত জানা যাবে।'

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আহসান হাবীব পলাশ সাংবাদিকদের বলেন, 'চকরিয়া থানার ওসির বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
শেয়ার
বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক
ছবি: কালের কণ্ঠ

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার কৃষকরা ঘন কুয়াশায় ও হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঘন কুয়াশার মধ্যে ভোর থেকেই তারা কোদাল ও কাস্তে হাতে মাঠে নেমে পড়ছেন। এ বছর উপজেলায় মানসম্পন্ন বোরো ধানের চারা উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষকরা কাজ করছেন। এতে বোরো মৌসুমে ভালো ফলন পাওয়া যাবে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা তাদের।

সরেজমিনে আজ সোমবার সাটুরিয়া উপজেলার পালপাড়া, কাউন্নারা, পশ্চিম কুষ্টিয়া, সহ সাটুরিয়া, দরগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা বোরো চারা রোপণ ও জমি তৈরিতে ব্যস্ত। বীজতলা শেষ করে এখন তারা ধানের চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। কৃষকরা মই, কোদাল, পাওয়ার ট্রিলারের মতো যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে জমি মাড়াই, আইল বাঁধা এবং সেচের কাজ করছেন। পুরো উপজেলায় একই চিত্রই দেখা গেছে।

তবে ঘন কুয়াশা আর শীতের মধ্যে কিভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, জানতে চাইলে উপজেলার বাররা এলাকায় বোরো ধানের জন্য জমি তৈরির সময় হাসেন আলী বলেন, ‘কুয়াশা থাকলেও শীত চলে গেছে। কাজ করি আহার জোটানোর জন্য। আমরা ধান না ফলাইলে দেশের মানুষ খাইব কি!’

এভাবে ভোরের আলো ফুটতেই কোমর বেঁধে ফসলের মাঠে নেমে পড়ছেন সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা। বোরো ধান আবাদের জন্য বীজতলা তৈরি করছেন।

জমি চাষার কাজও প্রায় শেষ। কেউ বীজতলা পানি সেচ দিয়ে ভিজিয়ে দিচ্ছেন। আর ইতিমধ্যে যারা আবাদি জমি প্রস্তুত করে ফেলেছেন তারা বীজতলা থেকে চারা তুলে লাগিয়ে দিচ্ছেন ক্ষেতে।

জানা যায়, বর্তমান আবহাওয়া বোরো বীজ বপণের উপযোগী থাকায় উপজেলার সব ইউনিয়নের কৃষকেরা বীজতলার কাজের পর এখন জমি তৈরি ও চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কৃষি অফিস জানায়, এ বছর উপজেলায় ৫ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আজ পর্যন্ত ১২৫০ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, আদর্শ বীজতলা তৈরিসহ ভালো জাতের বীজ সংগ্রহের বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যাবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ইছাপুরা বাজারে ৯ দোকানে আগুন

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
শেয়ার
ইছাপুরা বাজারে ৯ দোকানে আগুন
সংগৃহীত ছবি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে মুদি, মনোহরি ও মিষ্টির দোকানসহ ৯টি দোকান আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইছাপুরা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বাবুল মিয়া, জনি মিয়া, আব্দুল্লাহ, বাদল, আলামিন, ইসমত আলী, আক্কেল আলী, মামুন মিয়া, জলিল মিয়া, রেজওয়ান মিয়ার দোকান পুড়ে গেছে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।

ইছাপুরা বাজারের ব্যবসায়ীরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর আল মাসুদ বলেন, বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসের যোগাযোগ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ইতালি যাওয়ার সময় নৌকাডুবি, মৃত ১০ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, মাদারীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, মাদারীপুর
শেয়ার
ইতালি যাওয়ার সময় নৌকাডুবি, মৃত ১০ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে
মৃতদের স্বজনদের আহাজারি

অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার সময় নৌকাডুবিতে নিহত ২৩ বাংলাদেশির মধ্যে ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায়। মামা-ভাগ্নেসহ নিহতের পরিবারে চলছে মাতম। এই ঘটনায় জড়িত দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্বজন ও এলাকাবাসী।

পুলিশ বলছে, সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালি পাড়ি জমাতে গিয়ে একসঙ্গে একই উপজেলার ১০ যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এলাকাজুড়ে চলছে মাতম। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর নিহতদের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

আরো পড়ুন
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সম্পাদকসহ ১০ শিক্ষার্থী স্থায়ী বহিষ্কার

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সম্পাদকসহ ১০ শিক্ষার্থী স্থায়ী বহিষ্কার

 

স্বজনরা জানান, দালালদের খপ্পড়ে পড়ে গত ১ জানুয়ারি ইতালির উদ্দেশে বাড়ি ছাড়েন মাদারীপুরের রাজৈর পৌরসভার পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের চা বিক্রেতা হাসান হাওলাদারের ছেলে টিটু হাওলাদার। তার সঙ্গে মামা গোবিন্দপুরের বাসিন্দা আবুল বাশার আকনও যোগ দেন । গত ২৪ জানুয়ারি লিবিয়া থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যাত্রা করেন তারা। মাঝপথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে প্রাণ হারার মামা আবুল বাশার ও তার ভাগ্নে টিটু।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে মৃত্যুর খবর এলে পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। এই ঘটনায় মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১০ জনসহ ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করে লিবিয়ার কোস্ট গার্ড। ভিটেমাটি বিক্রি করার পাশাপাশি চড়া সুদে টাকা এনে দালালদের হাতে লাখ লাখ টাকা তুলে দিলেও শেষ রক্ষা হলো না যুবকদের। এই ঘটনায় মূল হোতা রাজৈর হরিদাসদি গ্রামের স্বপন মাতুব্বর, মজুমদারকান্দি গ্রামের মনির হাওলাদার ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলীপুরের রফিক দালাল। এ ঘটনায় জড়িত দালালদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছে স্বজন ও এলাকাবাসী।

পাশাপাশি নিহতদের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে তারা। দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। আর নিহতদের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে দূতাবাসের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

আরো পড়ুন
তিতুমীর শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ, ঢাকার সঙ্গে বন্ধ রেল যোগাযোগ

তিতুমীর শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ, ঢাকার সঙ্গে বন্ধ রেল যোগাযোগ

 

থানা পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র মতে নিহতরা হলেন রাজৈর উপজেলার পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের চা বিক্রেতা হাসান হাওলাদারের ছেলে টিটু হাওলাদার, গোবিন্দপুরের বাসিন্দা আক্কাস আলী আকনের ছেলে আবুল বাশার আকন, সুন্দিকুড়ি গ্রামের নীল রতন বাড়ৈ, সাগর বাড়ৈ, একই গ্রামের মহেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের ছেলে সাগর বিশ্বাস, গোবিন্দপুরের ফিরোজ শেখের ছেলে ইনসান শেখ ও আশিষ কীর্ত্তনীয়া, বৌলগ্রামের নৃপেন কীর্ত্তনীয়ার ছেলে অমল কীর্ত্তনীয়া, একই গ্রামের চিত্ত সরদারের ছেলে অনুপ সরদার, শাখারপাড় গ্রামের সজিব মোল্ল্যা, সাতবাড়িয়ার রাজীব। সবার বয়স ২০-৩০ বছরের মধ্যে।

নিহত আবুল বাশারের বাবা আক্কাস আলী আকন বলেন, ‘মনির হাওলাদার ও স্বপন মজুমদার এই দুই দালাল ২৮ লাখ নিয়েছে আমার ছেলেকে ইতালি পাঠানোর কথা বলে। কিন্তু আমার ছেলের এমন মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। এই দালালদের কঠোর বিচার চাই।’

আরো পড়ুন
সেনাপ্রধানের সঙ্গে মালাউই ডিফেন্স ফোর্স কমান্ডারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সেনাপ্রধানের সঙ্গে মালাউই ডিফেন্স ফোর্স কমান্ডারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

 

টিটু হাওলদারের চাচাতো ভাই রেজাউল হাওলাদার বলেন, ‘দালালে লোভ দেখাইয়া আমার ভাইকে এভাবে মৃত্যুর মুখে ফেলে দিবে কখনই তা ভাবতে পারিনি। দালালের কঠিন বিচার চাই। আর আমার ভাইয়ের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।’

মাদারীপুরের রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ খান বলেন, ‘ইতালি যাবার সময় লিবিয়ায় রাজৈর উপজেলার ১০ যুবক মারা গেছে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। নিহতদের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া প্রতিনিয়ত ওয়ারেন্টভুক্ত দালালদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।’

আরো পড়ুন
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাসহ ৪২ জন গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাসহ ৪২ জন গ্রেপ্তার

 

মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোহাম্মদ সজীব বলেন, ‘নিহত ১০ জনের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দূতাবাসের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।’

মন্তব্য

কেন্দুয়ায় সেচ বিরোধ, বোরো উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
শেয়ার
কেন্দুয়ায় সেচ বিরোধ, বোরো উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা
ছবি : কালের কণ্ঠ

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বোরো মৌসুমে সেচ নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলছে। এ অবস্থায় আশুজিয়া ইউনিয়নের সিংহেরগাঁও গ্রামে বোরো উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন অর্ধশত কৃষক।

গ্রামের একাধিক কৃষক জানান, বিগত সরকারের সময় রফিকুল ইসলাম মুকুল দলীয় প্রভাব বিস্তার করে একটি সেচ লাইনের অনুমোদন নিয়ে সেচ লাইন স্থাপন করেন। পরে গ্রামে যাদের জমির পরিমাণ বেশি তাদের জমিতে ঠিকমতো সেচের পানি না দেওয়া এবং কৃষকদের কাছে সেচের পানির বিল হিসেবে অতিরিক্ত চার্জ দাবি করেন তিনি।

এ নিয়ে মুকুলের সঙ্গে অধিকাংশ কৃষক বনিবনা হচ্ছিল না। 

তারা আরো জানান, বিষয়টি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে গ্রাম্য সালিস বসে। এতেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় গ্রামের লোকজন কৃষক বাবুল মিয়ার নামে একটি সেচ লাইলের আবেদন করে উপজেলা সেচ কমিটির কাছে এবং অনুমোদন নিয়ে সেচ লাইন স্থাপন করে তারা। পরে মুকুলের অভিযোগের ভিত্তিতে বাবুল মিয়ার সেচ লাইনের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা।

 

বাবুল মিয়া বলেন, ‘মুকুল ব্যবসার উদ্দেশ্য নিয়ে সেচ লাইন স্থাপন করে আমাদের কাছে অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে তার সঙ্গে আমাদের বেশ কয়েকবার আলোচনা করেও কোনো সমাধান হয় না। প্রায় ৩৫ একর জমির মালিক কৃষকদের সম্মতিতে আমার নামে একটি সেচ লাইন অনুমোদন নিয়ে আমার জমিতে স্থাপন করি। পরে মুকুল অভিযোগ দিয়ে আমার লাইন বিচ্ছিন্ন করায়।

কৃষক এখলাস উদ্দিন বলেন, ‘এই হাওরে আমাদের গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক কৃষকের অন্তত ৩৫ একর জমি। আর মুকুলের ৪ শতাংশ জায়গা ছাড়া কোনো জমি নেই। কিন্তু তার পক্ষের কিছু লোকের প্রায় ১০ একরের মতো জমি রয়েছে।’

মুকুল বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। আর বাবুল মিয়ার সেচ লাইনটি আমার সেচ লাইনের পাশে স্থাপন করায় আমি অভিযোগ করেছি।

উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। উভয় পক্ষকে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করব।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ