টেকনাফে ইউপি চেয়ারম্যান খোকন গ্রেপ্তার

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
টেকনাফে ইউপি চেয়ারম্যান খোকন গ্রেপ্তার
আমজাদ হোসেন খোকন

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টেকনাফ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায় ও বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক শোভন কুমার সাহার নেতৃত্বে একদল পুলিশ শামলাপুরের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে টেকনাফের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

তিনি বলেন, পরোয়ানামূলে চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্নীতি মামলার আসামিও তিনি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন মামলা দায়েরের পরও পুলিশ চেয়ারম্যান খোকনকে এতদিন গ্রেপ্তার করেনি।

স্থানীয় কিছু বিএনপির লোকজনও তাকে আশ্রয় দিয়েছে। তাই তিনি প্রকাশ্যে ঘুরেছেন। অবশেষে গ্রেপ্তার করায় সন্তুষ্ট হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দীন বলেন, ‘চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে খোকনকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা কয়েক দফা অভিযান চালিয়েছি।

কিন্তু তিনি আত্মগোপনে থাকায় গ্রেপ্তার করা হয়নি। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

খুলনায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
খুলনায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
হাফিজুর রহমান মনি

নিজ ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান মনি বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ঘটনাটি এক মাস আগের হলেও গতকাল বুধবার (১২ মার্চ) রাতে প্রকাশ্যে আসে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৩ আদালতে মামলা করা হয়।

বিএনপি নেতা মনি দাবি করেছেন, পারিবারিক বিষয়ে মতবিরোধ ও বাদীর উশৃঙ্খল আচরণের কারণে শাসন করায় মিথ্যা অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা থেকে দেড়টার সময় তিনি গোসল করার প্রস্তুতি নিলে বাড়িতে একা পেয়ে শয়ন কক্ষে ঢুকে হাফিজুর রহমান মনি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি বাধা দিলে আসামি ক্ষিপ্ত হয়ে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। এ সময় সাক্ষীরা চলে এলে মনি পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্বামী ও দুই সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

আরো পড়ুন
আছিয়ার জানাজা সম্পন্ন, শোকে আচ্ছন্ন জারিয়া গ্রাম

আছিয়ার জানাজা সম্পন্ন, শোকে আচ্ছন্ন জারিয়া গ্রাম

 

কেএমপির সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার দিন ভদ্রমহিলা থানায় এসেছিলেন।

জানতে পেরে আত্মীয় স্বজনরা এসে তাকে থানা থেকে নিয়ে যান। এরপর কি হয়েছে জানি না।’

মন্তব্য

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতির বাবা গ্রেপ্তার

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতির বাবা গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী চৌধুরী খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের বাবা।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আরো পড়ুন
আছিয়ার জানাজা সম্পন্ন, শোকে আচ্ছন্ন জারিয়া গ্রাম

আছিয়ার জানাজা সম্পন্ন, শোকে আচ্ছন্ন জারিয়া গ্রাম

 

পুলিশ জানায়, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ঘটনায় এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন নুরুন্নবী চৌধুরী খোকন।

এর পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ।

ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল হেলাল মাহমুদ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নূরন্নবী চৌধুরীকে আটকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত ৪ আগস্ট ভূরুঙ্গামারীতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে করা দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি।

মন্তব্য

আছিয়ার জানাজা সম্পন্ন, শোকে আচ্ছন্ন জারিয়া গ্রাম

মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরা প্রতিনিধি
শেয়ার
আছিয়ার জানাজা সম্পন্ন, শোকে আচ্ছন্ন জারিয়া গ্রাম
সংগৃহীত ছবি

কয়েক দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেল মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়া। চার-চারটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রাণান্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে পৃথিবীই ছাড়তে হলো তাকে। বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার ৮ বছর বয়সী শিশু আছিয়া দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে।

আজ বিকেলে আছিয়ার মরদেহ হেলিকপ্টারে মাগুরা স্টেডিয়ামে আসার পর শহরের নোমানী ময়দানে নামাজে জানাজা হয়।

পরে বাদ মাগরিব তার লাশ শ্রীপুর সোনাইকুণ্ডী গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আরো পড়ুন
'দুই দিন ধরে চিকিৎসক পাচ্ছি না, এখন আমরা কোথায় যাব?'

‘দুই দিন ধরে চিকিৎসক পাচ্ছি না, এখন আমরা কোথায় যাব?’

 

মাগুরায় আছিয়ার বাড়িসহ গোটা এলাকায় এখন মাতম। আছিয়ার মানসিক ভারসাম্যহীন বাবা ফেরদৌস শেখ কিছুই বলতে পারছেন না। বুক চাপড়ে কাঁদছেন আছিয়ার মা, ভাই বোনসহ অন্য স্বজন।

 
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাগুরার শ্রীপুরে জারিয়ায় আছিয়ার গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে মৃত্যুর খবর শুনে সবাই ভিড় করছে ওই বাড়িতে। 

স্থানীয় সব্দালপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পান্না খাতুন বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি, হিটু শেখসহ ৪ আসামির ফাঁসি। একই ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য রূপ কুমার বলেন, ‘আমরা শুধু ফাঁসি চাই না। এটা যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হয় সেই দাবি সরকারের কাছে রাখছি।

এভাবে সবার মুখে একটাই দাবি ধর্ষকদের ফাঁসি। এ ছাড়া বিচার কার্যক্রম যেকোনো প্রকারেই বিলম্বিত না হয়। সেই একই দাবি সবার মুখে।

আরো পড়ুন
আছিয়ার মৃত্যু : আসামিদের শাস্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জে কাফন মিছিল

আছিয়ার মৃত্যু : আসামিদের শাস্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জে কাফন মিছিল

 

এদিকে যে বাড়িতে আছিয়া নির্যাতনের শিকার হয়েছে সেই বাড়িটি এখন এলাকাবাসী ধর্ষক হিটু শেখের বাড়ি হিসাবে চিহ্নিত করেছে। এ বাড়িটিতে এখন কেউ নেই।

বাড়ির মালিক ধর্ষক হিটু শেখ,তার স্ত্রী জাবেদা বেগম, দুই ছেলে সজীব শেখ, রাতুল শেখ সবাই কারাগারে।

বিকেলে আছিয়ার মরদেহ হেলিকপ্টারে মাগুরা স্টেডিয়ামে আসার পর শহরের নোমানী ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে বাদ মাগরিব তাকে শ্রীপুর সোনাইকুণ্ডী গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। গোটা কবরস্থানের আশপাশে আছিয়ার স্বজনসহ গ্রামবাসীর কান্নার শব্দে ভারী হয়ে উঠে গোটা পরিবেশ।

মন্তব্য

‘দুই দিন ধরে চিকিৎসক পাচ্ছি না, এখন আমরা কোথায় যাব?’

আলম ফরাজী, ময়মনসিংহ
আলম ফরাজী, ময়মনসিংহ
শেয়ার
‘দুই দিন ধরে চিকিৎসক পাচ্ছি না, এখন আমরা কোথায় যাব?’
ছবি : কালের কণ্ঠ

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। এক সপ্তাহ ধরে বহির্বিভাগে কোনো চিকিৎসক নেই। একজন ভেষজ ও মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট দিয়ে সাময়িক চিকিৎসা চললেও দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের দুর্ভোগ বাড়ছে। অনেকেই বিনা চিকিৎসায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করে দেখা যায়, রোগীরা চিকিৎসকের খোঁজে বিভিন্ন কক্ষে ছোটাছুটি করছেন। রাহেলা বেগম (৫০) পেটের ব্যথা নিয়ে এসেছেন, কিন্তু চিকিৎসক না পেয়ে একজন ইন্টার্নের কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। আবু মিয়া (৬০) বলেন, ‘দুই দিন ধরে আসছি, চিকিৎসক পাচ্ছি না। এখন আমরা কোথায় যাব?’

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০টি কনসালট্যান্ট পদ থাকলেও মাত্র দুজন চিকিৎসক সপ্তাহে এক-দুই দিন আসেন।

বাকিরা ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ে রয়েছেন। অর্থোপেডিক বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট প্রেষণে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সংযুক্ত হওয়ায় এই বিভাগের চিকিৎসাও বন্ধ। মেডিসিন ও শিশু বিভাগেও চিকিৎসক নেই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ রোগী বহির্বিভাগে এবং ২০০ রোগী জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন।

কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে। অন্তর্বিভাগে ৫০ শয্যার বিপরীতে অনেক বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন। বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীমা সুলতানা চিকিৎসক সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, চিকিৎসক দিলেও অনেকেই যোগ দিচ্ছেন না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

গত বছর ২৪ অক্টোবর পাঠানো একটি চিঠিতে জানা যায়, নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭টি জুনিয়র কনসালট্যান্ট ও ১৩টি মেডিক্যাল অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে। চিকিৎসক সংকট দূর করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে স্থানীয়রা দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগ ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। রোগীদের ভোগান্তি কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ