‘বল পুলিশ আমার বাপ। এই বলে মুখের ভেতর গোল আলু ঢুকিয়ে কয়েকজন মিলে বেদম মারধর। এক পর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফিরলে আবারও।
’ মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত থানার একটি কক্ষে আটক রেখে এমন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ করেন ছাত্রদল নেতা শাওন কাবী।
এর আগে ওই রাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করেন উপপরিদর্শক খোকন চন্দ্র দাশ। অভিযোগ ছিল, সড়কে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও তার গাড়ির চালককে মারধর। তবে ওই সময় পুলিশ কাবী আটক করতে গেলে সেখানে পুলিশের সঙ্গে তার বাদানুবাদ হয়।
শাওন কাবীরের অভিযোগ, উপপরিদর্শক খোকন চন্দ্র দাশসহ আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য তার ওপর এমন নির্যাতন চালায়। এ সময় পা, ঊরু, হাতের আঙুল ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেদম মারধর করা হয়।
আরো পড়ুন
দুই মামলায় জামিন পেলেন বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা শাওন
বর্তমানে শাওন কাবী চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর আগে আজ দুপুরে দুটি মামলায় তার জামিন হয়।
শাওন কাবীর বলেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম তাকে নির্যাতন না করতে ওই উপপরিদর্শককে নির্দেশ দেন। কিন্তু তার পরও করে গালাগাল এবং শারীরিক নির্যাতন। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপপরিদর্শক খোকন চন্দ্র দাশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে নির্যাতনের বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, কোনো অবস্থায় যেন আটক ব্যক্তিকে মারধর করা না হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তার পরও কেন মারধর করা হলো, তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব জানান, সত্যি যদি নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া যায়। তাহলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।