<p>২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের হামলার ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা  করেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ও বিগত উপনির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।</p> <p>মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন তিনি।</p> <p>মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দ্বিতীয়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে  ‍তৃতীয় আসামি করা হয়েছে। একই মামলায় ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানকে চতুর্থ ও সাবেক দক্ষিণখান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম তোফাজ্জল হোসেনকে পাঁচ নম্বর আসামি করা হয়েছে।</p> <p>আরো জানা যায়, এ মামলায় মোট ৮২ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ থেকে ৩০০ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।</p> <p>এ বিষয়ে এস এম জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমরা এর কোনো ন্যায়বিচার পাইনি। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর হামলা করা হয়েছিল।’ </p> <p>এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের নেত্রীর গাড়িবহরে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।’</p> <p>এদিকে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা মামলাটি রুজু করেছি, যার নম্বর-১৫।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এ মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসব ইনশাআল্লাহ।’</p> <p>উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনী প্রচারণার সময় উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরে পৌঁছালে বিএনপির নেতাকর্মীরা ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল নিয়ে তার গাড়িবহরে যোগ দেন। গাড়িবহর কিছু দূর এগোলে উল্টো দিক থেকে উত্তরা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কালো পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা খালেদা জিয়ার গাড়ি ঘেরাওয়ের চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ‘আমার ভাই মরল কেন, খুনি খালেদা জবাব দে’, ‘পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, পাকিস্তানে ফিরে যা’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকা পুলিশ ও তার নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই ব্যক্তিরা খালেদা জিয়ার গাড়ির সঙ্গে এগোতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর খালেদার গাড়ি মূল সড়কে উঠে দ্রুতবেগে চলে যায়।</p> <p>পরে বিএনপির চেয়ারপারসন উত্তরা-৩ নম্বর সেক্টরে এসবি প্লাজা ও আমির কমপ্লেক্সে গিয়ে তাবিথের পক্ষে প্রচার চালান। তিনি বিভিন্ন দোকানে ঢুকে দোকানি ও ক্রেতাদের কাছে তাবিথের পক্ষে ভোট চান।</p>