<p>ছাত্র-জনতার সরকার পতনের আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করা হয়েছে।</p> <p>রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে শুনানির আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার আদালত এই আদেশ দেন। আবেদনটি আগামী আগামী ৬ জানুয়ারি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। সে পর্যন্ত জামিন স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।</p> <p>আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল ইসলাম সুমন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব। শমী কায়সারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম, হামিদুল মিসবাহ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নাজিয়া কবির।</p> <p>কী যুক্তিতে শমী কায়সারের জামিন স্থগিত চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ, জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল ইসলাম সুমন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘তার (শমী কায়সার) বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তাধীন। অভিযোগের সাথে উনার সম্পৃক্ততা আছে কি নাই, তা অভিযোগপত্র না আসা পর্যন্ত জানার সুযোগ নেই। এ পর্যায়ে তাকে জামিন দিলে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এসব যুক্তিতে মূলত জামিন স্থাগতি চাওয়া হয়েছিল। চেম্বার আদালত ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিন স্থগিত করেছেন। ওই দিন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছে।’ হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পর শমী কায়সার যদি কারাগার থেকে বের হয়ে গিয়ে থাকেন, তবে তাকে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান আইন কর্মকর্তা সুমন।</p> <p>মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই রাজধানীর আজমপুরে নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেন ইশতিয়াক। সেখানে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে ২৯ সেপ্টেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ১২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় শমী কায়সার ২৪ নম্বর আসামি করা হয়। এই মামলায় গত ৫ নভেম্বর ঢাকার উত্তরা থেকে অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন, অর্থাৎ ৬ নভেম্বর শমী কায়সারকে ৩ দিনের রিমান্ডে দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত। রিমান্ড শেষে গত ৯ নভেম্বর ফের অদালতে তোলা হয় তাকে। সেদিন আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়। গত ১০ ডিসেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে অন্তর্বর্তী জামিন দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়েই আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।</p>