নুহাশ হুমায়ূন

এই তিন গুণী অভিনেতার সঙ্গে আরো কাজ করব

  • ফের পর্দায় ফিরছেন হুমায়ূনের ‘ত্রয়ী’
  • এবার পরিচালনায় নুহাশ হুমায়ূন
  • তিনজনকে নিয়ে আরো কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ
বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
এই তিন গুণী অভিনেতার সঙ্গে আরো কাজ করব
নুহাশ হুমায়ূনের সঙ্গে তারা তিনজন

২০০২ সালে বইমেলায় প্রকাশিত হয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সায়েন্স ফিকশন ‘তারা তিনজন’। পরের বছর তিনি টেলিভিশনেও একই নামে নাটক নির্মাণ করেন, তবে গল্প পুরোপুরি আলাদা। উপন্যাসের গল্প ভিনগ্রহের তিন প্রাণী অয়ু, নীল আর লীকে ঘিরে। নাটকের ‘তারা তিন জন’ একেবারে রক্তমাংসের মানুষ।

জীবনযাপনের জন্য প্রতারণামূলক নানা রকম পন্থা বেছে নেয় মধ্যবয়সী দুই মামা ও ভাগ্নে। তাদের হাস্যরসাত্মক কর্মকাণ্ড দারুণ উপভোগ করে দর্শক। যদিও কোনো কাজেই মামা-ভাগ্নেরা শেষ পর্যন্ত সফল হয় না।

২০০৩ সালের ঈদে বিটিভিতে প্রচারের পর নাটকটি খুব সাড়া ফেলে।

এরপর এই চরিত্রগুলো নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ নির্মাণ করেন আরো ৯টি একক নাটক। সর্বশেষ কিস্তিটি প্রচারিত হয় ২০১১ সালে, তার পরের বছরই পৃথিবী ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমান হুমায়ূন আহমেদ। ‘তারা তিন জন এবং ঝুনু খালা’র চিত্রনাট্য হুমায়ূন আহমেদ লিখলেও পরিচালনা করেছেন মাসুদ আখন্দ৷ হুমায়ূন আহমেদ অসুস্থ হয়ে পড়ার পর এই সিরিজও বন্ধ হয়ে যায়।

আরো পড়ুন
গ্রেপ্তার হলেন দক্ষিণী অভিনেতা কৃষ্ণা মুরালি

গ্রেপ্তার হলেন দক্ষিণী অভিনেতা কৃষ্ণা মুরালি

 

হুমায়ূন আহমেদ নেই, তবে সেই জুটিকে আবারও ক্যামেরায় হাজির করলেন হুমায়ূনপুত্র নুহাশ হুমায়ূন।

সম্প্রতি হুমায়ূন আহমেদের বড় পুত্র নুহাশ হুমায়ূনের পরিচালনায় বিকাশের পাঁচটি বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয় করেছেন তাঁরা। এবার তাঁরা ফিরেছেন ‘তারা তিন জন’-এর সেই মামা-ভাগ্নে রূপে। ১৪ বছর পর ভিন্ন মাধ্যমে তাঁদের ফিরিয়ে এনেছেন হুমায়ূনুপুত্র নুহাশ হুমায়ূন। ‘তাঁরা তিনজন’-এর ফিরে আসা এবং এসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য হাজির করেছেন হৃদয় সাহা।

সামনে এই তিন গুণী অভিনেতার সঙ্গে আরো কাজ করব
নুহাশ হুমায়ূন নির্মাতা

‘তারা তিনজন’—বাবার নির্মিত অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি টিভি সিরিজ।

এ সিরিজের বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ এখনো ফেসবুকে বেশ ভাইরাল, ব্যাপারটা ভালো লাগে। বাবার পরিচালনায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁদের সঙ্গে আমার কাজ করার খুব আগ্রহ ছিল। ডা. এজাজুল ইসলাম, ফারুক আহমেদ, স্বাধীন খসরু চাচাদের সঙ্গেও কাজ করব—এমন ইচ্ছা ছিল। বেশ কয়েক দিন আগে বিকাশ থেকে আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয় এই তিনজনকে নিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণের। যেহেতু উনাদের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ছিল, তিনজনকে নিয়েই বিজ্ঞাপনচিত্র হওয়ায় আগ্রহবোধ করি। পাশাপাশি বলব পাণ্ডুলিপির কথা। বিজ্ঞাপনগুলোর পাণ্ডুলিপি খুবই চমৎকার, তাই রাজি হয়ে যাই।

আরো পড়ুন
সময়টা এখন রাশ্মিকার

সময়টা এখন রাশ্মিকার

 

উনাদের সঙ্গে আমার কাজ করার অভিজ্ঞতা বেশ ভালো। উনারা আমাকে ছোট থেকেই দেখেছেন, আমিও উনাদের দেখেছি অনেকবার। বড়বেলায় এসে হয়তো সেভাবে যোগাযোগ ছিল না, তবে এবার যখন আবার একত্রিত হলাম, মনে হলো যেন পুরনো দিনে ফিরে গেলাম। উনাদের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এককথায় দারুণ। আমরা উনাদের শুধু কৌতুকাভিনেতা হিসেবেই বেশি দেখি। তবে উনারা কিন্তু সব ধরনের অভিনয়ই জানেন। শুটিংয়ের সময় উনাদের অভিনয়, আড্ডা, পারস্পরিক রসায়ন, প্রাণখোলা হাসি—ইউনিটের স্পট বয় থেকে সবার আলাদা করে নজর কাড়ে। তাই আমি উনাদের নিয়ে আরো বড় পরিসরে কাজ করতে আগ্রহী।

নায়ক-নায়িকার ধারণায় বিশ্বাসী ছিলেন না স্যার
ফারুক আহমেদ অভিনেতা

হুমায়ূন আহমেদ স্যারের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ১৯৭৩ সালের দিকে। আহসান হাবিব [হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই] আমার স্কুল বন্ধু। এরপর তো আমি থিয়েটারে জড়িয়ে যাই। স্যারের ‘অচিন বৃক্ষ’ নাটকে আমি প্রথম অভিনয় করি। এরপর ধারাবাহিক ‘আজ রবিবার’। এর পর থেকেই স্যারের নাটকে নিয়মিত আমি। এজাজ ভাই তো ছিলেনই। এর মধ্যেই স্যারের সঙ্গে স্বাধীন খসরু ভাইয়ের পরিচয় হয়। এখনো মনে আছে, খসরু ভাইয়ের প্রথম নাটক ‘যাত্রা’তে আমি তাঁর ডাবিং করেছিলাম। চ্যানেল আইয়ে আমাদের তিনজনকে নিয়ে স্যার ‘পক্ষীরাজ’ নির্মাণ করেন। এটিই আমাদের তিনজনকে নিয়ে প্রথম নাটক৷ এটি প্রচারিত হওয়ার পর স্যার সিদ্ধান্ত নেন, আমাদের তিনজনকে কেন্দ্র করেই নাটক বানাবেন। এভাবেই ‘তারা তিন জন’-এর সৃষ্টি।

আরো পড়ুন
আমার কমফোর্ট জোন সিনেমা : সুনেরাহ

আমার কমফোর্ট জোন সিনেমা : সুনেরাহ

 

এই নাটক যে এত জনপ্রিয় হবে আমাদের কল্পনায়ও ছিল না। হুমায়ূন স্যার প্রথাগত নায়ক-নায়িকার ধারণায় বিশ্বাসী ছিলেন না। তারকা অভিনেতারা স্যারের নাটকে বরাবরই অভিনয় করেছেন, তবে সেটা আর সাধারণ চরিত্রের মতোই।  স্যারের আত্মবিশ্বাস ছিল, বড় তারকা ছাড়াই এই নাটক হিট করবে, হয়েছিলও তাই। টেলিভিশনে কোনো চাপ ছাড়াই নিজের পছন্দমতো নাটক বানাতে পারতেন স্যার। অভিনেতা হিসেবে আমাদের যে আলাদা পরিচিতি, সেটা ‘তারা তিন জন’-এর কারণেই। নুহাশের পরিচালনায় অভিনয় করতে গিয়ে বুঝেছি, বাবার মতো সেও খুব পড়াশোনা করছে। নুহাশ সময় মেনে চলে, এটাও আমার খুব ভালো লেগেছে।

নুহাশের পরিচালনা আমাকে মুগ্ধ করেছে
ডা. এজাজুল ইসলাম অভিনেতা

হুমায়ূন আহমেদ স্যার ছিলেন আমার পথপ্রদর্শক, আমা ভেতরের অভিনয় সত্তা তিনিই জাগিয়ে তুলেছিলেন। ‘সবুজ ছায়া’ করতে গিয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠ হই, তারপর একের পর এক কাজ করতে থাকি। চলচ্চিত্র ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’সহ তাঁর পরিচালনায় একক নাটকে অভিনয়ের সুবাদে অভিনেতা হিসেবে তখন আমার পরিচিতি বেশ ভালোই। আমি আর ফারুক ভাই আগে থেকেই স্যারের নাটকে অভিনয় করি, এরপর যুক্ত হন স্বাধীন খসরু ভাই। ‘তারা তিন জন’ নাটকের একটি অংশে আমরা সারা দেহে মাটি মেখে গড়াগড়ি খাই, সেই দৃশ্য থেকেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন আমাদের নিয়ে সিরিজ বানাবেন। সেই থেকে শুরু, সংখ্যা কত বলতে পারব না। তবে দশ বছর ধরে এই সিরিজে অভিনয় করেছি। অভিনেতা হিসেবে আমরা তিনজন যে আলাদা পরিচিতি পেয়েছি, তার বড় কারণ এই সিরিজ।

স্যারের মৃত্যুর পর বহু লেখক-নির্মাতা আমাদের  নিয়ে নাটক বানিয়েছেন, সিনেমাও হয়েছে। তবে কোনোটাই ভালো মানের হয়নি। আমাদের পুঁজি করে আলোচনায় আসতে চাইত, কিন্তু গল্পে দম ছিল না, একেবারেই গড়পড়তা। অভিনয় যেহেতু আমাদের নেশা, তাই করতে হতো।

আরো পড়ুন
আজ মায়ের কবরে সমাহিত হবেন অঞ্জন

আজ মায়ের কবরে সমাহিত হবেন অঞ্জন

 

বিজ্ঞাপনী সংস্থা থেকে ফোন করে এবার যখন বলা হলো, আমাদের নিয়ে বিজ্ঞাপন বানানো হবে৷ আমি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছি, কারণ নতুন কিছু তো নয়। তেমন প্রত্যাশাও ছিল না। যখন শুনেছি নুহাশ হুমায়ূন নির্দেশনা দেবে, তখন আমিই বেশি আগ্রহী হয়ে উঠি। সেই চিরচেনা নুহাশপল্লী ও তার আশপাশে শুটিং হওয়ায় বেশ নস্টালজিক হয়ে পড়েছি। নুহাশের পরিচালনাও আমাকে মুগ্ধ করেছে। অলৌকিকভাবে বাবা ও ছেলের পরিচালনায় বেশ মিল পেয়েছি, দুজনই আনন্দ নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন। শুটে আমাদের রসায়ন দেখে নুহাশ চিৎকার করে বলে ওঠে, এই তিনজনকে নিয়ে আমি আরো বড় কিছু বানাব। নুহাশ আমার সন্তানসম, তার সাফল্য আমাকেও আনন্দিত করে। তার পরিচালনায় সামনে আরো অভিনয় করতে পারলে খুবই ভালো লাগবে।

নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবি
স্বাধীন খসরু অভিনেতা

২০০২ সালে আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে স্যারের সঙ্গে পরিচয় হয় আমার। তার কিছুদিন পরেই তিনি আমাকে ‘যাত্রা’ নাটকে অভিনয়ের অফার দেন৷ তখন তিনি ‘চন্দ্রকথা’ সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা করছিলেন, আমি এই ছবিতে সহপ্রযোজক হই। নুহাশপল্লীতে এই সিনেমার সুবাদে আমাদের হৃদ্যতা আরো বাড়ে। স্যারের একের পর এক নাটকে আমি অভিনয় করে যাচ্ছি, ‘সৌরভ’ আমার খুব পছন্দের নাটক, আমিই প্রধান অভিনয়শিল্পী। স্যার একদিন আমাদের তিনজনকে ডেকে বলেন, আমাদের নিয়ে তিনি একটি নাটক বানাবেন। ঈদে স্যারের নাটকের খুব চাহিদা, এ নাটকটাই বিটিভিতে জমা পড়বে। রমজানে নুহাশপল্লীতে শুটিং হয়। প্রচারিত হওয়ার পর দারুণ সাড়া পাই, তারপর একে একে সিরিজের পরের পর্বগুলো হয়। ‘তারা তিন জন’-এর একজন হতে পেরেছি, নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে করি।

[বিকাশ থেকে অফার পাওয়ার পর নুহাশ হুমায়ূনের পরিচালনায় এই বিজ্ঞাপন সিরিজে অভিনয় করবেন বলেই লন্ডন থেকে দেশে এসেছেন। কাজ শেষে আবার কর্মক্ষেত্রে উড়ালও দিয়েছেন স্বাধীন খসরু]

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এফডিসি পরিদর্শনে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ, পূর্ণাঙ্গ ফিল্ম সিটির আশ্বাস

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
এফডিসি পরিদর্শনে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ, পূর্ণাঙ্গ ফিল্ম সিটির আশ্বাস
সংগৃহীত ছবি

মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত দায়িত্বের অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) আসেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন শুটিং ফ্লোর ঘুরে দেখার পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন মাহফুজ। 

এফডিসির বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে দেখার পাশাপাশি পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতির কার্যালয়েও যান। সেখানে পরিচালক ও শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেন মাহফুজ আলম।

শিল্পী সমিতিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনয়শিল্পী আনোয়ারা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন এফডিসির এমডি মাসুমা রহমান তানি, চিত্রনায়ক নাঈম, অভিনয়শিল্পী আলীরাজ, সুব্রত, রুমানা ইসলাম মুক্তি, শিবা শানু প্রমুখ।

সবার সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি জহির রায়হান মিলনায়তনে এফডিসি নিয়ে নিজের পরিকল্পনা ও ভাবনার কথা জানান তিনি। এফডিসিকে কম্পোজিট ফিল্ম সিটি বানানোর কথা বলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

 

image

মাহফুজ আলম বলেন, ‘এফডিসিতে মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত অনেকগুলো দপ্তর আছে। এগুলোর দেখার উদ্দেশ্যে এখানে আসা। আসার পর অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখানে অনেকগুলো সংকট আছে।

কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা আছেন, তাদেরও অনেক চাহিদা আছে। আমি সরেজমিনে দেখতে এলাম, যাতে বিষয়টা আমার বোধগম্য হয়, কী চলছে, কিভাবে চলছে।’

এফডিসির সম্ভাবনা অনেক উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, এফডিসির সম্ভাবনা অনেক। ঢাকার একেবারে প্রাণকেন্দ্রে এত বড় জায়গা নিয়ে তৈরি এফডিসিতে যে সুযোগ-সুবিধাগুলো আছে, সেগুলো সাধারণত যেকোনো রাষ্ট্রের ফিল্ম সিটি বা এ রকম কোনো জায়গাতে থাকে। বিষয়টা এমন, কম্পোজিট একটা ব্যাপার—যেখানে শুটিং, এডিটিং, ডাবিংসহ সব সুযোগ-সুবিধা একসঙ্গে পাওয়া যাবে।

সম্পাদনা থেকে শুরু করে প্রি-প্রডাকশন, পোস্ট-প্রডাকশনের সব কাজ একই জায়গায় হয়। আমি মনে করি, আমার দায়িত্বকালের মধ্যে এফডিসিকে কম্পোজিট ফিল্ম সিটি বানিয়ে দেওয়ার। এফডিসি যাতে লাভজনক হয়ে ওঠে, তাহলে এখানে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, তাদের সবার বেতন-ভাতা থেকে শুরু করে প্রণোদনা সবই এখান থেকে দেওয়া সম্ভব হবে। এফডিসি নিয়ে এটাই হচ্ছে আমার একমাত্র লক্ষ্য। আশা করি, এখানে আপনারা যারা আছেন, সবাই সহযোগিতা করবেন।’

image

সব শেষে এফডিসিতে একটি প্রকল্প চলমান আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এফডিসিতে একটা প্রকল্প চলছে। কবিরপুর ফিল্ম সিটিতে আরেকটা প্রকল্পের কাজ চলছে। এই দুটি জায়গা থেকে আমরা চেষ্টা করব যেসব ইস্যু আছে, তা শেষ করতে। এখানে রিসোর্সগুলো যাতে ঠিক হয়, আপনরা সবাই যাতে কাজের সুযোগ পান এবং যারা ফিল্ম মেকার, প্রযোজক আছেন—তারা যাতে খুব সহজে কাজ করতে পারেন। যাতে ভালো মানের ফিল্ম বাংলাদেশে তৈরি হয়।’

মন্তব্য

বন্ধ হোক সব চিড়িয়াখানা নামক জেলখানা—আহ্বান জয়া আহসানের

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
বন্ধ হোক সব চিড়িয়াখানা নামক জেলখানা—আহ্বান জয়া আহসানের
সংগৃহীত ছবি

প্রাণীদের বরাবরই খুব পছন্দ করেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। যার প্রমাণও ইতিমধ্যে দিয়েছেন বহুবার। প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসার প্রতিদানস্বরূপ পেয়েছেন ‘প্রাণবিক বন্ধু’ সম্মাননাও। সর্বশেষ হাতির ওপর নির্যাতন বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেন ‘দেবী’খ্যাত এই অভিনেত্রী।

জয়ার সেই রিটে আদালতের আদেশে বন্ধ হয় হাতি নির্যাতন।

এবার চিড়িয়াখানা নামক ‘জেলখানা’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জয়া আহসান। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের জেরে তিনি এ কথা বলেন। প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, ময়মনসিংহ নগরের জয়নুল আবেদিন উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় একটি ভালুকের শরীরে পচন ধরেছে।

ইতিমধ্যে প্রাণীটির পায়ের অংশবিশেষ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ভালুকটির শরীর থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধও। ভালুকটিকে সারিয়ে তোলা কঠিন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংবাদটি নিজ ফেসবুকে শেয়ার করে জয়া আহসান লিখেছেন, ‘চিড়িয়াখানাই পৃথিবীর সেই জেলখানা, যেখানে বিনা দোষে সাজা হয়।

বন্ধ করা হোক পৃথিবীর সব চিড়িয়াখানা নামক জেলখানা।’ জয়ার এমন কথায় একবাক্যে একমত পোষণ করেছেন নেটিজেনরা।

মন্তব্য

দুই লাখ টাকা দিয়েও হৃত্বিকের দেখা পেলেন না, ক্ষোভ ভক্তের!

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
দুই লাখ টাকা দিয়েও হৃত্বিকের দেখা পেলেন না, ক্ষোভ ভক্তের!
সংগৃহীত ছবি

আমেরিকার টেক্সাস শহরে সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হাজির হয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা হৃত্বিক রোশন। কথা ছিল সেখানে দর্শকদের সঙ্গে কথা বলবেন, কাটাবেন খানিকটা সময়। অভিনেতাকে কাছ থেকে দেখার জন্য রীতিমতো মোটা অঙ্কের টাকার টিকিট কাটেন দর্শকরা। টিকিটের মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১.৮২ লাখ টাকা।

পাশাপাশি ২ ঘণ্টার অপেক্ষা। তবু শেষ পর্যন্ত হতাশই হয়েছেন অনুরাগীরা।
 
ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক দর্শক সমাজমাধ্যমে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। যদিও তিনি দোষ দিয়েছেন উদ্যোক্তাদেরই।
তবে অভিনেতা অনুরোধ সত্ত্বেও একটি ছবি তুলতে রাজি হননি বলে হতাশ তিনি। এমনকি সেদিন অভিনেতার মেজাজটাও খুব ভালো ছিল না, সেটাই জানিয়েছেন ওই দর্শক।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হৃত্বিক রোশনের এক অনুরাগী লেখেন, ‘হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে দেখা করার জন্য মাথাপিছু ১৫০০ ডলার টিকিটের জন্য খরচ করেছি। একটি ছবিও তুলতে পারিনি।

তারকার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েও ছবি তুলতে পরিনি। এত টাকা খরচ করার পরেও আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমরা ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছি কি কেবল প্রত্যাখ্যানের জন্য?’ 

দর্শকদের সামনে মঞ্চে হৃতিক।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরো লেখেন, ‘সেদিন আবহাওয়া এতটা ঠাণ্ডা ছিল যে বলার অপেক্ষা রাখে না। মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য ওই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন হৃত্বিক।

ভিআইপি টিকিট নষ্ট হলো আমার! এখন তারা আমাদের টাকাও ফেরত দেবে না! হৃত্বিক রোশনকে ভালোবাসি, কিন্তু অনুষ্ঠানটি এতটা বিশৃঙ্খল ছিল যে তিনি নিজেও যথেষ্ট বিরক্ত হয়েছেন।’

এখানেই শেষ নয়, অনুষ্ঠানে আগত খুদে দর্শকদের মঞ্চ থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পর হৃত্বিক রোশন কিংবা তার সহযোগী দলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পর্দায় ফিলিস্তিন : যুদ্ধ, ভালোবাসা ও বেঁচে থাকার গল্পে ১০ ছবি

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
পর্দায় ফিলিস্তিন : যুদ্ধ, ভালোবাসা ও বেঁচে থাকার গল্পে ১০ ছবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় ফের ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। পাখির মতো মরছে মানুষ। আহতদের চিৎকারে ভারী আকাশ-বাতাস।

গাজার এমন পরিস্থিতিতে হতবাক বিশ্বমানবতা। এ বর্বরতা হৃদয় স্পর্শ করেছে বিশ্বের সব শ্রেণিপেশার মানুষের। নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সবাই।

ফিলিস্তিনে যুগ যুগ ধরেই চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন।

নানা সময়ে ফিকশনে এসেছে সে কথা। উপন্যাস লেখা হয়েছে, কবিতা লেখা হয়েছে, সিনেমায়ও এসেছে ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ। এর মধ্যে কোনো সিনেমা নির্মাণই হয়েছে ফিলিস্তিনকে নিয়ে। কোনোটিতে এসেছে ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ।
এমন কয়েকটি সিনেমা সম্পর্কে জানা যাক, যেগুলোতে ফিলিস্তিনি সংগ্রাম, জীবনযাপন, ও মানবিকতা বিশ্বজুড়ে দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। 

ফারহা
এক কিশোরী মেয়ে ফারহার স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা করে শিক্ষক হওয়া। কিন্তু হঠাৎ করেই তার শান্ত জীবন যুদ্ধের ছোবলে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গ্রাম আক্রান্ত হলে, ফারহার বাবা তাকে বাঁচানোর জন্য বাড়ির একটি ছোট ঘরের ভেতর লুকিয়ে রাখে। বাইরে যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ চলতে থাকে, ফারহা সেই ঘর থেকেই যুদ্ধের বিভীষিকা দেখে ও শোনে।

ফারহার চোখের সামনে ঘটে যায় নির্মম হত্যাকাণ্ড, নিরীহ মানুষদের উপর নিষ্ঠুর অত্যাচার।

সিনেমাটি মুক্তির পর আন্তর্জাতিকভাবে বেশ আলোচিত হয়েছে এবং কিছু সম্মানজনক পুরস্কার ও মনোনয়নও অর্জন করে।

ওমর
ওমর হলো ফিলিস্তিনের দখলদারিত্ব আর বিশ্বাসঘাতকতার গল্প। ওমর একজন তরুণ ফিলিস্তিনি, যিনি প্রতিদিন নিরাপত্তা দেয়াল টপকে তার প্রেমিকা নাদিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান। ওমর ও তার দুই বন্ধু- তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু তাহা (নাদিয়ার ভাই) এবং আমজাদ। তারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তারা একদিন এক ইসরায়েলি সৈন্যকে হত্যা করে, এবং এর পর থেকে ওমরের জীবন এক ভয়ংকর মোড় নেয়। ইসরায়েলি বাহিনী ওমরকে আটক করে এবং নির্যাতনের মুখে সে বাধ্য হয় একটি কঠিন চুক্তিতে যেতে।

হ্যানি আবু-আসাদ পরিচালিত ফিলিস্তিনি অঞ্চলের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র যা একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে সিনেমাটি।

আরো পড়ুন
‘ভিউ’ বাড়াতে সন্তানদের ব্যবহার, প্রশাসনের নজরে ‘ক্রিম আপা’

‘ভিউ’ বাড়াতে সন্তানদের ব্যবহার, প্রশাসনের নজরে ‘ক্রিম আপা’

 

প্যারাডাইস নাউ
হানি আবু আসাদ পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০০৫ সালে। এটি একটি সাইকোলজিক্যাল ড্রামা, যা আবর্তিত হয়েছে দুই ফিলিস্তিনি নাগরিক সাইদ ও খালেদকে ঘিরে। তারা ইসরায়েলে একটি আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করে। তারা ধার্মিক না, তারা রাজনৈতিক কর্মীও না। তারা দুই বন্ধু নিজেদের শেষ দিনগুলো একসঙ্গে যাপন করছিল। এর মধ্য দিয়েই বা তাদের গল্পের মধ্য দিয়েই সিনেমায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ফিলিস্তিনের অবস্থা।

গোল্ডেন গ্লোবে সেরা বিদেশী সিনেমা বিভাগে পুরস্কার পেয়েছিল। এছাড়া প্রথম ফিলিস্তিনি সিনেমা হিসেবে এটি মনোনীত হয়েছিল একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে। একই সময়ে সিনেমাসংশ্লিষ্ট বেশকিছু গ্রুপ প্যারাডাইস নাউকে একাডেমি অ্যাওয়ার্ড থেকে বাদ দেয়ার জন্যও আন্দোলন করেছিল।

দ্য প্রেজেন্ট
২০২০ সালে নির্মিত এ শর্টফিল্মটির গল্প ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে এক সাধারণ বাবা এবং তার ছোট মেয়েকে নিয়ে। বাবা ইউসুফ তার মেয়ে ইয়াসমিনকে সঙ্গে নিয়ে বিয়ের বার্ষিকীতে স্ত্রীর জন্য একটি উপহার কিনতে বের হন। তবে এই সাধারণ কাজটিও সেখানে সহজ নয়। পথে তাদের ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চেকপয়েন্ট অতিক্রম করতে হয়, যেখানে প্রতিনিয়ত অপমান, নিরাপত্তা তল্লাশি এবং হেনস্তার সম্মুখীন হতে হয় ফিলিস্তিনিদের। ইউসুফ এবং ইয়াসমিনও এই হয়রানির বাইরে নন। চেকপয়েন্ট পার হওয়ার সময় ইউসুফ বারবার বাধার সম্মুখীন হন, কিন্তু ছোট্ট ইয়াসমিন সাহসের সাথে বাবার পাশে থাকে। সব অসুবিধা পেরিয়ে তারা অবশেষে উপহার কিনতে সক্ষম হন। ফেরার পথে আবার চেকপয়েন্টের মুখোমুখি হলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে।

শর্টফিল্মটি ফিলিস্তিনি জীবনের প্রতিদিনকার সংগ্রাম, মানবিকতা, সাহসিকতা ও সেনা দখলদারিত্বের বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলেছে। বিশ্বব্যাপী বেশ প্রশংসিত হয়েছে এটি।

আরো পড়ুন
ঘনিষ্ঠতা মানেই যৌনতা নয় : অনুরাধা

ঘনিষ্ঠতা মানেই যৌনতা নয় : অনুরাধা

 

ফাইভ ব্রোকেন ক্যামেরাস
ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিনের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। এর মধ্যে একটা সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শুরু করে হত্যার মহোৎসব। কিন্তু নানা সময় তাদের এসব কাজের বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলন হয়েছে। সে গল্প নিয়েই তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন গাই দাভিদি ও এমাদ বার্নাট। পশ্চিম তীরের বহু ঘর, পরিবারের ওপর ঘটে যাওয়া অত্যাচার ও নিপীড়নের চিত্র এ দুই নির্মাতা তুলে রেখেছিলেন তাদের ক্যামেরায়। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তারা কাজটি করেছেন।

২০১১ সালে নির্মিত এ তথ্যচিত্রকে বলা হচ্ছে রাজনৈতিক ও সিনেম্যাটিক অ্যাক্টিভিজমের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। নির্মাতারা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, যেকোনো সময় তাদের ঘরের দরজায় ধাক্কা পড়তে পারে এবং সব শেষ হয়ে যেতে পারে জেনেও তারা কাজ করে গেছেন।

ওয়াল্টয উইথ বশির
এরি ফোলম্যান ২০০৮ সালে নির্মাণ করেন সিনেমাটি। লাইভ অ্যাকশন না, সিনেমাটি অ্যানিমেটেড। মূলত ১৯৮২ সালের লেবানন যুদ্ধের এক সৈন্যকে নিয়ে এগোয় গল্প। সিনেমার অ্যানিমেশন করেছিলেন ডেভিড পোলনস্কি। তার অ্যানিমেশন ও ফোলম্যানের নির্মাণ এর বিষয়কে আরো স্পষ্ট করে তুলেছিল দর্শকের কাছে। ফলে ওয়াল্টয উইথ বশির গোল্ডেন গ্লোবে সেরা অ্যানিমেটেড সিনেমার পুরস্কার পাওয়ার পাশাপাশি অস্কারেও মনোনীত হয়েছিল।

আরো পড়ুন
‘সহ্যের একটা সীমা থাকে’, ঠাকুরপুকুরের ঘটনায় স্বস্তিকার ক্ষোভ

‘সহ্যের একটা সীমা থাকে’, ঠাকুরপুকুরের ঘটনায় স্বস্তিকার ক্ষোভ

 

লেমন ট্রি
সিনেমাটিও ২০০৮ সালে নির্মিত। নির্মাণ করেছেন এরান রিকলিস। সিনেমাটিতে সালমার গল্প বলা হয়েছে। তিনি ফিলিস্তিনের একটি গ্রামের বাসিন্দা। লেবু বাগানের ওপর নির্ভর করেই জীবনধারণ করেন। কিন্তু একটা সময় ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু উদ্যোগ নেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নামে কিছু সীমানা তৈরির চেষ্টা করে, যার কারণে ধ্বংসের মুখে পড়ে সালমার লেবু বাগান। সালমা তা মানতে চায় না। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যায় সে।

লেমন ট্রি মূলত একটি মানবিক গল্প। একটি ছোট পরিসরের গল্প থেকে বড় পরিসরের বাস্তবতা বোঝানোর চেষ্টা দেখা যায় এ সিনেমায়।

দ্য গেটকিপারস
২০১২ সালের সিনেমাটিকে ইসরায়েলি সিনেমা বলা হলেও বস্তুত এর পেছনে কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রযোজনা সংস্থার হাত আছে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ইসরায়েলি নির্মাতা দোরর মোরে। কম্পিউটার অ্যানিমেশন ও বেশকিছু দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নিয়ে তিনি সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া আছে আর্কাইভের বেশকিছু ফুটেজ। ইসরায়েলি সরকার ছাড়াও যে তাদের এজেন্সি শিন বেট বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে এ সিনেমা সেদিকে নজর দেয়। সিনেমায় যুদ্ধ নিয়ে বেশকিছু চিত্র আছে। নির্মাতা দ্য ফগ অব ওয়ার থেকে অনুপ্রাণিত ছিলেন বলে সিনেমা বিশ্লেষকরা মনে করেন।

আরো পড়ুন
শাহরুখের সঙ্গে আরেকটা ছবি করতে চাই : সানি দেওল

শাহরুখের সঙ্গে আরেকটা ছবি করতে চাই : সানি দেওল

 

ফক্সট্রট
এক ধারার নাচের নাম হলেও স্যামুয়েল মাওজের ফক্সট্রট একটি ফ্যামিলি ট্র্যাজেডি। নির্মাতা এ সিনেমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে। সিনেমাটি পেয়েছিল সিলভার লায়ন। ২০১৭ সালে নির্মিত এ সিনেমায় তিন ধাপ বা ভাগে গল্পটি বলা হয়েছে। শুরুর গল্পে সেনারা এক মধ্যবয়সী দম্পতির বাড়িতে এসে জানায় তাদের ছেলে ডিউটিরত অবস্থায় মারা গেছে। এরপর সীমান্তে দায়িত্বরত সেনাদের জীবনের গল্প দেখানো হয়। সেখান থেকে গল্প আবার চলে যায় ওই দম্পতির কাছে। সিনেমাটিতে মূলত সৈন্যদের অবস্থা দেখানো হয়েছে। সেনারা সরল মনে সীমান্ত ও যুদ্ধে গিয়ে রাজনীতির বলি কীভাবে হন সে কথা বলে সিনেমাটি। সিনেমা বিশ্লেষকরা বলতে চার মাওজের কাজটি মানবিকতার দিক তুলে ধরতে চেয়েছে।

নো আদার ল্যান্ড
চারজন নির্মাতার দলগত প্রয়াস এ সিনেমা। এটিও দুই বন্ধুর গল্প। পশ্চিম তীরের এক গ্রামের দুই বন্ধুর জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনের চলমান অবস্থার বাস্তবতা দেখিয়েছেন নির্মাতারা। অনেকটা দিনলিপির মতো এগিয়েছে গল্প। বাসেল ও ইউভালের এ গল্প একসময় হয়ে ওঠে বাস্তু রক্ষার সত্যের দিনলিপি। 

ডকুমেন্টারিটি কেন্দ্রীভূত পশ্চিম তীরের মাসাফা জোহার অঞ্চলে। এই এলাকা বহু ফিলিস্তিনি গ্রাম নিয়ে গঠিত, যা ইসরায়েলি বসতি স্থাপন এবং সেনাবাহিনীর দখলদারিত্বের মুখে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। ৯৭তম একাডেমি পুরস্কারে সেরা তথ্যচিত্রের অস্কার জিতে নেয় এটি।

গাজা মন আমোর
জার্মান সিনেমাটির পরিচালক আরব নাসর ও তার্জান নাসর। সিনেমাটি মুক্তি দেয়া হয়েছিল জার্মান, পর্তুগিজ ও আরবি ভাষায়। এটি মূলত ৬০ বছর বয়সী জেলের গল্প, যে কখনো তার পছন্দের নারীকে ভালোবাসার কথা বলতে পারেনি। কিন্তু একসময় জালে ওঠা গ্রিক দেবতা অ্যাপলোর মূর্তি দেখে তার মনে হয় ভাগ্যদেবতা এবার প্রসন্ন হলেন। কিন্তু দেবতা প্রসন্ন হলেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ মূর্তির খোঁজ পেলে শুরু হয় নতুন সমস্যা। সিনেমার এ গল্পের মধ্য দিয়ে গাজার চলমান অস্থিরতা, সামাজিক সংকট ইত্যাদি তুলে ধরেছেন নির্মাতারা।

২০২০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে। আরব ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালসহ একাধিক জায়গায় সমালোচকদের মন জয় করেছে এটি। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ