জেনে নিন অ্যাভোকাডো দৈনিক খাওয়ার উপকারিতা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জেনে নিন অ্যাভোকাডো দৈনিক খাওয়ার উপকারিতা

অ্যাভোকাডো একটি চমৎকার ফল। বেশিরভাগ ফলের মধ্যে মূলত কার্বোহাইড্রেট থাকে তবে অ্যাভোকাডোতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। অ্যাভোকাডো ফলের উপকারীতা অগণিত। তবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান নিয়ে আজকে আলোচনা করা হলো।

অ্যাভোক্যাডোর অভ্যন্তরীণ হলুদ-সবুজ মাংসল অংশ খাওয়া হয়, তবে খোসা এবং বিচি ফেলে দেয়া হয়। এতে ২০ রকমের ভিটামিন এবং খনিজ সহ বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়

রক্তচাপ কমাতে, ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে এবং ধমনী ফলকের ধীর বিকাশ ঘটাতে অ্যাভোক্যাডো খুবি উপকারী। তাছাড়া অস্বাভাবিক হার্ট স্পন্দন, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা হ্রাস করতে অ্যাভোকাডোর তুলনা নেই।

প্রতিদিনের একটি অ্যাভোক্যাডো হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর সম্ভাবনা হ্রাস করতে পারে।

হজমে সহায়তা করে

প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অ্যাভোকাডো রাখলে আপনার খাবার খুব ভালোভাবে হজম হবে। সেই সাথে কোষ্ট্যকাঠিন্যের মত সমস্যা দূর হবে। একটি অ্যাভোকাডোতে ১০ গ্রামের মত ফাইবার থাকে।

ফাইবার হজমে সহায়তা করে।

রোগ প্রতিরোধ করে

অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি রয়েছে। আর ভিটামিন বি শরীরকে রোগ জীবাণু থেকে রক্ষা করে। এছাড়া অ্যাভাকাডোতে যে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং উদ্ভিজ্জ খনিজ রয়েছে তা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

ঘুম ভালো হয়

অ্যাভোকাডোতে যে ম্যাগনেসিয়াম থাকে তা শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।

 

ওজন কমায়

অ্যাভোকাডো হলো ওজন কমানোর উপযোগী খাবার। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, খাবারের সঙ্গে অ্যাভোকাডো খেলে ২৩% বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায় এবং যারা এই ফলটি খান না তাদের তুলনায় পরবর্তী ৫ ঘন্টায় তাদের খাওয়ার ইচ্ছা ২৮% কম হয়। সুতরাং আপনার ডায়েট চার্টে অ্যাভোকাডো যোগ করলে এটি স্বাভাবিকভাবেই আপনাকে কম ক্যালোরি খেতে সহায়তা করবে এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসে অভ্যস্ত করবে।

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে

অ্যাভোকাডোতে দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্যারোটিনয়েড থাকে- লুটেন এবং জেক্সানথিন। লুটেইন এবং জেক্সানথিন উভয়ই চোখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। এই দুটি ক্যারোটিনয়েড আলাদা আলাদাভাবে কাজ করে, তবে একসঙ্গে আরো ভালো কাজ করে। এর ফলে চোখে ছানিও পড়ে না।

চুল ও ত্বকের যত্নে

পেন্টোথেনিক অ্যাসিড (ভিটামিন বি ৫) প্রায় প্রতিটি ত্বক এবং চুলের যত্নের তৈরি প্রসাধনীতে থাকে। অ্যাভোকাডোতে প্যান্টোথেনিক অ্যাসিডের ৪৫% আরডিএ থাকে। যা ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে সহায়তা করে এবং ত্বকে লাবণ্য আনতে সাহায্য করে।

অ্যাভোক্যাডো হলো পুষ্টিতে ভরপুর একটি চমৎকার ফল যা আধুনিক ডায়েটের সকল ধরনের পুষ্টির অভাব পূরণ করতে সহায়তা করে। 

সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া 

মন্তব্য

লেবুর সঙ্গে যে খাবার খেতে মানা

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
লেবুর সঙ্গে যে খাবার খেতে মানা

লেবু তার রসের জন্য সবার কাছে পরিচিত। এর রস দিয়ে যেমন শরবত তৈরি করে খাওয়া হয় তেমনি সালাদ, শাক-সবজি এবং ডালেও যোগ করে খাওয়া যায়। এটি খাবারের স্বাদ আরো বাড়িয়ে তোলে। অনেকে আবার লেবু খোসাও সালাদে দিয়ে খেয়ে থাকেন।

লেবু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি এতে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফাইবারের মতো পুষ্টি উপাদানও পাওয়া যায়।

পুষ্টিবিদদের মতে, লেবুতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আমাদের অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে।

তবে কিছু জিনিসের সঙ্গে লেবু খাওয়া উচিত নয়। এর ফলে স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে, যা পেট সম্পর্কিত সমস্যা তৈরি করতে পারে। জেনে নেওয়া প্রয়োজন লেবুর সঙ্গে কোন জিনিস খাওয়া উচিত নয়।

আরো পড়ুন
ডায়াবেটিক রোগীরা কি মিষ্টি আলু খেতে পারবেন?

ডায়াবেটিক রোগীরা কি মিষ্টি আলু খেতে পারবেন?

 

দুগ্ধজাত পণ্য

লেবুতে সাইট্রিক এসিড পাওয়া যায়, যা দুধ বা অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্যের সঙ্গে খাওয়ার সময় প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।

এ ছাড়া এর ব্যবহার এসিডিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, যার ফলে বুক জ্বালাপোড়া ও এসিডিটি হয়।

মশলাদার খাবার

লেবু এসিডিক, তাই মশলাদার খাবারের সঙ্গে খেলে খাবার আরো মশলাদার এবং টক হয়ে যায়। যা স্বাদ নষ্ট করতে পারে।

সামুদ্রিক খাবার

সারা বিশ্বের মানুষ প্রায়শই মাছের সঙ্গে লেবু খায়, কিন্তু হালকা স্বাদের মাছের সঙ্গে লেবু খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ, এটি এর স্বাদ নষ্ট করে।

আরো পড়ুন
‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

 

মিষ্টি ফল

লেবুর স্বাদ ও গঠন তিক্ত। মিষ্টি ফলের সঙ্গে এটি খেলে এর স্বাদ নষ্ট হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, স্ট্রবেরি বা তরমুজের সঙ্গে লেবু মেশাবেন না।

বাটারমিল্ক ও দই

দুধের মতো লেবুর রসও বাটারমিল্ক এবং দইকে জমাট বাঁধতে পারে। যদি আপনি এই উপাদানগুলো মিশ্রিত করতে চান, তাহলে ধীরে ধীরে এবং সঠিক পদ্ধতিতে এটি করা ভালো।

আরো পড়ুন
গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

 

সূত্র : ইটিভি

মন্তব্য

গরমে পেট ঠাণ্ডা রাখবে দই, আর কী উপকার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে পেট ঠাণ্ডা রাখবে দই, আর কী উপকার
সংগৃহীত ছবি

গ্রীষ্মে আমাদের শরীরের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন পড়ে। কারণ তীব্র সূর্যের আলো ও উচ্চ তাপমাত্রার কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যাগুলো এড়াতে খাদ্যতালিকায় এমন জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা তাপের কারণে সৃষ্ট সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে।

এর জন্য দই এমন একটি বিকল্প, যা কেবল পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে না, বরং শরীরকে ঠাণ্ডা করতে এবং পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দই একটি দুগ্ধজাত পণ্য, যা ল্যাকটোব্যাসিলাস বুলগারিকাস ও স্ট্রেপ্টোকক্কাস থার্মোফিলাসের মতো উপকারী ব্যাকটেরিয়া দিয়ে তৈরি করা হয়। দই তৈরির প্রক্রিয়াটি দুধকে প্রোবায়োটিক, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ একটি ক্রিমি, ট্যাঞ্জি পদার্থে রূপান্তরিত করে, যা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সুবিধা দেয়।

আরো পড়ুন
গরমে প্রয়োজনের অধিক পানি পান করলে কী হয়

গরমে প্রয়োজনের অধিক পানি পান করলে কী হয়

 

এসব উপকারের জন্য গ্রীষ্মের দিনে দই খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আজ জেনে নিন, গ্রীষ্মে দই খেলে আমরা আরো কী কী উপকার পেতে পারি—

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবডির উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে এবং ইমিউন কোষকে সক্রিয় করে। যা শরীরের সংক্রমণ ও রোগ সৃষ্টিকারী এজেন্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায়। তাই ডায়েটে নিয়মিত দই যোগ করতে।

ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ

দই ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ।

যেমন ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন বি ১২। দই খেলে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এক কাপ দইয়ে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে, যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।

আরো পড়ুন
গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

 

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে

দই খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর প্রোটিন ও চর্বি উপাদান কার্বোহাইড্রেটের হজমকে ধীর করে দেয়।

রক্তের প্রবাহে চিনির এই ধীরে ধীরে মুক্তি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি রোধ করে। তাই দই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী, কারণ এটি স্থিতিশীল গ্লুকোজের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে।

ত্বক ও চুলের জন্য ভালো

দইয়ে উপস্থিত ল্যাকটিক এসিড ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি নিয়মিত খেলে আপনার চুল পুষ্টি পাবে এবং চুল পড়া, শুষ্কতা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। এর পাশাপাশি, এটি আপনার ত্বককে শুষ্ক হতেও বাধা দেয়।

আরো পড়ুন
গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

 

তাপপ্রবাহ ও পানিশূন্যতা

দই হিটস্ট্রোক ও তাপের কারণে সৃষ্ট পানিশূন্যতা  রক্ষা করতে সাহায্য করে। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ

দই খেলে পেট ভরা থাকে, ফলে বেশি খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

এ ছাড়া গ্রীষ্মের দিনে দই খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। এটি খেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং তাপজনিত সমস্যা কমে।

আরো পড়ুন
ডায়াবেটিক রোগীরা কি মিষ্টি আলু খেতে পারবেন?

ডায়াবেটিক রোগীরা কি মিষ্টি আলু খেতে পারবেন?

 

সূত্র : বোল্ডস্কাই

মন্তব্য

ডিম ফ্রিজে রাখলে কত দিন ভালো থাকে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ডিম ফ্রিজে রাখলে কত দিন ভালো থাকে
সংগৃহীত ছবি

সিদ্ধ, ভাজা, পোচ, হাফ বয়েল কিংবা রকমারি পদ, বিভিন্নভাবে ডিম খাওয়া যায়। এই ডিম অনেকেরই প্রিয় খাবারের তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে থাকে। বলা যায়, ডিম পছন্দ করেন না এরকম মানুষ খুব কমই আছে।

ডিম রান্না করা যেমন সহজ, তেমন পুষ্টিগুণেও ভরপুর।

ডিম শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বেশিরভাগ মানুষই তাদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে ডিম খান। পুষ্টিগুণে ভরপুর ডিম খেলে শুধু হাড়ই মজবুত হয় না, শরীরের আরো অনেক সমস্যার সমাধান হয়।

অনেকে বাড়িতে অন্যান্য ফল ও সবজির মতোই ডিম ফ্রিজে রাখেন।

তবে ফ্রিজে রাখা সত্ত্বেও ডিম ভাঙার পর অনেক সময় অদ্ভুত গন্ধ বের হয়। ডিম ফ্রিজে রাখার একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। কিভাবে ডিম ফ্রিজে রাখবেন এবং কতদিন রাখবেন, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন
গরমে প্রয়োজনের অধিক পানি পান করলে কী হয়

গরমে প্রয়োজনের অধিক পানি পান করলে কী হয়

 

ফ্রিজে ডিম কত দিন ভালো থাকে

৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা তার কম তাপমাত্রায় সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে ডিম তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত তাজা থাকতে পারে। এটাও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ডিমের কার্টনের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ থাকে না। তবে কত তারিখের আগে খেতে হবে সেটা থাকে অনেক সময়। ডিম ভালো রাখতে সব সময় আসল কার্টনে রাখুন।

ডিম খারাপ হয়েছে কি না পরীক্ষা করার উপায়  

আপনার ফ্রিজে রাখা ডিম খাওয়ার উপযোগী নাকি খারাপ হয়ে গেছে, তা একটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন।

এই পরীক্ষা করার জন্য এক বাটি পানিতে ডিম রাখুন।

আরো পড়ুন
গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

 
  • যদি ডিম ডুবে যায় তাহলে এটি তাজা এবং ভালো।
  • যদি এটি সোজা হয়ে থাকে তাহলে এটি পুরনো হলেও খেতে পারেন।
  • ডিমটি পানিতে ভাসলে বুঝবেন নষ্ট হয়ে গেছে এবং এটি ফেলে দিন।

ডিম কিভাবে সংরক্ষণ করবেন

আপনি ডিম কোথায় সংরক্ষণ করেন তা গুরুত্বপূর্ণ। ডিমের আসল কার্টনে ফ্রিজের মধ্যে রাখুন। ফ্রিজের দরজায় ডিম রাখা এড়িয়ে চলুন। কারণ তাপমাত্রার ক্রমাগত ওঠানামা করে সতেজতাকে প্রভাবিত করতে পারে। 

আরো পড়ুন
গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

 

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

যেসব ফলের বীজ খেলে হতে পারে বিপদ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
যেসব ফলের বীজ খেলে হতে পারে বিপদ
সংগৃহীত ছবি

ফল খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে, একথা সবাই জানেন। কিন্তু কিছু ফলের বীজ খেয়ে ফেললে সেটা ক্ষতির কারণ হতে পারে—এটা অনেকেই জানেন না। কিছু কিছু ফলের বীজ শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে যদি সেগুলো চিবিয়ে বা ভেঙে খাওয়া হয়। এর মূল কারণ, এই বীজগুলোতে কিছু প্রাকৃতিক রাসায়নিক যৌগ থাকে, যা হজমের সময় সায়ানাইড নামক একটি বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন করতে পারে।

কোন কোন ফলের বীজ চিবিয়ে বা ভেঙে খেলে বিপদ হতে পারে, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

আপেল বীজ

আপেলের বীজে অ্যামিগডালিন নামক একটি যৌগ থাকে। যখন এই বীজ চিবানো বা হজম করা হয়, তখন এটি সামান্য পরিমাণে হাইড্রোজেন সায়ানাইড নির্গত করে।

অল্প পরিমাণে বীজ খেলে তেমন কোনো ক্ষতি হয় না, কারণ শরীর তা নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। তবে, প্রচুর পরিমাণে আপেল বীজ চিবিয়ে খেলে বিষক্রিয়া হতে পারে।

আরো পড়ুন
ডায়াবেটিক রোগীরা কি মিষ্টি আলু খেতে পারবেন?

ডায়াবেটিক রোগীরা কি মিষ্টি আলু খেতে পারবেন?

 

চেরি বীজ

চেরির বীজেও অ্যামিগডালিন থাকে। এটিও হজমের সময় সায়ানাইড উৎপন্ন করতে পারে।

তাই চেরি খাওয়ার সময় বীজ ফেলে দেওয়া উচিত এবং ভুল করে মুখে চলে গেলেও তা চিবানো উচিত নয়।

পীচ বীজ

পীচের বীজের ভেতরেও অ্যামিগডালিন থাকে। এটিও চিবিয়ে খেলে সায়ানাইড বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।

আলুবোখারা বীজ

আলুবোখারার বীজও একই কারণে ক্ষতিকর হতে পারে। এর মধ্যেও অ্যামিগডালিন থাকে, যা হজমের সময় সায়ানাইড তৈরি করে।

আরো পড়ুন
‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

 

অ্যাপ্রিকট বীজ

অ্যাপ্রিকটের বীজেও অ্যামিগডালিন থাকে এবং এটিও সায়ানাইড তৈরি করতে পারে। কিছু সংস্কৃতিতে অ্যাপ্রিকটের বীজ খাওয়া হয়, তবে তা অবশ্যই সীমিত পরিমাণে এবং বিশেষ প্রক্রিয়াকরণের পর। কাঁচা এবং বেশি পরিমাণে এই বীজ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।

সাধারণভাবে, এই ফলগুলোর আস্ত বীজ গিলে ফেললে তেমন কোনো সমস্যা হয় না কারণ বীজের শক্ত খোলের কারণে অ্যামিগডালিন সহজে নির্গত হতে পারে না। তবে, বীজ চিবিয়ে বা ভেঙে খেলে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরো বেশি।

আরো পড়ুন
গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

 

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ