ঢাকা, রবিবার ২০ এপ্রিল ২০২৫
৬ বৈশাখ ১৪৩২, ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

প্রেগন্যান্সিতে যে কারণে আদা এড়িয়ে যাবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
প্রেগন্যান্সিতে যে কারণে আদা এড়িয়ে যাবেন
সংগৃহীত ছবি

বাঙালীদের হেঁশেলে আদা একটি অন্যতম উপাদান। নানা ওষধি গুণ থাকায় আদা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। আদা ছাড়া শুধু চা নয় অনেক খাবারের স্বাদই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু একথাও স্বীকার না করলেই নয় যে মাত্রাতিরিক্ত আদা খাওয়া কিছু মানুষের জন্য ঝামেলার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

আজকের প্রতিবেদনে দেখে নেওয়া যাক সেসব বিষয়।

আদার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে আদা আমাদের শরীরে কী প্রভাব ফেলতে পারে এবং সেগুলো এড়ানোর উপায় কী জেনে নিন।

আরো পড়ুন
কাঁচা আদা ও জলের ৮ উপকারিতা

কাঁচা আদা ও জলের ৮ উপকারিতা

 

বমি বমি ভাব

আদা খাওয়াকে সাধারণত বমি বমি ভাব কমাতে কার্যকর বলে মনে করা হয়।

তবে কিছু মানুষের মধ্যে এটি বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত পরিমাণে আদা খেলে বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে।

মুখের মধ্যে জ্বলন্ত সংবেদন

ক্যাপসাইসিন নামক এই উপাদান আদার মধ্যেও পাওয়া যায়। এই একই যৌগ মরিচের মধ্যেও রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে, খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত পরিমাণে আদা থাকলে এটি মুখে জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে।

আরো পড়ুন
ওজন কমাবে আদার রস

ওজন কমাবে আদার রস

 

ডায়রিয়া সমস্যা

খাবারে অত্যধিক আদা অন্তর্ভুক্ত করলে ডায়রিয়াও হতে পারে। এই কারণেই কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে এটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

ওষুধের সাথে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

আদা কিছু ওষুধের সাথে মিলিত হলে পাচনতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত কোনো ওষুধ খান, তাহলে আদা খাওয়ার আগে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি।

ত্বকের জ্বালা

আদার তেলে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে, যা কিছু মানুষের ত্বকে জ্বালাতন করতে পারে। আদার তেল সরাসরি ত্বকে লাগালে ত্বকে জ্বালা, লালভাব বা চুলকানি হতে পারে।

আরো পড়ুন
চোখের রোগ নারীদের বেশি হয় কেন?

চোখের রোগ নারীদের বেশি হয় কেন?

 

আদার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়ানোর উপায়

  • সীমিত পরিমাণে আদা খান। প্রচুর পরিমাণে আদা সেবন করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
  • আদার তেল সরাসরি ত্বকে লাগালে জ্বালা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে নারকেল বা বাদাম তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা উচিত।
  • সীমিত পরিমাণে আদা খাওয়া শরীরের জন্য কার্যকরী। যা আপনাকে ঠাণ্ডা ও অন্যান্য অনেক ছোটখাটো রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।
  • গর্ভবতী বা বুকের দুধ খাওয়ানো মহিলাদের আদা খাওয়ার আগে তাদের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

সূত্র : বোল্ডস্কাই

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রতিদিন সকালে নিমপাতা চিবিয়ে খেলে কী উপকার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
প্রতিদিন সকালে নিমপাতা চিবিয়ে খেলে কী উপকার
সংগৃহীত ছবি

নিমপাতা চিবিয়ে খাওয়ার চল বহু পুরনো। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও এর বর্ণনা পাওয়া যায়। এই পাতার তেতো স্বাদ হয়তো অনেকেই সহ্য করতে পারেন না, কিন্তু এর গুণাগুণ জানলে আপনি নিজেও নিমপাতাকে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে চাইবেন।

প্রতিদিন সকালে এই পাতা চিবালে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

এ ছাড়া আর কী উপকার পাওয়া যায় নিমপাতা চিবালে, তা জানুন এই প্রতিবেদনে।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

নিমপাতায় থাকে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিমপাতা চিবিয়ে খেলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ভাইরাল সংক্রমণ, সর্দি-কাশির মতো ঋতুজনিত অসুখ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন
অতিরিক্ত ওজন যখন চোখের ক্ষতির কারণ

অতিরিক্ত ওজন যখন চোখের ক্ষতির কারণ

 

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়

নিমপাতা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। ফলে ত্বকে ব্রণ, র‍্যাশ, এলার্জি হওয়ার প্রবণতা কমে। নিয়মিত নিমপাতা খেলে ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হয়। অনেকেই নিমপাতা বেটে ফেসপ্যাক হিসেবেও ব্যবহার করেন।

রক্ত পরিশোধন করে

নিমপাতা প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন সকালে নিমপাতা চিবিয়ে খেলে রক্ত বিশুদ্ধ হয়। শরীরে ক্ষতিকর পদার্থ জমে না এবং বিভিন্ন চর্মরোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

গবেষণায় দেখা গেছে, নিমপাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিক রোগীরা নিয়মিত নিমপাতা খেলে উপকার পান।

তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত।

আরো পড়ুন
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজেই সর্দি, সুস্থ থাকতে যা করবেন

হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজেই সর্দি, সুস্থ থাকতে যা করবেন

 

হজমশক্তি বাড়ায়

নিমপাতার তেতো স্বাদ পাকস্থলীতে পাচন রস ক্ষরণে সাহায্য করে। এতে হজমের সমস্যা কমে এবং গ্যাস-অম্বলের উপসর্গ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

নিমপাতার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ দাঁতের জন্যও উপকারী। এটি মাড়ি মজবুত করে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। অনেক টুথপেস্টেও নিম ব্যবহৃত হয়।

আরো পড়ুন
দীর্ঘক্ষণ আঁটসাঁট পোশাক পরে থাকলে স্বাস্থ্যের কী ক্ষতি

দীর্ঘক্ষণ আঁটসাঁট পোশাক পরে থাকলে স্বাস্থ্যের কী ক্ষতি

 

কিভাবে খাবেন

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কয়েকটি পরিষ্কার নিমপাতা ভালো করে ধুয়ে তারপর সেগুলো চিবিয়ে খেতে হবে। অনেকে পাতাগুলো বেটে পানি মিশিয়ে খালি পেটে খান। তবে প্রথমে একটু তেতো লাগলেও ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে যায়।

সতর্ক থাকুন

গর্ভবতী নারী বা যাদের নিমপাতা থেকে অ্যালার্জি হতে পারে তারা এই পাতা সেবনের আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নেবেন।

প্রতিদিন সকালে নিমপাতা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস বহু রোগ থেকে দূরে রাখে এবং শরীর সুস্থ রাখে। একে বলা যায় প্রকৃতির উপহার। আজ থেকেই শুরু করুন এই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস।

আরো পড়ুন
শরীরে ম্যাগনেসিয়াম বাড়াতে সাহায্য করবে যে ৮ পানীয়

শরীরে ম্যাগনেসিয়াম বাড়াতে সাহায্য করবে যে ৮ পানীয়

 

সূত্র : আজতক বাংলা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

গরমে পেট ঠাণ্ডা রাখবে যেসব পানীয়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে পেট ঠাণ্ডা রাখবে যেসব পানীয়
সংগৃহীত ছবি

দিন দিন বাড়ছে তাপমাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ শরীর ঠাণ্ডা করার জন্য ঠাণ্ডা পানীয়ের সাহায্য নেয়। বাইরে থেকে অস্বাস্থ্যকর পানীয় পান করার পরিবর্তে তাজা মসলা ও ফল দিয়ে বাড়িতে তিন ধরনের সুস্বাদু পানীয় তৈরি করুন। খুব সহজ এই রেসিপিটি মনে রাখবেন।

ধনে-আদা মসলা বাটারমিল্ক

উপকরণ

  • দই ২ কাপ
  • মিহি করে কাটা ধনে পাতা- ২ চা চামচ
  • কুঁচি করা আদা- ১ টুকরা
  • লবণ- স্বাদ অনুযায়ী
  • পানি- প্রয়োজন অনুযায়ী
আরো পড়ুন
গরমে ত্বকের যত্নে যা করবেন

গরমে ত্বকের যত্নে যা করবেন

 

পদ্ধতি

মিক্সারে দই ও পানি দিয়ে মিক্সারটি একবার চালান। এবার ধনেপাতা, লবণ ও আদা দিয়ে আবার মিক্সারটি চালান। একটি সার্ভিং গ্লাসে ঢেলে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন।

ফলসা সিরাপ

উপকরণ

  • ফলসা- ২৫০ গ্রাম
  • চিনি- স্বাদ অনুযায়ী
  • ভাজা জিরা গুঁড়া- ১ চা চামচ
  • কালো লবণ- ২ চা চামচ
  • মিহি করে কাটা ধনে পাতা- ২ চা চামচ
  • লেবুর টুকরা- সাজানোর জন্য
আরো পড়ুন
গরমে বাইরে থেকে এসেই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল, ভালো নাকি খারাপ

গরমে বাইরে থেকে এসেই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল, ভালো নাকি খারাপ

 

পদ্ধতি

ফলসা ভালো করে ধুয়ে তারপর একটি বড় চামচ দিয়ে ভালো করে চটকে নিন যাতে বীজ আলাদা হয়ে যায়।

বীজগুলো তুলে ফেলুন। মিক্সারে ফলসা, জিরা গুঁড়া, কিছু পানি, লবণ ও চিনি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি একটি বড় পাত্রে ছেঁকে নিন। প্রতিটি পরিবেশন গ্লাসে অল্প পরিমাণে এই মিশ্রণটি ঢেলে দিন।
এর ওপর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি মিশিয়ে নিন। বরফের টুকরা, পুদিনা পাতা ও লেবুর টুকরো দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

মসলা সোডা শিকাঞ্জি

উপকরণ

  • সোডা- ৭০০ মিলি
  • লেবুর রস- ৩ চা চামচ
  • কাঁচা মরিচ
  • চেরা- ২টি
  • কালো লবণ- এক চিমটি
  • চাট মসলা গুঁড়া- ১ চা চামচ
আরো পড়ুন
উচ্চ রক্তচাপের ‘নতুন ওষুধ’ হতে পারে কলা, যা বলছেন গবেষকরা

উচ্চ রক্তচাপের ‘নতুন ওষুধ’ হতে পারে কলা, যা বলছেন গবেষকরা

 
  • ভাজা জিরা গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
  • পুদিনা পাতা- ২ চা চামচ
  • লেবুর টুকরা- ৩টি
  • বরফের টুকরা- ১০টি
  • পানি- প্রয়োজন অনুযায়ী

প্রণালী

সব বরফের টুকরা একটি পাত্রে রাখুন। এবার এতে লেবুর রস ও সোডা যোগ করুন এবং ভালো করে মিশিয়ে নিন। গ্রাইন্ডারে মরিচ ও চাট মসলা দিয়ে পিষে নিন।

মরিচ ও চাট মসলার এই মিশ্রণটি একটি পাত্রে ঢেলে নিন। প্রয়োজন অনুসারে ঠাণ্ডা পানি, লেবুর টুকরা ও পুদিনা পাতা যোগ করুন এবং ভালোভাবে মেশান। সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশন করুন।

আরো পড়ুন
গরমে বয়স্করা হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াবেন যেভাবে

গরমে বয়স্করা হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াবেন যেভাবে

 

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

লবঙ্গ খালি পেটে খাওয়া ভালো, নাকি ভরা পেটে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
লবঙ্গ খালি পেটে খাওয়া ভালো, নাকি ভরা পেটে
সংগৃহীত ছবি

আমাদের মধ্যে অনেকেই খাওয়ার পরে দুএকটা লবঙ্গ মুখে দেন। অনেকে আবার আয়ূর্বেদের নিয়ন মেনে সকালে উঠে খালি পেটেই খেয়ে নেন লবঙ্গ। লবঙ্গ খাওয়ার ব্যাপারে খালি পেট ভালো, নাকি ভর্তি পেট—তা নিয়ে রয়েছে নানা মত। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন।

চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভর্তি পেটের তুলনায় খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়াই বেশি ভালো। কেননা এতে তিনগুণ উপকার পাওয়া যায়। লবঙ্গের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট।

যা ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। পেটের যেকোনো ইনফেকশন দূর করতেও কাজে আসে।

আরো পড়ুন
রাতের খাবারের পর লবঙ্গ মুখে দিলে মিলবে যে উপকার

রাতের খাবারের পর লবঙ্গ মুখে দিলে মিলবে যে উপকার

 

শরীরের নানা ব্যথা-বেদনা দূর করতেও সাহায্য করে লবঙ্গ। শুধু তাই নয়, পাকস্থলির স্বাস্থ্য ভালো রাখে লবঙ্গ।

দাঁতের মাড়ি শক্ত হয় এবং মুখের দুর্গন্ধও দূর করে এই লবঙ্গ। তাই এসব উপকার পাওয়ার জন্য খালি পেটে লবঙ্গই খাওয়া ভালো।

সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

মন্তব্য

এসির তাপমাত্রা কখন কত হওয়া উচিত

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
এসির তাপমাত্রা কখন কত হওয়া উচিত
সংগৃহীত ছবি

এপ্রিলের শুরু থেকেই দেশব্যাপী বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। শুরুতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকলেও ক্রমেই তা তীব্রতর হয়ে উঠেছে। তবে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি এসে আবহাওয়া কিছুটা ঠাণ্ডা করে দিয়ে গেলেও পরে আবার গরম হয়ে যায়। এই গরমে আমাদের দেশে মানুষের একমাত্র ভরসা ফ্যান।

তবে দিন দিন এসির চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। শহরে তো আছেই, গ্রামে-গঞ্জেও এসির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে অনেকেই এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম জানেন না। এসির তাপমাত্রা কখন কত হওয়া উচিত, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন।

চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

এসি চালানোর সময় মানুষ ভুলে যায় যে আবহাওয়া অনুযায়ী শরীর যেন প্রয়োজনীয় আরাম পায়। রাতে গভীর ও শান্তির ঘুম চাইলে ঘরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে হবে। আপনি যদি এসির তাপমাত্রা কম রাখেন, তবে এটি আপনার স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

আরো পড়ুন
ওজন কমাতে ব্যায়াম করতে হবে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা, যা বললেন ফিটনেস কোচ

ওজন কমাতে ব্যায়াম করতে হবে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা, যা বললেন ফিটনেস কোচ

 

এসির তাপমাত্রা কত হওয়া উচিত—এ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের ঘরে এসির তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখলে তারা শান্তিতে ঘুমাতে পারবে। শিশুরা খুব গরমের পাশাপাশি ঠাণ্ডাও অনুভব করে। এমন অবস্থায় শিশুদের ঘরের তাপমাত্রা যদি ২১ ডিগ্রি হয়, তাহলে তারা আরামে ঘুমায়।

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ঘরে এসির আদর্শ তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়া উচিত। এই তাপমাত্রায় ঘুম ভালো ও আরামদায়ক ঘুম হয়।

এসির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখলে অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

বয়স্কদের ক্ষেত্রে ঘরে এসির আদর্শ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়া উচিত। বয়স্ক ব্যক্তিরা তুলনামূলকভাবে বেশি ঠাণ্ডা অনুভব করেন। তাই তাদের ঘরের তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে।

আরো পড়ুন
লাল শাক থেকে দূরে থাকবেন যারা

লাল শাক থেকে দূরে থাকবেন যারা

 

এসি চালানোর সময় অবশ্যই একটি টাইমার সেট করে নিতে হবে। অন্যথায় সকালে অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণেও স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। সকালের দিকে ঘর খুব ঠাণ্ডা হয়ে যায় বিধায় এসির তাপমাত্রা ঘর অনুযায়ী সেট করেই ঘুমানো উচিত। এক্ষেত্রে টাইমার দিয়ে রাখলে সুবিধা হয়। অহেতুক বেশি ঠাণ্ডায় ঘুম ভেঙে যাওয়ার ভয়ও থাকে না।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, গরমে অনেকটা সময় কাটিয়ে হঠাৎ এসি রুমে ঢুকে পড়বেন না। এতে রক্তের ধমনী সংকুচিত হয়ে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই চেষ্টা করুন, এসি রুম থেকে বের হয়ে কিছুক্ষণ ছায়ায় থেকে তারপর রোদে বের হতে। আবার রাস্তার প্রখর রোদ থেকে কিছুক্ষণ ছায়ায় দাঁড়িয়ে তারপরই এসি রুমে প্রবেশ করুন।

আরো পড়ুন
এসি রুমে বসেই ধূমপান, হতে পারে যে বিপদ

এসি রুমে বসেই ধূমপান, হতে পারে যে বিপদ

 
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ