রাশিফল

আজ ১৩ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজ ১৩ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): আপনার পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। প্রিয়জনের সমস্যায় চিন্তিত থাকতে পারেন।

ভুল-বোঝাবুঝি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। আপনার চারপাশে কী ঘটছে, তার প্রতি নজর রাখুন। শরীর ভালো রাখুন।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কোনো সংবাদে বা পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে কিছুটা বিচলিত হতে পারেন।

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এগিয়ে যাবে। নিয়মিত কাজে বাধা এলে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্যবসায় ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ নিন।

আরো পড়ুন
সিঙ্গেল সিটের দাবিতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

সিঙ্গেল সিটের দাবিতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

 

মিথুন (২১ মে-২০ জুন): কাজে কিছুটা বাধা আসতে পারে।

পাওনা অর্থ আদায়ে দেরি হবে। অবসাদের ফলে অনেক কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। নিজের মধ্যে উৎসাহ আনুন। ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকুন। নতুন সুযোগকে কাজে লাগান।
হাল ছাড়বেন না।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। কাজকর্মে প্রসার লাভহবে। আয় বাড়বে। আর্থিক বিনিয়োগ শুভ। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় অন্যের সহযোগিতা পাবেন। দূরদৃষ্টির সঙ্গে অর্থের সদ্ব্যবহার করুন। ভালো থাকুন।

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): আজ সময় ভালো কাটবে। কাছের কারো আচরণ আপনার কাছে তাকে অকৃতজ্ঞ মনে হতে পারে। তবু ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করুন। কাজের গতি বাড়ান ও ধৈর্য ধরুন।

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): সামাজিক যোগাযোগ বাড়বে। সঠিক প্রচেষ্টায় কাজের অগ্রগতি হবে। পুরনো সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। উপার্জনের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা থাকবে। দীর্ঘদিনের পড়ে থাকা কাজ উদ্ধার হতে পারে।

আরো পড়ুন
চা বাগান থেকে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

চা বাগান থেকে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

 

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ আসবে। ব্যবসায় অগ্রগতির যোগ আছে। বিনিয়োগে লাভবান হবেন। নতুন সম্ভাবনা ও সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। কাছের মানুষের সহযোগিতা পাবেন। সবাইকে নিয়ে আনন্দে থাকুন।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে পারবেন। চাকরির ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। বিকল্প ও নতুন পথে অগ্রসর হলে সুফল পাবেন। ব্যবসায় ভালো যোগাযোগ আসবে। প্রিয়জনের কাছে থাকুন।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): উপার্জন হলেও আর্থিক চাপ থাকবে। ব্যবসায় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন। দক্ষ ব্যবস্থাপনার অভাবে সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে। কর্মপদ্ধতি পরিবর্তন করুন। সিদ্ধান্তে স্থির থেকে সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করুন।

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): কোনো প্রত্যাশিত কাজে অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় আশানুরূপ আয়ের সম্ভাবনা। বন্ধুর সহযোগিতায় কাজে সফলতা পাবেন। কর্মক্ষেত্রে মন্দাভাব কেটে যাবে। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সুযোগের সদ্ব্যবহার করুন।

আরো পড়ুন
চা বাগান থেকে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

চা বাগান থেকে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

 

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির আভাস পেতে পারেন। ব্যাবসায়িক কিছু বকেয়া বিল আদায়ের চেষ্টা সফল হতে পারে। বাড়তি আয়ের সুযোগ আসবে। প্রিয়জনের মন রক্ষা করে চলুন। মনের স্থিরতা বজায় রাখুন।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কোনো কাজের অগ্রগতি হবে। বিভিন্ন কারণে উদ্বেগ থাকতে পারে। সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে পারেন। পুরনো সমস্যা কাটিয়ে সাফল্যের পথে অগ্রসর হতে হবে। অহেতুক চাপ নেবেন না। নিজেকে সঠিক পথে রাখুন।

আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গরমে পেট ঠাণ্ডা রাখবে দই, আর কী উপকার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে পেট ঠাণ্ডা রাখবে দই, আর কী উপকার
সংগৃহীত ছবি

গ্রীষ্মে আমাদের শরীরের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন পড়ে। কারণ তীব্র সূর্যের আলো ও উচ্চ তাপমাত্রার কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যাগুলো এড়াতে খাদ্যতালিকায় এমন জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা তাপের কারণে সৃষ্ট সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে।

এর জন্য দই এমন একটি বিকল্প, যা কেবল পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে না, বরং শরীরকে ঠাণ্ডা করতে এবং পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দই একটি দুগ্ধজাত পণ্য, যা ল্যাকটোব্যাসিলাস বুলগারিকাস ও স্ট্রেপ্টোকক্কাস থার্মোফিলাসের মতো উপকারী ব্যাকটেরিয়া দিয়ে তৈরি করা হয়। দই তৈরির প্রক্রিয়াটি দুধকে প্রোবায়োটিক, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ একটি ক্রিমি, ট্যাঞ্জি পদার্থে রূপান্তরিত করে, যা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সুবিধা দেয়।

আরো পড়ুন
গরমে প্রয়োজনের অধিক পানি পান করলে কী হয়

গরমে প্রয়োজনের অধিক পানি পান করলে কী হয়

 

এসব উপকারের জন্য গ্রীষ্মের দিনে দই খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আজ জেনে নিন, গ্রীষ্মে দই খেলে আমরা আরো কী কী উপকার পেতে পারি—

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবডির উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে এবং ইমিউন কোষকে সক্রিয় করে। যা শরীরের সংক্রমণ ও রোগ সৃষ্টিকারী এজেন্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায়। তাই ডায়েটে নিয়মিত দই যোগ করতে।

ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ

দই ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ।

যেমন ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন বি ১২। দই খেলে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এক কাপ দইয়ে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে, যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।

আরো পড়ুন
গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

 

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে

দই খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর প্রোটিন ও চর্বি উপাদান কার্বোহাইড্রেটের হজমকে ধীর করে দেয়।

রক্তের প্রবাহে চিনির এই ধীরে ধীরে মুক্তি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি রোধ করে। তাই দই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী, কারণ এটি স্থিতিশীল গ্লুকোজের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে।

ত্বক ও চুলের জন্য ভালো

দইয়ে উপস্থিত ল্যাকটিক এসিড ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি নিয়মিত খেলে আপনার চুল পুষ্টি পাবে এবং চুল পড়া, শুষ্কতা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। এর পাশাপাশি, এটি আপনার ত্বককে শুষ্ক হতেও বাধা দেয়।

আরো পড়ুন
গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

 

তাপপ্রবাহ ও পানিশূন্যতা

দই হিটস্ট্রোক ও তাপের কারণে সৃষ্ট পানিশূন্যতা  রক্ষা করতে সাহায্য করে। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ

দই খেলে পেট ভরা থাকে, ফলে বেশি খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

এ ছাড়া গ্রীষ্মের দিনে দই খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। এটি খেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং তাপজনিত সমস্যা কমে।

আরো পড়ুন
ডায়াবেটিক রোগীরা কি মিষ্টি আলু খেতে পারবেন?

ডায়াবেটিক রোগীরা কি মিষ্টি আলু খেতে পারবেন?

 

সূত্র : বোল্ডস্কাই

মন্তব্য

ডিম ফ্রিজে রাখলে কত দিন ভালো থাকে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ডিম ফ্রিজে রাখলে কত দিন ভালো থাকে
সংগৃহীত ছবি

সিদ্ধ, ভাজা, পোচ, হাফ বয়েল কিংবা রকমারি পদ, বিভিন্নভাবে ডিম খাওয়া যায়। এই ডিম অনেকেরই প্রিয় খাবারের তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে থাকে। বলা যায়, ডিম পছন্দ করেন না এরকম মানুষ খুব কমই আছে।

ডিম রান্না করা যেমন সহজ, তেমন পুষ্টিগুণেও ভরপুর।

ডিম শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বেশিরভাগ মানুষই তাদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে ডিম খান। পুষ্টিগুণে ভরপুর ডিম খেলে শুধু হাড়ই মজবুত হয় না, শরীরের আরো অনেক সমস্যার সমাধান হয়।

অনেকে বাড়িতে অন্যান্য ফল ও সবজির মতোই ডিম ফ্রিজে রাখেন।

তবে ফ্রিজে রাখা সত্ত্বেও ডিম ভাঙার পর অনেক সময় অদ্ভুত গন্ধ বের হয়। ডিম ফ্রিজে রাখার একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। কিভাবে ডিম ফ্রিজে রাখবেন এবং কতদিন রাখবেন, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন
গরমে প্রয়োজনের অধিক পানি পান করলে কী হয়

গরমে প্রয়োজনের অধিক পানি পান করলে কী হয়

 

ফ্রিজে ডিম কত দিন ভালো থাকে

৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা তার কম তাপমাত্রায় সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে ডিম তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত তাজা থাকতে পারে। এটাও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ডিমের কার্টনের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ থাকে না। তবে কত তারিখের আগে খেতে হবে সেটা থাকে অনেক সময়। ডিম ভালো রাখতে সব সময় আসল কার্টনে রাখুন।

ডিম খারাপ হয়েছে কি না পরীক্ষা করার উপায়  

আপনার ফ্রিজে রাখা ডিম খাওয়ার উপযোগী নাকি খারাপ হয়ে গেছে, তা একটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন।

এই পরীক্ষা করার জন্য এক বাটি পানিতে ডিম রাখুন।

আরো পড়ুন
গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

 
  • যদি ডিম ডুবে যায় তাহলে এটি তাজা এবং ভালো।
  • যদি এটি সোজা হয়ে থাকে তাহলে এটি পুরনো হলেও খেতে পারেন।
  • ডিমটি পানিতে ভাসলে বুঝবেন নষ্ট হয়ে গেছে এবং এটি ফেলে দিন।

ডিম কিভাবে সংরক্ষণ করবেন

আপনি ডিম কোথায় সংরক্ষণ করেন তা গুরুত্বপূর্ণ। ডিমের আসল কার্টনে ফ্রিজের মধ্যে রাখুন। ফ্রিজের দরজায় ডিম রাখা এড়িয়ে চলুন। কারণ তাপমাত্রার ক্রমাগত ওঠানামা করে সতেজতাকে প্রভাবিত করতে পারে। 

আরো পড়ুন
গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

 

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

যেসব ফলের বীজ খেলে হতে পারে বিপদ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
যেসব ফলের বীজ খেলে হতে পারে বিপদ
সংগৃহীত ছবি

ফল খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে, একথা সবাই জানেন। কিন্তু কিছু ফলের বীজ খেয়ে ফেললে সেটা ক্ষতির কারণ হতে পারে—এটা অনেকেই জানেন না। কিছু কিছু ফলের বীজ শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে যদি সেগুলো চিবিয়ে বা ভেঙে খাওয়া হয়। এর মূল কারণ, এই বীজগুলোতে কিছু প্রাকৃতিক রাসায়নিক যৌগ থাকে, যা হজমের সময় সায়ানাইড নামক একটি বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন করতে পারে।

কোন কোন ফলের বীজ চিবিয়ে বা ভেঙে খেলে বিপদ হতে পারে, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

আপেল বীজ

আপেলের বীজে অ্যামিগডালিন নামক একটি যৌগ থাকে। যখন এই বীজ চিবানো বা হজম করা হয়, তখন এটি সামান্য পরিমাণে হাইড্রোজেন সায়ানাইড নির্গত করে।

অল্প পরিমাণে বীজ খেলে তেমন কোনো ক্ষতি হয় না, কারণ শরীর তা নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। তবে, প্রচুর পরিমাণে আপেল বীজ চিবিয়ে খেলে বিষক্রিয়া হতে পারে।

আরো পড়ুন
ডায়াবেটিক রোগীরা কি মিষ্টি আলু খেতে পারবেন?

ডায়াবেটিক রোগীরা কি মিষ্টি আলু খেতে পারবেন?

 

চেরি বীজ

চেরির বীজেও অ্যামিগডালিন থাকে। এটিও হজমের সময় সায়ানাইড উৎপন্ন করতে পারে।

তাই চেরি খাওয়ার সময় বীজ ফেলে দেওয়া উচিত এবং ভুল করে মুখে চলে গেলেও তা চিবানো উচিত নয়।

পীচ বীজ

পীচের বীজের ভেতরেও অ্যামিগডালিন থাকে। এটিও চিবিয়ে খেলে সায়ানাইড বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।

আলুবোখারা বীজ

আলুবোখারার বীজও একই কারণে ক্ষতিকর হতে পারে। এর মধ্যেও অ্যামিগডালিন থাকে, যা হজমের সময় সায়ানাইড তৈরি করে।

আরো পড়ুন
‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

 

অ্যাপ্রিকট বীজ

অ্যাপ্রিকটের বীজেও অ্যামিগডালিন থাকে এবং এটিও সায়ানাইড তৈরি করতে পারে। কিছু সংস্কৃতিতে অ্যাপ্রিকটের বীজ খাওয়া হয়, তবে তা অবশ্যই সীমিত পরিমাণে এবং বিশেষ প্রক্রিয়াকরণের পর। কাঁচা এবং বেশি পরিমাণে এই বীজ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।

সাধারণভাবে, এই ফলগুলোর আস্ত বীজ গিলে ফেললে তেমন কোনো সমস্যা হয় না কারণ বীজের শক্ত খোলের কারণে অ্যামিগডালিন সহজে নির্গত হতে পারে না। তবে, বীজ চিবিয়ে বা ভেঙে খেলে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরো বেশি।

আরো পড়ুন
গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

 

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

গরমে অল্পতেই দুর্বল, কোন ডায়েটে সুফল পাবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে অল্পতেই দুর্বল, কোন ডায়েটে সুফল পাবেন
সংগৃহীত ছবি

দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে। এই গরমের নিত্যসঙ্গী কাঠফাটা রোদ, প্যাচপেচে অস্বস্তি। প্রবল গরমে সুস্থ থাকাটাই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রীষ্মকালে তেলঝাল যুক্ত মশলাদার খাবার খেলেই হচ্ছে বদহজম।

সঠিক খাবার না খেলেও দুর্বল হয়ে পড়বে শরীর।

গরমে শরীরে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি শরীর ঠাণ্ডা, সঙ্গে মেদ ঝরার জন্য কোন ডায়েট অনুসরণ করবেন, তা অনেকেই জানেন না। আর তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

মর্নিং ড্রিঙ্ক

রাতে এক গ্লাস পানিতে মৌরি ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে ছেঁকে খেয়ে নিন। যাদের গরমে গ্যাসট্রিকের সমস্যা বাড়ে তারা জোয়ান ভেজানো পানি খেতে পারেন।

আরো পড়ুন
গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

 

ব্রেকফাস্ট

দ্রুত সকালের নাশতার জন্য গরমে সবচেয়ে ভালো হবে ছাতুর শরবত। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও ছাতু খুবই উপকারী।

৪-৫ চামচ ছাতু ও পরিমাণ মতো পানির সঙ্গে অল্প লবণ ও কুচানো পেঁয়াজ মিশিয়ে খেতে পারেন।

লাঞ্চ ও ব্রেকফাস্টের মধ্যে সময়ের অনেকটা ব্যবধান থাকলে ছাতুর সঙ্গে দই ও চিয়া সিড মিশিয়ে স্মুদি বানিয়েও খেতে পারেন। গরমে ১৫০-২০০ গ্রাম তরমুজের টুকরার সঙ্গে ২০০ গ্রাম টক দই, সামান্য মধু ও বিট লবণ দিয়ে স্মুদি খেতে পারেন। এতে শরীরের হাইড্রেশনের সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে।

মিড মর্নিং

ডাবের পানি, পুদিনা পানি, শসা কুচিয়ে তার সঙ্গে খানিকটা জিরা ও বিট লবণ দিয়ে স্মুদি করে মিড মর্নিংয়ে খেতে পারেন।

এতে খুব তাড়াতাড়ি এনার্জি পাবেন এবং শরীর পানির ঘাটতি মিটবে।

আরো পড়ুন
ডায়াবেটিক রোগীরা কি মিষ্টি আলু খেতে পারবেন?

ডায়াবেটিক রোগীরা কি মিষ্টি আলু খেতে পারবেন?

 

যাদের গরমে খুব বেশি ঘাম হয় কিংবা পরিবারে হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস রয়েছে তারা কোতিলার শরবত খেতে পারেন। এতে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কাও কমবে। এ ছাড়া যেকোনো একটি মৌসুমি ফলও খেতে পারেন। 

লাঞ্চ

গরমের দুপুরে ভাত খেলেই ভালো। ডায়াবেটিসের জন্য যারা ভাত খান না, তারা ডায়েটে রাখুন মিলেট রাইস, সাবু আটার রুটি। সঙ্গে থাকুক যেকোনো এক ধরনের ডাল। এই সময়ে শরীর ঠাণ্ডা রাখে এমন সবজি যেমন লাউ, পেঁপে, ঝিঙের তরকারি খান।

আর যে সব সবজি খেলে গ্যাসের সমস্যা বাড়ে যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি বাদ দিন। পেঁয়াজ, রসুন খেতে হলে সালাদে খান। হালকা মাছের ঝোল কিংবা পেঁপে, গাজর দিয়ে পাতলা চিকেন স্টু বানিয়ে খেতে পারেন। শেষ পাতে থাকুক টক দই।

আরো পড়ুন
‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

 

বিকেলের স্ন্যাকস

বিকেলে খিদে পেলে লস্যি খেতে পারেন। এ ছাড়া ছোলা ভাজা, শসা ও টমেটো দিয়ে মুড়ি মাখা, সুইট কর্ন সালাদ খেলে স্বাদ বদলের সঙ্গে পেট ভরবে। 

ডিনার

রাতে যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি খেতে হবে। ভাত খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলে খেতে পারেন। প্রোটিন হিসেবে সঙ্গে ডাল, পনির, মাছ কিংবা চিকেন স্টু রাখুন। যদি ওজন কমাতে চান তাহলে ওটস কিংবা সাবুর আটার রুটি, ডালিয়ার খিচুড়ি খেতে পারেন। 

ঘুমাতে যাওয়ার আগে

ডিনারের এক-দেড় ঘণ্টা বাদে ঠাণ্ডা পানিতে হাফ টেবিল চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে সেই পানি খেয়ে নিন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমবে।

আরো পড়ুন
ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে কী ক্ষতি

ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে কী ক্ষতি

 

গরমে ভুলবেন না

  • গরমে ঘন ঘন পিপাসা পাচ্ছে মানেই শরীরে বাড়ছে হাইড্রেশনের সমস্যা। তাই পর্যাপ্ত পানি খাওয়া জরুরি। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি খান।
  • ডায়েটে রাখুন পানির পরিমাণ বেশি রয়েছে এমন সবজি ও ফল। যেমন শসা, তরমুজ, স্ট্রবেরি, লাউ, ঝিঙে। বেশি করে সালাদ খাওয়ার চেষ্টা করুন। 
  • গরমে হজমের সমস্যা লেগেই থাকে। দইতে প্রোবায়োটিক ভরপুর মাত্রায় থাকে। এই সময় প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দই রাখলে খাবার ভালো হজম হয়, ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
  • গরমের সময় বেশি করে পেঁয়াজ, রসুন, আদা খেলে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে। এর পরিবর্তে শরীর ঠাণ্ডা করে যেসব মশলা, যেমন জিরা, মৌরি, ধনিয়া, পুদিনা, সেগুলোই রান্নায় বেশি ব্যবহার করুন। 
আরো পড়ুন
কাজুবাদামেরও রুটি হয় নাকি

কাজুবাদামেরও রুটি হয় নাকি

 ুুুুুুুুুুুুুুুু
  • বেশি চিনিযুক্ত খাবার, এনার্জি ড্রিঙ্ক ও প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলুন। চা-কফিও পরিমিত খান।

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ