দিন দিন বাড়ছে রোদের দাপট। অতিরিক্ত গরমে শরীরে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন, হিটস্ট্রোক, বদহজমের মতো নানা সমস্যা। এসব ঝামেলা এড়াতে বেলের শরবত হতে পারে দারুণ এক প্রাকৃতিক সমাধান।
আয়ুর্বেদে বেলের গুরুত্ব অনেক।
দিন দিন বাড়ছে রোদের দাপট। অতিরিক্ত গরমে শরীরে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন, হিটস্ট্রোক, বদহজমের মতো নানা সমস্যা। এসব ঝামেলা এড়াতে বেলের শরবত হতে পারে দারুণ এক প্রাকৃতিক সমাধান।
আয়ুর্বেদে বেলের গুরুত্ব অনেক।
শরীর রাখে ঠাণ্ডা ও হাইড্রেটেড
বেলের শরবত শরীরকে ঠান্ডা রাখে ও হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মের ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, কিংবা বমি বমি ভাব দূর করতে বেলের জুড়ি নেই।
হজমে সহায়তা
গরমকালে বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য ও অ্যাসিডিটির সমস্যা বেড়ে যায়। বেল খেলে হজমশক্তি বাড়ে ও পেট থাকে আরামদায়ক।
শক্তির উৎস
গরমে অল্প কাজেই ক্লান্তি চলে আসে। বেলের শরবত কাজ করে প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক হিসেবে। বাজারের ক্যামিকেলযুক্ত এনার্জি ড্রিংকের চেয়ে এটি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর ও কার্যকর।
শরীরের টক্সিন দূর করে, বাড়ায় ত্বকের উজ্জ্বলতা
বেলের শরবত লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। একই সঙ্গে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও দাগহীন।
সূত্র : এই সময়
সম্পর্কিত খবর
সিদ্ধ, ভাজা, পোচ, হাফ বয়েল কিংবা রকমারি পদ, বিভিন্নভাবে ডিম খাওয়া যায়। এই ডিম অনেকেরই প্রিয় খাবারের তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে থাকে। বলা যায়, ডিম পছন্দ করেন না এরকম মানুষ খুব কমই আছে।
ডিম রান্না করা যেমন সহজ, তেমন পুষ্টিগুণেও ভরপুর।
অনেকে বাড়িতে অন্যান্য ফল ও সবজির মতোই ডিম ফ্রিজে রাখেন।
ফ্রিজে ডিম কত দিন ভালো থাকে
৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা তার কম তাপমাত্রায় সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে ডিম তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত তাজা থাকতে পারে। এটাও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ডিমের কার্টনের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ থাকে না। তবে কত তারিখের আগে খেতে হবে সেটা থাকে অনেক সময়। ডিম ভালো রাখতে সব সময় আসল কার্টনে রাখুন।
ডিম খারাপ হয়েছে কি না পরীক্ষা করার উপায়
আপনার ফ্রিজে রাখা ডিম খাওয়ার উপযোগী নাকি খারাপ হয়ে গেছে, তা একটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন।
ডিম কিভাবে সংরক্ষণ করবেন
আপনি ডিম কোথায় সংরক্ষণ করেন তা গুরুত্বপূর্ণ। ডিমের আসল কার্টনে ফ্রিজের মধ্যে রাখুন। ফ্রিজের দরজায় ডিম রাখা এড়িয়ে চলুন। কারণ তাপমাত্রার ক্রমাগত ওঠানামা করে সতেজতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
সূত্র : আজতক বাংলা
ফল খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে, একথা সবাই জানেন। কিন্তু কিছু ফলের বীজ খেয়ে ফেললে সেটা ক্ষতির কারণ হতে পারে—এটা অনেকেই জানেন না। কিছু কিছু ফলের বীজ শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে যদি সেগুলো চিবিয়ে বা ভেঙে খাওয়া হয়। এর মূল কারণ, এই বীজগুলোতে কিছু প্রাকৃতিক রাসায়নিক যৌগ থাকে, যা হজমের সময় সায়ানাইড নামক একটি বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন করতে পারে।
কোন কোন ফলের বীজ চিবিয়ে বা ভেঙে খেলে বিপদ হতে পারে, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
আপেল বীজ
আপেলের বীজে অ্যামিগডালিন নামক একটি যৌগ থাকে। যখন এই বীজ চিবানো বা হজম করা হয়, তখন এটি সামান্য পরিমাণে হাইড্রোজেন সায়ানাইড নির্গত করে।
চেরি বীজ
চেরির বীজেও অ্যামিগডালিন থাকে। এটিও হজমের সময় সায়ানাইড উৎপন্ন করতে পারে।
পীচ বীজ
পীচের বীজের ভেতরেও অ্যামিগডালিন থাকে। এটিও চিবিয়ে খেলে সায়ানাইড বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।
আলুবোখারা বীজ
আলুবোখারার বীজও একই কারণে ক্ষতিকর হতে পারে। এর মধ্যেও অ্যামিগডালিন থাকে, যা হজমের সময় সায়ানাইড তৈরি করে।
অ্যাপ্রিকট বীজ
অ্যাপ্রিকটের বীজেও অ্যামিগডালিন থাকে এবং এটিও সায়ানাইড তৈরি করতে পারে। কিছু সংস্কৃতিতে অ্যাপ্রিকটের বীজ খাওয়া হয়, তবে তা অবশ্যই সীমিত পরিমাণে এবং বিশেষ প্রক্রিয়াকরণের পর। কাঁচা এবং বেশি পরিমাণে এই বীজ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।
সাধারণভাবে, এই ফলগুলোর আস্ত বীজ গিলে ফেললে তেমন কোনো সমস্যা হয় না কারণ বীজের শক্ত খোলের কারণে অ্যামিগডালিন সহজে নির্গত হতে পারে না। তবে, বীজ চিবিয়ে বা ভেঙে খেলে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরো বেশি।
সূত্র : আজকাল
দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে। এই গরমের নিত্যসঙ্গী কাঠফাটা রোদ, প্যাচপেচে অস্বস্তি। প্রবল গরমে সুস্থ থাকাটাই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রীষ্মকালে তেলঝাল যুক্ত মশলাদার খাবার খেলেই হচ্ছে বদহজম।
গরমে শরীরে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি শরীর ঠাণ্ডা, সঙ্গে মেদ ঝরার জন্য কোন ডায়েট অনুসরণ করবেন, তা অনেকেই জানেন না। আর তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
মর্নিং ড্রিঙ্ক
রাতে এক গ্লাস পানিতে মৌরি ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে ছেঁকে খেয়ে নিন। যাদের গরমে গ্যাসট্রিকের সমস্যা বাড়ে তারা জোয়ান ভেজানো পানি খেতে পারেন।
ব্রেকফাস্ট
দ্রুত সকালের নাশতার জন্য গরমে সবচেয়ে ভালো হবে ছাতুর শরবত। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও ছাতু খুবই উপকারী।
লাঞ্চ ও ব্রেকফাস্টের মধ্যে সময়ের অনেকটা ব্যবধান থাকলে ছাতুর সঙ্গে দই ও চিয়া সিড মিশিয়ে স্মুদি বানিয়েও খেতে পারেন। গরমে ১৫০-২০০ গ্রাম তরমুজের টুকরার সঙ্গে ২০০ গ্রাম টক দই, সামান্য মধু ও বিট লবণ দিয়ে স্মুদি খেতে পারেন। এতে শরীরের হাইড্রেশনের সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে।
মিড মর্নিং
ডাবের পানি, পুদিনা পানি, শসা কুচিয়ে তার সঙ্গে খানিকটা জিরা ও বিট লবণ দিয়ে স্মুদি করে মিড মর্নিংয়ে খেতে পারেন।
যাদের গরমে খুব বেশি ঘাম হয় কিংবা পরিবারে হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস রয়েছে তারা কোতিলার শরবত খেতে পারেন। এতে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কাও কমবে। এ ছাড়া যেকোনো একটি মৌসুমি ফলও খেতে পারেন।
লাঞ্চ
গরমের দুপুরে ভাত খেলেই ভালো। ডায়াবেটিসের জন্য যারা ভাত খান না, তারা ডায়েটে রাখুন মিলেট রাইস, সাবু আটার রুটি। সঙ্গে থাকুক যেকোনো এক ধরনের ডাল। এই সময়ে শরীর ঠাণ্ডা রাখে এমন সবজি যেমন লাউ, পেঁপে, ঝিঙের তরকারি খান।
আর যে সব সবজি খেলে গ্যাসের সমস্যা বাড়ে যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি বাদ দিন। পেঁয়াজ, রসুন খেতে হলে সালাদে খান। হালকা মাছের ঝোল কিংবা পেঁপে, গাজর দিয়ে পাতলা চিকেন স্টু বানিয়ে খেতে পারেন। শেষ পাতে থাকুক টক দই।
বিকেলের স্ন্যাকস
বিকেলে খিদে পেলে লস্যি খেতে পারেন। এ ছাড়া ছোলা ভাজা, শসা ও টমেটো দিয়ে মুড়ি মাখা, সুইট কর্ন সালাদ খেলে স্বাদ বদলের সঙ্গে পেট ভরবে।
ডিনার
রাতে যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি খেতে হবে। ভাত খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলে খেতে পারেন। প্রোটিন হিসেবে সঙ্গে ডাল, পনির, মাছ কিংবা চিকেন স্টু রাখুন। যদি ওজন কমাতে চান তাহলে ওটস কিংবা সাবুর আটার রুটি, ডালিয়ার খিচুড়ি খেতে পারেন।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে
ডিনারের এক-দেড় ঘণ্টা বাদে ঠাণ্ডা পানিতে হাফ টেবিল চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে সেই পানি খেয়ে নিন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমবে।
গরমে ভুলবেন না
সূত্র : আজকাল
গরমের দিনে ত্বকের যত্নে আপনি অনেক কিছু না করলেও, সানস্ক্রিন ব্যবহার না করে চলবে না। রোদের মধ্যে বাইরে বের হওয়ার আগে ত্বকে সানস্ক্রিন না লাগালে ত্বক পুড়ে যেতে পারে, তৈরি হতে পারে নানা ধরনের সমস্যা। শুধু প্রাপ্তবয়স্করাই নন, বাচ্চাদের ত্বকেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। তবে অবশ্যই বেছে নিতে হবে তাদের জন্য নিরাপদ ও মানসম্মত পণ্য।
এই গরমে সানস্ক্রিন কেন ব্যবহার করবেন? ত্বকের কোন কোন সমস্যা থেকে এটি আপনাকে বাঁচাবে? চলুন, জেনে নিই।
রোদে পোড়া থেকে বাঁচায় সানস্ক্রিন
রোদে বের হলে ত্বকে পড়ে যায় ট্যান বা কালচে দাগ। বিশেষ করে গাল, কপাল, গলা, হাত-পায়ের উন্মুক্ত অংশে এই দাগ বেশি দেখা যায়। সানস্ক্রিন ত্বকের ওপর একটি সুরক্ষা স্তর তৈরি করে, যা রোদের UV রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
র্যাশ ও অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে
কড়া রোদে অনেকের ত্বকে র্যাশ, চুলকানি বা অ্যালার্জির সমস্যা হয়। নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহারে ত্বক রোদে পোড়ার হাত থেকে বাঁচে, ফলে সানবার্ন ও ত্বকে চুলকানি কমে।
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা
সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি আমাদের ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে কোষ ক্ষয় করে।
ত্বকে বলিরেখা পড়া রোধ করে
অল্প বয়সেই অনেকের ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়, যার অন্যতম কারণ সূর্যের রশ্মি। সানস্ক্রিন নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় থাকে, বলিরেখা পড়ার সম্ভাবনা কমে এবং ত্বক থাকে টানটান ও তরতাজা।
ত্বকের রং ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখে
সানস্ক্রিন ত্বকে কালো দাগ, ছোপ ও পিগমেন্টেশন পড়তে দেয় না।
কী ধরনের সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন?
গরমের দিনে অন্তত এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে এসপিএফ ৫০ বেছে নিন। শিশুদের জন্য আলাদা ফর্মুলার কেমিক্যাল-ফ্রি, হাইপোঅ্যালার্জেনিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
শুধু গরমে নয়, সারা বছরই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। কারণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি বছরের প্রতিটি দিনেই থাকে, এমনকি মেঘলা দিনেও।
সূত্র : এবিপি