গরমে সুস্থ থাকতে বেলের শরবত

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে সুস্থ থাকতে বেলের শরবত
সংগৃহীত ছবি

দিন দিন বাড়ছে রোদের দাপট। অতিরিক্ত গরমে শরীরে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন, হিটস্ট্রোক, বদহজমের মতো নানা সমস্যা। এসব ঝামেলা এড়াতে বেলের শরবত হতে পারে দারুণ এক প্রাকৃতিক সমাধান।

আয়ুর্বেদে বেলের গুরুত্ব অনেক।

এই ফল ব্যবহৃত হয় হাঁপানি, ডায়াবেটিস, লিভারের সমস্যা ও মূত্রনালির সংক্রমণের মতো রোগে। বেলে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদান। গরমকালে পাকা বেল খেলে মিলবে অসাধারণ উপকারিতা। চলুন, জেনে নিই।

শরীর রাখে ঠাণ্ডা ও হাইড্রেটেড
বেলের শরবত শরীরকে ঠান্ডা রাখে ও হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মের ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, কিংবা বমি বমি ভাব দূর করতে বেলের জুড়ি নেই।

হজমে সহায়তা
গরমকালে বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য ও অ্যাসিডিটির সমস্যা বেড়ে যায়। বেল খেলে হজমশক্তি বাড়ে ও পেট থাকে আরামদায়ক।

শক্তির উৎস
গরমে অল্প কাজেই ক্লান্তি চলে আসে। বেলের শরবত কাজ করে প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক হিসেবে। বাজারের ক্যামিকেলযুক্ত এনার্জি ড্রিংকের চেয়ে এটি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর ও কার্যকর।

শরীরের টক্সিন দূর করে, বাড়ায় ত্বকের উজ্জ্বলতা
বেলের শরবত লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। একই সঙ্গে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও দাগহীন।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ডিম ফ্রিজে রাখলে কত দিন ভালো থাকে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ডিম ফ্রিজে রাখলে কত দিন ভালো থাকে
সংগৃহীত ছবি

সিদ্ধ, ভাজা, পোচ, হাফ বয়েল কিংবা রকমারি পদ, বিভিন্নভাবে ডিম খাওয়া যায়। এই ডিম অনেকেরই প্রিয় খাবারের তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে থাকে। বলা যায়, ডিম পছন্দ করেন না এরকম মানুষ খুব কমই আছে।

ডিম রান্না করা যেমন সহজ, তেমন পুষ্টিগুণেও ভরপুর।

ডিম শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বেশিরভাগ মানুষই তাদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে ডিম খান। পুষ্টিগুণে ভরপুর ডিম খেলে শুধু হাড়ই মজবুত হয় না, শরীরের আরো অনেক সমস্যার সমাধান হয়।

অনেকে বাড়িতে অন্যান্য ফল ও সবজির মতোই ডিম ফ্রিজে রাখেন।

তবে ফ্রিজে রাখা সত্ত্বেও ডিম ভাঙার পর অনেক সময় অদ্ভুত গন্ধ বের হয়। ডিম ফ্রিজে রাখার একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। কিভাবে ডিম ফ্রিজে রাখবেন এবং কতদিন রাখবেন, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন
গরমে প্রয়োজনের অধিক পানি পান করলে কী হয়

গরমে প্রয়োজনের অধিক পানি পান করলে কী হয়

 

ফ্রিজে ডিম কত দিন ভালো থাকে

৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা তার কম তাপমাত্রায় সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে ডিম তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত তাজা থাকতে পারে। এটাও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ডিমের কার্টনের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ থাকে না। তবে কত তারিখের আগে খেতে হবে সেটা থাকে অনেক সময়। ডিম ভালো রাখতে সব সময় আসল কার্টনে রাখুন।

ডিম খারাপ হয়েছে কি না পরীক্ষা করার উপায়  

আপনার ফ্রিজে রাখা ডিম খাওয়ার উপযোগী নাকি খারাপ হয়ে গেছে, তা একটি পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন।

এই পরীক্ষা করার জন্য এক বাটি পানিতে ডিম রাখুন।

আরো পড়ুন
গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

 
  • যদি ডিম ডুবে যায় তাহলে এটি তাজা এবং ভালো।
  • যদি এটি সোজা হয়ে থাকে তাহলে এটি পুরনো হলেও খেতে পারেন।
  • ডিমটি পানিতে ভাসলে বুঝবেন নষ্ট হয়ে গেছে এবং এটি ফেলে দিন।

ডিম কিভাবে সংরক্ষণ করবেন

আপনি ডিম কোথায় সংরক্ষণ করেন তা গুরুত্বপূর্ণ। ডিমের আসল কার্টনে ফ্রিজের মধ্যে রাখুন। ফ্রিজের দরজায় ডিম রাখা এড়িয়ে চলুন। কারণ তাপমাত্রার ক্রমাগত ওঠানামা করে সতেজতাকে প্রভাবিত করতে পারে। 

আরো পড়ুন
গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

 

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

যেসব ফলের বীজ খেলে হতে পারে বিপদ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
যেসব ফলের বীজ খেলে হতে পারে বিপদ
সংগৃহীত ছবি

ফল খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে, একথা সবাই জানেন। কিন্তু কিছু ফলের বীজ খেয়ে ফেললে সেটা ক্ষতির কারণ হতে পারে—এটা অনেকেই জানেন না। কিছু কিছু ফলের বীজ শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে যদি সেগুলো চিবিয়ে বা ভেঙে খাওয়া হয়। এর মূল কারণ, এই বীজগুলোতে কিছু প্রাকৃতিক রাসায়নিক যৌগ থাকে, যা হজমের সময় সায়ানাইড নামক একটি বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন করতে পারে।

কোন কোন ফলের বীজ চিবিয়ে বা ভেঙে খেলে বিপদ হতে পারে, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

আপেল বীজ

আপেলের বীজে অ্যামিগডালিন নামক একটি যৌগ থাকে। যখন এই বীজ চিবানো বা হজম করা হয়, তখন এটি সামান্য পরিমাণে হাইড্রোজেন সায়ানাইড নির্গত করে।

অল্প পরিমাণে বীজ খেলে তেমন কোনো ক্ষতি হয় না, কারণ শরীর তা নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। তবে, প্রচুর পরিমাণে আপেল বীজ চিবিয়ে খেলে বিষক্রিয়া হতে পারে।

আরো পড়ুন
ডায়াবেটিক রোগীরা কি মিষ্টি আলু খেতে পারবেন?

ডায়াবেটিক রোগীরা কি মিষ্টি আলু খেতে পারবেন?

 

চেরি বীজ

চেরির বীজেও অ্যামিগডালিন থাকে। এটিও হজমের সময় সায়ানাইড উৎপন্ন করতে পারে।

তাই চেরি খাওয়ার সময় বীজ ফেলে দেওয়া উচিত এবং ভুল করে মুখে চলে গেলেও তা চিবানো উচিত নয়।

পীচ বীজ

পীচের বীজের ভেতরেও অ্যামিগডালিন থাকে। এটিও চিবিয়ে খেলে সায়ানাইড বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।

আলুবোখারা বীজ

আলুবোখারার বীজও একই কারণে ক্ষতিকর হতে পারে। এর মধ্যেও অ্যামিগডালিন থাকে, যা হজমের সময় সায়ানাইড তৈরি করে।

আরো পড়ুন
‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

 

অ্যাপ্রিকট বীজ

অ্যাপ্রিকটের বীজেও অ্যামিগডালিন থাকে এবং এটিও সায়ানাইড তৈরি করতে পারে। কিছু সংস্কৃতিতে অ্যাপ্রিকটের বীজ খাওয়া হয়, তবে তা অবশ্যই সীমিত পরিমাণে এবং বিশেষ প্রক্রিয়াকরণের পর। কাঁচা এবং বেশি পরিমাণে এই বীজ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।

সাধারণভাবে, এই ফলগুলোর আস্ত বীজ গিলে ফেললে তেমন কোনো সমস্যা হয় না কারণ বীজের শক্ত খোলের কারণে অ্যামিগডালিন সহজে নির্গত হতে পারে না। তবে, বীজ চিবিয়ে বা ভেঙে খেলে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরো বেশি।

আরো পড়ুন
গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

 

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

গরমে অল্পতেই দুর্বল, কোন ডায়েটে সুফল পাবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে অল্পতেই দুর্বল, কোন ডায়েটে সুফল পাবেন
সংগৃহীত ছবি

দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে। এই গরমের নিত্যসঙ্গী কাঠফাটা রোদ, প্যাচপেচে অস্বস্তি। প্রবল গরমে সুস্থ থাকাটাই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রীষ্মকালে তেলঝাল যুক্ত মশলাদার খাবার খেলেই হচ্ছে বদহজম।

সঠিক খাবার না খেলেও দুর্বল হয়ে পড়বে শরীর।

গরমে শরীরে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি শরীর ঠাণ্ডা, সঙ্গে মেদ ঝরার জন্য কোন ডায়েট অনুসরণ করবেন, তা অনেকেই জানেন না। আর তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

মর্নিং ড্রিঙ্ক

রাতে এক গ্লাস পানিতে মৌরি ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে ছেঁকে খেয়ে নিন। যাদের গরমে গ্যাসট্রিকের সমস্যা বাড়ে তারা জোয়ান ভেজানো পানি খেতে পারেন।

আরো পড়ুন
গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

 

ব্রেকফাস্ট

দ্রুত সকালের নাশতার জন্য গরমে সবচেয়ে ভালো হবে ছাতুর শরবত। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও ছাতু খুবই উপকারী।

৪-৫ চামচ ছাতু ও পরিমাণ মতো পানির সঙ্গে অল্প লবণ ও কুচানো পেঁয়াজ মিশিয়ে খেতে পারেন।

লাঞ্চ ও ব্রেকফাস্টের মধ্যে সময়ের অনেকটা ব্যবধান থাকলে ছাতুর সঙ্গে দই ও চিয়া সিড মিশিয়ে স্মুদি বানিয়েও খেতে পারেন। গরমে ১৫০-২০০ গ্রাম তরমুজের টুকরার সঙ্গে ২০০ গ্রাম টক দই, সামান্য মধু ও বিট লবণ দিয়ে স্মুদি খেতে পারেন। এতে শরীরের হাইড্রেশনের সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে।

মিড মর্নিং

ডাবের পানি, পুদিনা পানি, শসা কুচিয়ে তার সঙ্গে খানিকটা জিরা ও বিট লবণ দিয়ে স্মুদি করে মিড মর্নিংয়ে খেতে পারেন।

এতে খুব তাড়াতাড়ি এনার্জি পাবেন এবং শরীর পানির ঘাটতি মিটবে।

আরো পড়ুন
ডায়াবেটিক রোগীরা কি মিষ্টি আলু খেতে পারবেন?

ডায়াবেটিক রোগীরা কি মিষ্টি আলু খেতে পারবেন?

 

যাদের গরমে খুব বেশি ঘাম হয় কিংবা পরিবারে হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস রয়েছে তারা কোতিলার শরবত খেতে পারেন। এতে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কাও কমবে। এ ছাড়া যেকোনো একটি মৌসুমি ফলও খেতে পারেন। 

লাঞ্চ

গরমের দুপুরে ভাত খেলেই ভালো। ডায়াবেটিসের জন্য যারা ভাত খান না, তারা ডায়েটে রাখুন মিলেট রাইস, সাবু আটার রুটি। সঙ্গে থাকুক যেকোনো এক ধরনের ডাল। এই সময়ে শরীর ঠাণ্ডা রাখে এমন সবজি যেমন লাউ, পেঁপে, ঝিঙের তরকারি খান।

আর যে সব সবজি খেলে গ্যাসের সমস্যা বাড়ে যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি বাদ দিন। পেঁয়াজ, রসুন খেতে হলে সালাদে খান। হালকা মাছের ঝোল কিংবা পেঁপে, গাজর দিয়ে পাতলা চিকেন স্টু বানিয়ে খেতে পারেন। শেষ পাতে থাকুক টক দই।

আরো পড়ুন
‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

 

বিকেলের স্ন্যাকস

বিকেলে খিদে পেলে লস্যি খেতে পারেন। এ ছাড়া ছোলা ভাজা, শসা ও টমেটো দিয়ে মুড়ি মাখা, সুইট কর্ন সালাদ খেলে স্বাদ বদলের সঙ্গে পেট ভরবে। 

ডিনার

রাতে যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি খেতে হবে। ভাত খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলে খেতে পারেন। প্রোটিন হিসেবে সঙ্গে ডাল, পনির, মাছ কিংবা চিকেন স্টু রাখুন। যদি ওজন কমাতে চান তাহলে ওটস কিংবা সাবুর আটার রুটি, ডালিয়ার খিচুড়ি খেতে পারেন। 

ঘুমাতে যাওয়ার আগে

ডিনারের এক-দেড় ঘণ্টা বাদে ঠাণ্ডা পানিতে হাফ টেবিল চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে সেই পানি খেয়ে নিন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমবে।

আরো পড়ুন
ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে কী ক্ষতি

ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে কী ক্ষতি

 

গরমে ভুলবেন না

  • গরমে ঘন ঘন পিপাসা পাচ্ছে মানেই শরীরে বাড়ছে হাইড্রেশনের সমস্যা। তাই পর্যাপ্ত পানি খাওয়া জরুরি। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি খান।
  • ডায়েটে রাখুন পানির পরিমাণ বেশি রয়েছে এমন সবজি ও ফল। যেমন শসা, তরমুজ, স্ট্রবেরি, লাউ, ঝিঙে। বেশি করে সালাদ খাওয়ার চেষ্টা করুন। 
  • গরমে হজমের সমস্যা লেগেই থাকে। দইতে প্রোবায়োটিক ভরপুর মাত্রায় থাকে। এই সময় প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দই রাখলে খাবার ভালো হজম হয়, ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
  • গরমের সময় বেশি করে পেঁয়াজ, রসুন, আদা খেলে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে। এর পরিবর্তে শরীর ঠাণ্ডা করে যেসব মশলা, যেমন জিরা, মৌরি, ধনিয়া, পুদিনা, সেগুলোই রান্নায় বেশি ব্যবহার করুন। 
আরো পড়ুন
কাজুবাদামেরও রুটি হয় নাকি

কাজুবাদামেরও রুটি হয় নাকি

 ুুুুুুুুুুুুুুুু
  • বেশি চিনিযুক্ত খাবার, এনার্জি ড্রিঙ্ক ও প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলুন। চা-কফিও পরিমিত খান।

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

শুধু গরমে নয়, সারা বছরই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
শুধু গরমে নয়, সারা বছরই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
সংগৃহীত ছবি

গরমের দিনে ত্বকের যত্নে আপনি অনেক কিছু না করলেও, সানস্ক্রিন ব্যবহার না করে চলবে না। রোদের মধ্যে বাইরে বের হওয়ার আগে ত্বকে সানস্ক্রিন না লাগালে ত্বক পুড়ে যেতে পারে, তৈরি হতে পারে নানা ধরনের সমস্যা। শুধু প্রাপ্তবয়স্করাই নন, বাচ্চাদের ত্বকেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। তবে অবশ্যই বেছে নিতে হবে তাদের জন্য নিরাপদ ও মানসম্মত পণ্য।

এই গরমে সানস্ক্রিন কেন ব্যবহার করবেন? ত্বকের কোন কোন সমস্যা থেকে এটি আপনাকে বাঁচাবে? চলুন, জেনে নিই।

রোদে পোড়া থেকে বাঁচায় সানস্ক্রিন
রোদে বের হলে ত্বকে পড়ে যায় ট্যান বা কালচে দাগ। বিশেষ করে গাল, কপাল, গলা, হাত-পায়ের উন্মুক্ত অংশে এই দাগ বেশি দেখা যায়। সানস্ক্রিন ত্বকের ওপর একটি সুরক্ষা স্তর তৈরি করে, যা রোদের UV রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

ফলে ট্যান হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

র‍্যাশ ও অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে
কড়া রোদে অনেকের ত্বকে র‍্যাশ, চুলকানি বা অ্যালার্জির সমস্যা হয়। নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহারে ত্বক রোদে পোড়ার হাত থেকে বাঁচে, ফলে সানবার্ন ও ত্বকে চুলকানি কমে।

সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা
সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি আমাদের ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে কোষ ক্ষয় করে।

দীর্ঘমেয়াদে এই ক্ষতি থেকে হতে পারে ত্বকের ক্যান্সার পর্যন্ত। এসপিএফ ৫০ বা তার বেশি মানের একটি ভালো সানস্ক্রিন ব্যবহারে এই ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক অনেকটাই সুরক্ষিত থাকে।

ত্বকে বলিরেখা পড়া রোধ করে
অল্প বয়সেই অনেকের ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়, যার অন্যতম কারণ সূর্যের রশ্মি। সানস্ক্রিন নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় থাকে, বলিরেখা পড়ার সম্ভাবনা কমে এবং ত্বক থাকে টানটান ও তরতাজা।

ত্বকের রং ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখে
সানস্ক্রিন ত্বকে কালো দাগ, ছোপ ও পিগমেন্টেশন পড়তে দেয় না।

এটি ত্বকের স্বাভাবিক রং বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকে একটি সতেজ উজ্জ্বলতা এনে দেয়।

কী ধরনের সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন?
গরমের দিনে অন্তত এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে এসপিএফ ৫০ বেছে নিন। শিশুদের জন্য আলাদা ফর্মুলার কেমিক্যাল-ফ্রি, হাইপোঅ্যালার্জেনিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

শুধু গরমে নয়, সারা বছরই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। কারণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি বছরের প্রতিটি দিনেই থাকে, এমনকি মেঘলা দিনেও।

সূত্র : এবিপি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ