বয়স যত বাড়তে থাকবে, ততই চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়তে থাকবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। তবে সময়ের আগে যদি বার্ধক্য এসে যায়, তবে সেটি মোটেই সুখকর নয়।
কয়েক বছর আগেও কম বয়সীদের ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ার সমস্যাটি খুব একটা দেখা যেত না।
বয়স যত বাড়তে থাকবে, ততই চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়তে থাকবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। তবে সময়ের আগে যদি বার্ধক্য এসে যায়, তবে সেটি মোটেই সুখকর নয়।
কয়েক বছর আগেও কম বয়সীদের ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ার সমস্যাটি খুব একটা দেখা যেত না।
তবে প্রতিদিনে কয়েকটি অভ্যাসের মাধ্যমে আপনি চাইলে ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে পারেন। কী সেই অভ্যাসগুলো, তা জানুন এই প্রতিবেদনে।
সূত্র : আজকাল
সম্পর্কিত খবর
দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে। এই গরমের নিত্যসঙ্গী কাঠফাটা রোদ, প্যাচপেচে অস্বস্তি। প্রবল গরমে সুস্থ থাকাটাই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রীষ্মকালে তেলঝাল যুক্ত মশলাদার খাবার খেলেই হচ্ছে বদহজম।
গরমে শরীরে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি শরীর ঠাণ্ডা, সঙ্গে মেদ ঝরার জন্য কোন ডায়েট অনুসরণ করবেন, তা অনেকেই জানেন না। আর তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
মর্নিং ড্রিঙ্ক
রাতে এক গ্লাস পানিতে মৌরি ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে ছেঁকে খেয়ে নিন। যাদের গরমে গ্যাসট্রিকের সমস্যা বাড়ে তারা জোয়ান ভেজানো পানি খেতে পারেন।
ব্রেকফাস্ট
দ্রুত সকালের নাশতার জন্য গরমে সবচেয়ে ভালো হবে ছাতুর শরবত। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও ছাতু খুবই উপকারী।
লাঞ্চ ও ব্রেকফাস্টের মধ্যে সময়ের অনেকটা ব্যবধান থাকলে ছাতুর সঙ্গে দই ও চিয়া সিড মিশিয়ে স্মুদি বানিয়েও খেতে পারেন। গরমে ১৫০-২০০ গ্রাম তরমুজের টুকরার সঙ্গে ২০০ গ্রাম টক দই, সামান্য মধু ও বিট লবণ দিয়ে স্মুদি খেতে পারেন। এতে শরীরের হাইড্রেশনের সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে।
মিড মর্নিং
ডাবের পানি, পুদিনা পানি, শসা কুচিয়ে তার সঙ্গে খানিকটা জিরা ও বিট লবণ দিয়ে স্মুদি করে মিড মর্নিংয়ে খেতে পারেন।
যাদের গরমে খুব বেশি ঘাম হয় কিংবা পরিবারে হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস রয়েছে তারা কোতিলার শরবত খেতে পারেন। এতে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কাও কমবে। এ ছাড়া যেকোনো একটি মৌসুমি ফলও খেতে পারেন।
লাঞ্চ
গরমের দুপুরে ভাত খেলেই ভালো। ডায়াবেটিসের জন্য যারা ভাত খান না, তারা ডায়েটে রাখুন মিলেট রাইস, সাবু আটার রুটি। সঙ্গে থাকুক যেকোনো এক ধরনের ডাল। এই সময়ে শরীর ঠাণ্ডা রাখে এমন সবজি যেমন লাউ, পেঁপে, ঝিঙের তরকারি খান।
আর যে সব সবজি খেলে গ্যাসের সমস্যা বাড়ে যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি বাদ দিন। পেঁয়াজ, রসুন খেতে হলে সালাদে খান। হালকা মাছের ঝোল কিংবা পেঁপে, গাজর দিয়ে পাতলা চিকেন স্টু বানিয়ে খেতে পারেন। শেষ পাতে থাকুক টক দই।
বিকেলের স্ন্যাকস
বিকেলে খিদে পেলে লস্যি খেতে পারেন। এ ছাড়া ছোলা ভাজা, শসা ও টমেটো দিয়ে মুড়ি মাখা, সুইট কর্ন সালাদ খেলে স্বাদ বদলের সঙ্গে পেট ভরবে।
ডিনার
রাতে যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি খেতে হবে। ভাত খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলে খেতে পারেন। প্রোটিন হিসেবে সঙ্গে ডাল, পনির, মাছ কিংবা চিকেন স্টু রাখুন। যদি ওজন কমাতে চান তাহলে ওটস কিংবা সাবুর আটার রুটি, ডালিয়ার খিচুড়ি খেতে পারেন।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে
ডিনারের এক-দেড় ঘণ্টা বাদে ঠাণ্ডা পানিতে হাফ টেবিল চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে সেই পানি খেয়ে নিন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমবে।
গরমে ভুলবেন না
সূত্র : আজকাল
গরমের দিনে ত্বকের যত্নে আপনি অনেক কিছু না করলেও, সানস্ক্রিন ব্যবহার না করে চলবে না। রোদের মধ্যে বাইরে বের হওয়ার আগে ত্বকে সানস্ক্রিন না লাগালে ত্বক পুড়ে যেতে পারে, তৈরি হতে পারে নানা ধরনের সমস্যা। শুধু প্রাপ্তবয়স্করাই নন, বাচ্চাদের ত্বকেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। তবে অবশ্যই বেছে নিতে হবে তাদের জন্য নিরাপদ ও মানসম্মত পণ্য।
এই গরমে সানস্ক্রিন কেন ব্যবহার করবেন? ত্বকের কোন কোন সমস্যা থেকে এটি আপনাকে বাঁচাবে? চলুন, জেনে নিই।
রোদে পোড়া থেকে বাঁচায় সানস্ক্রিন
রোদে বের হলে ত্বকে পড়ে যায় ট্যান বা কালচে দাগ। বিশেষ করে গাল, কপাল, গলা, হাত-পায়ের উন্মুক্ত অংশে এই দাগ বেশি দেখা যায়। সানস্ক্রিন ত্বকের ওপর একটি সুরক্ষা স্তর তৈরি করে, যা রোদের UV রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
র্যাশ ও অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে
কড়া রোদে অনেকের ত্বকে র্যাশ, চুলকানি বা অ্যালার্জির সমস্যা হয়। নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহারে ত্বক রোদে পোড়ার হাত থেকে বাঁচে, ফলে সানবার্ন ও ত্বকে চুলকানি কমে।
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা
সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি আমাদের ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে কোষ ক্ষয় করে।
ত্বকে বলিরেখা পড়া রোধ করে
অল্প বয়সেই অনেকের ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়, যার অন্যতম কারণ সূর্যের রশ্মি। সানস্ক্রিন নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় থাকে, বলিরেখা পড়ার সম্ভাবনা কমে এবং ত্বক থাকে টানটান ও তরতাজা।
ত্বকের রং ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখে
সানস্ক্রিন ত্বকে কালো দাগ, ছোপ ও পিগমেন্টেশন পড়তে দেয় না।
কী ধরনের সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন?
গরমের দিনে অন্তত এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে এসপিএফ ৫০ বেছে নিন। শিশুদের জন্য আলাদা ফর্মুলার কেমিক্যাল-ফ্রি, হাইপোঅ্যালার্জেনিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
শুধু গরমে নয়, সারা বছরই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। কারণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি বছরের প্রতিটি দিনেই থাকে, এমনকি মেঘলা দিনেও।
সূত্র : এবিপি
আমাদের শরীরের সঠিক কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদানগুলোর মধ্যে পটাশিয়াম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি মূলত স্নায়ুতন্ত্র, পেশি ও শরীরের তরল বা ফ্লুইড ব্যালান্স বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে যেভাবে এর ঘাটতি আমাদের শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে, ঠিক তেমনই পটাশিয়ামের অতিরিক্ত মাত্রাও হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। চলুন, জেনে নিই শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পেশিতে দুর্বলতা ও টান
পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে পেশিতে নানা সমস্যা দেখা দেয়। প্রথমেই হাত-পা দুর্বল লাগে, যেন কোনো শক্তি নেই। অবসন্নতা অনুভব হয়, হাত-পা অবশ হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় আচমকা পেশিতে টান ধরতে পারে বা ঝনঝন ভাব হতে পারে, যা অনেকটা ইলেকট্রিক শকের মতো অনুভূত হয়।
স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা
এই উপাদানটির অতিরিক্ত প্রভাব স্নায়ুতন্ত্রে সরাসরি প্রভাব ফেলে। বেশি পটাশিয়াম শরীরে পক্ষাঘাতের (প্যারালিসিস) ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। স্নায়বিক দুর্বলতা ও অস্বাভাবিক অনুভূতি দেখা দিতে পারে।
বমি বমি ভাব ও অরুচি
পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে বমির অনুভূতি হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট ও ক্লান্তিভাব
শরীরে অতিরিক্ত পটাশিয়ামের প্রভাবে হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যেতে পারেন। পাশাপাশি সারাক্ষণ ক্লান্তি ও ঝিমিয়ে থাকার মতো অবস্থা তৈরি হয়, এমনকি পর্যাপ্ত বিশ্রামের পরেও।
হৃদস্পন্দনের সমস্যা
সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো হৃদযন্ত্রের ওপর পটাশিয়ামের প্রভাব।
শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেলে তা একাধিক গুরুতর শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
সূত্র : এবিপি
প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে মাটির পাত্র ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। একসময় প্রায় প্রতিটি ঘরেই মাটির ঘড়া বা কলসে পানি রাখা হতো। যদিও আধুনিক জীবনে ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যের পক্ষে মাটির পাত্রের পানি অনেক বেশি উপকারী। চলুন, জেনে নিই কী কী উপকার।
গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখে
মাটির পাত্রে রাখা পানি স্বাভাবিকভাবে ঠাণ্ডা থাকে। কোনও বিদ্যুৎ বা কৃত্রিম ঠাণ্ডার প্রয়োজন হয় না। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরম থেকে রক্ষা করে।
গলা ব্যথা, সর্দি-কাশির সম্ভাবনা কমায়
ফ্রিজের অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি অনেক সময় গলা বসে যাওয়া, কাশি বা সর্দির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
প্রতিদিন মাটির পাত্রে রাখা পানি পান করলে হজমশক্তি উন্নত হয়। অ্যাসিডিটি, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও অনেকটাই কমে। তাই খাবার হজমে সহায়ক এক সহজ উপায় এটি।
পাচনতন্ত্র রাখে সুস্থ
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্রিজের অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি আমাদের পাচনতন্ত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু মাটির পাত্রের পানি সেই সমস্যার থেকে মুক্ত রাখে এবং দীর্ঘমেয়াদে শরীর সুস্থ রাখে।
কোনো রাসায়নিক নেই
মাটির পাত্র প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হয়, যেখানে কোনও ধরনের কেমিক্যাল বা ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহৃত হয় না। ফলে পানি বিশুদ্ধ থাকে এবং শরীরে কোনও ক্ষতি করে না।
সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া