দেশে দিন দিন গ্যাসের সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি বাণিজ্যিক খাতে বৃদ্ধি পেয়েছে গ্যাসের দাম। যেকোনো সময় আবাসিক খাতে বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া সিলিন্ডারের দামও ভোক্তার নাগালের বাইরে।
দেশে দিন দিন গ্যাসের সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি বাণিজ্যিক খাতে বৃদ্ধি পেয়েছে গ্যাসের দাম। যেকোনো সময় আবাসিক খাতে বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া সিলিন্ডারের দামও ভোক্তার নাগালের বাইরে।
তবে আপনি চাইলে গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয় করতে পারেন। এতে গ্যাসের খরচ কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করা যায়।
রান্নার সময় ঢাকনা ব্যবহার : যখন আপনি কোনো খাবার রান্না করছেন, তখন পাত্রের ওপর ঢাকনা দিয়ে রাখুন। ঢাকনা ব্যবহার করলে ভেতরের তাপ বাইরে বের হতে পারে না, ফলে খাবার দ্রুত সিদ্ধ হয় এবং গ্যাসের ব্যবহার কমে।
ডাল ও শস্য ভিজিয়ে রাখুন : ডাল ও শস্য রান্নার আগে কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে তা নরম হয়ে যায়। এর ফলে রান্নার সময় কম লাগে এবং গ্যাসের সাশ্রয় হয়। বিশেষ করে শুকনো ডাল ও মটরশুঁটি রান্নার আগে ভিজিয়ে রাখাটা খুব জরুরি।
একসঙ্গে একাধিক খাবার রান্না : যদি সম্ভব হয়, একই সময়ে একাধিক খাবার রান্না করার চেষ্টা করুন। যেমন, একটি বার্নারে তরকারি এবং অন্যটিতে ভাত বা রুটি তৈরি করা যেতে পারে।
সঠিক আকারের বার্নার ব্যবহার : রান্নার পাত্রের আকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বার্নার ব্যবহার করুন। ছোট পাত্রের জন্য বড় বার্নার ব্যবহার করলে গ্যাসের অপচয় হয়। তাই পাত্রের আকারের সঙ্গে মানানসই বার্নার ব্যবহার করে গ্যাসের খরচ কমানো যায়।
বার্নার পরিষ্কার রাখুন : নিয়মিত গ্যাসের বার্নার পরিষ্কার করুন। বার্নারের ছিদ্রগুলোতে ময়লা জমলে আগুনের শিখা সঠিকভাবে বের হতে পারে না। ফলে রান্না করতে বেশি সময় লাগে এবং গ্যাসও বেশি খরচ হয়। বার্নার পরিষ্কার রাখলে গ্যাসের কার্যকারিতা বাড়ে।
সূত্র : আজকাল
সম্পর্কিত খবর
শরীর সুস্থতা রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। ওজন কমানোসহ সার্বিক সুস্থতার জন্যও শরীরচর্চা জরুরি। কেউ বাড়িতে, কেউ জিমে গিয়ে ঘাম ঝরান। আর শরীরচর্চার সঙ্গে ঘুমেরও সংযোগ রয়েছে।
আপনি কি জানেন দিনের কোন সময়ে শরীরচর্চা করলে ভালো ঘুম হয়? আর তা জানাতেই আমাদের আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—
অনেকেই ভাবেন সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করে নিলে সারা দিন আর কোনো চিন্তা নেই। সারা দিনের ব্যস্ততায় আর ব্যায়াম না করার সুযোগ পেলে সকালে ঘাম ঝরানোই ভালো। সাধারণত সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করাকেই শরীরচর্চার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় বলে মনে করা হয়।
মূলত, দীর্ঘ সময় ঘুমের পর সকালে সবাই তরতাজা থাকেন। তাই অনেকক্ষণ শরীরচর্চা করলেও ক্লান্তি আসে না। সারা দিনের কাজের এনার্জি পাওয়া যায়। এ ছাড়া সকালের দিকে ব্যায়াম করলে খিদে বাড়ে, হজমও ভালো হয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করতে অনেকেরই আলস্য লাগে। দুপুরবেলা বা বেশি গরমে ব্যায়াম করলে সহজেই ক্লান্তি আসতে পারে। সন্ধ্যার পরও শরীরচর্চা করতে পারেন। কিন্তু এই সময় ব্যায়াম করলে বিশেষ করে ভারী শরীরচর্চায় অনেকের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যায়াম করার পর খেয়ে শুয়ে না পড়লে তেমন কোনো সমস্যা হয় না।
গবেষণায় দেখা গেছে, গভীর ঘুমে সাহায্য করে সকালের ব্যায়াম। তবে বিকেলে এক্সারসাইজ করাও মন্দ নয়। কারণ ওই সময়ে পেশির কার্যকারিতা ভালো হয় এবং ভারী ওজন তুলে এক্সারসাইজ করলে আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
তবে ঘুমানোর একেবারে আগে ‘হাই ইনটেনসিটি’ এক্সারসাইজ না করাই শ্রেয়। কারণ এতে শরীরের তাপমাত্রা, হার্টরেট বেড়ে যেতে পারে। যদিও এই তথ্যের এখনো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে রাতে যোগাসন, হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।
ভরপেট খাওয়ার পরপরই ব্যায়াম করা ঠিক নয়। খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পর ব্যায়াম করা যায়। সকালে বা বিকেলে হালকা কিছু খাওয়ার এক ঘণ্টা পর ব্যায়াম করতে পারেন। আবার ব্যায়াম শেষে ১০-১৫ মিনিট পর খাবার খেতে পারেন।
ব্যায়ামের মাঝে হাইড্রেট থাকতে পানি খাওয়া জরুরি। নিজের জীবনযাত্রার সঙ্গে মিলিয়ে আপনার জন্য যে সময়টা সবচেয়ে উপযোগী, শরীরচর্চার জন্য সেই সময়টাই বেছে নিন। নিয়মিত ব্যায়াম করাটাই আসল কথা। ব্যায়ামের সময় যা-ই হোক, প্রতিদিন ব্যায়াম করুন।
সূত্র : আজকাল
রান্নায় দেশি ঘি ব্যবহারের প্রচলন বহু পুরনো। সবজি, পরোটা থেকে শুরু করে অনেক পদেই ঘি ব্যবহার করা হয় শুধু স্বাদ বাড়ানোর জন্য নয়, স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণেও। চলুন, জেনে নিই ঘি এর উপকারিতা।
কেন উপকারী দেশি ঘি?
সহজে হজমযোগ্য: ঘি এমন এক ধরনের চর্বি যা শরীর সহজে হজম করতে পারে।
রোগ প্রতিরোধে সহায়ক: ঘি-তে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান শরীরের ইমিউনিটি বাড়ায়।
হার্টের জন্য উপকারী: পরিশোধিত তেলের তুলনায় দেশি ঘি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য তুলনামূলক নিরাপদ।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য: ঘি মেটাবলিজম উন্নত করে, ফলে ওজন কমাতেও সহায়ক হতে পারে।
তবে সারাদিনের সব খাবার ঘি দিয়ে রান্না করা একেবারে ঠিক নয়। পুষ্টিবিদদের মতে শুধু ঘি নয় সরিষার তেল, অলিভ অয়েল বা চিনাবাদাম তেলের মতো নানা ধরনের তেল খাওয়ার রুটিনে রাখা জরুরি। কারণ প্রতিটি তেলেরই আছে আলাদা পুষ্টিগুণ।
সূত্র : আজতক বাংলা
দিন দিন বাড়ছে তাপমাত্রা, এখনই গরমের ছুটি না হলেও স্কুলে যেতে হচ্ছে শিশুদের কড়া রোদ মাথায় নিয়ে। এই সময়ে শিশুরা খুব সহজেই হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন বা সংক্রমণে ভুগতে পারে। তাই চিকিৎসকেরা বলছেন, সময় থাকতে সচেতন হতে হবে অভিভাবকদের।
কী সমস্যা হতে পারে শিশুর?
১।
কী করবেন?
১।
খাবারে রাখুন :
পাতলা ভাত-ডাল,
সবজি,
দই-চিড়া বা ওটস,
ভিজানো মেথি বা মৌরির পানি।
যা করবেন না :
বাচ্চাকে বাইরের শরবত/ফলের রস খাওয়াবেন না।
ভাজাপোড়া ও জাংকফুড গরমকালে না খাওয়ানোই ভালো।
নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক দেবেন না।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
গরম পড়তেই ত্বকে শুরু হয় নানা সমস্যা। ব্রণ আর ঘামাচির জ্বালা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। শরীরে ঘাম জমে দানা বাঁধে নানা অস্বস্তিকর সমস্যা, যা বাজারের পাউডার বা সাবান দিয়ে সাময়িকভাবে কমলেও অধিকাংশ সময়েই সেগুলোর রাসায়নিক উপাদান ত্বকের ক্ষতি বাড়িয়ে দেয়। ঘামাচির সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে আমলকী হতে পারে আপনার ত্বকের পরম বন্ধু।
আমলকী শুধু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, এটি ত্বকের যত্নেও দুর্দান্ত। এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে।
আমলকী ও দইয়ের প্যাক
২ চা চামচ আমলকী গুঁড়ার সঙ্গে ১ চা চামচ টক দই মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। মুখে মেখে ১৫-২০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে ঠাণ্ডা রাখে ও ব্রণের দাগ হালকা করে।
আমলকী টোনার
এক কাপ পানিতে ১ চা চামচ আমলকী পাউডার দিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে কাচের বোতলে ভরে রাখুন। রোদে বেরোনোর আগে মুখে স্প্রে করুন। এতে ত্বকের র্যাশ কমবে।
কাঁচা আমলকী ও অ্যালোভেরা মিশ্রণ
২টি কাঁচা আমলকী বেটে নিয়ে তার সঙ্গে ২ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল মেশান।
আমলকী ও মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক
১ চা চামচ আমলকী পাউডারের সঙ্গে ১ চা চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের কালচে দাগ ও রোদের পোড়া ভাব দূর হবে।
পেঁপে-আমলকী মিশ্রণ
পেঁপে ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। এর সঙ্গে আমলকী মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে সপ্তাহে দু-তিন দিন মুখে ব্যবহার করুন। এতে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও দাগহীন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা