জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে রাখতে সরকারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
এ সংক্রান্ত চিঠি রবিবার (৯ মার্চ) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এনআইডি সেবা কার্যক্রম স্থানান্তর করলে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ক্ষমতা খর্ব হবে। আবার ভোটার তালিকা প্রস্তাত ও নির্বাচন আয়োজনে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
এদিকে, গদ ৬ মার্চ জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে ১২ মার্চ মানবন্ধন ও ১৩ মার্চ থেকে কর্মবিরিতির ঘোষণা দিয়েছেন ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এক জায়গা থেকে সব সেবা দিতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট সেবা নিয়ে দুর্ভোগ-জটিলতা নিরসনে স্বতন্ত্র কমিশন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
সেই লক্ষ্যে ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন (কমিশন), ২০২৫’ নামে একটি অধ্যাদেশের খসড়া তৈরির কাজ চলছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ নিয়ে স্থানীয় সরকার, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর মতামতও নিচ্ছে।
এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন-ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের কাছে।
সিইসি বলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে, এমন কোনো বিষয় আমি শুনিনি।
এমন আলাপ আলোচনা হয়েছে, হয়ত নীতিগত বিষয়ে চিন্তা চলছে। কীভাবে এটা করা হতে পারে এ নিয়ে আলোচনা চলছে।
লিখিতভাবে সরকারের কাছে ইসির অবস্থান জানানো হবে তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের যখন মিটিংয়ে ডাকা হলো তখন আমরা জানলাম (সিভিল রেজিস্ট্রেশন উদ্যোগের কথা), অফিসার গেছেন মিটিংয়ে। সরকার হয়ত চিন্তা করছে একটা জায়গা থেকে সার্ভিসটা দেবে। এনআইডি ইসির কাছে আছে, থাকবে-এ বিষয়ে কমিশন সম্পূর্ণ একমত।
এর মধ্যে আজ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিল ইসি।