<p>পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, মোবাইল ছিনতাই বা হারানোর পর সেগুলো দিয়ে অপতৎপরতা চালায় একটি চক্র। তেমনি ১১২টি চুরি-ছিনতাই ও হারানো মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মোবাইলে থাকা ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে ব্যাক্লমেইলের ঘটনা ঘটেছে।</p> <p>আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ঢাকায় নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। মোহাম্মদ আলী আরা বলেন, গত ৩ মাসে ১১২টি হারানো ও চুরি হওয়া মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। সিআইডির সিপিসি পেইজে জিডির কপি দেন ভুক্তভোগীরা। এরপর বিভিন্ন ধরনের তদন্তের মাধ্যমে এগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময়ে এসব মোবাইল সংশ্লিষ্টতায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল ২৫ জনের হারিয়ে যাওয়া বা, চুরিকৃত মোবাইল ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাকিদের মোবাইল ফোনও ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় সিআইডি। এভাবে গত দেড় বছরে ৫ শতাধিক মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।</p> <p>অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, এসব মোবাইল কেনা-বেচায় চক্রের আরো হোতারা রয়েছে। তাদেরকেও আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। যেকোনো সময় তাদেরকেও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।</p> <p>সিআইডি প্রধান বলেন, মোবাইল হাতিয়ে ব্যাক্লমেইলের ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোবাইল চুরির ঘটনার পর কয়েকবার হাত বদল হয়ে আরেক গ্রাহকের কাছে চলে যায়, এমন তথ্য পাওয়া গেছে। মোবাইল চুরি বা ছিনতাই হওয়ার পরই ঢাকার বাইরে চলে যায় এগুলো। তাই পুরনো মোবাইল কেনা ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরো সতর্ক থাকতে হবে।</p> <p>মোহাম্মদ আলী মিয়া আরো  বলেন, সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) শাখার মনিটরিং সেল প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ উদঘাটনপূর্বক নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ ও আইনের আওতার আনার জন্য ২৪/৭ সাইবার পেট্রোলিং ও মনিটরিং করে থাকে। উক্ত সেল সিপিসির ফেসবুক পেইজ, হটলাইন নম্বর ও ইমেইলের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে সাইবার সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ গ্রহণ করে থাকে। সাইবার সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ করার পাশাপাশি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধারে একটি সেল গঠন করে সাইবার পুলিশ সেন্টার। কারো মোবাইল ফোন হারানো গেলে সংশ্লিষ্ট থানার জিডির কপি ও অন্যান্য প্রমাণসহ সাইবার পুলিশ সেন্টারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।</p> <p>এদিকে মোবাইল খোয়ানোর পর সিআইডির মাধ্যমে ফিরে পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তবে, এদের পাঁচজনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে তিনজনেরই ফোন চুরি ও ছিনতাই হয়েছে; কিন্তু থানা পুলিশ হারিয়ে গেছে মর্মে জিডি নেওয়া হয়েছে।</p>