<p>বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও পাটজাত পণ্য রাশিয়ায় আরো বেশি পরিমাণে রপ্তানির সুযোগ নিতে চায় সরকার। তিনি জানান, পাট ও পাটজাত পণ্যের বড় রপ্তানি বাজার হতে পারে দেশটি। </p> <p>আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে সচিবালয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি ম্যান্টিটস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাহাঙ্গীর কবির নানক এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। </p> <p>তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বড় অবদান রয়েছে রাশিয়ার। রাশিয়া আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। তারা আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে এবং যুদ্ধ-পরবর্তী দেশ পুনর্গঠনে যেমন সহযোগিতা করেছে, তেমনি বর্তমান সময়েও তা অব্যাহত রেখেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাশিয়ার সহযোগিতায় রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে।<br />  <br /> নানক জানান, দেশটিতে পাট ও পাটজাতপণ্য রপ্তানিতে গুরুত্ব দিচ্ছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে দুই দেশে বাণিজ্য মেলা করার বিষয়ে আলাচনা হয়েছে। এর পাশাপাশি রাশিয়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।</p> <p>বাংলাদেশের পাট খাতে রাশিয়ান বিনিয়োগ আসবে কি না সাংবাদিকদের এ রকম এক প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, আলোচনা চলছে। তাদের ব্যাবসায়িক প্রতিনিধিরা আসছেন। আশা করি, রাশিয়ার বিনিয়োগকারীরা পাট খাতে বিনিয়োগ করবে।</p> <p>রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যান্টিটস্কি বলেন, অনেক বড় বড় কম্পানি রাশিয়া থেকে চলে গেছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ। বিশেষ করে আমরা গার্মেন্টস, টোব্যাকো, কৃষিপণ্য  ও চামড়াজাত পণ্য নিতে চাই বাংলাদেশ থেকে। পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়েও যথেষ্ট আগ্রহ আছে রাশিয়ার।</p> <p>এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব তসলিমা কানিজ নাহিদা, যুগ্ম সচিব গোপাল চন্দ্র দাস এবং ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাসের তৃতীয় সচিব ওলেগ কোজিন উপস্থিত ছিলেন।</p>