<p>চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ফসলি জমির মাটি (টপসয়েল) কাটার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিমকে এক মাসের মধ্যে আদালতে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।</p> <p>আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।</p> <p>এ ছাড়া সাতকানিয়ার যেসব ফসলি জমির মাটি (টপসয়েল) কাটা হয়েছে, তা বাইরে থেকে পলিমাটি এনে ৩০ দিনের মধ্যে ভরাট করে কৃষি উপযোগী করতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন হাইকোর্ট। </p> <p>চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির টপসয়েল। কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না ফসলি জমির মাটি কাটা। রাতের অন্ধকারে যে যেভাবে পারছে স্কেভেটর (মাটি খননযন্ত্র) দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ডাম্পার দিয়ে (মিনি ট্রাক) ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট করে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে।</p> <p>চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ফসলি জামির মাটি কাটা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে স্থানীয় আব্দুল মুনাফ হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৯ মার্চ মাটি কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ আদেশের পরও মাটি কাটা বন্ধ না হওয়ায় তা আদালতের নজরে আনা হয়। শুনানির পর আদালত চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে তলব করেন। মঙ্গলবার তারা অনলাইনে যুক্ত হয়ে আদালতে হাজিরা দেন।</p> <p>আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী উজ্জ্বল পাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।</p>