<p>বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটি আগামীকাল প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে দেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।</p> <p>আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় ১৫ জেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে দেশজুড়েই। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে রয়েছে পাহাড়ধসের আশঙ্কা।</p> <p>এদিকে ঝুঁকি বিবেচনায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।</p> <p>ঘূর্ণিঝড়টির সর্বশেষ অবস্থান ও বাতাসের গতিবেগ জানিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার (২৫ মে) রাত ৮টায় আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রিমালে পরিণত হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল। সন্ধ্যা ৬টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।</p> <p>ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।</p> <p>ঘূর্ণিঝড়টির আঘাতস্থল সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, ‘এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে এবং খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে রবিবার রাত নাগাদ স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে।’</p>
