ডিসেম্বর মাসে টানা ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ছুটি পেতে পারেন তারা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার।
ডিসেম্বর মাসে টানা ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ছুটি পেতে পারেন তারা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এ দুদিন ছুটি পালন করা হবে।
এদিকে ২৪ ডিসেম্বর ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিষ্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি। ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে। প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হয়।
কর্মব্যস্ত জীবনে সাপ্তাহিক ছুটিতে অনেকেরই ব্যক্তিগত নানান জরুরি কাজ থাকে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি পেলে কোথাও টুরে যাওয়া যায় বা কোনো পরিকল্পনা করা যায়। তাই এমন সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন বহু মানুষ।
সম্পর্কিত খবর
অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদল। রবিবার (৯ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের প্র্যাকটিস ম্যানেজার, অ্যাগ্রিকালচার প্র্যাকটিস গ্রুপ, সাউথ এশিয়া রিজিওন, তমাস রিকার্দো রসদ ভিয়ামার।
খাদ্য উপদেষ্টা তমাস রিকার্দো রসদ ভিয়ামারকে বাংলাদেশে স্বাগত জানান। এ সময় দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এ দেশে বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎকালে খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসানসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং বিশ্বব্যাংকের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মাগুরার যৌন নিপীড়নের শিকার আট বছরের শিশুটির অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত আছে। এখনও তার জ্ঞান ফেরেনি। কৃত্রিম উপায়ে চলছে তার শ্বাস-প্রশ্বাস।
শিশুটির মামা গণমাধ্যমকে আজ রবিবার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আজ তার সর্বশেষ শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়ার কথা রয়েছে। শিশুটির চিকিৎসায় চার সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড কাজ করছে।
এদিকে আজ সকালে সেই শিশুকে দেখতে ঢাকা সেনানিবাসস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) দেখতে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেখানে তিনি মন্তব্য করেন, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাগুরায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় মাগুরা সদর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। দোষীরা যেন কোনোভাবেই ছাড় না পায়, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোচ্চার রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরে ঘটনাটি ঘটে। বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন তার মা।
শিশুটির মামা জানিয়েছেন, ঢাকা মেডিক্যালে শিশুটিকে দেখতে অসংখ্য মানুষ আইসিইউতে ভিড় করায় শিশুটির সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল।
এমন অবস্থায় তাকে সিএমএইচ-এ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওই হাসপাতালেও শিশুটি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছে।
এদিকে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিটিআরসি কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিতভাবে এই আদেশ দেন।
জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে কঠোর আইন প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ রবিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাসে এই আহ্বান জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে আজহারী লিখেছেন, “বাকরুদ্ধ বাংলাদেশ! পুরো জাতি যেন আজ স্তব্ধ! এ দেশে মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়? কে নিশ্চিত করবে তাদের সুরক্ষা? ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ন্যায়বিচারের অভাবেই অপরাধীরা সাহস পায়।
তিনি আরো লিখেছেন, “দেশের আইন ও বিচারব্যবস্থা যখন ক্রিমিনাল ফ্রেন্ডলি হয়ে উঠে, মূলত তখনই লম্পটগুলো ধর্ষণের সাহস করে। ক্ষমতার বলে ও আইনের ফাঁকফোকর মাড়িয়ে এরা সব সময় থাকে ধরাছোঁয়ার আড়ালে।”
আজহারী বলেন, ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে এসব ঘটনা বারবার ঘটবে। ধর্ষণের নজিরবিহীন শাস্তি নিশ্চিত হোক— এটাই আজ গণমানুষের দাবি।
কোনো আগাম নোটিশ ছাড়াই যমুনা সেতু ব্যবহারকারী প্রতিটি ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী আগামী ১৮ মার্চ যমুনা রেল সেতু উদ্বোধনের পরদিন অর্থাৎ ১৯ মার্চ থেকে বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের।
রবিবার (৯ মার্চ) অনলাইনে ছেড়েছে ১৯ মার্চের ট্রেনের টিকিট। সেখানেই দেখা যায় প্রতিটি ট্রেনের টিকিটের মূল্যের পার্থক্য।
এর অর্থ ১৯ তারিখের পর প্রতি যাত্রীকে শোভন চেয়ারের জন্য ৪৫ টাকা, স্নিগ্ধার জন্য ৯২ টাকা, এসি স্পেশালের জন্য ১০৯ টাকা এবং এসি বার্থের জন্য ১৬১ টাকা বেশি দিতে হবে।
এছাড়া বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া শোভন চেয়ার ৪৫০ টাকার স্থলে ৪৯৫ টাকা, স্নিগ্ধা ৮৫১ টাকার স্থলে ৯৪৯ টাকা এবং এসি স্পেশাল ১০২৪ টাকার স্থলে ১১৩৯ টাকা। এই ট্রেনে শোভন চেয়ারের জন্য ৪৫ টাকা, স্নিগ্ধার জন্য ৯৮ টাকা এবং এসি স্পেশালের জন্য ১১৫ টাকা বেশি দিতে হবে।
ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো ছাড়াও যমুনা সেতু দিয়ে চলাচলকারী যেসব ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে সেগুলো হলো— নীলসাগর এক্সপ্রেস, বুড়িমারী এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, চাপাই মেইল, চিলাহাটি এক্সপ্রেস, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি নবনির্মিত যমুনা রেল সেতু দিয়ে প্রথমবারের মতো যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সেদিন রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ‘সিল্কসিটি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি প্রথম যমুনা রেল সেতু অতিক্রম করে ঢাকার দিকে রওনা হয়। তবে সেদিন থেকে আগামী ১৮ তারিখ পর্যন্ত একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে।
২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর নয় হাজার ৭৩৪ কোটি সাত লাখ টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীর ওপর ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের রেল সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরে এর ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি দুই লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
সেতুটির ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে জাপানি কোম্পানি ওটিজি’ ও আইএইচআই জয়েন্ট ভেঞ্চার। প্রকল্পের শুরুতে দেশের দীর্ঘতম এই সেতুর নাম ছিল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’। অন্তবর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পর গত বছরের ডিসেম্বরে সেতুর নাম পরিবর্তন করে ‘যমুনা রেল সেতু’ নামকরণ করা হয়।