বোরকা পরিহিত নারীর হাতের ভাইরাল প্ল্যাকার্ডের বিষয়ে যা জানা গেল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বোরকা পরিহিত নারীর হাতের ভাইরাল প্ল্যাকার্ডের বিষয়ে যা জানা গেল
সংগৃহীত ছবি

সম্প্রতি জুলাই অভ্যুত্থানের সময় একজন নারী শিক্ষার্থী ‘Fu** ME তবুও শেষ হাসিনার পথন চাই’ শীর্ষক একটি প্ল্যাকার্ড হাতে ধরে ছিলেন দাবিতে ব্লগার ও অ্যাক্টিভিস্ট আসাদ নূরের- ফেসবুক পেজে একটি ছবি প্রচার করা হয়েছে। প্ল্যাকার্ডটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। তবে রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত বছরের জুলাই মাসে হওয়া আন্দোলনের মুহূর্তে এক নারী শিক্ষার্থীর হাতে ‘Fu** ME তবুও শেষ হাসিনার পথন চাই’ শীর্ষক প্ল্যাকার্ড থাকার দাবিটি সঠিক নয়। 

রিউমর স্ক্যানার জানায়, প্রকৃতপক্ষে, ২০২০ সালের ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের একটি ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে ছবিতে থাকা প্ল্যাকার্ডের লেখা পরিবর্তন করে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

ছবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Masum Ahmed নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর করা একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। 

রিউমর স্ক্যানার
ছবি : রিউমর স্ক্যানার

ওই পোস্টে ওই ব্যক্তি দাবি করেন, ‘Fu** ME তবুও শেষ হাসিনার পথন চাই’ শীর্ষক প্ল্যাকার্ডটি ‘ধর্ষকদের পাহারাদার এ সরকার আর না।’ উক্ত লেখাসংবলিত প্ল্যাকার্ডকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে পরিবর্তন করে তৈরি করা হয়েছে। পোস্টটিতে তিনি উভয় প্ল্যাকার্ডসংবলিত ছবিও যুক্ত করেছেন।

পরবর্তীতে ওই তথ্যের সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ‘কইয়া দিমু টেলিভিশন’ নামের একটি ফেসবুক পেজে ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর প্রচারিত আরেকটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন

যে কথা সবাইকে জানাতে চান তনি

যে কথা সবাইকে জানাতে চান তনি

 

ছবিটিতে ‘ধর্ষকদের পাহারাদার এ সরকার আর না।’ শীর্ষক লেখাসংবলিত ওই প্ল্যাকার্ডটি দেখতে পাওয়া যায়। তবে উক্ত ছবিতে ভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ধারণ করায় এতে আলোচিত ছবির নারীর চেহারা না দেখা গেলেও উক্ত ছবিটির নারীর হাতেও মেহেদী এবং পায়ে একই রকম জুতা দেখতে পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে পেজটিতে ২০২০ সালের একই দিন করা আরো কয়েকটি পোস্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সে সময় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনসহ দেশব্যাপী সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের ধর্ষণের প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিন হয়।

আরো পড়ুন

আদালতে এসে যা খেতে চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী

আদালতে এসে যা খেতে চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী

 

রিউমর স্ক্যানার আরো জানায়, কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যম জাগোনিউজ২৪-এর ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর একই ঘটনায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনও খুঁজে পাওয়া যায়। অর্থাৎ, ২০২০ সালের ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনের প্ল্যাকার্ডের ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনের মাধ্যমে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের সময় একজন নারী শিক্ষার্থীর হাতে ‘Fuck** ME তবুও শেষ হাসিনার পথন চাই’ শীর্ষক একটি প্ল্যাকার্ড ছিল দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত এই ছবিটি এডিটেড বা সম্পাদিত।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সাংবাদিকের বেতন ৩০ হাজার টাকার নিচে হলে পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হবে : প্রেসসচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সাংবাদিকের বেতন ৩০ হাজার টাকার নিচে হলে পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হবে : প্রেসসচিব

সাংবাদিকের বেতন ৩০ হাজার টাকার নিচে হলে পত্রিকা বা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। 

বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের এক আলোচনাসভায় প্রেস সচিব এই কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, বাংলাদেশের সাংবাদিকদের একটা মিনিমাম বেসিক থাকতে হবে। সেটা ৩০ হাজার বা ৪০ হাজার টাকা হোক।

এর নিচে যারা দেবে, সেই পত্রিকা বা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

শফিকুল আলম বলেন, ‘সাংবাদিকতা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটা রক্তচোষার মতো হয়ে গেছে। একজন সাংবাদিককে পাঁচ হাজার, ১০ হাজার টাকা বেতন দেন মালিকরা। আমরা চাই, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা সাংবাদিক ভালো বেতন পাক।

এ ক্ষেত্রে মিনিমাম একটা ফ্লোর থাকতে হবে। যাঁরা এ বেতন দিতে পারবেন না, তাঁদের সেই ওয়েবসাইটের দরকার নেই। ঢাকাচুরি.কম চালাবেন, দরকার নেই।’

পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ‘তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এত শিক্ষিত না হলেও ইউনিয়নের ক্ষেত্রে আপনার আমার থেকে ১০০ গুণ এগিয়ে আছে।

তাঁরা মিনিমাম ওয়েজের জন্য লড়াই করে সাড়ে ১২ হাজার টাকা আদায় করেছেন এবং কয়েক দিন আগে আরো ৯ শতাংশ বাড়িয়েছেন। আমি মনে করি, সাংবাদিকদের ইউনিয়ন বা সংগঠনগুলো এখানে ফেল করছে। তাঁদের আওয়াজ তুলতে হবে। এ জন্য সত্যিকার অর্থে মুভমেন্ট করা উচিত।’

শফিকুল আলম বলেন, ‘এটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

কিছু লোক আসছেন, বলেন আমি এটার সম্পাদক। আবার কিছু লোক দু-একটা ভালো রিপোর্ট করে বাকিগুলো চুরি করে। এই সাংবাদিকতার প্রয়োজন নেই। যাঁরা সারা দিন খেটে সাংবাদিকতা করেন, তাঁদের মূল্যায়ন করতে হবে। এ জন্য তাঁদের একটা বেসিক বেতন ধরা উচিত।’

মন্তব্য

ভয়াবহ নির্যাতনের কথা জানালেন লিবিয়াফেরত বাংলাদেশিরা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভয়াবহ নির্যাতনের কথা জানালেন লিবিয়াফেরত বাংলাদেশিরা
সংগৃহীত ছবি

অবৈধভাবে লিবিয়ায় গিয়ে ডিটেনশন সেন্টারে আটক বিপদগ্রস্ত ও পাচারের শিকার ১৭৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে তারা জানিয়েছেন, মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন সহ্য করে সাক্ষাৎ মৃত্যু থেকে বেঁচে ফিরেছেন তারা। পাশাপাশি লিবিয়ায় বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটকে থাকা বাকি বাংলাদেশিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনা ও দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ভুক্তভোগীদের।

কেউ বছর, কেউ আবার মাসের পর মাস অপেক্ষা শেষে প্রিয়জনকে ফিরে পেয়ে ভেঙে পড়েন কান্নায়।

এ কান্না যেন তাদের আনন্দের। এর মধ্যে ১০৬ জন ছিলেন ত্রিপলির তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারে। তারা তুলে ধরেছেন সেখানে হওয়া ভয়াবহ নির্যাতনের কথা।
 

আরো পড়ুন
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরো ১৭৬ বাংলাদেশি

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরো ১৭৬ বাংলাদেশি

 


এক ভুক্তভোগী প্রবাসী বলেন, গত চার মাসের মধ্যে দুই বেলা ভাত খেতে পাইনি।

ভাত দিইনি। শুধু মেরেছে। আরেকজন জানান, লিবিয়ায় যেন কেউ না যায়। সেখানে আমাকে মাফিয়া ধরেছিল, মোট ২৬ লাখ টাকা নিয়ে গেছে আমার।
পাঁচ মাস ৯ দিন জেল খেটেছি। কথা বলতে কষ্ট হয় আমার।
 
ভুক্তভোগী আরেকজন জানান, পাঁচ মাস কাজ করেছি, কিন্তু এক মাসের বেতন দিয়েছে। তা-ও আবার বাংলাদেশি টাকা ৩০ হাজার আর দেয়নি। খাওয়াদাওয়ার খুবই কষ্ট, বাইরে বের হলে আবার মাফিয়া ধরে।
সব দিক থেকেই সমস্যা।
 
বাকি ৭০ জন বিপদগ্রস্ত অবস্থা থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে ১২ জনকে শারীরিকভাবে অসুস্থ দেখা গেছে।

আরো পড়ুন
ইন্ডাস্ট্রির দুরবস্থা গ্রাস করেছে তাঁদেরও

ইন্ডাস্ট্রির দুরবস্থা গ্রাস করেছে তাঁদেরও

 


 
ডিটেনশন সেন্টারে থাকা বেশির ভাগই দালালের মাধ্যমে ইতালি পাড়ি জমানোর জন্য দেশ ছেড়েছিলেন। দালালদের এ সিন্ডিকেটের বিচার চান ভুক্তভোগীর স্বজনরা।

আইওএমের সহযোগিতায় বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ভোর সোয়া ৪টায় দেশে ফেরেন ১৭৬ বাংলাদেশি। ঢাকা হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ও তদন্ত শেষে সকাল ৮টায় বের হন সবাই।
 
আগামী ১৯ ও ২৬ মার্চ আরো তিন শতাধিক বাংলাদেশিকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছে লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস।

মন্তব্য

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরো ১৭৬ বাংলাদেশি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরো ১৭৬ বাংলাদেশি
সংগৃহীত ছবি

অবৈধভাবে লিবিয়া গিয়ে আটক, বিপদগ্রস্ত ও পাচারের শিকার ১৭৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় ফেরেন তাঁরা।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে আজ ভোর সোয়া ৪টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তাঁরা। আগামী ১৯ ও ২৬ মার্চ আরো দুটি ফ্লাইট তিন শতাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস।

দূতাবাস জানায়, লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস ধারাবাহিক ও সমন্বিত প্রচেষ্টায় ১৭৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আইওএমের সহযোগিতায় দেশে পাঠিয়েছে। তাদের মধ্যে ১০৬ জন ত্রিপলীর তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন এবং অবশিষ্ট ৭০ জন বিপদগ্রস্ত অবস্থা থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরেছেন।

২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৯ হাজারেরর বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। 

মন্তব্য

একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (১৩ মার্চ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

সর্বশেষ সংবাদ