কান্নায় ঘুমাতে না পেরে যমজ সন্তানকে হত্যা করেন মা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কান্নায় ঘুমাতে না পেরে যমজ সন্তানকে হত্যা করেন মা
প্রতীকী ছবি

ভারতের উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। সদ্যোজাত দুই যমজ সন্তানের কান্নায় বিরক্ত হয়ে তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করছেন এক মা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০ বছর বয়সী ওই নারী প্রথমে দাবি করেছিল যে তিনি দুধ কিনতে বাইরে গিয়েছিলেন এবং ফিরে এসে দেখেন দুই সন্তান অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। এরপর দ্রুত তাদের রানীপুরের এক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর স্বামী মহেশ সাকলানিকে বিষয়টি জানান তিনি। মহেশ হরিদ্বারের একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত।

আরো পড়ুন
প্রিজন সেলে আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈঠক

প্রিজন সেলে আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈঠক

 

৬ মার্চ মহেশ জোয়ালাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যে তার সন্তানদের হত্যা করা হয়েছে। এর পরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়, কিন্তু কোনো অপরিচিত ব্যক্তির ঘরে প্রবেশ বা বের হওয়ার প্রমাণ মেলেনি। সন্দেহ আরো গভীর হলে মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, আর তখনই তিনি স্বীকার করেন যে সন্তানদের কান্নায় বিরক্ত হয়েই তাদের হত্যা করেছেন।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, দিনের পর দিন সন্তানদের কান্নায় ঘুম হচ্ছিল না তার। একাই দুই সন্তানের যত্ন নেওয়ার কারণে প্রবল ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন।

প্রথমে লেপ দিয়ে মুখ ঢেকে কান্না থামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তাতে শিশুরা আরো জোরে কাঁদতে শুরু করে। পরে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাদের হত্যা করেন তিনি। সন্দেহের হাত থেকে বাঁচতে সকালে দুধ কেনার অজুহাতে বাইরে বেরিয়ে আসেন এবং পরিকল্পিতভাবে সন্তানদের অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার গল্প তৈরি করেন।

পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

১১ মাসের মাথায় পর্তুগালে সরকার পতন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
১১ মাসের মাথায় পর্তুগালে সরকার পতন
সংগৃহীত ছবি

পর্তুগালের জাতীয় সংসদে সরকারের আনা আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রো সরকারের পতন হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ মার্চ) পর্তুগালের পার্লামেন্টে দিনভর নানা নাটকীয়তার পর অধিকাংশ দল সরকারের আনা আস্থা ভোটের বিপক্ষে ভোট দেয়। 

এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে পার্লামেন্টে নির্বাচন বা জাতীয় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দেবেন প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার পুরো পর্তুগালবাসীর চোখ ছিল দেশটির পার্লামেন্ট অধিবেশনের দিকে।

প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনেগ্রোর ডাকা আস্থা প্রস্তাবে সাড়া, নাকি বিপক্ষে ভোট দেবে রাজনৈতিক দলগুলো সেটাই ছিল দেখার বিষয়।

শেষমেষ সরকারের আনা আস্থার বিপক্ষেই ভোট দেয় বিরোধীসহ বেশিরভাগ দল। পার্লামেন্টে ২৩০টি আসনের মধ্যে ১৪২ জন সদস্যই ভোট দেন আস্থা ভোটের বিপক্ষে। আর এতেই পতন নিশ্চিত হয় ১১ মাস আগে ক্ষমতা নেয়া সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট বা এডি সরকারের।

সংসদের বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করে যে, প্রধানমন্ত্রী তার উপর আসা অভিযোগগুলোর যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে পারেননি বরং তিনি কৌশল অবলম্বন করছেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর উপর দুটি দলের ডাকা অনাস্থা প্রস্তাবে প্রধান বিরোধী দল সরকারকে সমর্থন করলেও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে যথাযথ ব্যাখ্যা না পাওয়ার অভিযোগে সরকারের ডাকা আস্থা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট প্রদান করে বিরোধী দলসহ বেশ কয়েকটি দল।

আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সংসদের সকল দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে একটি নতুন সরকার গঠন করতে পারেন অথবা নতুন নির্বাচনের ডাক দিতে পারেন। আর তাই সরকার পতনের পরই বুধবার (১২ মার্চ) রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকেন প্রেসিডেন্ট মার্সেলো।

ঐকমত্যে পৌঁছানো গেলে এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হলে মে মাসে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন তিনি। নতুন সরকার আসার আগ পর্যন্ত এডি সরকার সীমিত পরিসরে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা পালন করবে।

উল্লেখ্য, পর্তুগালে গত ৪ বছরে কোনো সরকারই পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারেনি! ২০২২ সালে সোশ্যালিস্ট পার্টি (পিএস) নির্বাচনে জিতে আন্তোনিও কস্তা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। তবে পরবর্তী সময়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, যা তার সরকারের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়ায়। ২০২৩ সালে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হলে আন্তোনিও কস্তা ২০২৩ সালের নভেম্বর এ পদত্যাগ করেন।

তার সরকার পতনের পর নতুন নির্বাচন ঘোষণা করা হয়।

২০২৪ সালের মার্চে মধ্য-ডানপন্থী ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এডি) সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসে। তবে তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, ফলে চরম ডানপন্থী দল চেগা (সিএইচইজিএ)-র সমর্থন নিতে হয়। এতে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তে থাকে। এবং সেই সময়েই রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সব থেকে দুর্বল সরকার গঠন হতে যাচ্ছে।

আরো পড়ুন
পাকিস্তানে জিম্মি ট্রেনের সব যাত্রী উদ্ধার, ৩৩  সন্ত্রাসীসহ নিহত ৫৮

পাকিস্তানে জিম্মি ট্রেনের সব যাত্রী উদ্ধার, ৩৩ সন্ত্রাসীসহ নিহত ৫৮

 

২০২৫ সালে প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রো আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় আরেকটি আগাম নির্বাচন হতে যাচ্ছে। যার ফলে ৪ বছরে ৩ বার সরকার পরিবর্তন দেখল পর্তুগাল।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পাকিস্তানে জিম্মি ট্রেনের সব যাত্রী উদ্ধার, ৩৩ সন্ত্রাসীসহ নিহত ৫৮

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পাকিস্তানে জিম্মি ট্রেনের সব যাত্রী উদ্ধার, ৩৩  সন্ত্রাসীসহ নিহত ৫৮
সংগৃহীত ছবি

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে যাত্রীবাহী একটি ট্রেনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের হাতে জিম্মি থাকা সব যাত্রীদের উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। উদ্ধার অভিযানে ৩৩ হামলাকারীর সবাই নিহত হয়েছেন। এর আগে হামলাকারীরা ২১ যাত্রীকে হত্যা করেন। এছাড়া অভিযান চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্য নিহত হয়েছেন।

 

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এসব তথ্য জানিয়েছে। ট্রেনটিতে মোট ৪৪০ জন যাত্রী ছিল। খবর ডনের।

বুধবার আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, অভিযানে ৩৩ সন্ত্রাসীর সবাইকে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, চূড়ান্ত অভিযানের সময় কোনো যাত্রী নিহত হননি। তবে এর আগেই ২১ যাত্রীকে হত্যা করেন হামলাকারীরা।

আইএসপিআর পরিচালক বলেন, কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস নামের যাত্রীবাহী ট্রেনে গত মঙ্গলবার দুপুরে হামলা চালায় সশস্ত্র একটি গোষ্ঠী। বেলুচিস্তানের বোলান এলাকার কাছে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে যাত্রীদের জিম্মি করে।

ওই সময় ট্রেনের নয়টি বগিতে প্রায় ৪৪০ জন যাত্রী ছিলেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রগুলো জানায়, হামলাকারীরা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে ‘বিদেশি সহায়তাকারী’দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। তাদের মধ্যে আফগানিস্তানে থাকা একজন ‘মাস্টারমাইন্ড’ রয়েছেন। এ ছাড়া তারা ট্রেনে থাকা নারী ও শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন।

এ কারণে অভিযানে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।

আরো পড়ুন
নিরাপদ কর্মপরিবেশ চান লালমাইয়ের শীর্ষ ৫ নারী কর্মকর্তা

নিরাপদ কর্মপরিবেশ চান লালমাইয়ের শীর্ষ ৫ নারী কর্মকর্তা

 

এদিকে যাত্রীবাহী ট্রেনে ‘সন্ত্রাসী হামলার’ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এক বিবৃতিতে শাহবাজ শরিফ বলেন, এই পবিত্র রমজান মাসে নিরীহ যাত্রীদের লক্ষ্যবস্তু বানানো প্রমাণ করে, ওই সশস্ত্র ব্যক্তিদের ইসলাম, পাকিস্তান ও বেলুচিস্তানের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।
 

মন্তব্য

যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইউক্রেন, রাশিয়ার সিদ্ধান্তের অপেক্ষা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইউক্রেন, রাশিয়ার সিদ্ধান্তের অপেক্ষা
ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিয়ে সৌদি আরবের জেদ্দায় মধ্যস্থতাকারীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় বৈঠকে রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। তবে যুদ্ধবিরতি হবে কি না, সেটা নির্ভর করছে রাশিয়ার ওপর। খবর রয়টার্সের

ইউক্রেনের রাজি হওয়ার পর আজ বুধবার মস্কোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মধ্যস্থতাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার পর সিদ্ধান্ত জানাবে তারা।

তবে রাশিয়ার একাধিক সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এতে রাজি হতে না-ও পারেন বলে ধারণা করছে তারা।

ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে উদ্যোগী হন। কিন্তু গত মাসের শেষে হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিত করে ট্রাম্প প্রশাসন।

তবে এখন ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা বলছে, বল এখন রাশিয়ার কোর্টে। মস্কো যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় কি না, সেটা দেখেই বোঝা যাবে, তারা শান্তি চায় কি না।

ইউক্রেনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়া প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ‘এটা এখন পুরোপুরি নির্ভর করছে রাশিয়ার ওপর।

তারা হ্যাঁ বলে কি না, সেটাই দেখার বিষয়। যদি রাশিয়া রাজি হয়, তাহলে সেটা হবে খুবই ভালো খবর। আর যদি রাশিয়া রাজি না হয়, তাহলে আমরা অবশ্যই সবকিছু ভেবে দেখব। বোঝার চেষ্টা করব, তারা কী চায়।’

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স–এ দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির এ পরিকল্পনা ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর পথে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।

এখন এটা নির্ভর করছে পুতিনের ওপর।’

যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইউক্রেনের প্রস্তাব নিয়ে গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তিনি বলেন, ইউক্রেনের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির বিস্তারিত যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানার অপেক্ষা করছেন তারা।

পেসকভ বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎজ আগামী দিনগুলোতে নানা মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। চলমান আলোচনা ও আলোচনায় হওয়া সমঝোতার বিষয়ে আমাদের জানানো হবে।’ মস্কো একটি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আপনি তো সময়ের আগেই এ প্রশ্নের উত্তর চাইছেন।’

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। সম্ভাব্য ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি যদি হয়ে যায়, তাহলে এই সময়ে বড় পরিসরে একটি শান্তিচুক্তির খসড়া তৈরির কাজ হতে পারে।’

মন্তব্য

ইসরায়েলি জাহাজ নিয়ে হুতির নতুন হুমকি, হামাসের প্রশংসা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইসরায়েলি জাহাজ নিয়ে হুতির নতুন হুমকি, হামাসের প্রশংসা
লোহিত সাগরে গত আগস্টে হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর গ্রিক মালিকানাধীন তেলবাহী ট্যাংকার সুনিয়নে ধোঁয়া ও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফাইল ছবি : এএফপি

হামাস বুধবার ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের প্রশংসা করেছে। কারণ তারা ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা পুনরায় শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। হামাস এটিকে ফিলিস্তিনি স্বার্থের প্রতি ‘সত্যিকারের প্রতিশ্রুতি’ বলে উল্লেখ করেছে।  

এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘এটি (পদক্ষেপ) আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের প্রতিরোধের প্রতি প্রকৃত সমর্থনের প্রতিফলন এবং গাজার ওপর চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় অবরোধ ভাঙতে বাস্তবিক চাপ প্রয়োগ করছে।

ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও লোহিত সাগরের উপকূলের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করা হুতি গোষ্ঠী মঙ্গলবার রাতে ঘোষণা দেয়, তারা পুনরায় হামলা শুরু করবে। কারণ ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়া বন্ধ করেনি।

হুতি জানায়, তারা ‘লোহিত সাগর, বাব-এল-মান্দেব প্রণালি, এডেন উপসাগর ও আরব সাগরে সব ইসরায়েলি জাহাজের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা পুনরায় কার্যকর’ করছে। কারণ ইসরায়েল তাদের দেওয়া চার দিনের সময়সীমার মধ্যে গাজায় সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।

 

এর আগে এই মাসের শুরুতে ইসরায়েল গাজার ওপর সম্পূর্ণ সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দেয়, যাতে হামাসকে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করা যায়, দ্বিতীয় ধাপে অগ্রসর হওয়ার পরিবর্তে। গত রবিবার ইসরায়েল আরো চাপ সৃষ্টি করতে ঘোষণা দেয়, তারা গাজার একটি পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্টের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে। তবে হামাস মঙ্গলবার জানায়, কাতারে একটি নতুন যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু হয়েছে।  

গাজা যুদ্ধ চলাকালে হুতি ইসরায়েল সংশ্লিষ্ঠ জাহাজের ওপর অসংখ্য ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য পাল্টা বিমান হামলা চালায়।

হুতি জানিয়েছে, তারা জানুয়ারিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এসব হামলা বন্ধ করেছিল। তবে মঙ্গলবার তারা ঘোষণা দেয়, যতক্ষণ না ইসরায়েল গাজায় সহায়তা প্রবেশ করতে দেবে, ততক্ষণ তারা হামলা অব্যাহত রাখবে।  

হামাস হুতির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটি ইয়েমেনের জনগণের প্রকৃত অবস্থানের প্রতিফলন। আমরা আরব ও মুসলিমবিশ্ব, পাশাপাশি বিশ্বের সব মুক্তচিন্তার জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে, যাতে দখলদার ইসরায়েল ও তার মিত্রদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা যায়, যতক্ষণ না আগ্রাসন শেষ হয়, গাজার অবরোধ প্রত্যাহার করা হয় এবং আমাদের অবরুদ্ধ জনগণের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়।’

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ