সেনাপ্রধানের বক্তব্য নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সেনাপ্রধানের বক্তব্য নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সংগৃহীত ছবি

দেশ ও জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কোনো কথা না বুঝে বলেননি বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন, ‘সেনাপ্রধান আমার জন্য অনেক উঁচু স্তরের লোক, তিনি একটি বাহিনী চালাচ্ছেন। তিনি কোনো কথা না বুঝে বলেননি।’

আজ বৃহস্পতিবার ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বেক্সিমকো লিমিটেডের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

সেনাপ্রধানের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি যতটা ওনাকে চিনি ভেরি স্ট্রেট ফরওয়ার্ড ম্যান। যা বলার মানুষের মুখের ওপর বলার মতো লোক। সো আই হ্যাভ এ লট অব রেসপেক্ট ফর হিম। উনি কী বলেছেন না বলেছেন সে ব্যাখ্যা আমি দিতে পারব না।

সেটা উনিই দিতে পারবেন।’

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘সেনা শহীদ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সবাইকে সতর্ক করেন। ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি, মারামারি, কাটাকাটি করলে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে বলে মন্তব্য করেন সেনাপ্রধান।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক সমস্যায় গ্রাহকদের ক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক সমস্যায় গ্রাহকদের ক্ষোভ

দেশের মোবাইল অপারেটরগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলালিংক। বিভিন্ন সময়ে এই অপারেটরের নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবহারকারীরা। তারা বলছেন, স্থান ভেদে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে।

বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক খুবই দুর্বল। এর মধ্যে ঝড়-বৃষ্টি হলে একেবারেই নেটওয়ার্ক মেলে না। ফলে ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। 

ক্ষোভ প্রকাশ করে মাহমুদুল হাসান নামে এক গ্রাহক বলেন, ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যাই।

কিন্তু সেখানে বাংলালিংকের পর্যাপ্ত নেটওয়ার্ক না থাকায় ভয়েস কল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যায় পড়তে হয়েছে।

আরো পড়ুন
আফগান শরণার্থীদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করছে পাকিস্তান

আফগান শরণার্থীদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করছে পাকিস্তান

 

ইসহাক নামে একজন বলেন, বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক খুবই নিম্নমানের। কাউকে কল দিলে ঠিকমতো কথা বলা যায় না। আবার অন্য কেউ আমার মোবাইলে কল দিলেও নেটওয়ার্ক সমস্যায় কল আসে না।

ঈদের ছুটিতে বাসায় বসে অনলাইনে অফিসের কাজ করবেন হাবিব। সেজন্য তার বাংলালিংকের সিমে ইন্টারনেট প্যাকেজ কেনেন তিনি। কিন্তু গ্রামে যাওয়ার পর ঠিকমতো নেটওয়ার্ক না থাকায় কাজ করতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাবিব বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য বাংলালিংকের সিম ব্যবহার করে কোনো লাভ হচ্ছে না। নেটওয়ার্ক না থাকায় গ্রামে গিয়ে কোনো কাজই করতে পারিনি।

এ ছাড়া ভয়েস কলেও কথা বলতে অসুবিধা হয়। আবার অনেকে আমার নম্বরে ফোন করেছিল, তাদের কলও আমার ফোনে আসেনি। 

আরো পড়ুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে র‍্যাবের হাতে ২ সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে র‍্যাবের হাতে ২ সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

 

বাংলাদেশের বিভিন্ন অপারেটরের সিম ব্যবহারকারীদের সোশাল মিডিয়া নানা গ্রুপ রয়েছে। সেখানে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক বিপর্যয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেক ব্যবহারকারীকে। শুধু নেটওয়ার্ক বিপর্যয় নয়, বাংলালিংক সিমে ইন্টারনেট চালু করলে দ্রুত এমভি শেষ হয়ে যাওয়া নিয়েও বিস্তর অভিযোগ।

মন্তব্য

বাংলালিংকের সেবা নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা, বয়কটের ডাক

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন প্রতিবেদক
শেয়ার
বাংলালিংকের সেবা নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা, বয়কটের ডাক
সংগৃহীত ছবি

রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের ওপর প্রায় ৪২ কোটি টাকা ভ্যাট পরিশোধ করেনি বাংলালিংক। দেশের বেসরকারি মোবাইল অপারেটরটির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। আদালতের নির্দেশনা থাকার পরেও কম্পানিটি এক যুগ আগের সেই ভ্যাট পরিশোধ করছে না। এমনকি ভ্যাট পরিশোধে সময় বেঁধে দিলেও বিটিআরসিকে পাত্তা দিচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি।

এই গুরুতর অভিযোগসহ সিমটির সেবা নিয়ে গ্রাহকদের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। নানা সেবার কথা বলে অতিরিক্ত অর্থ কেটে রাখা, নেটওয়ার্ক দুর্বলতাসহ সিমটির সামগ্রিক সেবা নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।

বাংলালিংক ডিজিটাল নামের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে গতকাল মাইবিএল অ্যাপের বিভিন্ন সেবা নিয়ে পোস্ট করে প্রতিষ্ঠানটি। সেই পোস্টের নিচে অনেক গ্রাহক সিমটির সেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ ছাড়া অনেককে সিমটি বয়কটের ডাক দিতে দেখা গেছে। 

ওই পোস্টের কমেন্টে অনিন্দা অনির্বান নামের একজন লিখেছেন, ‘রিচার্জের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে যে টাকাগুলো নিজের দাদার সম্পত্তি মনে করে কেটে রাখছেন, সেই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য কোথায় ভিজিট করতে হবে? কত নম্বরে ডায়াল করতে হবে? টাকা ফেরত দেন। #boycott_Banglalink #thief_Banglalink। তিনি আরো লিখেছেন, ‘রিচার্জ পরে করব আগে আমার টাকা ফেরত দেন।

ওই টাকা আমার উপার্জনের টাকা, আপনার বাপ দাদার রেখে যাওয়া জমিদারি সম্পত্তি না। #boycott_Banglalink#thief_Banglalink।’

বাংলালিংক ডিজিটালের করা ওই পোস্টে আব্দুল আওয়াল নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘এই যে হুটহাট করে একটা আজাইরা কিছু চালু করে দিয়ে টাকা কেটে নেন এই অপরাধের জন্য আপনাদের কি প্রতিকার আছে, আর কাস্টমার কনসার্ন ছাড়া টাকা কাটা অপরাধ কিনা?

এদিকে গত ১ এপ্রিল বাংলালিংক ডিজাটালের করা পোস্টের কমেন্টে মুকুল ইসলাম নামের একজন লিখেছেন, ‘২০২৫ সালে এসেও যে বাংলালিংক নেটওয়ার্কের দিক থেকে এতটা পিছিয়ে আছে বলার বাইরে। যেখানে অন্যান্য অপারেটর যথেষ্ট ভালো সার্ভিস দেয়, সেখানে বাংলালিংক ৪জি নেট ২-১ দাগ পায়, পায় না, আর স্পিড তো একেবারেই বাজে। খালি লোডিং আর লোডিং।

অভিযোগ করাতে বলেছে সিম প্রথম স্লটে নিন এবং এপিএন সেট করে রিস্টার্ট করুন। সবই করেছি, কোনও উন্নতি নেই।’

একই পোস্টে নাজমুল জাহিদ খান লিখেছেন, ‘আপনাদের সিমে টাকা রিচার্জ করলে টাকা অ্যাকাউন্টে এড না করে মিনিট/এমবি ধরাইয়া দেন কেনো। আমি এক দরকারে টাকা রিচার্জ করলাম আপনারা দিয়া দিলেন অন্য কিছু। টাকার কোন দাম নাই। কাস্টমারের কোনো পারমিশন ছাড়াই অফার ধরাইয়া দেন। আপনাদের বিরুদ্ধে মামলা করা দরকার ।

জিসান মাহমুদ নামের আরেক গ্রাহক লিখেছেন, ‘ভাই নিজেদের দাবি করেন দেশের এক নাম্বার নেটওয়ার্ক অথচ বেশিরভাগ সময়ই ইন্টারনেট পায় না। বার বার এয়ারপ্লেন মোড অন অফ করার পর একটু চালানো যায় একটু পর আবার চলা বন্ধ হয়ে যায়। অন্য কোনো কাজ তো দূরের কথা ফেসবুক লাইটই চালানো যায় না। ফোন 4G সাথে দুই পাশে দুইটা বাংলালিংকের টাওয়ার আছে। এখন কি বাহানা দিবেন ভাই? যারা কমপ্লেইন করতেছেন তাদের সমস্যা সমাধান না করে হুদাই রিপ্লাই এর মাধ্যমে আজে বাজে বকতেছেন। পারলে সমস্যার সমাধান কইরেন। নাহলে দেশে আরো অন্যান্য অপারেটর আছে ব্যবহার করার জন্য। তাদের সার্ভিস আপনাদের থেকেও ভালো। হুদাই আজে বাজে না বকে প্রব্লেম সলভ করেন।’

মন্তব্য

বাংলাদেশের কাছে বিশ্বকে বদলানোর মতো দুর্দান্ত আইডিয়া আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বাংলাদেশের কাছে বিশ্বকে বদলানোর মতো দুর্দান্ত আইডিয়া আছে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিশ্বকে বদলে দেওয়ার মতো দুর্দান্ত সব আইডিয়া আছে বাংলাদেশের কাছে। বাংলাদেশে ব্যবসার ভালো সুযোগ রয়েছে।

আজ বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এক সময় ক্ষুদ্রঋণ বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র গ্রামে শুরু হলেও এখন এটি আমেরিকার সবচেয়ে বড় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসার ভালো সুযোগ রয়েছে।

এ ব্যবসা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা পৃথিবীর জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে।

দুনিয়া বদলাতে চাইলে ব্যবসা সবচেয়ে শক্তিশালী কাঠামো বলে মন্তব্য করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, সবাই মিলে উপার্জন করে মানুষের ভাগ্য বদল করাটা স্বর্গীয় অনুভূতি। কার্বন নিঃসরণ বাদ দিয়ে আমরা নতুন সভ্যতা গড়তে পারি।

বর্তমান সভ্যতা আত্মবিধ্বংসী।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের (বিডা) আয়োজনে চার দিনব্যাপী এ বিনিয়োগ সম্মেলন গত ৭ এপ্রিল শুরু হলেও আজ প্রধান উপদেষ্টা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এ সময় তিনি বলেন, সামাজিক ব্যবসার আদর্শ স্থান বাংলাদেশ। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নতির ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমেই সম্ভব দারিদ্র্য বিমোচন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বিক্ষোভের সময় হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭২

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিক্ষোভের সময় হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭২
ফাইল ছবি

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে দেশের বিভিন্ন শহরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনা সংক্রান্তে এখন পর্যন্ত মোট ১০টি মামলা রুজু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে খুলনায় ৩৩ জন, সিলেটে ১৯ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, গাজীপুরে ৪ জন, নারায়ণগঞ্জে ৪ জন, কুমিল্লায় ৩ জন এবং কক্সবাজারে ৪ জন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছিল পুলিশ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ