সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরো ৬০ দিন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরো ৬০ দিন
সংগৃহীত ছবি

সশস্ত্র বাহিনীকে দেওয়া বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরো দুই মাস বা ৬০ দিন (১৫ মার্চ থেকে পরবর্তী ৬০ দিন) বাড়িয়েছে সরকার। সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু-এর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশের কথা বলা হয়।

আরো পড়ুন
সামরিক বাহিনীর ঐক্য বিনষ্টে ষড়যন্ত্র ও সাম্প্রতিক দৃশ্যপট

সামরিক বাহিনীর ঐক্য বিনষ্টে ষড়যন্ত্র ও সাম্প্রতিক দৃশ্যপট

 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮-এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী বর্ণিত অধিক্ষেত্রে অর্থাৎ সারা দেশে ও সময়কালে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।

সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং কোস্ট গার্ডে প্রেষণে নিয়োজিত সমমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) সারা দেশে ফৌজধারী কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তারা কার্যক্রম চালাতে পারবেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

আরো পড়ুন
ভারতে ইসরায়েলের পর এবার ব্রিটিশ তরুণীকে ধর্ষণ

ভারতে ইসরায়েলের পর এবার ব্রিটিশ তরুণীকে ধর্ষণ

 

এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর সারা দেশে মোতায়েন করা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দুই মাস বা ৬০ দিনের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।

আর গত ১৫ নভেম্বর ও ১২ জানুয়ারি দুই দফায় সশস্ত্র বাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দেওয়া ক্ষমতা দুই মাস করে বাড়িয়েছিল সরকার।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই : সালাউদ্দিন তানভীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই : সালাউদ্দিন তানভীর

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর বই ছাপানো নিয়ে দুর্নীতিতে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীর।

তিনি বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে ৪০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র কোনো সম্পর্ক নেই। সব কিছু সাচিবিক প্রক্রিয়ায় করা হয়েছে। তিলকে তাল বানানো হয়েছে।

১০০ কোটি টাকার কাগজ কেনা হয়েছে। অথচ বলা হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা দুর্নীতি  করা হয়েছে। এটা হাস্যকর।’ 

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির (সিআরইউ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

 

তিনি বলেন, ‘এনসিটিবিতে প্রতিবছর প্রায় ৪০ কোটি বই ছাপানো হয়। এর আগে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার তাদের দোসর বন্ধু রাষ্ট্র থেকে খুবই নিম্ন মানের বই ছাপিয়ে নিয়ে আসত। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর বাংলাদেশেই উন্নত মানের কাগজে বই ছাপানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যখন এটা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ছিল।

এ সময়ে কিছু কাজ করার সুযোগ হয়েছিল আমাদের। তখন যেসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে গিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়েছিল, সেই সিন্ডিকেটের রোষানলে পড়ি।’

এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর জন-আকাঙ্ক্ষার দল জাতীয় নাগরিক পার্টি রাজনৈতিক বন্দোবস্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ অভিযোগ। আমি একজন নাগরিক পার্টির একজন দায়িত্বশীল হিসেবে আমার দ্বারা এ ধরনের কোনো একটা কার্য সম্পাদন হবে, এটা হতেই পারে না। যখনকার অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে তখন আমাদের দল গঠনই হয়নি।

তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে স্পষ্ট করতে চাই, আমিও মানহানির মামলা করেছি। বাংলাদেশের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাও এ ব্যাপারে জানে যে কিভাবে কী হয়েছে। কিভাবে সিন্ডিকেটের হাত থেকে পাঠ্যপুস্তক উদ্ধার করে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সবাই যেহেতু জানে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকেও বলব, আপনার আপনাদের জায়গা থেকে প্রতিবেদন দেবেন। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমার বিরুদ্ধে যদি এক পয়সারও লেনদেনের অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে আমি নিজের ইচ্ছায় এনসিপি থেকে পদত্যাগ করব। আইন অনুযায়ী শাস্তি মাথা পেতে নেব।’

এর আগে ভুয়া ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে সুনাম ক্ষুণ্নের অভিযোগ এনে সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকারসহ অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীর এ মামলার আবেদন করেন। পরে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী রবিবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।

মন্তব্য

মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন হার ১ শতাংশেরও কম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন হার ১ শতাংশেরও কম
সংগৃহীত ছবি

আইন অনুযায়ী জন্ম ও মৃত্যু ৪৫ দিনের মধ্যে শতভাগ নিবন্ধন করার কথা বলা হলেও দেশের অধিকাংশ মানুষ তা মানছে না। এই সময়ে ৫৪ শতাংশ শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা হলেও মৃত্যু নিবন্ধন হচ্ছে ১ শতাংশের কম। পেনশন, উত্তরাধিকার ছাড়া কেউ মৃত আত্মীয়-স্বজনের মৃত্যু নিবন্ধন করতে চায় না।   

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজধানী পল্টনে ফারস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসে এক সাংবাদিক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশে সিআরভিএস শক্তিশালীকরণে গণযোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা বিষয়ক তথ্য প্রচার এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের প্রভাবশালী গল্প নিয়ে এ আয়োজন করে নারী মৈত্রী। 

কর্মশালায় সাংবাদিকদের বিতরণ করা কাগজপত্রে দেখা যায়, ১৬ কোটির বেশি মানুষের জন্ম নিবন্ধন ডাটাবেইসে সংরক্ষিত আছে এবং প্রতি মুহূর্তে এই সংখ্যা বাড়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এ সংখ্যা শিগগিরই ২৫ থেকে ৩০ কোটিতে পৌঁছাতে পারে।  

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) তথ্যে আরো বলা হয়,  মৃত্যু নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় আইন থাকা সত্ত্বেও প্রক্রিয়াটিতে এখন পর্যন্ত  অনেক বিড়ম্বনা ও হয়রানি করা হয়।

এ ছাড়া সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের প্রভাব, মৃত্যু সম্পর্কিত আচার-অনুষ্ঠান এবং দাফন প্রথা, প্রমাসনিক বাধা মৃত্যু নিবন্ধনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। 

অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন নারী মৈত্রী’র নির্বাহী পরিচালক শাহীন আক্তার ডলি বলেন, জন্ম, মৃত্যু ও স্বাস্থ্যসেবা সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি, পেনশন, ভাতা সুবিধার ক্ষেত্রে নিবন্ধন গুরুত্ব বহন করে। জন্ম নিবন্ধন শিশুদের আইনি পরিচয় প্রতিষ্ঠা করে। এর পাশাপাশি তার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য অধিকার নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

 

আরো পড়ুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ দুদিনের অভিযানে ৪ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই দিনের অভিযানে ৪ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

 

তিনি বলেন, নারী মৈত্রী বিশ্বাস করে একটি কার্যকর জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং সিভিল রেজিস্ট্রেশন ও ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস (সিআরভিএস) মূল ধারার আলোচনা ও গণমাধ্যমে যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না। 

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস বাংলাদেশের মিডিয়া কাভারেজ ও সিআরভিএস অ্যাডভোকেসির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। তিনি মিডিয়ার নীতিগত সংস্কারের ওপর প্রভাব বিস্তারের গুরুত্ব উল্লেখ করে কিছু সফল উদাহরণও তুলে ধরেন।

কর্মশালায় নারী মৈত্রীর প্রকল্প ব্যবস্থাপক লায়লা আরিফা খানম এবং সিনিয়র অ্যাডভোকেসি অফিসার আনিকা আনজুম ঐশী সিআরভিএস এবং এর সামাজিক উন্নয়নে প্রভাব সম্পর্কে ধারণা দেন, যেখানে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। 

ভাইটাল স্ট্রাটেজিস বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর নজরুল ইসলাম সাম্প্রতিক সিআরভিএস সংস্কার এবং চলমান সরকারি উদ্যোগ সম্পর্কে আলোচনা করেন।

তিনি সরকারি সংস্থা এবং গণমাধ্যম সংস্থার মধ্যে আরো সুসংগঠিত সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন, যাতে জনগণের জন্য সিআরভিএস পরিষেবার সহজলভ্যতা বৃদ্ধি পায়। 

কর্মশালায় বক্তারা কার্যকর নিবন্ধনের জন্য কিছু সুপারিশ করেন। এর মধ্যে রয়েছে জন্ম নিবন্ধনে স্বাস্থ্য বিভাগের সক্রিয় অংশগ্রহণ। অর্থাৎ হাসপাতালে জন্ম ও মৃত্যুর নিবন্ধন।  বিনা খরচে নিবন্ধের বিধান জারি,  জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণকারী বাংলাদেশের আইন সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করা, স্থানীয়ভাবে কমিউনিটি প্ল্যাটফরম এবং ধর্মীয় নেতাদের জড়িত করা।

মন্তব্য

সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের ভিত্তিহীন তথ্য ছড়াচ্ছে ভারতের গণমাধ্যম : প্রেস উইং

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের ভিত্তিহীন তথ্য ছড়াচ্ছে ভারতের গণমাধ্যম : প্রেস উইং
ফাইল ছবি

ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ‘অভ্যুত্থান বা অস্থিতিশীলতার’ ভিত্তিহীন খবর প্রকাশিত হয়েছে বলে দাবি করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। এসব খবর ভিত্তিহীন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে এক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে একটি বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস, ইন্ডিয়া টুডেসহ ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে অভ্যুত্থান বা অস্থিতিশীলতার অভিযোগে যে খবর প্রকাশ করেছে, তা শুধু ভিত্তিহীনই নয়, বরং অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনও।

এতে আরো বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণা, (অন্য দেশের) হস্তক্ষেপ না করার নীতির পরিপন্থী। তথ্য-প্রমাণ ছাড়া এমন চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যা আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং পারস্পরিক সম্পর্কের জন্যও ক্ষতিকর।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৩ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৩ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
ফাইল ছবি

পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ডিএমপির সাবেক এক কর্মকর্তাও রয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি তিনটি প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া তিন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ, বাগেরহাট জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান ও নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

বরখাস্ত হওয়া এই তিন কর্মকর্তা বর্তমানে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। সাময়িক বরখাস্তকালীন আসাদুজ্জামান সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাপ্য হবেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বর্তমানে ওএসডি হিসেবে অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় মামলা হয়।

ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তার করে ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে সোপর্দ করেন। মো. শহিদুল্লাহকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন)-এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত বাগেরহাট জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানের বিরুদ্ধে ফকিরহাট থানার মামলায় ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়। এরপর আদালত তাকে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায়।

সেহেতু, আবুল হাসনাত খানকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন)-এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নীলফামারী ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানার মামলায় ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেহেতু, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী গত ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ