সম্প্রতি আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। এতে পুড়ে গেছে কাফির বাড়ি। এ নিয়ে একাধিক পোস্ট দিয়েছেন এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট প্রদান করেছেন তিনি।
সম্প্রতি আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। এতে পুড়ে গেছে কাফির বাড়ি। এ নিয়ে একাধিক পোস্ট দিয়েছেন এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট প্রদান করেছেন তিনি।
পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে কাফি লিখেছেন, ‘তিনদিন হয়ে গেল আমার বাড়ির ঘর বাহির থেকে দরজা লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হলো। কয়লা হয়ে পড়ে আছে। এখন পর্যন্ত স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে স্পেশাল কোনো টিম গঠন করা হলো না।’
তিনি আরো লিখেন, ‘লোকাল থানায় তদন্ত পড়ে আছে।
তিনি লেখেন, ‘আমার বাড়ি ঘর বাহির থেকে দরজা লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হলো আর আপনাদের কিছু মনে হলো না! আপনাদের কানে পানি গেল না! আমার এই করুণ পরিস্থিতির জন্য স্পেশাল টিম গঠন করা গেল না! তবে, আমার রাজপথ দখলের খারাপ রূপটা শিগগিরই দেখতে পাবেন।’
গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সেনাসদস্যরা। এ সময় তারা কাফি ও তার পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানান। এর পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সম্পর্কিত খবর
বেশ কয়েকদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি দেখা যায়- এক ব্যক্তি বিছানার মাঝখানে বসে আছেন, আর তোষক, চাদর, বালিশসহ পুরো খাটটাই সড়কে ঠিক গাড়ির মতো চলছে। গাড়ির মতো চলা এ খাটটি আসলেই একটি চলমান বিছানা কিংবা চলমান খাটগাড়ি। ভিডিওটি ব্যাপকহারে ভাইরাল হয়।
নবাব শেখ নামের এক যুবক প্রায় দেড় বছরের চেষ্টা ও পরিশ্রমে এই খাটগাড়িটি বানান। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। তবে সম্প্রতি তার বানানো এই খাটগাড়িটি নিয়ে গেছে পুলিশ।
খাটগাড়ির ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর নবাব জানিয়েছিলেন, নিজের বিচিত্র এই গাড়িটি নিয়ে ঈদের দিন একটু ‘ট্রায়াল’ দিতে বের হয়েছিলেন।
তবে মোটর ভেহিকলস আইন অনুযায়ী কোনো গাড়িকে এভাবে বদলে ফেলে চালানোর অনুমতি না থাকায় নবাব শেখের সাধের গাড়িটি মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানার পুলিশ নিয়ে গেছে। সে জন্য তার মন বেশ খারাপ।
নবাব শেখ বলেন, ‘আমি ঘুমের মধ্যে একদিন স্বপ্ন দেখি যে খাটে চেপেই যদি আমি চা খেতে যেতে পারতাম! সেই ভাবনা থেকেই শুরু করি।’
এরপরে তিনি খাটটিতে চলার উপযোগী করতে এতে লাগান চারটি চাকা। চাকা লাগানোর পর খাটটিকে ধাক্কা দিলেই সেটি চলছিল কিন্তু এমনিতে নড়াচড়া করছিল না।
নবাব শেখ বলেন, ‘আমি ওটাতে একটা ইঞ্জিন ফিট করে চলন্ত খাট বানাই। ঈদের দিন একটু ট্রায়াল দিতে বের হয়েছিলাম।
নবাব শেখের এক ভাই আলমগীর শেখও চলমান-খাট বানানোয় তাকে সহায়তা করেছেন। প্রায় দেড় বছর ধরে দুই লাখ ১৫ হাজার টাকা খরচ করে একে একে ইঞ্জিন, স্টিয়ারিং, তেলের ট্যাংক আর স্থানীয় একটা গাড়ি সারানোর কারখানা থেকে একটি গাড়ির খাঁচাও কেনেন নবাব।
আলমগীর শেখ বলছিলেন, ‘নবাব আগে থেকেই ভিডিও কনটেন্ট বানায়। প্রথমে আইডিয়াটা ওর মাথায় আসে। পরে আমাদের জানায়। কাঠের কাঠামো তো আছেই, তাতে ৮০০ সিসি ইঞ্জিন লাগানো হয়েছে। আর মারুতি ওমনি গাড়ির চেসিস ব্যবহার করা হয়েছে।’
বাড়ির পাশেই কাঠমিস্ত্রি, গাড়ির মেকানিকদের সহায়তায় গাড়িটি তৈরি করেছিলেন নবাব শেখ। মাসে মোটামুটি ৯ হাজার ভারতীয় টাকা রোজগার করেন তিনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে নবাব জানিয়েছেন, এই চলমান-খাট বানাতে তাকে স্ত্রীর কিছু গয়না বিক্রি করতে হয়েছে।
সূত্র- বিবিসি বাংলা
আগামীকাল সারা দেশে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম।
মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
সাদিক কায়েম বলেন, বিশ্বকাপে অনেকেই পছন্দের দেশের পতাকা উড়ায়। খেলাধুলার আনন্দ ও উত্তেজনায় করা হয় এ কাজ।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমরা কি পারি না ফিলিস্তিনের পতাকায় বাংলাদেশ ছেয়ে দিতে? তাদের লড়াই ও সংগ্রামের প্রতি আমাদের সংহতির অংশ হিসেবে আগামীকাল সারা দেশে, প্রতিটি বাড়ি, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, প্রতিটি ছাদ, প্রতিটি গাড়িতে উড়ুক ফিলিস্তিনের পতাকা।’
‘অন্তর্বর্তী সরকার মাত্র ৮ মাসে বাংলাদেশকে ৪৭তম ক্ষমতাধর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে’ এবং ‘র্যাংকিংটিতে বাংলাদেশ আগে ৪০তম ছিল, ৮ মাসে পিছিয়ে এখন ৪৭তম হয়েছে।’ এমন দুটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
দাবিগুলোর সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ইউএস নিউজ নামে একটি ওয়েবসাইটের নাম।
ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউএস নিউজ মূলত মার্কিন মিডিয়া কম্পানি, যারা সংবাদের পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত বিভিন্ন ক্যাটাগরির র্যাংকিং ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে আসছে।
রিউমর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে, এই তালিকাটি আজই বা এ বছর প্রকাশ হয়নি। তালিকাটি প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর। মূলত জরিপের তথ্য ব্যবহার করে এই র্যাংকিং প্রকাশিত হয়। এই র্যাংকিংয়ের জরিপ হয়েছে ২০২৪ সালের ২২ মার্চ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত।
রিউমর স্ক্যানার ইউএস নিউজের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন সময়ের আর্কাইভ বিশ্লেষণ করে দেখেছে, সাইটটি প্রতিবছরের সেপ্টেম্বরে এই র্যাংকিং প্রকাশ করে থাকে এবং এসংক্রান্ত জরিপ হয় সে বছরের এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে। যেমন—২০২৩ সালেরটি প্রকাশিত হয় সে বছরের ৬ সেপ্টেম্বর (জরিপ হয় সে বছরের ১৭ মার্চ থেকে ১২ জুন)। বাংলাদেশের অবস্থান পাওয়ারে ৪০তম, ওভারঅল : ৬৯তম (মোট ৮৭ দেশের মধ্যে)।
একইভাবে ২০২২ সালেরটি প্রকাশিত হয় সে বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর (জরিপ হয় সে বছরের ৩০ এপ্রিল থেকে ১৩ জুলাই)। বাংলাদেশের অবস্থান পাওয়ারে ৪৪তম, ওভারঅল : ৭১তম (মোট ৮৫ দেশের মধ্যে)।
এসব তথ্য বিশ্লেষণ থেকে এটা নিশ্চিত যে ২০২৫ সালের র্যাংকিং এখনো প্রকাশ করেনি ইউএস নিউজ। রেওয়াজ অনুযায়ী, তা চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হবে।
দাবি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ১২৩তম স্থান থেকে উন্নীত হয়ে বর্তমানে ৪৭তম অবস্থানে এসেছে বলে বলা হলেও ওয়েবসাইটটির আর্কাইভ বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার দেখতে পায়, বাংলাদেশ এই র্যাংকিংয়ে প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয় ২০২২ সালে। ওই বছর থেকে পরবর্তী সময়গুলোতে র্যাংকিংয়ে অন্তর্ভুক্ত দেশের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে : ২০২২ সালে ৮৫টি, ২০২৩ সালে ৮৭টি এবং ২০২৪ সালে ৮৯টি। এ পর্যন্ত কোনো বছরেই র্যাংকিংয়ে ১২৩টি দেশ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, ফলে বাংলাদেশের কখনো ১২৩তম অবস্থানে থাকার দাবি বাস্তবসম্মত নয়।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের এই র্যাংকিং নিয়ে হঠাৎ আলোচনা শুরুর প্রেক্ষাপটও জানার চেষ্টা করেছে রিউমর স্ক্যানার। গ্লোবাল স্ট্যাটিসটিকস নামের একটি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে গত ৬ এপ্রিল রাতে ইউএস নিউজকে সূত্র দেখিয়ে শিরোনামে ২০২৫ সালের র্যাংকিং দাবি করে এসংক্রান্ত প্রথম পোস্টটি করা হয় বলে প্রতীয়মান হয়। এর পরই বিষয়টি আলোচনায় আসে।
অর্থাৎ অন্তর্বর্তী সরকারের ৮ মাসে ৪৭তম হওয়া কিংবা ৮ মাসে ৭ পিছিয়ে ৪৭তম হওয়া সংক্রান্ত দুটো দাবিই ভুয়া।
দেশে বিনিয়োগ সম্মেলন চলাকালে কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যে লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে তা উদ্বেগজনক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন সামাজিক সাহায্য সংস্থা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
আজ মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি। এই ধরনের কাজ কেউ করতে গেলে তাকে থামিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান আহমাদুল্লাহ।
ওই পোস্টে তিনি বলেন, দেশে চার দিনের বিনিয়োগ সম্মেলন চলছে।
তিনি আরো বলেন, এর অন্যতম লক্ষ্য, আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করা। তাদের দেখানো যে বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ নিরাপদ নয়।
আমরা বিশ্বাস করি, যারা লুটপাট করেছে তারা আন্দোলনকারী নয়। তারা চক্রান্তকারী এবং অপরাধী। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
ওই পোস্টের কমেন্টে বক্সে আহমাদুল্লাহ বলেন, গতকালের লুটপাট যে একটি চিহ্নিত মহলের ষড়যন্ত্র তা আরো স্পষ্ট করে দেয় এআইয়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া একটি ভুয়া ছবি। চক্রান্তকারীরা কৃত্রিম ও ভুয়া ছবির মাথায় টুপি বসিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপাতে চেয়েছে। কিন্তু তাদের সেই চক্রান্ত নস্যাৎ হয়ে গেছে।