সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবকে জেতালেন তামিম ইকবাল। তার সেঞ্চুরিতে উড়ে গেছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। ৫৮ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে মোহামেডান।
টানা দ্বিতীয় জয়ের ম্যাচে মোহামেডানের সামনে লক্ষ্য ছিল ২১৯ রান।
তাড়া করতে নেমে জয়ের অর্ধেকের বেশি রান করেছেন তামিম। শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না মোহামেডানের। দলীয় ৩৫ রানে ২ উইকেট হারিয়েছিল তারা। তবে ওপেনিংয়ে নেমে ১২৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম।
লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের ২৩তম সেঞ্চুরি পেয়েছেন তামিম। ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি পাওয়া ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১১ চার ও ৫ ছক্কায়। তার সঙ্গে ৩৫ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম। এর আগে আহরার আমিনের ৭৮ রানের ইনিংসের কল্যাণে ২১৮ রান করে পারটেক্স।
মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।
বিফলে গেছে রূপগঞ্জের অধিনায়ক আল আমিনের সেঞ্চুরি
দারুণ এক সেঞ্চুরিতে দলকে ২৬১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য এনে দিয়েছিলেন আল আমিন জুনিয়র। কিন্তু রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেটার ক্লাবের অধিনায়কের সেঞ্চুরিটা দলের কাজে আসেনি। আবাহনী লিমিটেডের কাছে ৪ উইকেটে হেরে যাওয়ায় তার সেঞ্চুরি বিফলে গেছে।
আবাহনীর জয়ে আজ বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে দারুণ খেলেছেন টপ অর্ডার ব্যাটাররা।
প্রথম চার ব্যাটারই পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন। ফিফটি অবশ্য শুধু মোহাম্মদ মিঠুনই (৬০) পেয়েছেন। দলের জয়ে ওপেনিংয়ে ৬২ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার জিশান আলম (৩৯) ও পারভেজ হোসেন ইমন (৪৭)।
তিনে নেমে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আর শেষ দিকে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ১৫ বল হাতে রেখে জয় এনে দিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন।
রেকর্ড গড়া ম্যাচে বড় জয় প্রাইম ব্যাংকের
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে কোনো দল ৪০০ রানের দলীয় স্কোর গড়তে পারেনি। আজ সেই ইতিহাস লিখেছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ৪২২ রানের পাহাড় গড়েছে তারা।
পাহাড়সম রানে বিধ্বংসী ১৭৬ রানের ইনিংস খেলেছেন নাঈম শেখ। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের নবম সেঞ্চুরির ইনিংসটি তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ। আর বাংলাদেশের মধ্যে লিটন দাসের সঙ্গে যৌথভাবে পঞ্চম। ২০১৯ সালে আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ২০৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন সৌম্য সরকার। আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ১২৫ বলের ইনিংসটি ১৮ চার ৮ ছক্কায় সাজান বাঁহাতি ওপেনার। বড় সংগ্রহে ফিফটি করেছেন সাব্বির হোসেন (৭৩) ও সাজ্জাদুল হক রিপন (৫০*)।
তাড়ার আগেই রানের চাপে পিষ্ট হওয়া ব্রাদার্স অলআউট হয়েছে ২৮৯ রানে। এতে ১৭৩ রানের বিশাল জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো ব্রাদার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৬ রান করেছেন আইচ মোল্লা। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন।