<p>সাম্প্রতিক সময়ের মতো এতো বেশি সমালোচনার সামনে বোধ হয় আগে কখনো পড়তে হয়নি সাকিব আল হাসানকে। বিশেষ করে মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে নিজের সেরা অবস্থানে ছিলেন না সাকিব। বয়স ৩৭ হয়ে গেছে। অবসর নিয়ে আলোচনাও বেশ জোরেশোরে সামনে এসেছে।</p> <p>সাকিব নিজে অবশ্য অবসর নিয়ে ভাবছেন না। আপাতত ৩-৬ মাসের পরিকল্পনা সামনে নিয়ে এগোচ্ছেন বলে জানালেন সংবাদ মাধ্যমকে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট মেজর লিগে খেলতে আজ সন্ধ্যায় দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে সাকিব বলেছেন, 'নিজেকে নিয়ে এখনও কোনো পরিকল্পনা নেই। আপাতত পরিকল্পনা হচ্ছে দুটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে আমার সামনে। একটা হচ্ছে এমএলসি, যেটার জন্য এখন যাচ্ছি। এর পরপরই থাকবে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলব, যেটা হবে কানাডাতে। পরপর এই দুটি টুর্নামেন্ট খেলি, দেখি আমার কী অবস্থা। এরপর দেশের যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আছে, পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ। আপাতত পরিকল্পনা এতটুকুই। খুব বেশি আসলে পরিকল্পনা করিনি। নিজেকে বোঝার দরকার আছে। আর এখন ওরকম সময় নেই যে তিন-চার বছরের পরিকল্পনা করব। আমার মনে হয়, ৩-৬ মাসের পরিকল্পনা করাই ভালো।'</p> <p>বিশ্বকাপে নিজের পারফরম্যান্স নিয়েও সাকিব বলেছেন, 'যেটা হচ্ছে, কঠিন ছিল ব্যাটারদের জন্য। আমি তো দেখিনি অন্য কোন দলে প্রতিটি ম্যাচেই কেউ ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলেছে। বিশ্বকাপে ৮/১০ জন থাকে যারা ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলে। এই বিশ্বকাপে কিন্তু সেটা দেখা যায়নি। ব্যাটাররা এখানে এক-দুই ম্যাচ ভালো খেলেছে, ওইভাবেই দলগুলো জিতেছে। বোলিং সবাই ভালো করেছে, প্রতিটি দলই। ব্যাটিংয়ে যেটা হয়েছে যে, যেদিন যে পারফরম্যান্স করেছে, সে দলকে জিতিয়ে নিয়েছে। যেহেতু বড় স্কোরের ম্যাচ ছিলো না, সেক্ষেত্রে এক দুজনের পারফরম্যান্সে ম্যাচ জেতা সম্ভভ ছিল। আমরা যে কয়টা জিতেছি এরকম এক-দুই জনের অবদানের কারনেই জিতেছি। যেগুলো হেরেছি সেখানে কারও অবদান ছিল না।'</p>